রংপুর বিভাগের প্রাচীন ইতিহাস | রংপুর বিভাগের কোন জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
আরো পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রাচীন ইতিহাস | কিসের জন্য বিখ্যাত নারায়ণগঞ্জ জেলা?
বাংলাদেশের উত্তর- পশ্চিমাংশে অবস্থিত একটি বিভাগ রংপুর, যা একসময় পরিচিত
ছিল বৃহত্তর রংপুর জেলা হিসাবে। রংপুরকে গত ২৫ জানুয়ারী
২০১০ সালে স্বতন্ত্র বিভাগ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশের
উত্তরের জনপদ রংপুর বিভাগ সমৃদ্ধ হয়েছে তার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক
গুরুত্বের কারণে। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো, রংপুর বিভাগের ইতিহাস এবং
এই বিভাগের কোন জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত সে সম্পর্কে সম্পর্কে।
রংপুর বিভাগের প্রাচীন ইতিহাস
রংপুর
বিভাগের ইতিহাস যে অতি প্রাচীন এবং বিভিন্ন যুগের বিশেষ করে, মধ্যযুগের বিভিন্ন
ঐতিহাসিক ঘটনা তার সাক্ষী। এই অঞ্চলটি প্রাচীনকালে কামরূপ রাজ্যের অংশ ছিল।
পরবর্তী সময়ে এটি দিল্লি সালতানাতের অধীনে আসে মোগল সাম্রাজ্যের শাসনামলে।
ইস্ট
ইন্ডিয়া কোম্পানী ১৭৬৫ সালে বাংলা, বিহার এবং ওড়িশ্যের দেওয়ানি লাভ করলে, তাদের
অধিনে আসে এই অঞ্চলটি। আর বৃহত্তর রংপুর ছিল নীল চাষের জন্য কুখ্যাত। এই এলাকায়
ব্রিটিশ শাসনামলে নীল চাষিদের উপর চালানো হতো প্রচান্ড নির্যাতন।
স্থানীয়
কৃষকেরা এই সকল অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ গড়ে তোলে, নীল বিদ্রোহ নামে যা
পরিচিত। পাকিস্তান শাসনামলে রংপুর অঞ্চল কিছুটা অবহেলিত থাকলেও, বাংলাদেশ স্বাধীন
হলে ধীরে ধীরে রংপুর বিভাগ উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়।
রংপুর বিভাগের কোন জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
রংপুর
প্রশাসনিক বিভাগ হিসাবে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রংপুর বিভাগ গঠিত হয়েছে মোট
৮টি জেলা নিয়ে। আর এই জেলাগুলোর রয়েছে নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য, যা সেই জেলাকে
বিখ্যাত করেছে। নিম্নে কোন জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত, সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা
করা হলো। চলুন দেখি-
রংপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
রংপুর
জেলা বিখ্যাত হয়েছে মূলত ঐতিহ্যবাহী হাড়িভাঙ্গা আম, তামাকসহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক
কারণে। নিম্নে রংপুরের বিখ্যাত কিছু তথ্য সম্পর্কে যেনে নেই-
হাড়িভাঙ্গা আম- রংপুরের অন্যতম বিখ্যাত হাড়ি
ভাঙ্গা আম। এই আমটি আশ বিহীন, সুস্বাদু এবং মিষ্টি হওয়ায় এটি রংপুরসহ সারা দেশে
জনপ্রিয়।
তামাক- বাংলাদেশের অনতম অর্থকারী ফসল
তামাক। আর এটি প্রধান উতপাদনকারি অঞ্চল হিসাবে রংপুর সারা দেশে বিখ্যাত হয়েছে।
জমিদারবাড়ি- রংপুর শহরের অন্যতম বিখ্যাত
স্থাপনা তাজহাট ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি, বর্তমানে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে জাদুঘর হিসাবে।
খাবার ও পিঠা- রংপুর জেলার বিখ্যাত কিছু পিঠা
রয়েছে, যেমন তেল পিঠা, পাটিসাপ্টা, মোহনভোগ ইত্যাদি।
রংপুর রাইডার্স- রংপুর তথা সারাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে
(বিপিএল) বেশ পরিচিত রংপুর রাইডার্স।
বিদ্যাবাগীশ বাড়ি- প্রখ্যাত পণ্ডিতদের স্মৃতিবিজড়িত
ঐতিহাসিক স্থান।
বিখ্যাত ব্যক্তিতব- রংপুরে জন্মগ্রহন করেছেন অনেক
বিখ্যাত ব্যক্তি যেমন, সাহিত্যিক বেগম রোকেয়া, রাজনীতিবিদ হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ, বাংলাদেশের
জাতীয় কবির স্ত্রী প্রমীলা দেবীসহ আরো অনেকে।
জীবন যাত্রা- রংপুরের মানুষের সাদামাটা
জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সারাদেশে খুব পরিচিত।
দিনাজপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
দিনাজপুর
জেলা লিচু, কাটারিভোগ চাল, কাঁঠাল এবং বেশ কিছু ঐতিহাসিক এবং দর্শনীয় স্থানের জন্য
বিখ্যাত। নিম্নে দিনাজপুরের বিখ্যাত কিছু তথ্য সম্পর্কে যেনে নেই-
লিচু ও আনারস- দিনাজপুরে উৎপাদিত লিচু ও আনারস
অনেক সুস্বাদু, যা সারাদেশে বিখ্যাত।
দিনাজপুরের রাজবাড়ি- এই রাজবাড়িটি দিনাজপুরের ঐতিহাসিক
একটি স্থাপনা, এটি প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত।
কাঠাল- এই এলাকার কাঁঠাল খেতে অনেক
সুস্বাদু এবং রসালো, সে কারণে দিনাজপুরকে বলা হয় কাঁঠালের রাজধানী।
চিনি আতপ চাল- দিনাজপুর জেলাকে বলা হয়
বাংলাদেশের চালের ভান্ডার, আর চিনি আতপ চালের জন্য দিনাজপুর বিখ্যাত।
রামসাগর- রামসাগর দীঘি মানবসৃষ্ট
বাংলাদেশের বৃহত্তর দীঘি। এটি খনন করেন রাজা রামনাথ বর্তমানে এটি পর্যটকদের
আকর্ষণীয় স্থান।
কানাই বাবার মন্দির- দিনাজপুর জেলা শহরের নিকট অবস্থিত
এই মন্দিরটি হিন্দু ধর্ম অনুসারীদের গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান। এছাড়াও
দিনাজপুরে রয়েছে বেশ কিছু হিন্দু ও বৌদ্ধ প্রাচীন স্থাপনা, যা পর্যটকদের
অনুপ্রাণিত করে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
ঠাকুরগাঁও
জেলা আম, গম, দুগ্ধজাত পন্য এবং ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্তবিক নিদর্শনের জন্য সারাদেশে
বেশ বিখ্যাত। নিম্নে ঠাকুরগাঁওয়ের বিখ্যাত কিছু তথ্য সম্পর্কে যেনে নেই-
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য- ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য
নদী, গাছপালা ইত্যাদির কারণে পর্যটকদের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিনত করেছে।
ধর্মীয় ঐতিহ্য- ঠাকুরগাঁয়ে রয়েছে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ মন্দির ও ধর্মীয় স্থাপনা। এখানে রয়েছে বভিন্ন হিন্দু মন্দির, মঠ এবং
ধমীয় ঐতিহাসিক স্থাপনা।
ঐতিহাসিক স্থান- ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের
অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ঠাকুরগাঁও জেলা। এখানে রয়েছে বেশকিছু ঐতিহাসিক স্থান
এবং যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন।
কৃষি- ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি প্রধান। এই
জেলায় ধান, গম, পেঁপে, তরমুজ, আলু ইত্যাদি কৃষি পণ্য উৎপাদিত হয়। তবে, আলু চাষের
জন্য এটি খুবই পরিচিত।
সাহিত্য ও সংস্কৃতি- ঠাকুরগাঁও জেলা সাহিত্য এবং
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহ্য ধারণ করে। এই জেলায় বেশ
কিছু সময় কাটিয়েছে, বিখ্যাত বাংলা সাহিত্যিক হুমায়ন আহম্মেদ।
পঞ্চগড় জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
পঞ্চগড়
জেলা চা বাগান, পাথরের খনি, তেতুলিয়া এবং অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য অনেক
বিখ্যাত। নিম্নে পঞ্চগড় বিখ্যাত কিছু তথ্য সম্পর্কে যেনে নেই-
ঠাণ্ডা পরিবেশ- বাংলাদশের সবচেয়ে উত্তরের স্থান
রয়েছে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায়। যেখানে সারা বছর ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকে, যা
অনুভূত হয় দার্জিলিংয়ের মতো।
হাওড় এবং নদী- এই জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে
বৃদ্ধি করেছে বিভিন্ন হাওড় এবং নদী। বিশেষ করে তেতুলিয়া নদী সংলগ্ন এলাকা
ভ্রমনকারীদের জনপ্রিয় স্থান।
তেতুলিয়া ও সান্দেল- বাংলাদেশের সর্বচ্চ পয়েন্ট এটি,
যা ত্তুলিয়া অবস্থিত। এখানে বিশেষ এক দৃশ্য দেখা যায় শীতের সময়।
মন্দির ও ইতিহাস- এই বেশ কিছু প্রাচীন মন্দির এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে, যা পর্যটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।
এছড়াও,
পঞ্চগড় জেলার মানুষের সহজ সরল গ্রামীন জীবন ধারা এবং সুন্দর প্রকৃতির জন্য বেশ
পরিচিত।
নীলফামারী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
নীলফামারী
জেলা মূলত তাঁতের শাড়ী, তিস্তা ব্যরেজ, চাকড়া শিল্প এবং নীলসাগরের জন্য অনেক
বিখ্যাত। নিম্নে নীলফামারী বিখ্যাত কিছু তথ্য সম্পর্কে যেনে নেই-
ফুলপুর ও পানচুড়ি- নীলফামারী জেলার এই দুই অঞ্চলে
আখ, তুলা, পেয়াজ, রসুন, মরিচসহ নানান কৃষিপণ্য চাষ হয়। এখানকার কৃষকেরা বিখ্যাত হয়েছে
তাদের পণ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রয়ের জন্য।
আরো পড়ুনঃ রাঙ্গামাটি জেলার ইতিহাস | রাঙ্গামাটি জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
তিস্তা নদী- নীলফামারী জেলার প্রধান নদী
তিস্তা, যা কৃষি কাজের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই নদীটি সেচ কাজের পাশাপাশি
পর্যটকদের কাছে অনেক আকর্ষণীয় স্থান।
বন্য প্রাণী- বিভিন্ন প্রজাতীর বন্য প্রাণীর
আবাসস্থাল হিসাবে এই জেল পরিচিত। বন্যপ্রাণী সংরখণে এখানকার বিভিন্ন জলাভূকি এবং
বনাঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ।
ঐতিহাসিক স্থান- নীলফামারীতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ
ঐতিহাসিক স্থান, যেমন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ এবং ইতিহাসের বিভিন্ন দিক এর
পরিচিতি বৃদ্ধি করেছে। এছাড়াও, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতি
অনেকেই ভালোবাসেন।
লালমনির হাট জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
লালমনিরহাট
জেলা মূলত তিস্তা ব্যারেজ, চা বাগান, শালবন এবং সীমান্ত এলাকার জন্য বাংলাদেশে বেশ
বিখ্যাত। নিম্নে লালমনিরহাটের বিখ্যাত কিছু তথ্য সম্পর্কে যেনে নেই-
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নদী-
তিস্তা এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে লালমনির হাট জেলাটি অবস্থিত, যা পরিপূর্ণ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে। এই জেলাটি বিখ্যাত শস্য চাষের পাশাপাশি নদীভাঙ্গনেও।
তিস্তা ব্যারেজ- লালমনির
হাট জেলাটি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছে তিস্তা নদীর উপর তৈরি তিস্তা ব্যারেজের
জন্য। এটি নদি নিয়ন্ত্রন এবং কৃষি সহায়তা কেরে থাকেন।
লালমনির হাট-
হরিয়ান সড়ক লালমনিরহাট এলাকাকে অন্য এলাকার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এটি এবং
তরান্বিত করেছে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে।
কৃষি খাত- খুবই
উন্নত লালমনিরহাটের কৃষি খাত, বিশেষ করে ধান, পাট, আলু, গম ও শাকসবজি
উল্লেখযোগ্যভাবে এখানে উৎপাদিত হয়।
লক সংস্কৃতি-
এখানে লোক সংস্কৃতি অত্যান্ত জনপ্রিয়, যেমন বিভিন্ন পিঠা, পুলি, নৃত্য, গান
ইত্যাদি।
কুড়িগ্রাম জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
কুড়িরগ্রাম জেলা চিলমারি বন্দর,
কাঁঠালবাড়ির কাঁঠাল, শীত, বন্যা এবং দারিদ্র প্রবন এলাকা হিসাবে বাংলাদেশে অনেক
পরিচিত। নিম্নে
কুড়িগ্রামের বিখ্যাত কিছু তথ্য সম্পর্কে যেনে নেই-
নদীভাঙ্গন ও বন্যা- কুড়িগ্রাম জেলা
নদীভাঙ্গন এবং বন্যা প্রবন এলাকা হিসাবে পরিচিত, কারণ এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর
কাছা-কাছি হওয়ায় প্রতিবছর বন্যায় প্লাবিত হয়।
কৃষি- কুড়িগ্রামের জমি অনেক
উর্বর, এখানে ধান, পাট, আলুম সয়াবিন সরিষার পাশাপাসি বিভিন্ন শাকসবজি উৎপাদনের
জন্য পরিচিত।
হাওড়- কুড়িগ্রামের বিস্তীর্ণ
হাওড় এবং জলাভূমি থাকায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নানান জলজ প্রাণীর জন্য বিখ্যাত।
পদ্মা নদী- কুড়িগ্রামের মাঝ দিয়ে
পদ্মা নদী প্রবাহিত হওয়ায় নদী ভাঙ্গনের পাশাপাশি মাছ ধরার জন্য বিখ্যাত।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য- কুড়িগ্রামে প্রচলিত
রয়েছে তাদের ঐতিহ্যবাহী গান ও নাচ যেমন, বাউল ও বাংলা লোকগান। তাছাড়াও, কুড়িগ্রামে
সমৃদ্ধ রয়েছে বিভিন্ন বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা ও নিদর্শন।
গাইবান্ধা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
গাইবান্ধা জেলা বাণিজ্যিক উতসব, নদ-নদী এবং তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের
জন্য অনেক বিখ্যাত। নিম্নে গাইবান্ধার বিখ্যাত কিছু তথ্য সম্পর্কে যেনে নেই-
নদী ও প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য- গাইবান্ধার জেলা বেশ কিছু নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত রয়েছে, যেমন
তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ইত্যাদি প্রধান নদী। নৌকা চালানো, মাছ ধরা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের কারণে
আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে গাইবান্ধা।
প্রাকৃতিক সংরক্ষণ
এলাকা-
এই জেলার আশেপাশে প্রাকৃতিক এলাকা রয়েছে, যেমন গাইবান্ধা মেম্বার জঙ্গল এবং তিস্তা
ব্যারেজ, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের অনেক প্রিয়।
ঐতিহাসিক স্থান- গাইবান্ধায় বিভিন্ন
মন্দির এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে, যেমন হরিশপুর মন্দির এবং বেশ কিছু পুরাতন
মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
কৃষি- গাইবান্ধা জেলায় ধান,
পাট, গম, আলু, সরিষা, তিল ইত্যাদি প্রচুর উৎপাদিত হয় এবং এটি কৃষির জন্য বিখ্যাত।
সাপ্তাহিক হাট- গাইবান্ধার রয়েছে
অনেক বাজার এবং সাপ্তাহিক হাট, যা অনেক মানুষের জীবিকার বড় উৎস। তাছাড়া, গাইবান্ধার
মানুষ অনেক সংস্কৃতি
প্রেমী। তাই এখানে বিভিন্ন উৎসব, বিশেষ করে মেলা জনপ্রিয়।
রংপুর বিভাগ বিখ্যাত যত- শেষকথা
বাংলাদেশের
সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী বিভাগ রংপুর। আর এই বিভাগের সকল জেলার রয়েছে, নিজস্ব ইতিহাস
সংস্কৃতি এবং বৈশিষ্ট্য। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা এবং পর্যটনের দিক থেকে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। অদুর ভবিষ্যতে এটি আরো উন্নত হবে বলে আমারা আশাবাদী।
আরো পড়ুনঃ কক্সবাজার জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ, আমরা আশাকরি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পেরেছি, "রংপুর বিভাগের প্রাচীন ইতিহাস ও রংপুর বিভাগের কোন জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত" সে সম্পর্কে অনেক তথ্য। আর্টিকেলটি যদি ভালোলাগে এবং উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে এটি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url