বিকাশ ডিপিএস কি? বিকাশ ডিপিএস খোলার সহজ পদ্ধতি

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে কি করতে হবে?

বিকাশ ডিপিএস কি?, হ্যাঁ আমাদের পাঠক পাঠিকাগণ, আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো, বিকাশ ডিপিএস কি? কিভাবে বিকাশ ডিপিএস খোলা যায়সহ এটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সকল প্রকার তথ্য।

কেননা অনেকে আছেন, যারা বিকাশ ডিপিএস সম্পর্কে যানার জন্য গুগলে সার্চ করেন। আর আপনিও কি, বিকাশ ডিপিএস সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ । তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বিকাশ সবসময় তার গ্রাহকদের মাঝে নিয়ে আসে নতুন নতুন কিছু আকর্ষণ। বর্তমানে বিকাশ ঠিক তেমনভাবে নিয়ে এসেছে, নতুন আকর্ষণ বিকাশ ডিপিএস। আর এই ডিপিএস নিয়ে রয়েছে জনসাধারণের অনেক ধরণের প্রশ্ন।

তাই, আপনাদের সুবিধার জন্য এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতেই আজকের আর্টিকেলটি। যেমন, বিকাশ ডিপিএস কি? খোলার নিয়ম, সুদের হারসহ সকল প্রকারের প্রশ্নের উত্তর। চলুন তাহলে আমরা দেখে নেই, ডিপিএস সম্পর্কে তথ্য-

বিকাশ ডিপিএস কি?

বিকাশ ডিপিএস হলো বিকাশ গ্রাহকদের জন্য একটি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় প্রকল্প। আর বিকাশ ডিপিএস এ গ্রহকেরা তাদের সঞ্চয়ের টাকা সাপ্তাহিক এবং মাসিক উভয়ভাবেই জমাতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট একটি সময় শেষে জমানো টাকা, মুনাফাসহ উত্তোলন করতে পারবেন।

আর সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, মেয়াদ শেষে ডিপিএসের টাকা উত্তোলনের সময় কোন ধরণের চার্জ বা খরচ হয় না। সহজ কথায় বলা যায়, গ্রহকের জনানো টাকা মেয়াদ শেষে উঠানোর সময়, তাদের কোন চার্জ লাগে না।

বিকাশ ডিপিএস কি নিরাপদ?

অনেক গ্রাহক আছেন যারা, বিকাশ ডিপিএসের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চান। এই বিষয়ে আমাদের ভাষ্য হলো, বিকাশ ডিপিএস শতভাগ নিরাপদ। কেননা বিকাশ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত এবং অনেক ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে।

সেই কারণে, আপনার জমানো বিকাশ ডিপিএসের টাকা গুলো, ঐসকল অনুমোদিত ব্যাংকগুলোতে জমা হয়ে থাকে। এছাড়াও, বিকাশ ব্রাক ব্যাংকের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। তাই, এটি অনিরাপদ নয়, সম্পূর্ণ নিরাপদ।

বিকাশ ডিপিএসের সুবিধা কি কি?

বর্তমানে আমাদের দেশে অনেটাই ঝুঁকিপূর্ণ আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি। তাএছাড়া, আমাদের সকলের উচিৎ, ভবিষ্যৎ এর জন্য সঞ্চয় করা। সেই কথা মাথায় রেখে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশ, ডিপিএস সেবাটি চালু করেছে।

আর এই বিকাশ ডিপিএস সেবার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন, শুধুমাত্র একজন বিকাশের গ্রহক। বিকাশ ডিপিএসের সুযোগ সুবিধা অনেক, যা অল্প কাথায় বলা মুসকিল। তবুও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সুবিধা নিম্নে আলোচনা করা হলো-

বিকাশ ডিপিএসের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এই একাউন্ট খোলার কোন ঝামেলা নেই। যদি আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট থাকে, তাহলে খুব সহজে, যা মাত্রা ২ মিনিটের মধ্যেই একাউন্ট খুলতে পারবেন।

এখানে আপনি আপনার পছন্দমত সাপ্তাহিক এবং মাসিক দুইভাবেই টাকা জমা করতে পারবেন। সাপ্তাহিকভাবে ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০ বা ৫০০০ টাকা এবং মাসিকভাবে ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৩০০০ টাকা, যা ব্যবসা, চাকুরি বা সাধারণ মানুষ জমা করতে পারে।

এই ডিপিএস মেয়াদ ৬ মাস থেকে শুরুকরে ৪ বছর পর্যন্ত। আর এই সময়কাল অন্যকোন প্রতিষ্ঠানে চালু নেই। আর বিকাশের টাকা জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। অটোমেটিকভাবে আপনার ডিপিএসের টাকা একাউন্টে জুক্ত হয়ে যাবে।

আর এই বিকাশের টাকা জমার জন্য আপনাকে একটি অটো ডেবিট অপশন চালু করতে হবে। তাছাড়া, অন্য যে কোন স্থানের ডিপিএসের টাকা উঠানোর জন্য অনেক ঘুরতে হয়, তার পরে টাকা পাওয়া যায়, যা, বিকাশ ডিপিএসের ক্ষেত্রে কোন হয়রানি নেই।

কারণ বিকাশ ডিপিএসের টাকা উত্তোলন করার জন্য আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। আপনার বিকাশ ডিপিএস এ জমানো টাকা বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। তাছাড়া বিকাশের টাকা উত্তোলন করার ক্ষেত্রে কোন চার্জ কাটা হয় না।

বিকাশ ডিপিএস খুলতে কি কি দরকার?

বিকাশ ডিপিএস খোলার জন্য, তেমন কোন কিছু প্রয়োজন পড়ে না। বিকাশ ডিপিএস খোলার জন্য নিম্নের কয়েকটি জিনিস দরকার। চলুন তাহলে আমরা দেখে নেই-

  • ভোটার আইডি কার্ড (এনআইডি)।
  • সচল একটি বিকাশ একাউন্ট।
  • একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন।
  • এবং ইন্টারনেট সংযোগ।

বিকাশ ডিপিএস একাউন্ট খোলার সহজ উপায় ২০২৫

বিকাশের নতুন একটি সেবা বিকাশ ডিপিএস। আর এই কারণেই অনেক বিকাশ গ্রাহকেরাই বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জানেন না। আর বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করা লাগে। যা, নিম্নে আলোচনা করা হলো-
  • ধাপ- ০১ঃ প্রথমে আপনি বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করুন এবং এরপর ক্লিক করুন অ্যাপে থাকা হোম পেজে থাকা সেভিং অপশনে।
  • ধাপ- ২ঃ এখন নিউ সেভিং অপশনে প্রবেশ করে, নির্বাচন করুন ডিপিএস অপশনটি।
  • ধাপ-৩ঃ এবার ডিপিএসের উদ্দেশ্য নির্বাচন করে মেয়াদকাল যেমন ৬ মাস, ১/২/৩/৪ বছর নির্বাচন করে নিন এবং টাকা জমার ধরণ, যেমন সাপ্তাহিক না মাসিক তা নির্বাচন করুন।
  • ধাপ- ৪ঃ এখন আপনি যে পরিমাণ টাকা জমা করতে চান, তা নির্বাচন করুন এবং এখানে থাকা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সেখানে থাকা ব্যাংকের তালিকা নির্বাচন করে ক্লিক করুন পরবর্তী অপশনে।
  • ধাপ- ৫ঃ এখানে পূরণ করতে হবে, একাউন্ট কারির নমিনি সংক্রান্ত তথ্য এবং ক্লিক করুন পরবর্তী অপশনে।
  • ধাপ- ৬ঃ এবার ভালোকরে পড়ুন নিয়ম এবং শর্তাবলী, এরপর ক্লিক করুন সম্মতি বাটনে। এরপর বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বার দিয়ে, নিচের লাল অংশে ট্যাপ করে ধরে রাখুন।
এখন আপনার বিকাশ ডিপিএস একাউন্ট খোলার কাজ শেষ। এবার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই, আপনাকে এস,এম,এসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে, আপনার একাউন্ট কনফার্ম করা হবে, আপনার একাউন্ট হয়েছে।

তাছাড়াও, আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য সহযোগিতা নিতে চান, তাহলে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন হেল্পলাইন নম্বারে। আবার আপনি চাইলে, আপনার নিকটে থাকা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে সরাসরি যোগাযোগ করে সাহায্য নিতে পারেন।

বিকাশ ডিপিএস এর লাভের হার কত?

বর্তমানে ৩% হারে বিকাশ ডিপিএস এর মুনাফা বা লাভ প্রদান করা হয়। অর্থাৎ বিকাশ ডিপিএস একাউন্টে টাকা জমানোর জন্য আপনি বার্ষিক ৩% মুনাফা পাবেন। তবে, এই সংক্রান্ত তথ্য আরোভালো করে জানতে ক্লিক করুন https://www.bkash.com/help/interest-on-saving.

বিকাশ ডিপিএস থেকে কি টাকা তুলতে খরচ হয়?

** বিকাশ ডিপিএস থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য কোন প্রকার খরচ বা ফি লাগে না। আপনি যত টাকা বিকাশে জমা করেছেন, তার সবগুলো টাকা আপনি উত্তোলন করতে পারবেন। আর বিকাশ ডিপিএসের সবচেয়ে পড় এবং অন্যতম সুবিধা হলো এর নিরাপত্তা।

** এককথায় বলা যায় যে, বিকাশে টাকা জমালে আপনি যত টাকা জমাবেন, তার সব টাকাই আপনি ফিরে পাবেন। কারণ, বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এটি। যা, বলা যায় দেশের অন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম।

বিকাশে ডিপিএস- শেষকথা

আমাদের সকলের উচিৎ প্রতিদিনের খরচ কিছু কিছু করে বাচিয়ে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা। কথায় আছে আজকের সঞ্চয় আগামি দিনের ভবিষ্যৎ। তাই, ভালোকোন নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে অল্প হলেও আমাদের সঞ্চয় করা।

প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ, আপনারা যদি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই যেনে গেছেন, "বিকাশ ডিপিএস কি? বিকাশ ডিপিএস খোলার সহজ পদ্ধতি" সহ বিকাশ ডিপিএস এর সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।
যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী। আর্টিকেলটি যদি ভালোলাগে এবং উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে এটি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url