ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা লঞ্চের সময়সূচী ও ভাড়া
আরো পড়ুনঃ রাজশাহী শহরের জনপ্রিয় আবাসিক হোটেলের নাম ভাড়া ও মোবাইল নম্বরসহ ঠিকানা
বরিশাল বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগীয় শহর। বিভিন্ন কারণে মানুষ এই বিভাগীয় শহরে যান। যেমন, ব্যবসা, শিক্ষা বিশেষ করে ভ্রমণের জন্য গিয়ে থাকেন। আর বরিশালের এই বিভাগীয় শহরে যাতায়াতের জন্য প্রায় সকল মাধ্যম রয়েছে।
তবে, বরিশালে যাতায়াতের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো নদীপথ। বিশেষ করে ভ্রমন প্রেমীদের জন্য অত্যান্ত জনপ্রিয় মাধ্যম এই নদীপথ। কিন্তু এই পথে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়ে, লঞ্চের সময়সূচী ভাড়া সম্পর্কে জানার।
তাই, অনেকে গুগলে খুঁজ করেন, লঞ্চ সম্পর্কে জানার জন্য। আর আপনিও কি এই সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন। কারণ, আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো "ঢাকা টু বরিশাল লঞ্চের সময়সূচী ও ভাড়া" সম্পর্কে। চলুন তাহলে আমরা দেখি-
আজকের পাঠ্যক্রম- ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা লঞ্চের সময়সূচী ও ভাড়া
- ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা লঞ্চের সময়সূচী ও ভাড়া
- ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা চলাচলকারি লঞ্চের নাম
- ঢাকা ও বরিশালের লঞ্চের টার্মিনাল
- গ্রীন লাইন ওয়াটারবাস ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা
- এম ভি মানামী লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
- এম ভি সুরভী-৮ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
- এম ভি পার্বত-১১/১২ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
- এম ভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
- এম ভি সুন্দরবন-১০/১১ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
- এম ভি এ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
- এম ভি কীর্তনখোলা- ২/১০ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
- ঢাকা টু বরিশাল নদী পথের দূরত্ব কত?
- শেষকথা
ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা লঞ্চের সময়সূচী ও ভাড়া
বর্তমানে ঢাকা টু বরিশালে নিয়মিতভাবে বেশ কয়েকটি লঞ্চ চলাচল করছে। আর এই সকল লঞ্চের সুযোগ সুবিধার ধরণ একেকটির একেক ধরণের। তবে, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যে সকল লঞ্চ চলাচল করে তার বেশির ভাগ রাতে চলাচল করে।
আর সবচেয়ে মজার ব্যপার হলে আপনি লঞ্চে চড়ে সারারাত ভেসে ঘুমিয়ে কিংবা নদীর দৃশ্য দেখতে দেখতে কাটিয়ে দিবেন। তাইতো লঞ্চে ভ্রমণ প্রায় সকলের প্রিয়। কারণ, এখানে বাসের মত কোন জ্যামে পড়ে বিরক্তিকর পরিস্থির মধ্যে পড়তে হবে না।
তবে, সম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ওয়াটার বাস এবং ডে লঞ্চ চালু হয়েছে। আর এক্ষেত্রে আপনি সহজে এবং স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারবেন। তাই যারা ভাসমান পেয়ারা বাগান বা কুয়াকাটাসহ বরিশালের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ বা ব্যক্তিগত কাজে যেতে চান, তারা আনন্দদায়ক লঞ্চে করে ভ্রমণ করতে পারেন।
ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা চলাচলকারি লঞ্চের নাম
বর্তমানে ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকার রাস্তায় বেশ কয়েকটি আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ বিলাশবহুল লঞ্চ চলাচল করছে। নিম্নে বর্তমানে এই রুটে চলাচলকারি লঞ্চের নাম, আপনাদের সুবিধার জন্য দেখানো হলো। চলুন দেখি লঞ্চের নামগুলো-
- গ্রীন লাইন-৩।
- এম ভি মানামী।
- এম ভি সুরভী-৮।
- এম ভি পার্বত- ১১।
- এম ভি পার্বত- ১২।
- এম ভি কুয়াকাটা-২।
- এম ভি সুন্দরবন- ১০।
- এম ভি সুন্দরবন- ১১।
- এম ভি এ্যাডভেঞ্চার-১।
- এম ভি কীর্তনখোলা- ২।
- এম ভি কীর্তনখোলা- ১০।
ঢাকা ও বরিশালের লঞ্চের টার্মিনাল
সদরঘাট নদীবন্দর গেটে আপনাকে প্রথমে ১০ টাকা মুল্যের টিকিট কেটে, টার্মিনালে গিয়ে বরিশালের টার্মিনালে গেলেই দেখতে পাবেন, আলো ঝলমলে সুবিশাল লঞ্চ ঘাটে ভিড়ানো আছে সারিবদ্ধভাবে। এবার আপনি আপনার পছন্দমত লঞ্চে করে যাত্রা করুণ।
বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য আপনাকে বরিশাল নদীবন্দর বা বরিশাল লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চে উঠে যাত্রা শুরু করতে হবে। বরিশালের লঞ্চ টারমিনালটি, বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত। এই লঞ্চ টার্মিনালটি বরিশালের বন্ধ রোডে অবস্থিত।
বরিশালের টার্মিনালের আশপাশের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেমন, নগর ভবন, সিটি মার্কেট, মহসিন মার্কেট, চক বাজার, বরিশাল জাদুঘর, জেলা পরিশোদ ইত্যাদি। এই টার্মিনালে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে ঢাকার মত ১০ টাকা টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে।
গ্রীন লাইন ওয়াটারবাস ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা
গ্রীন লাইন ওয়াটারবাস ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা চলাচলকারি দ্রুতগামী একটি লঞ্চ। যদিও সকল লঞ্চের সময়সূচী রাতে কিন্তু এটি ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে সকাল ৮.০০ টায় এবং বরিশাল থেকে যাত্রা শুরু করে দুপুর ২.৪৫ মিনিটে।
এই ওয়াটার বাসটির পৌছতে সময় লাগে দিনে ৫-৬ ঘন্টা কিন্তু রাতের বেলা চলাচল করার সময় লাগে ৮-১০ ঘন্টার মত। তাই যারা দ্রুত সময়ে যাতায়াত করতে চান, তাদের জন্য এই ওয়াটার বাসটি হতে পারে উপযুক্ত বাহন।
ওয়াটার বাসে করে যে সকল যাত্রী যাতায়াত করেন, তাদের জন্য কর্তৃপক্ষের দরফ থেকে বিনামুল্যে হালকা নাস্তার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে আপনি দুই শ্রেণীতে যাতায়াত করতে পারবেন। যেমন নিচতলা ইকোনমি ক্লাস এবং ২য় তালা বিজনেস ক্লাস সিট।
ভাড়া- ইকোনমি ক্লাস ৭০০ টাকা এবং বিজনেস ক্লাস- ১০০০ টাকা।
যোগাযোগের জন্য-
- ঢাকা কাউন্টার -০১৭৩০০৬০০৭১ বা ০১৭৩০০৬০০৭২।
- বরিশাল কাউন্টার -০১৭৩০০৬০০.৩৩বা ০১৭৩০০৬০০৭৯।
এম ভি মানামী লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
এম ভি সুরভী-৮ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
এম ভি পার্বত-১১/১২ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
এম ভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
এম ভি সুন্দরবন-১০/১১ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
এম ভি এ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
এম ভি কীর্তনখোলা- ২/১০ লঞ্চ ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা সময়সূচী ও ভাড়া
ঢাকা টু বরিশাল নদী পথের দূরত্ব কত?
ঢাকা টু বরিশাল নদী পথের দূরত্ব যদিও ১৭৮ কিলোমিটার, কিন্তু মৌসুম অনুযায়ী এই দূরত্ব অনেক কমবেশি হয়ে থাকে। যেমন, বর্ষাকালে এই দূরত্ব অনেক বেড়ে যায়। আর এই পথে লঞ্চ যোগে যাতায়াতের জন্য সময় লাগে ৮ থেকে প্রায় ১০ ঘন্টা।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ, আমরা আশাকরি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পেরেছি, ঢাকা টু বরিশাল টু ঢাকা লঞ্চের সময়সূচী ও ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
আরো পড়ুনঃ ঢাকা থেকে কোন জেলার দূরত্ব কত? | কোন জেলার বিখ্যাত খাবার কি?
বিশেষ করে যারা নদীপথে যাতায়াত করতে চান। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে এবং উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে এটি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবে না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন, ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url