গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? | কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয় করা যায়?
আরো পড়ুনঃ মার্কেটপ্লেস কি? | জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে বিভিন্ন, দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর দক্ষতার ব্যপক পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। আপনার যদি ফ্রাফিক্স ডিজাইনের ভালো দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি ঘরে বসে প্রতিমাসে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কথাটি যদিও গ্রাফিক ডিজাইন, কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে এটি পরিচিত হয়ে গেছে গ্রাফিক্স ডিজাইন নামে। আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন, যারা অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য গুগলে বিভিন্নভাবে জানতে চান, গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে।
যেমন, গ্রাফিক্স ডিজাইন কী? কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে অনলাইনে আয় করা যায়? গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ কি? ইত্যাদি। আর আজকের আরটিকেলে আমরা আপনাদের এই সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিব। চলুন তাহলে আমরা দেখে নেই উত্তরগুলো-
আজকের পাঠ্যক্রম- গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয় করা যায়?
- গ্রাফিলস ডিজাইন কি?
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ কি?
- কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয় করা যায়?
- ফাইবার থেকে আয়
- টি শার্ট ডিজাইনের মাধ্যমে আয়
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কন্টেন্ট করে আয়
- ইউটিউব থেকে আয়
- ড্রিবল ও বিহেন্স থেকে আয়
- ওয়েবসাইট থেকে আয়
- অন্যকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখিয়ে আয়
- এনভাটো অথোর থেকে আয়
- গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়- শেষকথা
গ্রাফিলস ডিজাইন কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো এমন একটি আর্ট বা কলা, যেখানে মনের মাধ্যে থাকা ধারণাকে বিভিন্ন উপকরনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা। আমরা বিভিন্ন কোম্পানির যে সকল বিজ্ঞাপন এবং লোগো দেখি, সেইগুলোই হলো গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা।
আর আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে আয় করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই, আপনার কাজের মান নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে এমন একজনকে মেন্টর হিসাবে রাখতে হবে, যে গ্রাফিক্স ডিজাইন ভালো বোঝেন।
তাছাড়া অনলাইনে ঘরে বসে গ্রাইক্স ডিজাইন করে আয় করতে চাইলে, আপনার একটি কম্পিউটার প্রয়োজন পড়বে। নিম্নে আমরা দেখবো গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের তালিকা এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের তালিকা অনেক বড়। যা, কাজ করতে গিয়ে পর্যায়ক্রমে চলে আসে। তবে, বর্তমানে সচারাচর যে সকল গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ হয়ে থাকে, তার মধ্যে জনপ্রিয় কাজের তালিকা নিম্নে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
** ডিজিটাল/ ওয়েব ডিজাইন- পোস্টার, ফ্লায়ার, ব্রাউচার, ম্যাগাজিন, বিজনেস কার্ড, নিউজ পেপার ইত্যদি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় প্রিন্টিং সামগ্রী ডিজাইন করতে পারেন।
** সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন- দর্শকদের আকৃষ্ট করতে, বার্তা বা ব্যান্ড প্রচার করার জন্য, বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্লাটফর্ম তৈরির গ্রাফিক্স ও ভিজুয়াল ডিজাইন।
** ফটোগ্রাফি সম্পাদন ও ম্যানিপুলেশন- সম্পাদকীয়, বিজ্ঞাপন ও বিক্তিগত বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্দেশ্যে, ফটোগ্রাফ সম্পাদন এবং উন্নত করতে গ্রাফিক্স ডিজাইন।
** ইউজার ইন্টারফেস অ্যানিমেশন- ডিজিটাল ইন্টারফেসের জন্য ব্যবহারকারি অভিজ্ঞতা বাড়াতে, মাইক্রো ইন্টার্যাকশন, ট্রানজিশন ও প্রতিক্রিয়া অ্যানিমেশন ডিজাইন।
** এনভারমেন্ট ডিজাইন- রিটেইল স্টোর, পাবলিক এলাকা এবং মিউজিয়াম সমুহের মতো এলাকাগুলোর জন্য, ওয়াফাইন্ডিং সিস্টেম, ডিজিটাল সাইন এবং পরিবেশগত গ্রাফিক্স ডিজাইন।
** শিল্প নির্দেশনা- সৃজনশীল দিক নির্দেশনা, বিভিন্ন প্রকল্প এলাকাজুড়ে চাক্ষুষ দিক তত্ত্বাবধান, গুণমান এবং ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করণ ডিজাইন।
** 3D ডিজাইন- পণ্য ডিজাইন, গেমিং, আর্কিটেকচারাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন এবং অন্যান্য ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন, মড়েল ডিজাইন করণ।
** মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন- চলচিত্র, ভিডিও, উপাস্থাপনা ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরির জন্য অ্যানিমেটেড, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট এবং শিরোনাম সিকোয়েন্স ডিজাইন।
** ফিল্যান্স ডিজাইন- স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে, অনেক শিল্প ও কুলুঙ্গিতে পরিসেবা প্রদান করে ক্লাইন্টদের।
** ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন- ড্যাশবোর্ড, প্রতিবেদন, ইনফোগ্রাফিক্স, ও উপস্থাপন করার জন্য তথ্য ও ডেটা দৃশ্যত আকর্ষক উপস্থাপনা ডিজাইন।
** UI/UX ডিজাইন- মোবাইল অ্যাপস, ওয়েবসাইট অ্যাপ্লিকেশন ও মিডিয়ার ইন্টারেক্টিভ ব্যবহারকারির ইন্টারফেস ডিজাইন।
** ব্রান্ড আইডেন্টিটি- ব্রান্ড ডিজাইন, কালার স্কিম, টাইপোগ্রাফিসহ বিভিন্ন কোম্পানির ব্রান্ডিং ডিজাইন।
** আইকোন ডিজাইন- ডিজিটাল সাইনেজ, ইন্টারফেস এবং ব্রান্ডিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহারের জন্য আইকোন ও চিত্রগ্রাম ডিজাইন।
**গেম ডিজাইন- গেমিং অ্যাপ্লিকেশন এবং ভিডিও গেমের জন্য ভার্চুয়াল সম্পদ, প্রচারমূলক উপকরণ ও ইন্টারসেফ উপাদান ডিজাইন।
** ওয়েবসাইট ডিজাইন- পিএসডি, ইমেইল নিউজলেটার, ওয়েবসাইট ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য ছবি ডিজাইন।
** ইন্টারেক্টিভ- ইন্সটলেশন, কিয়স্ক, প্রদর্শনী এবং মিডিয়ায় উপাস্থাপনা করার জন্য ইন্টারেক্টিভ ডিজাইন।
** টাইপোগ্রাফি- খাদ্য, পানীয় থেকে প্রসাধনী এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্যাকেজিং করার জন্য ডিজাইন।
** টেকনোলোজি- বিভিন্ন কাস্টমার ফন্ট যেমন, অ্যাপ্লিকেশন, লেটারিং এবং টাইপোগ্রাফিক লেআউট ডিজাইন।
** বই ডিজাইন- প্রিন্ট এবং ডিজিটাল প্রকাশনা করার জন্য লেআউট, বইয়ের কভার এবং টাইপ সেটিং ডিজাইন।
** দৃষ্টান্ত- বিজ্ঞাপন, সম্পাদকীয় কিংবা ব্যক্তিগত প্রকল্পের করার জন্য আর্টওয়ার্ক তৈরি করে, ছবির সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইন।
কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয় করা যায়?
অন্য যে কোন দক্ষতার মতো গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে আয় করা যায় ফ্রিল্যান্সিং করে। আর এই জন্য আপনাকে একাউন্ট করতে হবে, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, পিপল পার আওয়ার, গুরু ইত্যাদি বিভিন্ন প্লাটফর্মগুলোতে।
আপনার কাজের দক্ষতা অনুজায়ী বিড করে, এই সকল প্লাটফর্মগুলো থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায়। আর কোন প্রোজেক্ট বা কাজ পাওয়ার জন্য আপনার আবশ্যক একটি পোর্টফোলিও। এছাড়াও আপনার পূর্বের কাজ করার তথ্য তুলে ধরতে পারেন।
আর এইগুলো আপনার কাজ বা প্রোজেক্ট পাওয়ার জন্য বায়ারকে সহজে আকৃষ্ট করবে। আপনি পোর্ট ফোলিও ভালোভাবে তৈরির জন্য, সাহায্য নিতে পারেন, বিহান্স বা ড্রিবল সাইট ব্যবহার করে। নিম্নের আলোচনা থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানি-
ফাইবার থেকে আয়
ফাইভারের মত প্লাটফর্মে সার্ভিস সেল করা করা যায়, যেখানে বিভিন্ন ধরণের গ্রাফিক্স ডিজাইন সেল করা যায়। এছাড়া নির্দিষ্ট কিছু গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস কন্দ্র রয়েছে, সেখানে সার্ভিস প্যাকেজ বা গিগ তৈরি করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো? | ফ্রিল্যান্সিংয়ে বর্তমানে জনপ্রিয় কাজ
আপনি যদি দক্ষ একজিন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার একাধিক গ্রাফক্স ডিজাইন সার্ভিস প্রদানে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আপনি নিম্নের সেবা ভিত্তিক গিগগুলো তৈরি করতে পারেন। যেমন,
- ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের লোগো তৈরি।
- ব্যানার তৈরি।
- ফ্লায়ার তৈরি।
- বিজনেজ কার্ড তৈরি।
- বিজ্ঞাপন তৈরি।
টি শার্ট ডিজাইনের মাধ্যমে আয়
- থ্রেডলেস।
- স্পেডশার্ট।
- প্রিন্টফুলেজ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url