বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ
আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৪
ছোট থেকে বড়, বাংলাদেশের প্রায় মানুষের কাছে একটি পরিচিত নাম বেলজিয়াম। তাছাড়া বেলজিয়াম পাড়ি জমানো প্রায় সকল মানুষের এক স্বপ্ন। কারণ, বেলজিয়াম শহর বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি সুন্দর শহর। যা সহজেই যে কাউকে আকৃষ্ট করে।
বেলজিয়ামের মানুষ অত্যান্ত শৃঙ্খল এবং তারা হয়ে থাকে একেবারেই সহজ সরল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বেলজিয়াম সরকার, তাদের দেশে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাই আপনি চাইলে, বেলজিয়াম যেতে পারবেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়।
কিন্তু, বেলজিয়াম বা যে কোন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার আগে, সেই দেশ সম্পর্কে যানা অনেক জরুরী। যেমন, সেই দেশে ভিসা খরচ কত, যেতে কত টাকা লাগে, কাজের বেতন কত, ভিসা আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
তাছাড়া আপনি যে দেশে যেতে চান, সে দেশের পরিবেশ এবং মানুষ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো "বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ'' সহ সকল তথ্য সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
- বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ
- বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে?
- বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- বেলজিয়াম ভিসার দাম কত টাকা?
- বেলজিয়াম কাজের বেতন কত টাকা?
- কোন কাজের বেতন বেলজিয়াম বেশি?
- বেলজিয়াম ভিসা আবেদনে কি ডকুমেন্ট লাগে?
- বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার উপায়
- বেলজিয়াম ভিসা আবেদনে সতর্কতা- শেষকথা
বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বেলজিয়াম যেতে চান, তবে আপনি ইন্ডিয়ার দিল্লি থেকে খুব সহজে যেতে পারবেন। আর আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যাওয়ার ভিসার আবেদন করতে চান, তাহলে আপনার খরচ হবে ৮ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা।
তবে, এই খরচটা কিন্তু সব কিছু মিলিয়ে ধরা হয়েছে। আর আপনি যদি শুধুমাত্র ভিসা খরচের কথ বলেন, সেক্ষেত্রে আপনার ভিসা খরচ পড়বে ৮০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা। কারণ ভিসার খরচ খুব বেশি নয়, কিন্তু অন্যান্য খরচ বেশি হয়ে থাকে।
বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে?
সবচেয়ে বড় খবর হলো যে, বেলজিয়াম এশিয়া মহাদেশ থেকে ৩ হাজার শ্রমিক নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। আর বিশ্বের অন্য মহাদেশ থেক নেবে ১২ হাজার শ্রমিক। সে কারণে আপনি যদি বেলজিয়াম যেতে চান, তাহলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
তবে, বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম সরাসরি যাওয়া যায় না, কারণ বেলজিয়ামের কোন এম্বাসি বাংলাদেশে নেই। তাই আপনি যদি বেলজিয়াম ভিসা আবেদন করতে চান, তবে আপনাকে যেতে হবে ভারতের দিল্লিতে। এর জন্য আপনাকে শরণাপন্ন হতে হবে ভালো দালালের।
আপনি যদি ভিসা আবেদন করে থাকেন, তাহলে তাঁরা আপনাকে দিল্লি থেকে বেলজিয়াম পাঠাতে পারবে। তবে, বাংলাদেশে অনেক এম্বাসি রয়েছে, যাদের সঙ্গে অন্য দেশের এম্বাসির ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আর যদি, আপনি তাদের মাধ্যমে আবেদন করেন তবে, ৮/৯ লক্ষ টাকা খরচে বেলজিয়াম যেতে পারবেন।
বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আপনি যদি বেলজিয়াম যেতে ইচ্ছুক হন, তাহলে কোন কাল ক্ষেপণ না করে এখনই আবেদন করুন। বেলজিয়াম সরকার বর্তমানে নির্মাণ শ্রমিক, ড্রাইভিং, হোটেল- রেস্টুরেন্ট কৃষিকাজ এবং ফ্যাক্টরীর কাজের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
তাই, আপনি যদি বেলজিয়াম কাজের ভিসায় যেতে চান, তবে ভালো এবং নির্ভরযোগ্য কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করুন। কিন্তু বাংলাদেশে বেলজিয়ামের এম্বাসি না থাকার কারণে, ভারতের দিল্লি থাকা এম্বাসির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশের অনেক স্থানে এজেন্সি রয়েছে, যারা ভারতের এম্বাসির মাধ্যমে বেলজিয়ামের কাজের ভিসা প্রদান করে। আর এই জন্য আপনার হয়তো খরচ কিছুটা বেশি হবে, তাতে কোন সমস্যা নেই, কারণ বেলজিয়ামে কাজের বেতন অনেকটাই বেশি।
তাই খরচের বিষয় যদিও কিছু বেশি, সেই কথা মাথায় নারেখে দ্রুত উচ্চ বেতনের জন্য আবেদন করুন। বেলজিয়ামে কাজের বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তবে, আপনাকে অধিক বেতন পাওয়ার জন্য সংগ্রহ করতে হবে, ড্রাইভিং, ফ্যাক্টরি বা রেস্টুরেন্টের ভিসা।
বেলজিয়াম ভিসার দাম কত টাকা?
বেলজিয়াম ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার খরচ হবে $৮৫০ ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ লক্ষ ২/৩ হাজার টাকা। ভিসার দাম কিন্তু খুব একটা বেশি নয়। তবে, যেহেতু এজেন্সি বা দালালের মাধ্যেম যেতে হয়, তাই খরচের পরিমাণ কিছুটা বেশি লাগবে।
দালাল বা এম্বাসিরা কিছুটা সুযোগ নিচ্ছে। এটা আমাদের মানতেই হবে, কারণ বাংলাদেশে বেলজিয়ামের কোন এম্বাসি নেই, তাই আমাদের ভারতের দিল্লিতে থাকা এম্বাসির মাধ্যমে আবেদন করতে একটু খরচ বেশি লাগছে।
বেলজিয়াম কাজের বেতন কত টাকা?
বেলজিয়াম বা যে কোন দেশেরই কাজের বেতন নির্ভর করে, আপনার কাজের ক্যাটাগরির উপর। তবে, আপনি যদি বেলজিয়াম শ্রমিক ভইসায় যান, সেক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে প্রায় ৭০/৮০ হাজার টাকা। রেস্টুরেন্টে কাজের জন্য, আপনার বেতন হবে প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
আরো পড়ুনঃ ইরাকে কাজের ভিসা ২০২৪ । ইরাকে কোন কাজের বেতন কত টাকা
আর আপনি যদি, ড্রাইভিং এবং ফ্যাক্টরী কাজের ভিসায় বেলজিয়াম যান, তবে আপনার বেতন হবে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা থেক প্রায় ২ লক্ষ টাকা। এক কথায় সেখানে অনেক সুযোগ- সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া সেখানে ৬ মাস পর পর বেতন বৃদ্ধি করা হয়।
কোন কাজের বেতন বেলজিয়াম বেশি?
বর্তমান সময়ে বেলজিয়াম সবচেয়ে বেশি রেস্টুরেন্ট, ফ্যাক্টরি বা নির্মাণ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া বেলজিয়াম এ সকল ধরণের কাজের বেতন সন্তোষ জনক। আর আপনার যদি ড্রাইভিং জানা থাকে এবং ড্রাইভিং ভিসায় বেলজিয়াম যেতে পারেন, তবে আপনার বেতন হবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কেননা বেলজিয়ামে ড্রাইভিং কাজের চাহিদা অনেক বেশি।
বেলজিয়াম ভিসা আবেদনে কি ডকুমেন্ট লাগে?
বেলজিয়াম ভিসা আবেদনের সময়, আবেদন ফরমে তথ্য সমূহ যাচাইয়ের জন্য, বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়। ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী এই কাগজ পরিবর্তন হতে পারে। তবে, সচারাচর যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
- ব্যাংক স্টেট্মেন্ট।
- IELTS সার্টিফিকেট।
- করোনা টিকার সনদ পত্র।
- পুলিশের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- বৈধ পাসপোর্ট তবে, কমপক্ষে মেয়াদ ৬ মাস থাকতে হবে।
- শারীরিক ফিটনেসের সনদ এবং কানাডা ভিসার আবেদন ফরম।
- আবেদনকারি বিবাহিত হলে, বিয়ের প্রয়োজনীয় প্রমাণের কাগজ পত্র।
বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার উপায়
বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার উপায় হলো ইন্ডিয়া থেকে আবেদন করা। আপনি যদি দিল্লি থেকে বেলজিয়াম ভিসা আবেদন করে, তবে ৩ মাসে ভিসা পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশে বেলজিয়ামের এম্বাসি না থাকায় আপনাকে সরকারি বা বেসরকারি উপায়ে ইন্ডিয়া থেকে আবেদন করতে হবে।
ইন্ডিয়ার দিল্লিতে বেলজিয়ামের এম্বাসি রয়েছে। তাছাড়া ইন্ডিয়া থেকে বেলজিয়াম সরকার প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক নিয়োগ করেন। তাই, আপনি যদি বেলজিয়াম যাওয়ার জন্য ইচ্ছুক হন, তাহলে ইন্ডিয়ার এম্বাসির মাধ্যমে খুব সহজে বেলজিয়াম যেতে পারবেন।
যদিও খরচের পরিমাণ কিছুটা বেশি হবে, তবুও সেখানে বেতন অনেক বেশি হওয়ায়, দ্রুত ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভাব। সুতরাং, আপনি যদি বেলজিয়াম যেতে চান, তাহলে ইন্ডিয়ার এম্বাসির মাধ্যমে আবেদন করেলে, আশাকরি ৩ মাসের মধ্যে আপনার ভিসা পেয়ে যাবেন।
বেলজিয়াম ভিসা আবেদনে সতর্কতা- শেষকথা
যেহেতু বাংলাদেশে বেলজিয়ামের কোন এম্বাসি নেই, তাই আপনাকে দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে ইন্ডিয়া থেকে ভিসা আবেদন করতে হবে। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে চোখ- কান খোলা রেখে আবেদন করতে হবে।
পাঠক পাঠিকাগণ আমরা আশাকরি, আপনারা যদি এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই জেনে গেছেন "বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ'' সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যা আমরা আর্টিকেলে ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি।
আরো পড়ুনঃ অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ ২০২৪ । অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
আশাকরি, আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আর যদি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালোলাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তবে এটি অবশ্যই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url