কোন কোন দেশে সরকারি উপায়ে যাওয়া যায়
আরো পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত?
বর্তমানে প্রচুর বাংলাদেশি বেকার আছেন, যারা জীবিকা অর্জনের জন্য বিদেশ পাড়ি জমাতে ইচ্ছুক। কিন্তু, অনেকে বিভিন্ন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না। কারণ, একেতো খরচের পরিমাণ বেশি, আবার প্রতারণার ভয়।
তাই, প্রায় সকলেই চান সরকারিভাবে বিদেশ যেতে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কিভাবে সরকারি উপায়ে বিদেশ যাওয়া যায় এবং কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, তার সঠিক তথ্য অনেকেই জানেন না। সে কারণে অনেকে, গুগলে এই বিষয়ে জানার জন্য খোজ করেন।
তাছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি রেমিটেন্স। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ বিদেশ জাচ্ছেন। আবার অনেকে বিদেশ যাওয়ার সঠিক প্রক্রিয়া জানা না থাকার কারণে, প্রতারণার শিকার হচ্ছেন এজেন্সি বা দালালদের দ্বারা।
কাজের জন্য বিদেশ গমনের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো, গমনের পূর্বেই আপনাকে ভালোকরে সেই দেশ সম্পর্কে জেনে নেওয়া। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো "কোন কোন দেশে সরকারি উপায়ে যাওয়া যায়" সম্পর্কে সকল তথ্য। চলুন দেখে নেই-
আজকের পাঠ্যক্রম- কোন কোন দেশে সরকারি উপায়ে যাওয়া যায়
- কোন কোন দেশে সরকারি উপায়ে যাওয়া যায়
- সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা লাগে?
- সরকারিভাবে কিভাবে বিদেশ যাওয়া যায়?
- সরকারিভাবে শিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়ার উপায়
- সরকারিভাবে চাকরির জন্য বিদেশ যাওয়ার উপায়
- সরকারিভাবে শ্রমিক হিসাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
- বিনা খরচে কিভাবে বিদেশ যাওয়া যায়?
- কোন কোন দেশে কম খরচে যাওয়া যায়?
- বিদেশ যাওয়ার আগে সতর্কতা কি কি?
- সরকারি উপায়ে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ
- দালাল ছাড়া কিভাবে বিদেশ যাওয়া জায়?
- বিদেশ যাওয়ার জন্য কত বছর বয়স লাগে?
- সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়- শেষকথা
কোন কোন দেশে সরকারি উপায়ে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে সরকারিভাবে বিভিন্ন কাজের ভিসায় যাওয়া যায়, সৌদিআরব, কুয়েত, কাতার, ওমান, মালোশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুরসহ ১৭০টি অধিক দেশে। তাছাড়া, এর সঠিক তথ্য আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন Ami Probashi এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
তবে, বর্তমানে খুব সহজে সরকারিভাবে কাজের জন্য যে সকল দেশে যাওয়া যায়, তা আপনাদের সুবিধার জন্য, কয়েকটি জনপ্রিয় দেশের নাম উল্লেখ করা হলো। চলুন তাহলে আমরা দেখে নেই, দেশগুলো নামের তালিকা সম্পর্কে-
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা লাগে?
সরকারিভাবে কিভাবে বিদেশ যাওয়া যায়?
আপনি যদি সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি একাউন্ট খুলতা হবে Ami Probashi ওয়েবসাইটে। এরপর আপনাকে আপনার পছন্দের দেশে চাকুরীর আবেদন করার জন্য, পাসপোর্ট, এনএইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দেতে হবে।
আপনি চাইলে Ami Probashi এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বেতন এবং চাকুরীর ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আবেদন করার পর সেখানকার ম্যানেজমেন্ট আপনাকে যদি নির্বাচন করে, তাহলে তারা আপনাকে নির্ধারিত স্থানে গিয়ে ইন্টারভিউ দিয়ে, উত্তীর্ণ হলে আপনি যেতে পারবেন।
মুলত বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, চাকুরীপ্রার্থী এবং কর্মীদের জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। তাই, আপনি যদি তৃতীয় কোন ব্যক্তি ছাড়াই বিদেশে যেতে চান, তবে Ami Probashi ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তবে, সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার মূলত নিম্নের ৩টি উপায় রয়েছে।
- শ্রমিক হিসাবে।
- চাকুরি প্রার্থী হিসাবে।
- বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হিসাবে।
সরকারিভাবে শিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে চাকরির জন্য বিদেশ যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে শ্রমিক হিসাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
বিনা খরচে কিভাবে বিদেশ যাওয়া যায়?
- শিক্ষাবৃত্তি।
- স্পনসরশিপ।
- কাজের সুযোগ।
- গবেষণা অনুদান।
- এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম।
- প্রশিক্ষণের প্রগ্রাম।
- ভলান্টিয়ার প্রোগ্রাম।
- প্রতিযোগিতা পুরুস্কার।
- কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ।
- গ্লোবাল ফান্ডিং প্ল্যাটযোগিতা।
কোন কোন দেশে কম খরচে যাওয়া যায়?
বিদেশ যাওয়ার আগে সতর্কতা কি কি?
- BMET স্মার্ট কার্ড গ্রহন করতে হিবে।
- সকল ধরণের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
- ২টি ব্যাংক হিসাব খুলুন, বিদেশ যাওয়ার আগে।
- নিরাপদে এবং বৈধ উপায়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন।
- আঙ্গুলের ছাপ সংশ্লিষ্ট ডেমো অফিসে জমা দন।
- সংশ্লিষ্ট ডমোতে নিবিন্ধন করুন ডাটাবেসের নাম।
- বিদেশ যাওয়ার আগেই সকল নথি ২/৩ কপি করুন।
- চুক্তিপত্রটি ভালো করে পড়ুন এবং বুঝে স্বাক্ষর করুন।
- অবশ্যই সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যান।
- অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
- বিদেশ যাওয়ার আগে অংশ গ্রহন করুন ৩ দিনের প্রি ডিপাচার ট্রেনিং এ।
- বিদেশ যাওয়ার আগেই আপনি ভালো করে আপনার লাভ ক্ষতি হিসাব করুন।
- আপনি যে দেশে যাচ্ছেন, সেই দেশের ভাসা এবং দক্ষতা অর্জন করুন আপনার কাজের।
- সবসময় নিজের পাসপোর্ট কাছে রাখুন এবং ভিসা হাতে পাওয়ার পর, তা জাচাকরে যাচাই করুন।
সরকারি উপায়ে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ
দালাল ছাড়া কিভাবে বিদেশ যাওয়া জায়?
বিদেশ যাওয়ার জন্য কত বছর বয়স লাগে?
কারণ, টুরিস্ট বা ভ্রমন ভিসা সাধারণত আপনাকে দেওয়া হয় ৯০ দিনের জন্য এবং আপনি এই ভিসার মাধ্যমে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি দেশে ভ্রমন করতে পারবেন। আর এই সকল কারণে, টুরিস্ট ভিসায় সাধারণত বয়সসীমা থাকে না। তবে, অন্য ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের বাধাধারা নিয়ম থাকে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়- শেষকথা
যদি আপনি ব্যক্তিগতভাবে বা কোন দালালের মাধ্যমে বিদেশ যেতে চান, তাহলে আপনাকে তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সরকার অনুমোদিত Ami Probashi ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজে আবেদনের মাধ্যমে বিদেশ যেতে পারবেন
প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ, আমরা আশাকরি, আপনারা যদি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ে থাকেন, তাহলে "কোন কোন দেশে সরকারি উপায়ে যাওয়া যায়"সহ অনেক তথ্য জনে গেছেন। যা আমরা আর্টিকেলে পূর্বেই আলোচনা করেছি।
আরো পড়ুনঃ লন্ডনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আর যদি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগে এবং উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে এটি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url