কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত?
আরো পড়ুনঃ জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
কানাডা উত্তর আমেরিকার উত্তরে অবস্থিত একটি উন্নত দেশ। আর উন্নত দেশ হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেক বিভিন্ন কাজে অনেকে কানাডায় যান। বিশেষ করে, কৃষি কাজের জন্য বেশিরভাগ মানুষ কানাডায় যেতে চান।
তাছাড়া, বাংলাদেশিদের কৃষি কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে কানাড়ায়। কিন্তু অধিকাংশ ভিসা প্রত্যাশীরা জানেন না, কিভাবে কানাডায় কৃষি কাজের ভিসা পাওয়া যায়। আর এই সকল কারণে, কৃষি কাজের ভিসার আবেদন করতে গিয়ে পড়তে হয় অনেক ভোগান্তিতে।
আর আপনিও যদি, কৃষি ভিসার মাধ্যমে কানাডায় যেতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক জরুরি। কারণ, আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো কানাডা কৃষি কাজের ভিসার সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে। চলুন তাহলে দেখি-
আজকের পাঠ্যক্রম- কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত বিস্তারিতভাবে তথ্য জানুন
- কানাডায় কৃষি কাজের ভিসা
- কানাডা কৃষি ভিসা পেতে কি প্রয়োজন?
- কানাডায় কৃষি কাজের ভিসা আবেদনের নিয়ম কি?
- কানাডা কি কি ভিসা দিয়ে থাকে?
- কানাডায় ভিসার দাম কত টাকা?
- কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত?
- কৃষি কাজের বেতন কানাডায় কত টাকা?
- কানাডা কোম্পানি জব ভিসার দাম কত টাকা?
- কানাডা শ্রমিক ভিসার দাম কত টাকা?
- কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কত টাকা লাগে?
- কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য কত বয়স লাগে?
- কানাডা ভিসা খরচ- শেষকথা
কানাডায় কৃষি কাজের ভিসা
আপনারা অনেকেই আছেন, যারা কৃষি ভিসার মাধ্যমে কানাডা যেতে আগ্রহী, তাদের অবশ্যই যেনে রাখা প্রয়োজন, কিভাবে কানাডায় কৃষি কাজের ভিসা পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে। বাংলাদেশ থেকে কৃষি কাজের জন্য কানাডায় যাওয়ার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে।
আর কানাডায় কৃষি কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় মূলত দুইটি। একটি হচ্ছে সরকারি উপায়ে এবং আরেকটি বেসরকারি বা এজেন্সির মাধ্যমে। তাই, ভিসা পাওয়ার জন্য আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী একটি মাধ্যম বেচে নিয়ে আবেদন করতে পারেন।
কানাডা কৃষি ভিসা পেতে কি প্রয়োজন?
শুধু কানাডায় নয়, বিশ্বের সকল দেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে সেই দেশের নিয়ম অনুযায়ী বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র বা ডকুমেন্ট জমা দেওয়া লাগে। আর সে ক্ষেত্রে কানাডায় কৃষি কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য নিম্নের ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
- আবেদন ফরম।
- কাজের চুক্তিপত্র।
- এমএলআইএ নম্বার।
- চাকরীর অফার লেটার।
- মেডিকেল ফিটনেস লেটার।
- বৈধ পাসপোর্ট ১ বছর মেয়াদী।
- পুলিশের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
কানাডায় কৃষি কাজের ভিসা আবেদনের নিয়ম কি?
কানাডায় কৃষি কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে নিম্নের নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক-
** প্রথমে আপনাকে www.jobbank.gc.ca এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অথবা আপনার কেউ পরিচিত যদি কানাডায় বসবাস করে থাকে, তাদের সহযোগিতায় আবেদন করতে হবে।
** কানাডায় কৃষি কাজের ভিসার আবেদন করার জন্য, কানাডার যে কোন ভিসা এজেন্সি বা দালালের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করত হবে।
** কানাডা ভিসা এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের পর, আপনাকে কানাডার কৃষি ভিসার আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
** আপনাকে চাকুরি পাওয়ার পর, সেখানকার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
** ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার পর, সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এজেন্সিকে প্রদান করতে হবে।
** ভিসার জন্য সকল ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার পর, ভিসা আবেদন ফি জমা প্রদান করতে হবে।
আপনার ভিসা আবেদন ফি জমা দেওয়া হয়ে গেলে, আপনার কৃষি ভিসা আবেদনের সকল প্রকার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এবার কর্তৃপক্ষ আপনার সকল কিছু সঠিক থাকলে আপনার কানাডায় কৃষি আপনি পেয়ে যাবেন বলে আমরা আশাবাদী।
কানাডা কি কি ভিসা দিয়ে থাকে?
বর্তমান সময়ে কানাডা বেশ কয়েক প্রকারের ভিসা প্রদান করে থাকেন। আর আপনি চাইলে, এই সকল ভিসার মধ্যে যে কোন ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে পারেন। নিম্নে কানাডার বিভিন্ন প্রকারের ভিসার নাম উল্লেখ করা হলো-
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
- মেকানিক্যাল ভিসা।
- ব্যবসায়িক ভিসা।
- চিকিৎসা ভিসা।
- স্টুডেন্ট ভিসা।
- ড্রাইভিং ভিসা।
- শ্রমিক ভিসা।
- লেবার ভিসা।
- কৃষি ভিসা।
- জব ভিসা।
- ফ্রি ভিসা।
কানাডায় ভিসার দাম কত টাকা?
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত?
বর্তমানে কানাডায় চালু রয়েছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। আর আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনি চাইলে বিশ্বস্ত কোন কানাডা ভিসা এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
তবে, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম পূর্বের তুলনাই বর্তমানে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে চান, তাহলে বর্তমানে সব মিলিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লখ টাকা পর্যন্ত লাগবে।
কৃষি কাজের বেতন কানাডায় কত টাকা?
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বর্তমানে কৃষি কাজের জন্য কানাডায় যেতে আগ্রহী। আর এই কারণে, তারা গুগলে সার্চ করে জানতে চান, কানাডায় বর্তমানে কৃষি কাজের বেতন কত টাকা। উত্তর হলো কানাডায় কৃষি কাজের বেতন নিরধারিত হয়ে থাকে দক্ষতার উপর।
মোট কথা, আপনার যদি কৃষি কাজের উপর ভালো দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনার অদক্ষ শ্রকিকের চেয়ে তুলনা মূলকভাবে বেতন কিছুটা বখতাহবে। যাই হোক, কানাডায় কৃষি কাজের বেতন সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশী দক্ষ কৃষি শ্রমিকদের কানাডার বিভিন্ন কোম্পানী, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা বেতন প্রদান করে। আর কম দক্ষতা সম্পূর্ণ কৃষি শ্রকিকদের তারা বাংলাদেশি টাকায় কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
কানাডা কোম্পানি জব ভিসার দাম কত টাকা?
প্রতি বছর কানাডা তাদের বিভিন্ন কোম্পানির জন্য বাংলাদেশ শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আর যদি সরকারিভাবে কানাডায় ভিসার আবেদন করতে পারেন এবং সরকারিভাবে কানাডা ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন, তবে আপনার খরচ অনেক কম হবে।
তবে, বেসরকারিভাবে এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে কানাডা কোম্পানির জব ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার খরচ অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে। বর্তমানে কানাডা জব এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে পাওয়ার জন্য আপনার খরচ হবে, কমপক্ষে ৬ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
কানাডা শ্রমিক ভিসার দাম কত টাকা?
আপনি যদি, শ্রমিক ভিসার মাধ্যমে কানাডায় যেতে পারেন, তাহলে সেখানে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। তাছাড়া, কানাডায় শ্রমিকের অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছর কানাডা সরকারিভাবে অনেক শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আর সরকারিভাবে যেতে পারলে খরচ অনেক কম হবে।
বেসরকারিভাবে এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে কানাডা শ্রমিক ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার খরচ অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে। বর্তমানে কানাডা জব ভিসা এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে পাওয়ার জন্য আপনার খরচ হবে কমপক্ষে ৪ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কত টাকা লাগে?
অনেকে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকেন। এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে কানাডা যেতে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে খরচ হয়ে থাকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা এবং স্কালারশিপ এর মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা গেলে অনেক খরচ কম হয়।
কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য কত বয়স লাগে?
কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য, ভিসা অনুযায়ী বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ আপনার ভিসা ধরণ অনুযায়ী বয়স যদি কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনি কানাডা ভিসা আবেদনের করার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
আপনি যদি কাজ বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে চান, তাহলে আপনার বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর। আর আপনি যদি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাহলে আপনার বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর এবং সর্বচ্চ ৩০ বছর।
কানাডা ভিসা খরচ- শেষকথা
কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই সবসময় চেস্টা করবেন সরকারিভাবে। আর, যদি আপনাকে বেসরকারিভাবে ভিসা সংগ্রহ করতে হয়, তবে চোখ কান খোলা রেখে, পরিচিত এবং বিশ্বস্ত কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে করবেন। কারণ, বর্তমানে দালালের মাধ্যমে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন।
প্রিয় পাঠক পাঠিকাগন, আমরা আশাকরি, আপনারা যদি আর্টিকেলটি শুরু করে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় যেনে গেছেন "কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত" সহ কানাডা ভিসা সম্পর্কে অনেক তথ্য।
আরো পড়ুনঃ বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ
আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আর আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে এবং উপকারি হলে মনে হয়, তবে এটি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url