শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় । শীতে রূপ চর্চায় কমলার খোসা

আরো পড়ুনঃ ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে কাঁচা হলুদের ঘরোয়া ফেস প্যাক

শীতের শুরুতেই আগমন ঘটে কমলালেবুর। শীতে বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিইয়া, রূপসা থেকে পাথরিয়া, গ্রাম থেকে শহর সবখানে মিলবে কমলালেবু। শীতের মৌসুমজুড়ে ধুম পড়ে যায় কমলালেবু খাওয়ার। কারণ কমলালেবু দেখতে যেমন সুন্দর এর স্বাদ ও স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক।

যারা ডায়াট করছেন তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখা চাই লেবু। কমলালেবু যে, কেবল স্বাস্থ্য উপকারিতায়, তা ভাবলে অনেক ভূল হবে। কারণ কমলালেবু এবং এর খোসা ত্বকের যত্নে খুবই উপকারি। এক কাথায় বলাচলে ত্বকের যত্নে কমলালেবুর জুড়ি মেলাভার। 

কিন্তু কমলালেবুর খোসা সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা ঠিক নয়। এটি কিছু নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবহার করা উচিত। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো শীতে ত্বকের যত্নে কমলালেবুর খোসার উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। চলুন তাহলে আমরা দেখে নেই- 

আজকের পাঠ্যক্রম- শীতে ত্বকের যত্নে কমলা লেবুর খোসার উপকারিতা বিস্তারিতভাবে জানুন

  • কমলালেবুর খোসার পুষ্টি উপাদান
  • শীতে ত্বকের যত্নে কমলা লেবুর খোসার উপকারিতা
  • শীতে রূপ চর্চায় কমলার খোসা
  • শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
  • ব্রুণ দূর করতে কমলার খোসার ব্যবহার
  • ব্রুণ দূর করতে কমলার খোসার ব্যবহার- শেষকথা

কমলালেবুর খোসার পুষ্টি উপাদান

অনেক সুস্বাদু এবং উপকারি একটি ফল কমলালেবু। আমাদের প্রায় সকলের জানা কথা যে, স্বাস্থ্যের জন্য কমলালেবু খুবই উপকারি একটি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল। যা আমাদের শরীরকে রক্ষা করে বিভিন্ন ধরণের রোগের হাত থেকে।

কিন্তু অনেকের কাছেই অজানা, কললালেবুর খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। কারণ এগুলো দূর করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম ফোলেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপদান। যা নানাভাবে শরীরের উপকার করে।

শীতে ত্বকের যত্নে কমলা লেবুর খোসার উপকারিতা

শীতের শুরু মানেই টান টান ভাব ত্বকের। বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেও ত্বকের শুস্কতা দূর করা জাচ্ছেনা। তবে, আপনার নিস্প্রাণ ত্বকের যত্নে কললার খোসার চেয়ে অন্য কিছু ভালো হতে পারে না। কারণ শুধু কমলা লাবুকে বিবেচনা করলে চলবে না, এর খোসার ভুমিকাও অনেক।

তাই সমাধান যেহেতু আপনার আমার হাতের নাগালেই রয়েছে, তাই আমাদের খুব দ্রুত কমলা লেবুর খোসা ত্বকের কি কি কাজ করে, নিম্নের আলোচনা থেকে নেওয়া যাক- 

** রোদে ঘুরার কারণে যদি আপনার ত্বক পুড়ে গেছে। এরজন্য কমলার খোসা, দুধ এবং হলুদ এই তিনটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করার পর, তা ত্বকে ব্যবহার করলে দূর করা সম্ভাব ত্নকে পোড়া ভাব।

১ টেবিল চামচ করে কমলার খোসার গুড়া, দুধ এবং হলুদ মিশিয়ে আপনার গোটা মুখের ত্বক ও গলায় লাগান। ১০ মিনিট রাখার পর রোজ ওয়াটার দিয়ে পরিস্কার করুন। তবে যদি আপনার অ্যাকনে থাকে, তবে, এই ফেস প্যাক ব্যবহার করা থেক বিরত থাকুন।

** আপনার ত্বকের তেলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে এবং ত্বককে নরম কোমল এবং মসৃণ করে তুলতে কমলা লেবুর খোসার বিকল্প পাওয়া ভার। তবে এক্ষেত্রে কখনো সরাসরি কমলা লেবুর খোসা ব্যবহার করা কোনভাবেই সমচিন হবে না।

কারণ, সরাসরি কমলার খোসা ব্যবহার করলে, উপকারের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। তাই ত্বকের জন্য তাজা কমলার খোসার সঙ্গে মিশিয়ে নিন মসুরের ডাল বাটা। এই মিশ্রণটি ত্বকে নিয়মিত লাগালে ত্বকের দাগ দূর হবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে নরম কোমল এবং মসৃণ।

** ট্যান তুলে ত্বককের উজ্জলতা বাড়িয়ে তুলতে তুলনা নেই কমলা লেবুর খোসার। আর ফলাফল পাওয়ার জন্য কমলার খোসার গুড়ো ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২/৩ ফোটা এবং চন্দনের গুড়ো ১ টেবিল চামচ। উপকরণ ৩টি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

এবার আপনার তৈরি পেস্ট আপনার মুখের ত্বক এবং গলায় লাগিয়ে রেখে দিন ২৫/৩০ মিনিট। অপেক্ষার পর শুকিয়ে গেলে হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিস্কার করুন। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য এটি মাসে ৩ থেক ৪ বার ব্যবহার করুন।

** ব্রুণমুক্ত ত্বক পাওয়ার জন্য কমলা লেবুর খোসার উপকারিতা প্রচুর। কারণ কমলা লেবুর খোসাতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা আপনার মুখে থাকা ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ত্বককে করে ব্রুণমুক্ত। এর জন্য একটি গোটা কমলার খোসা পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি ব্যবহার করুন মুখ ধোয়ার কাজে।

আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে ঘরোয়া উপায়

** নিস্প্রাণ ত্বকের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে কমলার খোসা এবং টক দই কার্যকর। তাই ত্বককে শুস্কতার হাত থেকে রখা করতে টক দই এবং কমলার খোসা ব্যবহার করুন। কমলার খোসার গুড়ো ১ টেবিল চামচ এবং টক দই পরিমাণ মত মিশিয়ে গলাসহ গোটামুখের ত্বকে ব্যবহার করুন। ১৫/২০ মিনিট রাখার পর শুকিয়ে গেলে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শীতে রূপ চর্চায় কমলার খোসা

যদিও গ্রামের তুলনায় শহরে শীতের আমেজ পেতে অনেটাই দেরি হয়। কিন্তু ফলের বাজারের দিকে তাকালে দেখবেন হাত ছানি দিয়ে ডাকছেন শীতের ফলগুলো বিশেষ করে কমলা লেবু। এই সকল ফল খাওয়ার পাশাপাশি এই শীতে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যায় সহজেই।

কমলা যেমন একটি মাজাদার খাবার, তেমনিভাবে স্বাস্থ্যকর এবং শীত মৌসুমে শুস্ক ত্বককে বাঁচাতে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শীতকালে রোদের তীব্রতা কিছুটা কম হলেও ত্বকের উপর আঘাত হানে মারাত্মকভাবে। ফলে ত্বক হয় লালচে এবং হয়ে যায় শুস্ক। 

আর এর থেকে বাচার জন্য কমলার খোসার ফেস প্যাক খুবই কার্যকর। এই ফেস প্যাকটি তৈরি করতে প্রয়োজন পড়ে কমলার খোসার গুড়ো, হলুদ, মসুর ডালের গুড়ো এবং দুধের সর। এই মিশ্রণ বা ফেস প্যাকটি শুধু শীতে নয়, আপনি চাইলে রোদের ক্ষতি থেকে বাচতে সারা বছর ব্যবহার করতে পারেন।

শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

শীতে শরীর যদি ভেতর থেকে আর্দ্র না থাকে, তবে তার ছাপ পরে ত্বকের উপর। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। দিনে ৮/১০ গ্লাস পানির পাশাপাশি ডাবের পানি এবং ফলের রস পান করতে পারেন। অনেক গরমের পর শুরু হয়েছে শীতের হাওয়া।

অল্প সময়ে বাড়ে শীতের শুস্ক বাতাসে তীব্রতা। আর এই কারণে বাতাসের প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি ত্বকে। ফলে ত্বক হয়ে উঠে খসখসে, অনেকের ফেটে যায় ঠোট এবং হাত ও পায়ের গোড়ালি। তাই শীতে প্রয়োজন পড়ে ত্বকের বাড়তি যত্নের।

তবে, আপনি যদি আপনার এই সকল সমস্যার সমাধান করতে চান প্রাকৃতিক উপায়ে, তাহলে তো কোন কথাই নেই। শীতে ত্বকের যত্নে যে সকল উপাদান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো। চলুন দেখে নেওয়া যাক- 

** অলিভ অয়েল- সব ধরণের ত্বকের যত্নে জলপাই বা অলিভ অয়েল কার্যকর। ময়েশ্চারাইজারযুক্ত অলিভ অয়েল পা থেকে গলা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তাছাড়াও চিনি ও মধু মিশিয়ে ঘন প্যাক তৈরি করে কাজ করা যায় স্কাবের। এই প্যাক ব্যবহারের ফলে উঠে যায় ত্বকের মৃত কোষ। আবার মধু এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে ঠোটে ব্যবহার করলে বন্ধ হয় ঠোটের ফাটা।

** নারিকেল তেল- শীতে শুধু ত্বক নয়, যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে হাতের কুনুই এবং পায়ের গোড়ালী ও হাটুর। অন্যথায় ফেটে যাওয়া ঠোট এবং ত্বকের বিভিন্ন স্থান শুস্ক ও কালো হয়ে যায়। এর জন্য প্রথমে ভালো করে পরিস্কার করে ব্যবহার করতে হবে নারকেল তেল এবং আলতো করে ম্যাসেজ করতে হবে স্থানগুলো। এটি ব্যবহার করতে হবে রাতের বেলা।

** গ্লিসারিন ও গোলাপজল- গ্লিসারিন ও গোলাপজল শীতকালে ত্বকের যত্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই উপকরণ দুটি মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক হয় সুন্দর ও মসৃণ। গ্লিসারিন যে কোন ত্বকে খুব সহজে যেমন কাজ করে, তেমনিভাবে মোলায়েম ও প্রণবন্ত রাখে ত্বক এবং দূর করে ত্বকের সব সমস্যা। এই মিশ্রণটি রাতে শোয়ার আগে ব্যবহার করলে ভালো হয়।

** কমলা লেবু- কমলা লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা দূর করে ত্বকের বলিরেখা। এর জন্য কমলার খোসার গুড়ো, বেসন বা ময়দা এবং সরবাটার প্রলেপ বহুদিন যাবত রূপ্টান হিসাবে প্রচলিত। তাই শীতের সময় যারা কমলা খান, তারা সেটি ফেলে না দিয়ে, রোদে শুকিয়ে সংগ্রহ করুন। পরে এটি গুড়ো করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন।

** পাকা কলা- ত্বক মসৃণ ও উজ্জল রাখতে পাকা কলার জুড়ি মেলাভার। এর জন্য পাকা কলা ব্লেন্ড করে এর সঙ্গে দুধ ও বেসন মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি মুখে, গলায়, হাতে এবং লাগান পায়ে। ২০/২৫ মিনিট পর পরিস্কা করে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এটি ব্যবহার করলে ত্বক হবে প্রয়োজনীয় আর্দ্র, নরম ও কোমল।

** মধু- রূপ চর্চায় মধুর কার্যকারিতা অপরিহার্য। আর মধু ব্যবহার করা যায় সব সময়। তবে শীতকালে মধুর ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। মধু যে কোন ফেস প্যাকের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়। মধু খুব দ্রুত দূর করে ত্বকের শুস্কতা এবং ত্বকে মধু যে কোন সমস্যায় ওসুধের কাজ করে।

ব্রুণ দূর করতে কমলার খোসার ব্যবহার

কমলা লেবুর খোসাতে রয়েছে জীবাণুনাশক, ছত্রাকনাশক এবং প্রদাহনাশক গুণ। তাই মুখের ব্রণের বিরুদ্ধে কমলার খোসার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই ত্বককে ব্রণমুক্ত করার উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলো। চলুন দেখে নেওয়া যাক- 

** যাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তারা কমলা লেবুর খোসা পানিতে সেদ্ধ করে সেই গরম সিরাপ নিয়মিত ব্রণের স্থানে লাগালে ভালো ফল পাবেন। কমলার খোসার গুড়ো এবং টক দই ১ টেবিল চামচ মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন।

অথবা কমলার খোসার গুড়োর সঙ্গে আধা টেবিল চামচ করে মধু এবং এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার উপরের মিশ্রণটি মুখের ত্বকের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন হাত ও পায়ে।

** সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মুখ পরিস্কার করুন। এবার একটি কমলার কোয়া চিপে রস বের করে সেই রস নরম টসু বা তুলা দিয়ে ত্বকে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে বাড়বে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন, ফলে বাড়বে জৌলুস। তাছাড়া কমলায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে, যা কমায় ত্বকের বিলিরেখা ব্রণের সমস্যা।

ব্রুণ দূর করতে কমলার খোসার ব্যবহার- শেষকথা

পাঠক পাঠিকাগণ আমরা আশাকরি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পেরেছি "শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় ও শীতে রূপ চর্চায় কমলার খোসা'' সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আদিকাল থেকে মানুষ রূপ চর্চায় ব্যবহার করতেন, প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপাদন।

সেই সময় কাঁচা হলুদ, কমলার খোসার গুড়ো এবং এর সঙ্গে সামান্য দুধের সর মিশিলেই যথেষ্ট। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে রূপ চর্চার ধরণ। কিন্তু রয়ে গেছে আদিম সব পদ্ধতি। আশাকরি, আরিকেলটি আপনি যদি মনোযোগের সঙ্গে পড়ে থাকেন, তবে আপনার অনেক উপকারে আসবে।

আরো পড়ুনঃ শীতে উজ্জল ত্বক পেতে ঘরোয়া উপায়

আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে এটি আপনার পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭