দিনাজপুর জেলার ১০ জনপ্রিয় বিনোদন পার্ক
আরো পড়ুনঃ ২২০ বছরের প্রাচীন সূর্যপুরি আমগাছ
রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪১৫ কিলোমিটার দূরে পূর্ণভবা নদীর তীরে অবস্থতি দিনাজপুর জেলা। বাংলাদেশের সর্বউত্তরের বিভাগ রংপুর বিভাগের অন্তর্গত দিনাজপুর জেলা। এই জেলাটি সেই প্রাচীন কাল থেকেই বুকে লালন করে আসছে উত্তরবঙ্গের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে। ১৭৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জেলার পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
আর উত্তরবঙ্গে ভ্রমন বা শিক্ষা সফর কিংবা পিকনিক মানেই দিনাজপুর। আর দিনাজপুর ভ্রমন মানে শুধু কোন ভৌগোলিক স্থান নয়, এর সঙ্গে অথোপথভাবে জড়িয়ে আছে অতিতের অনেক সেতু বন্ধন। দিনাজপুর অঞ্চলের ইট থেকে শুরু করে দেওয়াল পর্যন্ত জানান দিয়ে থাকে প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার কথা।
পাশাপাশি পরিচয় করিয়ে দেয় দিনাজপুরের প্রাচীন শহরবাসীর কথা। আর আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো দিনাজপুর ''জেলার জনপ্রিয় পিকনিক স্পট'' সম্পর্কে। আর আপনারা যারা দিনাজপুরের জনপ্রিয় ভ্রমন স্পট সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- দিনাজপুর জেলার ১০ জনপ্রিয় বিনোদন পার্ক
- কিভাবে যাওয়া যাবে দিনাজপুর
- দিনাজপুর জেলার জনপ্রিয় ১০ ভ্রমন স্পট
- কান্তজির মন্দির দিনাজপুর
- কান্তজির মন্দিরে কিভাবে যাওয়া যায়
- প্রত্নতাত্ত্বিক নয়াবাদ মসজিদ দিনাজপুর
- নয়াবাদ মসজিদ কিভাবে যাওয়া যায়
- দিনাজপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি
- দিনাজপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি কিভাবে যাওয়া যায়
- হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল
- কিভাবে যাবেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল
- দীপশিখা মেটি স্কুল দিনাজপুর
- দীপশিখা মেটি স্কুল কিভাবে যাওয়া যায়
- সিংড়া জাতীয় উদ্যান দিনাজপুর
- সিংড়া জাতীয় উদ্যান কিভাবে যাওয়া যাবে
- নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান দিনাজপুর
- নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান কিভাবে যাওয়া যায়
- রামসাগর দীঘি দিনাজপুর
- রামসাগর দীঘি দিনাজপুর কিভাবে যাওয়া যাবে
- লিচু বাগান দিনাজপুর
- স্বপ্নপুর বিনোদন পার্ক দিনাজপুর
- স্বপ্নপুর বিনোদন পার্ক কিভাবে যাওয়া যায়
- দিনাজপুর জেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান- শেষকথা
কিভাবে যাওয়া যাবে দিনাজপুর
রাজধানী ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়ার জন্য সড়ক পথ, রেলপথ এবং আকাশপথ এই তিনটি পথই রয়েছে। আপনি চাইলে যে কোনটি বেচে নিতে পারেন।
সড়কপথ- ঢাকা গাবতলী, কল্যাণপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দিনাজপুরগামী বা উত্তরবঙ্গগামী অনেক বাস নিয়মিত চলাচল করে। এই সকল বাসে এসি বা ননএসি মানভেদে ৭০০ টাকা থেক ১৩০০ টাকা জনপ্রতি ভাড়া লাগবে।
ট্রেনযোগে- রাজধানী ঢাকার কমলাপুর থেকে সকাল ৯.৫০ মিনিটে এবং সন্ধ্যা ৭.৪০ মিনিটে ট্রেনে করে আপনি দিনাজপুর যেতে পারবেন। আসনভেবে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ২৩৫ টাকা থকে উপরে।
আকাশপথে- বিমানযোগে দিনাজপুর সরাসরি যাওয়া যায়না। এরজন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, সেখান থেকে বাসযোগে সহজেই দিনাজপুর যেতে পারবেন।
দিনাজপুর জেলার জনপ্রিয় ১০ ভ্রমন স্পট
রংপুর বিভাগের অন্যতম প্রাচীন শহর দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। এখন আর নেই রাজার রাজত্ব, জমিদারের জমিদারী কিন্তু কালের সাক্ষী এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে তাদের নির্মিত রাজবাড়ি এবং জমিদার বাড়িসহ অসংখ্য নিদর্শন। যা আপনি দিনাজপুর নাগেলে বুঝতে পারবেন না।
যদিও দিনাজপুরে রয়েছে অসংখ্য নিদর্শন। তবে আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো দিনাজপুর জেলার জনপ্রিয় ১০ ভ্রমন স্পট সম্পর্কে। তাই আপনারা যারা এই সকল নিদর্শন দেখতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নের আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক এই সকল নিদর্শন সম্পর্কে-
কান্তজির মন্দির দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার এবং কাহারোল উপজেলা থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে ঢেপা নদীর তীরবর্তী গ্রাম কান্তনগরে অবস্থিত প্রাচীন এই মন্দিরটি। ১৮ শতকের পূর্বে নির্মিত এই স্থাপনাটি বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত স্থাপনা। তবে এর অপর একটি নাম নবরত্ন মন্দির। এই মন্দিরের শিলালিপি থেকে জানা যায়, এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন মহারাজা প্রাণনাথ।
মহারাজা প্রাণনাথ ১৭২২ সালে মারা গেলে তাঁর পুত্র মহারাজা রামনাথ এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন ১৭৫২ সালের দিকে। নির্মাণের সময় প্রাচীন এই মন্দিরের উচ্চতা ছিল ৭০ ফুট। কিন্তু ১৮৯৭ সালের ভুমিকম্পের ফলে এটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, বর্তমানে এর উচ্চতা ৫০ ফুট। মহাভারত, রামায়নসহ বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী, এর দেয়ালে চিত্রিত প্রায় ১৫ হাজারটি পোড়ামাটির বর্গাকার ফলক রয়েছে।
কান্তজির মন্দিরে কিভাবে যাওয়া যায়
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে অটোরিক্সা বা সিএনজিতে করে মান্তজির মন্দির জাওয়া যায়। তাছাড়াও আপনি চাইলে কাহারোল উপজেলা থেকেও অটোরিক্সা বা সিএনজিতে করে মান্তজির মন্দির যেতে পারবেন।
প্রত্নতাত্ত্বিক নয়াবাদ মসজিদ দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার এবং কাহারোল উপজেলা থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে নয়াবাদ গ্রামে ১.১৫ বিঘা জমির উপর প্রত্নতাত্ত্বিক নয়াবাদ মসজিদটি অবস্থিত। দিনাজপুর তথা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক মসজিদটি সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের শাসনকালে ১৭৯৩ সালে নির্মিত হয়। সে সময় কারুকার্য মন্ডিত অনেকগুলি টেরাকোটা থাকলেও বর্তমানে অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ১০৪ টি।
যার বেশিরভাগ এখন পুরো অক্ষত নেই। স্থানীয়রা জানান ১৮ শতকের মাঝামাঝির দিকে, কান্তজির মন্দির নির্মাণের সময় পশ্চিমের কোন এক দেশ থেকে এখানে আগত মোসলমানেরা এই গ্রামে বসবাস শুরু করেন এবং তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য এই মসজিদটি নির্মাণ করন। নয়াবাদ মসজিদ ও কান্তজির মান্দিরের দূরত্ব মাত্রা কয়েক মিনিটের রাস্তা।
নয়াবাদ মসজিদ কিভাবে যাওয়া যায়
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে অটোরিক্সা বা সিএনজিতে করে নয়াবাদ মসজিদ জাওয়া যায়। তাছাড়াও আপনি চাইলে কাহারোল উপজেলা থেকেও অটোরিক্সা বা সিএনজিতে করে নয়াবাদ মসজিদে যেতে পারবেন। উল্লেখ্য যে আপনি একসঙ্গে নয়াবাদ মসজিদ ও কান্তজির মান্দির দেখতে পাবেন।
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি
দিনাজপুর শহরের উত্তর- পূর্বদিকে রাজারামপুর এলাকায় ঐতিহাসিক এই রাজবাড়িটি অবস্থিত। এটিকে রাজবাড়ি বলা হলেও এটি একটি জমিদার বাড়ি, যা ইতিহাসের পটভূমি থেকে যানা যায়। এই রাজবাড়ি হলো দিনাজপুরের ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধির ্মূল। তাই এই রাজবাড়ির অবস্থা বর্তমানে অনেকটাই নাজুক হওয়া সত্ত্বেও ভ্রমন প্রেমীদের ঘুরার মূল স্থান এই রাজবাড়ি।
এই রাজবাড়ির ঐতিহাসিক ভবনের মধ্যে অন্যতম হলো রাণী মহল, কুমার মহল, আয়না মহল, আটচালা ঘর, আতুর ঘর, ঠাকুর ঘর, লক্ষ্মীর ঘর, কালিয়া জিউ মন্দির, রাণী পুকুর এবং চম্পা তলা দীঘি অন্যতম।
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি কিভাবে যাওয়া যায়
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে রিক্স, অটোরিক্সা বা সিএনজিতে করে ঐতিহাসিক রাজবাড়ি যাওয়া যায়।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল
রংপুর বিভাগের প্রথম, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালটি ঢাকা দিনাজপুর হাইওয়ের পার্শ্বে অবস্থিত। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৬ সালে এবং এর নাম করণ করা হয় তেভাগা আন্দোলনের জনক হাজী মোহাম্মদ দানেশ এর নাম অনুসারে। তবে এটি কলেজ হিসাবে যাত্রা শুরু করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে ৮ এপ্রিল ২০০২ সালে।
আরো পড়ুনঃ ধবংসের দ্বারপ্রান্তে ৪০০ বছরের পুরানো মসজিদ এবং মঠ
১৩০ একরের বিশাল আয়তনের প্রতিষ্ঠানে রয়েছে একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, হোস্টল, মসজিদ, জিমন্যাশিয়াম, সেমিনার কক্ষ, দু'টি অডিটরিয়ামসহ মেডিক্যাল সেন্টার, ব্যাংকের শাখা এবং পোস্ট অফিস। এছাড়াও এখানে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন বিভিন্ন ভবন, ডি-বক্স চত্বর, টিএসসি, ক্যান্টিন, শহীদ মিনার, লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, শিশু পার্ক এবং বোটানিক্যাল গার্ডেন।
কিভাবে যাবেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল
দিনাজপুর শহর থেকে রিক্স, অটোরিক্স বা সিএনজিতে করে খুব সহজে যাওয়া যায়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন বাসে করে যাওয়া যায়।
দীপশিখা মেটি স্কুল দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ব্যাতিক্রমি এই স্কুলটি মঙ্গলপুর ইউপির রুদ্রপুর গ্রামে অবস্থিত। দীপশিখা নামক একটি বেসরকরি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শৈল্পিক কাজ শুরু করে। ব্যাতিক্রমি এই স্কুলটিতে ইটের ব্যবহার করা হয়েছে শুধুমাত্র ভিতে।
অপূর্ব এবং শৈল্পকর্মের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে মাটি, বালি, কাঠ, বাঁশ দড়ি ও খড়। আট হাজার বর্গ ফুট আয়তনের স্কুলটির ছয়টি কক্ষ এবং ভবনটি দ্বিতল বিশিষ্ট। পরিবেশ বান্ধব এবং ব্যাতিক্রমি এই স্কুলটির শ্রেণীকক্ষে ছাত্র/ ছাত্রীরা কখনো শীত বা গরমের তীব্রতা অনুভব করে না।
দীপশিখা মেটি স্কুল কিভাবে যাওয়া যায়
এই স্কুলে যাওয়া জন্য আপনাকে দিনাজপুর শহরের টেকনিক্যাল মোড় থেকে বোচাগঞ্জগামী বাসযোগে গিয়ে মঙ্গলপুর নামতে হবে। সেখান থেকে রিক্স, অটোরিক্স বা সিএনজিতে করে খুব সহজে যাওয়া যায়।
সিংড়া জাতীয় উদ্যান দিনাজপুর
সিংড়া জাতীয় উদ্যানটি দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া মৌজার ভগনগরে অবস্থিত। এই বনাঞ্চালের ৮৫৬ একরের মধ্যে প্রায় ৭৫৬ একর জায়গাকে ২০১০ সালে ঘোষণা করা হয় জাতীয় উদ্যান হিসাবে। বনের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি নদী বনকে দুইভাগ করেছে। বর্তমানে নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করে বনকে একসঙ্গে করার চেস্টা চলছে।
২০১০ সালের পর থেকে এটিকে পরিনত করা হয় পিকনিক স্পট হিসাবে। এখানে সরকারি উদ্যগে শিশুদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রাইডস এবং বিনোদনের জন্য চলছে নতুন বিভিন্ন কার্যক্রম। সারা বছর এখানে প্রতিদিন পিকনিক জন্য অনেক লোক আসলেও শীতের মৌসুমে প্রচুর পরিমানে ভ্রমন পিপাসুরা ভিড় জমান সিংড়া জাতীয় উদ্যানে।
সিংড়া জাতীয় উদ্যান কিভাবে যাওয়া যাবে
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে বীরগঞ্জ হয়ে সড়কপথে বাসযোগে খুব সহজে যাওয়া যায়, ইতিহাসিক সিংড়া জাতীয় উদ্যানে।
নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ৫১৮ হেক্টরের পঞ্চবাটি বনটি ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর জতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এই বনের মাঝখানে রয়েছে প্রায় ৬০০ একরের একটি বিশাল বিল, যা দেশীয় মাছের অভয় আশ্রম। এই বিলে রয়েছে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় কাঠের ব্রীজ। তবে বর্তমানে এই বিলের নাম করণ করা হয়েছে শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান।
স্থানীয়রা মনে করেন, দস্যু রত্নাকর সিদ্ধিলাভের পর এই বনেই খ্যাতি লাভ করেন বাল্মীকি মুনিরূপে। এই বনে আছে সীতা কোট বৌদ্ধ বিহার, আর একে কেন্দ্র করে কিংবদন্তি শিবের কৈলাসবাসসহ সীতার বোনবাস গল্প রচিত হয়েছিল।
নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান কিভাবে যাওয়া যায়
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে নবাবগঞ্জগামী বাসযোগে নবাবগঞ্জ পৌছার পর যে কোন কাউকে জিঙ্গাসা করলেই দেখিয়ে দিবে কাঠের ব্রীজ বা দেখিয়ে দেবে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের রাস্তা।
রামসাগর দীঘি দিনাজপুর
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দীঘি হিসাবে খ্যাত এই দীঘিটি মূলত কৃত্রিম একটি দীঘি। পলাশী বিপ্লবের অল্প কিছুদিন আগে রাজ্যে পানির চাহিদা মেটানোর জন্য মহারাজা রামনাথ খনন করেছিলেন এই দীঘিটি। আর রাজা রামনাথের নাম অনুসারে এই দীঘির নাম করণ করা হয়। বর্তমানে এই দীঘিটির দায়িত্বে রয়েছেন পর্যটন বিভাগ।
প্রায় ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৯২ বর্গমিটার খেত্রেফল বিশিষ্ট ও গভীরতা ১০ মিটার এই দীঘির চতুর দিকে পড়ন্ত বিকালে ঘুরার দারুন একটি স্থান। এই দীঘিতে সাতার কাটা, পূর্ণিমায় ক্যাম্পিং করাসহ বেশ কিছু কাজের জন্য এটি বেশ জনপ্রিয় একটি স্থান।
রামসাগর দীঘি দিনাজপুর কিভাবে যাওয়া যাবে
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে এই দীঘিটি অবস্থিত হওয়ায়, দিনাজপুর থেকে রিক্সা, অটোরিক্সা বা সিএনজি করে খুব অল্প সময়ে যাওয়া যায়।
লিচু বাগান দিনাজপুর
লিচুর জন্য দিনাজপুর সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত। এই জেলার ১৩টি উপজেলাতেই চাষ হয় লিচুর। বর্তমানে দিনাজপুরে ছোট বড় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ১২৮ টির অধিক লিচু বাগান রয়েছে। আর এই বাগান গুলোতে সব মিলিয়ে গাছের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজারের মত। লিচুর মৌসুমে প্রসিদ্ধ এই লিচুর বাজার বসে দিনাজপুরের পৌরসভার নিউমার্কেটে।
এই লিচুর বাজার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে। লিচুর বাগান সবচেয়ে চেশি রয়েছে চিরির বন্দরে। এছাড়াও কাশিমপুর এলাকায় যা, রামসাগর দীঘির আশপাশে, এই এলাকাটি লিচুর জন্য বিখ্যাত স্থান।
স্বপ্নপুর বিনোদন পার্ক দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলা তথা বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পিকনিক স্পট হলো ফুলবাড়ি উপজেলার আফতাবগঞ্জে অবস্থিত স্বপ্নপুর পার্ক। সুন্দর নকশায় আবৃত বিনোদন পারকটি প্রায় ৪০০ একর ভুমির উপর গড়ে উঠেছে। এখানে রয়েছে ফুলের বাগান, গাছগাছালি বাগান, কৃত্রিম হ্রদ, কৃত্রিম ফোয়ারা, পাহাড়, মিনি চিড়িয়াখানা, হংসরাজ সাম্পান, ঘোড়ার রথ, ইটভাটা, খেলার স্থান ইত্যাদি।
এছাড়াও এখানে রয়েছে ডাকবাংলো, মাটির কুঁড়েঘর এবং বাংলার ভুমির মানচিত্র। সব মিলিয়ে স্বপ্নপুরি সমৃদ্ধ এক পিকনিক স্পট। এখানে আধুনিক মানের পাচটি কটেজ রয়েছে রাত্রি যাপনের জন্য। আর এতসব কিছু উপভোগ করার জন্য আপনাকে ৭০ টাকা প্রবেশ ফি প্রদান করে এই পিকনিক স্পটে প্রবেশ করতে হবে।
স্বপ্নপুর বিনোদন পার্ক কিভাবে যাওয়া যায়
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে বাস বা সিএনজি যোগে স্বপ্নপুরি পিকনিক স্পটে যাওয়া যায়, তবে এতে আপনার সময় লাগবে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা।
দিনাজপুর জেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান- শেষকথা
পাঠক পাঠিকাগণ আমরা আশাকরি আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই জেনে গেছেন "দিনাজপুর জেলার জনপ্রিয় পিকনিক স্পট সমূহ'' সম্পর্কে। যা আমরা ইতিপূরবেই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি।
আরো পড়ুনঃ ভারত সীমান্তের আলতাদীঘি শালবন নওগাঁ
আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে এটি অবশ্যই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url