অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ ২০২৪ । অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
আরো পড়ুনঃ ঢাকা টু বরিশাল বাসের সময়সূচী ও ভাড়া
বাংলাদেশের অনেকে আছেন যারা কাজে কিংবা লেখাপড়া বা ভ্রমনের জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতে চান। কারণ এই দেশে রয়েছে বিশ্বের সেরা সমুদ্র সৈকত, বিশ্বের প্রাচীনতম ইতিহাস, বিশ্বের বিখ্যাত বিশববিদ্যালয় এবং উচ্চ বেতনে কাজের সুযোগ। কিন্তু কিভাবে ভিসা আবেদন করতে হয়, কি কি কাগজ পত্র জমা দিতে, কত টাকা খরচ হয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকে।
তাছাড়া যে কোন দেশে ভিসা পাওয়ার জন্য, আপনাকে সেই দেশের যাওয়ার সকল বিষয় আগে থেকে ভালোকরে যেনে নেওয়া উচিত। আর আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো অস্ট্রেলিয়া ভিসা সংক্রান্ত সকল প্রকার তথ্য। তাই আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেখা নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ ২০২৪ । অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
- অস্ট্রিলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪
- অস্ট্রেলিয়ায় ক্লিনার ভিসার বেতন ২০২৪
- অস্ট্রেলিয়া ক্লিনার ভিসার খরচ ২০২৪
- অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের ভিসা ২০২৪
- কিভাবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার আবেদন করা যাবে
- অস্টেলিয়া ভিসা আবেদনের জন্য কাগজপত্র
- সরকারিভাবে কিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার নিয়ম
- অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার দাম ২০২৪
- অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার খরচ ২০২৪
- অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট কিভাবে পাওয়া যাবে
- অস্ট্রেলিয়া স্টুডন্ট ভিসাইয় যেতে মোট কত টাকা লাগে
- স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি ডুকেমেন্ট লাগে
- অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ ২০২৪
- অস্ট্রিলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ । শেষকথা
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ এর মাধ্যমে জনবল নিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসার চাহিদা বর্তমানে প্রচুর। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ হওয়ার কারণে সেখানে কাজের সুযোগ অনেক বেশি। সেখানে অনেক কাজ রয়েছে, যেগুলোতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়, আবার কিছু কাজ আছে সহজ ও কম পরিশ্রমের মাধ্যমে বেশি বেতন পাওয়া যায়।
আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা, ভিজিট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা, কোন কাজের বেতন কত এবং ভিসা আবেদন নিয়ম, প্রয়োজনীয় কাগজ, ভিসা খরচ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য। বিশ্বের অন্য দেশের মত বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ বিভিন্ন ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক বেতন পাচ্ছেন।
অস্ট্রিলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ কাজের ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য ইচ্ছুক এবং কাজের ভিসা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া কিভাবে কাজের ভিসায় যাবেন বা আবেদন করবেন তা খুজে পাচ্ছেন না। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি একবার মনোযোগের সঙ্গে পড়েন, তাহলে আশাকরি আপনি এই সকল প্রশ্নের উত্তর এখানেই পেয়ে যাবেন।
অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান প্রধান মন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের লেবার পার্টির সরকার মে ২০২৩ মাসে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মোকাবিলা শুরু করেছেন ব্যাকলগের। আর সেই দেশের সরকার মুলত ভিসা দিচ্ছেন, বিভিন্ন ধরণের কাজের ভিসা, যাকে সোজা কথায় বলা হয়ে থাকে, লেবার কিংবা ক্লিনার ভিসা।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্লিনার ভিসার বেতন ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ায় ক্লিনার ভিসার বেতন নির্ভর করে আপনি কোথায় কাজ করছেন এবং আপনার কাজের দক্ষতার উপর। তবে অস্টেলিয়ায় ক্লিনারের কাজের বেতন মানভেদে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। নিম্নের আলোচনায় দেখে নিন কাজের মানভেদে অস্ট্রেলিয়ার বেতন-
- হাউস ক্লিনার ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- রেস্টুরেন্ট ক্লিনার ৫০ হাজার টাকা থেকে৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- হোটেল ক্লিনার ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- অফিস ক্লিনার ৮০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- হসপিটাল ক্লিনার ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- কোম্পানি ক্লিনার ৬০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
তবে, অস্ট্রেলিয়া বা যে কোন দেশে যাওয়ার আগে আপনি, যেই ভিসার মাধ্যমে যাচ্ছেন সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করলে আপনার কাজের কোন সমস্যা হবে না। আর দক্ষতা না থাকলে কেই পছন্দ করে না এমনকি কাজ পাওয়া অনেক কঠিন। তাই দক্ষতা অর্জন করুন এবং ভিসা নিয়ে স্বপ্নের দেশ অস্ট্রেলিয়া যান।
অস্ট্রেলিয়া ক্লিনার ভিসার খরচ ২০২৪
আপনি যদি ক্লিনার ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার সর্বমোট খরচ পড়বে ৫ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মত। কিন্তু অনেক সময় ক্লিনার ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কিছু কিছু দালাল চক্র আপনার কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকে। কারণ তারা বিভিন্ন খরচ এবং অজুহাত দেখিয়ে বেশি টাকা গ্রহন করে থাকে।
তবে, আপনাকে সবসময় চোখ কান খোলা রেখে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করবেন। অন্যথায় দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার হবেন। দালালের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে অনেক বেশি টাকা লাগে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন সরকারিভাবে ভিসা আবেদন করে সেই দেশে যাওয়ার। আপনাকে সবসময় দালালের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া ক্লিনার ভিসা বা যে কোন ভিসা সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য ভালো কোন এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন। এজেন্সিরা আপনাকে ভিসা আবেদন থেকে প্রসেসিং করা পর্যন্ত সকল কাজে সহযোগিতা করবে, এতে আপনার ঝামেলা অনেকটাই কমে যাবে। দালাল চক্তের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন এবং তাদের সঙ্গে কোন চুক্তবদ্ধ হবেন না।
অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের ভিসা ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের বাংলাদেশের মতো অনেক কৃষি কাজ হয়। আর সি দেশে কৃষি কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার চালু করেছেন কৃষি ভিসার। তবে, আপনারা কৃষি কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাদের জন্য বিশাল সুখবর হলো বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কৃষি কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন। আর আপনি যদি কৃষি কাজের ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চান, নিচের আলোচনা পড়ুন।
আপনি যে ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান সেই ভিসা সম্পর্কে ভালোকরে জানুন এবং কৃষির খেত্রেও আপনাকে জানতে হবে। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কৃষি কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন, তবে ঝামেলা মনে হলে, ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়া সে সকল কৃষি কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকেন, তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
- গবাদি পশু পালন।
- ফুল বাগানের কাজ।
- আঙ্গুর বাগানের কাজ।
- কমলার বাগানের কাজ।
কিভাবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার আবেদন করা যাবে
অস্ট্রলিয়া কাজের বা ক্লিনার ভিসা অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই একটি ব্রাউজারের মাধ্যমে যেতে হবে http://www.probashi.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনাকে প্রবেশ করতে হবে ভিসা অপশনে এবং এখানে আপনার সকল প্রকার তথ্য পূরণ করলেই আবেদন করা যাবে অস্ট্রেলিয়া ক্লিনার ভিসার।
আর আপনার কাছে যদি অনলাইনে ভিসা আবেদন করা ঝামেলা মনে হয়, সেক্ষেত্রে আপনি যে কোন একটি ভালো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এতে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা বা ক্লিনার ভিসা আবেদন এবং ভিসা প্রসেসিং অনেকটা সহজ হবে। কিভাবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার আবেদন করা যাবে, তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ বা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। আপনি অনলাইন বা দেশে থাকা ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। আপনি যে পদ্ধতি অনুসরণ করেন না কেন আপনাকে সঠিক ও নির্ভুলভাবে আবেদন করতে হবে। তবেই আপনার কাজের ভিসা পাওয়ার কাজ খুব দ্রুত হবে।
আপনার যদি দক্ষতা না থাকে, তাহলে অস্ট্রেলয়া কাজের ভিসা পাওয়া অনেটাই কঠিন হবে। অস্টেলিয়া কাজের ভিসার জন্য শুধুমাত্র একটি মাত্র কোম্পানিতে কাজের জন্য আবেদন না করে কয়েকটি কোম্পানিতে আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এতে করে আপনার অস্ট্রেলিয়া চাকুরি পাওয়া অনেক সহজ হবে।
অস্টেলিয়া ভিসা আবেদনের জন্য কাগজপত্র
বিশ্বের যে কোন দেশে ভিসা আবেদনের জন্য সেই দেশ কিছু রিকোয়ারমেন্ট দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে অস্টেলিয়া কাজের ভিসা বা ক্লিনার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ পত্র প্রয়োজন পড়ে। নিম্নে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদনের জন্য যে সকল ডুকেমেন্ট লাগবে তা আলোচনা করা হলো-
- একটি বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ ৬ মাস বা তার বেশী।
- পুলিশের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- মেডিকেল ফিটনেস রিপোর্ট।
- ভোটার আইডি কার্ড।
- করোনা টিকা কার্ড।
- আপনার অবশ্যই IELTS একাডেমিক বা সাধারণ প্রশিক্ষণ এবং এর সার্টিফিকেট।
সরকারিভাবে কিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার নিয়ম
বর্তমানে সরকারিভাবে ৬ টি পদে অস্ট্রলিয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। আপনি যদি চান, তবে, সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সরকারিভাবে যে সকল কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
- নার্স।
- সেফ।
- ওয়েল্ডার।
- স্টোন মেনস।
- পাইপ ফিটার।
- বয়লার মেকার।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার দাম ২০২৪
ওশেনিয়া মহাদেশের উন্নত একটি সার্বভৌম দেশ অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বের অনেক নামকারা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পড়াশুনার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার স্টুডেন্ট ভিসা চালু করেছেন। তবে, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সেই দেশে পড়াশুনার জন্য, স্টুডেন্ট ভিসার দাম পূর্বের তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি করেছেন। আর এটি কার্যকর হয়েছে গত জুলায় ২০২৪ থেকে।
বর্তমানে সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পেতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং এজেন্সির বা বেসরকারিভাবে ভিসা পেতে ২ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার খরচ ২০২৪
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য খরচ দ্বিগুণের চেয়েও বেশি হয়েছে। পূর্বে বিদেশি স্টুডেন্ট ভিসার ফি ছিল বাংলাদেশী টাকায় ৫৫ হাজার ৩৬৮ টাকা। যা বর্তমানে সেটি করা হয়েছে বাংলাদেশী টাকায় প্রয় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। কারণ হিসাবে অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়েছেন যে, অভিবাসির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে আবাসনে চাপ পড়ায় এটি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট কিভাবে পাওয়া যাবে
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পেতে আপনাকে প্রথমে আবেদন করতে হবে। বর্তমানে এইজন্য ঘরে বসে অনলাইলে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, বর্তমানে সেই দেশে যারা অস্থায়ী গ্র্যাজুয়েট নিয়ে অবস্থান করছেন, তাদের উপর পুনরায় স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অস্টেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে সেই দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ এবং আবেদন ফি পরিশোধ করার মাধ্য দিয়ে আপনি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডন্ট ভিসাইয় যেতে মোট কত টাকা লাগে
সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পেতে সর্বমোট ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং বেসরকারিভাবে বা এজেন্সির মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাহা খরচ পড়ে। তবে, অস্ট্রেলিয়া পড়াশুনার জন্য স্ক্লাশিপ চালু রয়েছে। স্ক্লাশিপের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য খারচ পড়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা থেকে ১ লখা ৫০ হাজার টাঁকা
স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি ডুকেমেন্ট লাগে
বিশ্বের যে কোন দেশে ভিসা আবেদনের সেই দেশ কিছু রিকোয়ারমেন্ট দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে অস্টেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ পত্র প্রয়োজন পড়ে। নিম্নে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য যে সকল ডুকেমেন্ট লাগবে তা আলোচনা করা হলো-
- পাসপোর্ট ৬ মাস বা তাঁর অধিক মেয়াদী।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি (এনআই্ডি)।
- এনআই্ডি না থাকলে অনলাইন জন্ম সনদের কপি।
- মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট এবং বায়োমেটিক ডেটা।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৪ (চার) কপি রঙ্গিন ছবি।
- অনলাইনে ভিসা আবেদন পত্র ও আবেদন ফি এর ডুকেমেন্ট।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সার্টিফিকেট ও ব্যাংক স্টেট্মেন্ট কপি (শেষ ৬ মাসের)।
অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ ২০২৪
- বৈধ পাসপোর্ট ৬ মাসের অধিক মেয়াদের।
- টি আই এন (টিন যদি থাকে) সার্টিফিকেট।
- জাতীয় পরিচিয় পত্র (এন আই ,ডি)।
- পাসপোর্ট সাইজে রঙ্গিন ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)।
- এসেট ডকুমেন্ট (যেমন গাড়ি, বাডি, ফিক্স ডিপোজিট ইত্যাদি)।
- ন্যাশনাল এই ডি কার্ডের কপি এবং বৈবাহিক সার্টিফিকেট (বিবাহিত হলে)।
- ৬ মাসের ব্যাংক স্টেট্মেন্ট এবং ব্যাংকে কমপখে ৫ লক্ষ টাকা থাকা বাধ্যতা মূলক।
- কোম্পানী প্যাড ও ভিজিটিং কার্ড এবং ব্যবসায়ীক ট্রেড লাইসেন্স নোটারী পাবলিক অনুমোদিত।
- সন্তান থাকলে তাদের পাসপোর্ট, জন্ম সনদ বা ন্যাশনাল আই ডি কার্ড। বিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সার্টিফিকেট।
- চাকুরীজীবি হলে অফিস থেকে এনওসি লেটার, অফিসের আইডি কার্ডের কপি, ভিজিটিং কার্ড সেলারীর স্টেটমেন্ট ইত্যাদি।
অস্ট্রিলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ । শেষকথা
পাঠাক পাঠিকাগন আমরা আশাকরি আপনারা যদি, আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ে থাকেন তাহলে "অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ ২০২৪ । অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪'' সম্পর্কে সকল প্রকার তথ্য যেনে গেছেন। যা আমরা আর্টিকেলের মধ্যে ইতিমধেই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি।
আরো পড়ুনঃ নওগাঁ টু ঢাকাগামী বাসের সময়সূচী ও ভাড়া
আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে যারা অস্ট্রেলিয়া ভিসা সম্পর্কে জানতে চান, তাদের ক্ষেত্রে। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালোলাগে এবং উপকারি বলে মনে হয়, তবে এটি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url