ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকামের সহজ ১৭ উপায়

আপনি কি স্বাধীন কোন পেশার মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান? তাহলে বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয়ের অনেক সুযোগ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। তবে আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন? আপনিও চেষ্টা করুন, অনলাইন থেকে টাকা আয় করার জন্য।

কারণ আপনি চাইলে যে কোন একটি বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে, প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাক আয় করতে পারেন। তবে অনলাইনে টাকা আয় কোরার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ইউটিউব চ্যানেল। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো "ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়'' সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক- 

আজকের পাঠ্যক্রম- ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়

  • ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
  • ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা আয় করার ১০ ধাপ
  • ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়
  • কত টাকা আয় করা যায় ইউটিউব থেকে
  • কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়। শেষকথা

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

প্রথমেই আপনাকে নির্বাচন করতে হবে, আপনি কোন বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে চান। এরপর আপনাকে ঠিক করতে হবে, সহজ অথচ দর্শকদের নজরে পড়বে এমন একটি চ্যানেলের নাম। এবার খুলে নিন একটি ইউটিউব চ্যানেল এবং প্রতিদিন নিয়মিত আপলোড করুন ভিডিও। এখন চ্যানেলটি মনিটাইজেশন করার ব্যবস্থা করুন। 

প্রতিমাসে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ বা বিশ্বের অনেকে হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন অনেকেই। কিন্তু এর জন্য আপনার প্রয়োজন সঠিক একটি পরিকল্পনা। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো ''ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়'' সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইট লাইন।

নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা থেকে শুরু করে চ্যানেলটি আপনি কিভাবে মনিটাইজেশন করবেন, সে সকল নিয়মগুলি আমরা এখানে সহজভাবে আলোচনা করবো। আর আপনি যদি "ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়'' জানতে চান, তাহলে আপনাকে এটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়তে হবে।

আর আপনি যদি সত্যি সত্যি "ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়" সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়ের উপর কিছু সময় এবং পরিশ্রম করতে হবে। কারণ পরিশ্রম ছাড়া কিছুই করা সম্ভাব নয়। আর আপনিও হতে পারবেন আপনার মেধা, পরিশ্রম এবং সময় দেওয়ার মাধ্যমে সফল একজন ইউটিউবার।

ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা আয় করার ১০ ধাপ

আপনি যদি সফল একজন ইউটিউবার হতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তবে আপনাকে নিম্নের ১০ ধাপ অনুসরণ করতে হবে।  কোন বিষয়ের উপর আপনি ভিডিও তৈরি করবেন, আপনার চ্যানেলের দর্শক কেমন হবে, আপনার ভিডিও বাংলা না ইংরেজি হবে, আপনার চ্যানের ভিউয়ার ও সাবস্ক্রাই কিভাবে বাড়াবেন, আপনার চ্যানেলটি সামাজিক মাধ্যমে কিভাবে প্রচার করবেন এবং কিভাবে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে টাকা আয় করবেন, এ সকল বিষয়ে ধাপে ধাপে নিম্নে দেখানো হলো- 

ভিডিও তৈরির বিষয় নির্বাচন- আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান, তবে আপনাকে সর্বপ্রথম একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে। যেই বিষয়ের উপর আপনি তৈরি করবেন ভিডিও কন্টেন্ট। আর এটি সাধারণত আপনি নির্বাচন করবেন, যে বিষয়ের উপর আপনার ভালো জ্ঞান বা ধারণা রয়েছে এবং এই বিষয়ের উপর আপনার কাজ করতে ভালো লাগে।

আবার একটি বিষয় আপনার মাথায় রাখতে হবে যে, আপনি যে বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করতে চাচ্ছেন, সেটি আপনার দর্শকের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে কি না। তবে বর্তমান সময়ে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বিষয় বা টপিক রয়েছে, যে বিষয়ের উপর আপনি কাজ করতে পারেন। নিম্নে সে সকল বিষয় বা টপিকগুলো আলোচনা করা হলো-

  • ব্লোগিং টিপস।
  • গেমিং চ্যানেল।
  • মোবাইল অ্যাপস।
  • টিপস এবং ট্রিকস।
  • টিউটোরিয়াল ভিডিও।
  • অনলাইনে আয় করার টিপস।
  • নতুন নতুন টেকনোলজির ভিডিও।
  • ল্যাপটপ, কম্পিউটার, এবং টিভি রিভিউ।
  • বিভিন্ন প্রকারের নতুন নতুন খাবার রান্নার ভিডিও।
  • মোবাইল ফোন এবং স্মার্ট ফোন সামগ্রীর রিভিউ ভিডিও।
ইউটিউব চ্যানেলের নাম- আপনার ইউটিব চ্যানেল খোলার আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে একটি সুন্দর নাম। তবে নামটি যদি আপনার তৈরি করা ভিডিও এর সঙ্গে মিল রেখে হয়, তবে অনেক ভালো হয়। "কারণ একটি সুন্দর নাম অনেক সম্পদের চেয়ে উত্তম"। যাইহোক কিন্তু অবশ্যই নাম হতে হবে সহজ, ইউনিক এবং দর্শকদের চোখে পড়ার মতো। 

এর ফলে ব্যবহারকারীরা সহজে আপনার চ্যানেলটির সঙ্গে পরিচিত হবে। আরো আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে নামটি যেন, আপনার তৈরি ভিডিও এর বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আর নাম কিন্তু আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাফল্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

চ্যানেলের ভাষা এবং লক্ষিত দর্শক- আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভাষা নির্বাচন আপনাকে ঠিক করতে হবে, আপনি যে ভাষায় পারদর্শী সেই ভাষায় চ্যানেল খোলার। সবচেয়ে ভালো হবে, বাংলা ভাষার চ্যানেল খোলা। কারণ বাংলা ভাষার চ্যানেল হলে বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বাংলাভাষী প্রচুর পরিমাণে দর্শক আপনি খুব সহজে পেয়ে জাবেন। 

আর আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি পরিচালনার জন্য সহজ, সাবলীল এবং সামাজিক ভিডিও তৈরির সঙ্গে সঙ্গে সহজে দর্শকদের চোখে পড়বে এমন শিরোনাম, সঠিক তথ্যের প্রতি গুরুত্বসহ মজার কমেন্টের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এই সকল বিষয় মাথায় রেখে বাংলা ভাষার ইউটিউব চ্যানেল খুলে, ভিডিও আবলোড করলে সহজে অনেক দর্শক পেতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি- ইউটিউব চ্যানেল খোলার প্রথম ধাপ হলো, একাউন্ট সেট করা। আর সে ক্ষেত্রে আপনি যদি জিমেইল চালান, তবে আপনি চাইলে পুরাতন জিমেইল একাউন্ট এর মাধ্যমে, আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি লগইন করতে পারবেন এবং আপলোড করতে পারবেন ভিডিও। তাই আপনি যদি নতুন করে ইউটিউব চ্যানেল খোলতে চান, তবে নিম্নের ধাপ অনুসরণ করুন।

** জিমেইল একাউন্ট খুলুন- আপনি জিমেইল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি জিমেইন একাউন্ট (যদি জিমেইল না থাকে) খুলুন। 

** জিমেইল দিয়ে ইউটিউব সাইন ইন করুন- জিমেইল একাউন্ট খোলা শেষ হলে, আপনি প্রবেশ করুন ইউটিবের হোম পেজে। এবার উপরে ডান পাশে আপনি সাইন ইন লেখা দেখতে পাবেন। সাইন ইন এ ক্লিক করলে আপনার সামনে একটি পেজ আসবে, লগ ইন করার জন্য। এখানে আপনি সাইন ইন করুন আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে।
** ইউটিউব ড্যাশবোর্ড সেটআপ- ক্লিক করুন ইউটিউব হোম পেইজের ঠিক উপরের ডান দিকে থাকা আইকোনে। ক্লিক করুন ক্রিয়েট চ্যানেল আইকোনে। এবার ক্লিক করুন কাস্টমাইজ চ্যানেলে। এখন আপনার সামনে আসবে ইউটিউব স্টুডুওএর মেইন ড্যাশবোর্ড পেইজ। এখানে আপনাকে অনেক বেসিক তথ্য পূরণ করতে হবে। 

যেমন, চ্যানেলের নাম, ব্যানারের ছবি, লোগো, ওয়াটারমার্ক ইত্যাদি। সকল প্রকার তথ্য পূরণ করা শেষ হলে ক্লিক করুন পাব্লিশ আইকোনে। এবার তৈরি হয়ে গেলো আপনার কাঙ্খিত একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল। তবে আপনাকে চ্যানেলটি সময় এবং মনোযোগের সঙ্গে সেটআপগুলো করতে হবে। ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে আপনার মোবাইল নম্বার এবং ইমেইল।

তৈরি করুন কমেন্ট প্লান এবং প্রতিদিন আপলোড করুন ভিডিও- এখন আপলোড করতে হবে প্রতিদিন ভিডিও এবং আপনাকে প্লান তৈরি করতে হবে আপলোড করা ভিডিওগুলির টপিক প্লান নিয়ে। আপনি কি বিষয় কভার করবেন কমেন্ট প্লান, সেই সম্পর্কে আগে থেকেই চিন্তা করে রাখতে হবে। তবে আপনাকে অবশ্যই নিজের বানানো ভিডিও চ্যানেলে আপলোড করতে হবে।

কখোনই অন্য কারো ভিডিও আপলোড করা যাবে না, আপনার চ্যানেলে। অন্যথায় আপনি ইউটিউব কপি রাইট ইস্যুর আওতায় পড়বেন। যেহেতু আপনার লক্ষ ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা, তাই আপনাকে সর্বক্ষণ খেয়াল রাখতে কোন কোন বিষয়গুলো ট্রেন্ডি ও সামাঞ্জস্যপূর্ণ আপনার নির্বাচিত বিষয়ের সঙ্গে।

ভিডিও এর টাইটেল এবং অপ্টিমাইজ- যখন আপনি কোন ভিডিও আপলোড করবেন, তখন অপ্টিমাইজ বা এসইও, টাইটেল, ট্যাগ এবং ভিডিও এর বিষয়বস্তু নির্বাচন করুন। যাতে আপনার লক্ষিত দর্শক সহজে আপনার ভিডিও দেখতে পায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার- আপনার চ্যানেল বিস্তার করার জন্য একটি কমিউনিটি তৈরী করুন। দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদিতে পোস্ট ও প্রচার করুন। আপনার দর্শকদের আপনার চ্যানেলের সাথে যোগাযোগ ও অংশ গ্রহনের জন্য উৎসাহিত করুন।

নিয়মিত আপনার চ্যানেল মনিটর করুন- আপনি ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর আপনার অন্যতম কাজ হলো পর্যবেক্ষণ এবং মনিটর করার মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি করা এবং আপলোড করা। কারণ মনিটর এর মাধ্যমে আপনার চ্যানেলের পারফরমেন্স এবং উন্নয়নের জন্য ভালো কন্টেন্ট তৈরি এবং সাহায্য করবে ভবিষ্যৎ উন্নয়নের স্থান নির্ধারণে।

আর এর জন্য আপনি ইউটিউবের বিল্ট- ইন এনালিটিক্স নামক টুলটি ব্যবহার করে আপনার ভিডিও ভিউজ, রিটার্নিং ইউজার, সাবস্ক্রাইবারসহ অন্য সকল প্রকার তথ্য দেখতে পাবেন। আপনি যদি অনুসরণ করেন, ইউটিউব গাইট লাইন তবে, বিস্তারিত জানতে পারবেন এই সকল তথ্য সম্পর্কে। 

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের আবেদন- আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যখন মনিটাইজেশনের আবেদন করতে যাবেন, তখন নিম্নের বেশ কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন-
  • আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১০০০ থাকতে হবে।
  • আপনার সবকটি ভিডিও মিলে ৪০০০ ঘন্টা ভিউ থাকতে হবে।
উপরে উল্লেখিত বিষয় দুটি যদি আপনার সঠিক থাকে, তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের আবেদন করতে পারবেন। চলুন তাহলে নিম্নের আলোচনা থেকে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের আবেদন করতে হবে- 
  • প্রথমে আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে জেতে হবে ইউটিউব স্টুডিওতে। এখানে আপনি বাম দিকে থাকা আর্ন মেনুতে  ক্লিক করুন। এখানে আপনি তিনটি ধাপ দেখতে পাবেন। আপনি ক্লিক করুন মনিটাইজেশন আবেদনে।
এখানে আপনাকে বানাতে হবে গুগল এডসেন্সের জন্য একটি একাউন্ট। এবার আপনার একাউন্ট নিজের চ্যানেলকে কানেক্ট করুন তাতে। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এই এডসেন্স একাউন্টে এবং বিজ্ঞাপন থকে প্রাপ্ত টাকা জমা হবে এডসেন্সে। এই টাকার পরিমাণ ১০০ ডালার হলেই কেবল আপনি নিজের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে উঠতে পারবেন।

আপনি আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু মনিটাইজেশন পাবেন না, এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে কয়েক দিন। এই সময় ইউটিউব কর্তৃপক্ষ রিভিউ করবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে। যদি আপনার চ্যানেলের সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে আপনার চ্যানেলকে অনুমোদন দিবে মনিটাইজেশনের। এবার আপনি টাকা আয় করা শুরু করবেন আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে।

ইউটিউব থেকে টাকা উত্তোলনের নিয়ম- এডসেন্সের মাধ্যমে পাওয়া টাকা উত্তোলনের জন্য আপনাকে গুগল এডসেন্সে অপশনের পেমেন্ট অপশনে গিয়ে নিজের একটি ব্যাংক একাউন্টের সঠিক তথ্য দিতে হবে। এডসেন্সে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আপনার আয় করা টাকা জমা হবে, আপনার তৈরি করা গুগল এডসেন্স একাউন্টে।

এই টাকার পরিমাণ ১০০ ডালার হলেই কেবল আপনি নিজের ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবেন। এরপর কয়েক (দুই/তিন) দিন পর আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে এবং আপনি ব্যাংক থেকে টাকা উঠাতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়

অনলাইনে এখন বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন ভাবে টাকা আয় করছেন এবং স্বাধীন পেশা হিসাবে নেওয়ার মাধ্যম স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ইউটিউব চ্যানেলের দ্বারা ভিডিও আপলোড করা। আর ভিডিও আপলোড করে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো- 

  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। এই মাধ্যম অনেক ইউটিউবার প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করছেন। এর জন্য আপনাকে আপনার চ্যানেলে প্রচার করতে হবে অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট। আর আপনার প্রচার করা প্রোডাক্ট যদি কেউ কিনে, তবে বিক্রিত প্রোডাক্টের জন্য কোম্পানির তরফ থেকে পাবেন একটা কমিশন। 
  • সুপার চ্যাট এবং স্টিকার- আপনার চ্যানেলে ভিডিও দেখার সময় যদি দর্শকেরা কিনতে পারেন একবার ব্যবহার করা মজাদার অ্যানিমেশন। তাছাড়া কমেন্ট অপশনে গিয়ে তারা পোস্ট করতে পারবে নিজেদের কাস্টমাইজড কমেন্ট। বর্তমানে এর মাধ্যমেও অনেকে টাকা আয় করছেন।
  • বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে- আপনার চ্যানেলে ভিডিও শুরুর আগে, মাঝে এবং শেষে দেখানো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারেন।
  • নিজের প্রোডাক্ট সেল করে- আপনি চাইলে আপনার নিজের প্রোডাক্ট সমুহ আপনার নিজের চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার এবং বিক্রয় করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।
  • পেইড প্রোমোশন- কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টসহ তাদের সার্ভিস সমুহকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়, পেইড প্রোমোশন করে।
  • চ্যানেল মেম্বারশিপ করে- টাকা খরচ করার মাধ্যমে আপনি যদি আপনার চ্যানেলের মেম্বারশিপ নিতে পারেন, তবে সেখান থেকেও অনেক টাকা আয় করা যায়।
  • ইউটিউব প্রিমিয়াম- আপনার চ্যানেল ইউটিউব প্রিমিয়াম মেম্বারেরা যখন আপনার চ্যানেলের ভিডিও দেখেন তখন আপনি পাবেন সাবস্ক্রিপশনের অংশ। 
  • মার্চ শেল্ফ- আপনার ফ্যানরা যদি ভিডিওতে দেখানো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোন প্রোডাক্ট কিনেন তবে আপনি আয় করতে পারবেন টাকা।

কত টাকা আয় করা যায় ইউটিউব থেকে

আপনার ভিডিওতে যদি ভিউ ১০০০ হয়, তবে আপনার চ্যানেলে দেখানো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন ১ বা ২ ডলার পাবেন। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয় করা যাবে। আপনার ইউটিউব থেকে টাকা আয় করাটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে, আপনার ভিডিও প্রতিদিন কতজন মানুষ দেখছে তার উপর।

তাই অধিক পরিমাণে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে প্রতিদিন মান সম্মত এবং জনপ্রিয় টপিকের উপর ভিডিও তৈরি এবং আপলোড করতে হবে। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান, তবে দেরি নাকরে এখনই একটি চ্যানেল তৈরি করে কাজ শুরু করুন। আপনার চ্যানেলের অপরাপর সাফল্য কামনা করছি।

কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়। শেষকথা

তাহলে আমাদের পাঠক পাঠিকাগণ আমরা আশাকরি, আপনারা যদি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনারা জেনে গেছেন "ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়" সহ ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম, ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায়, সে সম্পর্কে সকল প্রকার তথ্য।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ২০২৪ 

যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আশাবাদি। বিশেষ করে যারা ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান, তাদের জন্য। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে এবং উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে অবশ্যই এটি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭