চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার

আরো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদের ফেস প্যাক

''অ্যালোভেরার জেল'' হল সেই সকল লোকদের, যারা তাদের শুস্ক ও ভঙ্গুর চুলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত। কারণ অ্যালোভেরাই শেষ প্রতিকার, যার মধ্যে রয়েছে চুল চকচকে এবং বাউন্সের প্রভাব। তাছাড়া অ্যালোভেরাতে রয়েছে ভিন্ন এক ধরণের ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য, যা চুলের যত্নে ব্যবহৃত বেশিরভাগ পণ্যেই এই বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় না।

আর এই সকল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে অ্যালোভেরার জেল শত শত বছর ধরে চুলের যত্নে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। কিন্তু আপনাকে জানতে হবে, অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার সম্পর্কে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো "চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার'' সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক- 

আজকের পাঠ্যক্রম- চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার

  • অ্যালোভেরা জেলের পুষ্টিগুণ
  • চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার
  • চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা
  • অ্যালোভেরার জেল চুলের ক্ষতিকে রক্ষা করে
  • অ্যালোভেরা জেল চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে
  • খুশকি ও ফ্লেক্স থেকে অ্যালোভেরা জেল রক্ষা করে
  • চুল হাইড্রেট ও ময়েশ্চারিজার করে অ্যালোভেরা জেল
  • মাথার চুলকানি ও চুলে জ্বালাপোড়া বন্ধ করে অ্যালোভেরা জেল
  • চুলের যত্নে সঠিক জেল চেনার উপায়
  • চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
  • চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেলের বিশেষ টিপস
  • চুলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের বিশেষ পরামর্শ
  • চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জেল। শেষকথা

অ্যালোভেরা জেলের পুষ্টিগুণ

প্রাকৃতিক বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন এবং খনিজের খনি রয়েছে অ্যালোভেরার জেলে। মানুষের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিডসহ রয়েছে, প্রায় ১৮ থেকে ২০ প্রকারের অ্যামাইনো এসিড। এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো- 

ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, কপার, আয়রন এবং ম্যাংগানিজ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এতে যে সকল ভিটামিন রয়েছে তা হলো- ভিটামিন "এ, ই এবং সি, এছড়াও রয়েছে ভিটামিন "বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৬ এবং বি-১২। এতে থাকা এসিডের মধ্যে, প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ফ্যাটি এসিড, ফলিক এসিড এবং কোলিন এসিড।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার

অ্যালোভেরা গাছের রস বা জেল প্রায় ৬ থেকে ৭ শত বছর পূর্ব থেকে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। প্রায় ৪৫০ প্রজাতির অ্যালোভেরা গাছ রয়েছে যা, গরম এবং শুস্ক জলবায়ুতে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। অ্যালোভেরা বিভিন্ন প্রসাধনী ছাড়াও এর রয়েছে সুধি বৈশিষ্ট্য। মানুষের কাছে এটি জনপ্রিয় উঠেছে, কারণ ব্রণ, পোড়া এবং ক্ষতের মতো ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ব্যবহার করে।

অনেক বৈজ্ঞানিক ফলাফলে উঠেছে যে, এই উদ্ভিদের চেয়ে, এর জেলে রয়েছে অনেক বেশি সক্রিয় উপাদান ও বৈশিষ্ট্য। ডায়াবেটিস, হেপাটাইটিস ও প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগে সুফল পাওয়ার কারণে, অনেকে অ্যালোভেরা গ্রহন করেন খাবার ও পানীয় হিসাবে। এইভাবেই রাসায়নিক সংমিশ্রণের কারণে সক্রিয় উপাদানের প্রভাব পড়ে চুলের উপরে।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা

অ্যালোভেরার গাছের পাতা থেকে মানুষ রস বা জেল বের করে, যা দেখতে জেলির মতো তরল ও ঘন, এর কোন প্রকার গন্ধ ও রঙ নেই। চুল এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এর রয়েছে অবিশ্বাস্য উপকারিতা। এর জেলে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং মিনারেল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালোভেরার জেল মাথার ত্বকের পিএইচ এর ভারসাম্য ঠিক রেখে চুলের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। যেমন, উদ্দীপিত করে চুল বৃদ্ধিতে, চুলের স্ট্রান্ডগুলি করে তোলে ঘন, চুলকে করে তোলে উজ্জল ও সিল্কি। নিম্নের আলোচনার মাধ্যমে আমরা দেখে নেই কিভাবে অ্যালোভেরার জেল চুলের উপকার করে।

অ্যালোভেরার জেল চুলের ক্ষতিকে রক্ষা করে

অ্যালোভেরার জেলে রয়েছে ভিটামিন "বি এবং সি'', যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন। আর চুলকে UV রস্মি থেকে রক্ষা করতে ভিটামিনগুলো সাহায্য করে, যার ফলে চুলের খতির সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। তাছাড়া অ্যালোভেরা সাহায্য করে বিভক্ত প্রান্ত কমাতে, এর অন্যতম একটি সাধারণ প্রভাব হলো তাপ স্টাইলিং।

অ্যালোভেরা জেল চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে

অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা পুস্টি যোগায় মাথার ত্বকে। এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলের বৃদ্ধি এবং টক্সিন বের করার ফলে মাথার ত্বক রাখে পরিস্কার। তাছাড়া এটি অন্যতম প্রাকৃতিক কন্ডিশনার, যা শক্তিশালি করে স্ট্রান্ডগুলিকে এবং স্থায়িত্ব বাড়িয়ে সাহায্য করে চুল ভাঙ্গা কমাতে।

খুশকি ও ফ্লেক্স থেকে অ্যালোভেরা জেল রক্ষা করে

সাধারণত মাথার ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং শুস্কতার কারণে খুশকি ও ফ্লেক্স ঘটে। অ্যালোভেরার জেলে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি সাহায্য করে ফ্লেকিং কমাতে এবং এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সাহায্য করে খুশকি দূর করতে। তাছাড়া এটি ইনজাইম সমৃদ্ধ, যা সরিয়ে দেয় মাথার ত্বকের অতিরিক্ত মৃত কোষকে।

চুল হাইড্রেট ও ময়েশ্চারিজার করে অ্যালোভেরা জেল

চুলের কিউটিকলকে রক্ষা করার জন্য, চুলের হাইড্রেশন অপরিহার্য। আর প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট এই জেল হওয়ায় চুলে আদ্রতাকে আটকে রাখে। এতে রয়েছে পলিস্যাকারাইড, যা চুলের আদ্রতা ধরে রাখে ও আকর্ষণ করে। তাছাড়া অ্যামিনো এসিড রয়েছে অ্যালোভেরাতে, যা পুষ্ট করতে সাহায্য করে শুকনো ও ভঙ্গুর স্ট্রান্ডগুলি, ফলে চুলকে করে তোলে নরম, মসৃণ ও চকচকে।

আরো পড়ুনঃ ব্রণ দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

মাথার চুলকানি ও চুলে জ্বালাপোড়া বন্ধ করে অ্যালোভেরা জেল

অ্যালোভেরা জেল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি সমৃদ্ধ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা এনজাইম চুলের ফলিকল বন্ধ করতে ও চুল ঝরা কমতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত চুলের যত্নে অ্যালোভেরা যোগ করলে মাথার চুলের জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

চুলের যত্নে সঠিক জেল চেনার উপায়

আপনার চুলের যত্নে নিয়মিত ব্যবহারের জন্য সঠিক পন্য নির্বাচন করা প্রয়োজন। কারণ চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য উজ্জল রাখার জন্য এটি বেচে নেওয়া অপরিহার্য। আর এই সঠিক জেলটি বেচে নেওয়ার জন্য নিম্নের টিপস অনুসরণ করুন- 
  • জৈব উপাদান দেখুন - জৈব অ্যালোভেরা জন্মায় প্রাকৃতিকভাবে এবং তা থাকে কীটনাশকমুক্ত। আর এটি আপনার চুলকে করে তোলে স্বাস্থ্যকর।
  • কোল্ড প্রেসড জেল- কোল্ড প্রসিং অ্যালোভেরায় সনাতন প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতির তুলনায় অনেক বেশি পুস্টি এবং সংরক্ষণ করে এনজাইম।
  • পরীক্ষা করুন এর গন্ধ- শক্তিশালী বা অধিক গন্ধযুক্ত পণ্য এডিয়ে চলুন। কারণ কৃত্রিম সুগন্ধি রাসায়নিক উপস্থিতি নির্দেশক।
  • লেবেল পড়ুন- উপাদানগুলি ভালো করে পড়ুন এবং নিশ্চিত হোন যে, এটি আপনার চুলের কোন ক্ষতি করবে না।
চুলের যত্নের জন্য প্রাকৃতিক এবং সেরা অ্যালোভেরা নিনে নিতে উপরের টিপস অনুসরন করুন। তাছাড়াও, আপনি যে পণ্যটি ব্যবহারের জন্য বেচে নিয়েছেন বা কিনছেন তা পর্যালোচনা করুন এবং ইতিবাচক পণ্য সংগ্রহ করুন আপনার চুলের জন্য।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম

সরাসরি অ্যালোভেরা গাছ থেকে জেল সংগ্রহ করে মাথার ত্বকে লাগানো হলো, আপনার চুলের যত্নে ব্যবহারের সবচেয়ে সহজ এবং ভালো উপায়। আর একবার যদি জেল হয়ে যায়, তাহলে নিম্নের উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন।

** অ্যালোভেরা লিভ ইন কন্ডিশনার- অ্যালোভেরার নির্যাস একটি পাত্রে রেখে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন এসেনশিয়াল অয়েল। এবার ঢালুন একটি পাম্প/ স্প্রে বোতলে এবং চুল পরিস্কার করে এটি প্রয়োগ করুন আপনার মাথার ত্বকে।

** স্প্রে করুন রাতে- অ্যালোভেরার নির্যাস আধাকাপ এবং আদার রস এককাপের চারভাগের একভাগ নিয়ে, দুটি এমসঙ্গে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এবং এটি ঢালুন একটি পাম্প/ স্প্রে বোতলে। রাতে শোয়ার আগে ভালোকরে মাথার ত্বকে স্প্রে করে ২০ মিনিট ম্যাসেজ করে সারারাত রেখেদিন।

** অ্যালোভেরা ও ক্যাস্টর অয়েল- শুস্ক চুল এবং খুশকির ক্ষতি দূর করতে অ্যালোভেরা ও ক্যাস্টর অয়েল আপনাকে সাহায্য করে এবং স্বাভাবিক চুলের দীপ্তি বাড়ায় এই মিশ্রণটি। তাই এই মিশ্রণটি আপনি নিয়মিত ব্যবহারের তালকায় রাখতে পারেন।

** অ্যালোভেরার তেল- ব্লান্ড করা অ্যালোভেরার নির্যাসের সঙ্গে নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন। উপাদান দুটি একটি প্যানে করে গরম করুন বুদবুদ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত। এবার মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথার ত্বকে স্প্রে করুন এবং সারারাত রেখেদিন। তবে মাথায় শ্যাম্পু করার ৩ থেকে ৪ ঘন্টা আগে এটি ব্যবহার করতে হবে।

** অ্যালোভেরা- ভিনেগার DIY মাস্ক- DIY হেয়ার মাস্কের জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরার নির্যাস। এরজন্য আপনাকে নিতে হবে অ্যালোভেরার জেল আধাকাপ এবং আপেল সিডার ভিনেগার ৩ টেবিল চামচ মিশিয়ে নিন। এবার আপনার তৈরি মিশ্রণটি স্প্রে বোতলে ভরে, মাথার ত্বকে এবং চুলে স্প্রে করুন এবং হালকাভাবে ম্যাসেজ করুন।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেলের বিশেষ টিপস

অ্যালোভেরা জেল/ নির্যাস চুলে ববহার করে অধিক উপকার পাওয়ার জন্য নিম্নের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অনুসরণ করুন-
  • গাছ থেকে সরাসরি অ্যালোভেরার পাতা কাটুন।
  • চামচের ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর করে সংগ্রহ করুন জেল।
  • জেল মাথার ত্বকে ম্যাসেজ করুন এবং ১ ঘন্টা সময় মাথায় রাখুন।
  • আপনার ত্বকের উপযোগী শ্যাম্প দিয়ে মাথার ত্বক ও চুল পরিস্কার করুন।
  • ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনি উক্ত পদ্ধতিটি নিয়মিত ভাবে চালু রাখুন।

চুলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের বিশেষ পরামর্শ

ভিন্ন মানুষের ত্বক ও চুলের ধরণ ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনার চুলের ধরন, যেমন- কার্ল ডিগ্রী, টেক্সচার, ঘনত্ব, ব্যাস, পোরোসিটি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যর উপর নির্ধারণ করবে অ্যালোভেরার প্রতিক্রিয়া। যদিও অ্যালোভেরার জেল বেশিরভাগ চুলে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়। কারণ এতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ও বিভিন্ন এসিড চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপযোগী।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জেল। শেষকথা

পাঠক পাঠিকাগণ আমরা আশাকরি আপনারা যদি, আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেক শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন "চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার'' সহ অ্যালোভেরা জেল সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
বিশেষ করে যারা চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে ইচ্ছুক, তাদের ক্ষেত্রে এটি অনেক উপকারি। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালোলাগে এবং উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে এটি অবশ্যই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭