চুল পড়া রোধে ঘরোয়া ১৫ টি উপায়
আরো পড়নঃ ত্বকের উজ্জলতা দ্রুত বাড়াতে ১০ ফেস প্যাক
মানুষের সৌন্দর্যকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চুল। তাই যুগের পর যুগ ধরে মানুষ চুলের প্রতি যত্নে কোন কমতি রাখেননি। তাছাড়া অনেকে চুলকে বৃদ্ধি করতে চাইলেও সম্ভাব হয় না। কারণ আমাদের জীবিন চলার পথে নানান ব্যস্ততার চুলের প্রতি আলাদাভাবে সময় দেওয়া অনেকের জন্য কঠিন।
আবার যদি সুন্দর এই চুল অকালে ঝরে পড়ে, তাহলে কার না চিন্তা হয়! তবে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার কিছু নাই। বিভিন্ন কারণে আমাদের মাথার চুল ঝরে পড়তে পারে। যেমন হতে পারে বয়স কিংবা পরিবেশ দূষণসহ হরমোনাল ইমব্যালেন্স, পুস্টির অভাব, জেনেটিক কারণ, স্ট্রেস, স্কাল্প ইনফেকশন, স্মোকিং, মাত্রাতিরিক্ত হেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার ইত্যাদি।
এছাড়াও ওসুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অটোইমিউন ডিজজ, থাইরয়েড, অ্যানিমিয়া, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম প্রভৃতি কারণ হতে পারে। তবে যাইহোক এই বিষয় নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, কারণ অল্প কিছু উপায়ে চুল বৃদ্ধি করা খুব সহজ। আজকের আর্টিকেলে আমরা শেয়ার করবো "চুল বৃদ্ধি ও চুল পড়া রোধের সহজ উপায়" সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখি-
আজকের পাঠ্যক্রম- চুল পড়া রোধে ঘরোয়া ১৫ টি উপায়
- চুল বৃদ্ধি করতে তেল ব্যবহার
- চুল বৃদ্ধিতে নিয়মিত চুল পরিস্কার করুন
- চুল পড়া রোধে প্রোটিন প্যাক
- চুল বৃদ্ধি করতে পুস্টিকর খাদ্যাভাস
- চুল পড়া রোধে ঘরোয়া ১৫ টি উপায়
- চুল পড়া রোধ করতে শেষকথা
চুল বৃদ্ধি করতে তেল ব্যবহার
চুল বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিতভাবে তেল মালিশ অন্যতম একটি কার্যকর উপায়। কারণ চুল বৃদ্ধি করতে, চুলে ব্যবহার করতে হবে বিভিন্ন ভেষজ তেল, যা চুলকে পুষ্টি যোগায়, ফলে চুল খুব দ্রুত বৃদ্ধি হয়। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন ধরণের তেল একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায় চুলে। নিম্নে বিভিন্ন ধরণের তেল ব্যবহার নিয়ম আলোচনা করা হলো-
- এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল ১ টেবিল চামচ।
- জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ।
- কাঠ মাদামের তেল ১ টেবিল চামচ।
- ক্যাস্ট্র অয়েল হাফ/ আধা টেবিল চামচ।
চুল বৃদ্ধিতে নিয়মিত চুল পরিস্কার করুন
চুল নিয়মিত পরিস্কার করে রাখা জরুরী। আর এই ক্ষেত্রে একদিন পর কিংবা দুইদিন পর চুল শ্যাম্পু করে পরিস্কার করা প্রয়োজন। তবে পরিস্কার করার ক্ষেত্রে শ্যাম্পুর সঙ্গে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কারণ এতে চুল শুস্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। চুলে ময়লা জমার কারণে চুল বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে, তাই চুল নিয়মিত পরিস্কার রাখুন।
চুল পড়া রোধে প্রোটিন প্যাক
রূপ/ চুল বিশেষজ্ঞদের মতে চুলপড়া রোধ করতে সাধরণ খাবারের পাশাপাশি আমিষযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরী। তাই প্রতিসপ্তাহে কমপক্ষে একবার চুলে ব্যবহার করতে হবে চুলের প্রোটিন প্যাক। তবে চুলে প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করার আগে ৪/৫ টি লেবু বা ভেনেগার রসের সঙ্গে পিয়াজের রস ১ টেবিল চামচ, এক্সট্রা ভারজিন নারিকেলের তেল ১ টেবিল চামচ মিশিয়ে মাথায় লাগান।
মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রাখুন ২৫/৩০ মিনিট। এবার আপনি তৈরি করে নিন চুলের প্রোটিন প্যাক। এর জন্য আপনাকে নিতে হবে একটি ডিমের সঙ্গে পরিমাণ মতো টক দই। খেয়াল রাখবেন প্যাকটি জেন একটু ঘনো হয়। এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ৪০/৫০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে পরিস্কার করুন। এতে আপনার চুলে খুসকি দূর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাবে হেয়ার প্যাকের কার্যকারিতা।
চুল বৃদ্ধি করতে পুস্টিকর খাদ্যাভাস
রূপ/ চুল বিশেষজ্ঞদের মতে চুল দ্রুত বৃদ্ধি করাতে আমাদের পূস্টিকর খাবার খাওয়ার প্রতি জোর দেওয়া উচিত। তাই নিয়মিত বিভিন্ন মৌসুমি শাক ও সবজি ফল, ডিম, দুধ, মাছ, বাদাম ইত্যাদি খাবারের অভ্যাস করা দরকার। কারণ ভিটামিন ও আমিষযুক্ত খাবার চুলকে মজবুত করার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলের জন্য পানি পান করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার।
চুল পড়া রোধে ঘরোয়া ১৫ টি উপায়
প্রতিটা মানুষের মাথা থেকে যদি প্রতিদিন স্বাভাবিক ৮০/৯০ টি ঝরে পড়ে তাহলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি এর চেয়েও বেশি মাত্রায় চুল ঝরেপড়ে, সেক্ষেত্রে অনেকটা চিন্তার বিষয়। তাই এই জন্য আমাদের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী এবং চুল পড়া রোধের ব্যবস্থা নিতে হবে অন্যথায় মাথা একসময় ফাকা হয়ে যাবে। নিম্নে চুল পড়া রোধে সহজ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
অ্যালোভেরা- অ্যালোভেরাতে রয়েছে বিশেষ কিছু এনজাইম, যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চুলের বৃদ্ধিতে। ফলে চুল পড়ে মাথা ফাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তাছাড়া অ্যালোভেরার উপকারিতা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। অ্যালোভেরাতে থাকা উপস্থিত প্রপার্টিজ স্কাল্পের পি এইচ এর মাত্রা সঠিক রাখতে ভুমিকা রাখে।
ফলে আমাদের চুল পড়ার হার অনেক কমে যায়। প্রাকৃতিক এই উপাদানটি আপনি ব্যবহার করার জন্য, প্রথমে অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে ফেলুন স্কাল্পে। এক ঘণ্টা বা দেড় ঘন্টা মাথায় লাগিয়ে রাখার পর স্কাল্প হালকা গরম পানি দিয়ে পরিস্কার করে ফেলুন। এটি আপনি প্রতি সপ্তাহে তিনবার বা একদিন পর পর মাথায় ব্যবহার করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে টমেটোতে রয়েছে সকল সমাধান
পেয়াজের রস- পেয়াজের রসে থাকা সালফার চুলের ফলিকেলসে বাড়িয়ে দেয় রক্তের চলাচল, ফলে চুল পড়া দ্রুত কমে যায়। এছাড়াও পেয়াজের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল জাতীয় প্রপার্টিজ, যা আমাদের স্কাল্পের জীবানুদের অনেকটাই মেরে ফেলতে সক্ষম। যারফলে স্কাল্প ইনফেকশন রোধের পাশাপাশি হ্রাস পায় চুল পড়ার আশঙ্কা।
পেয়াজের রস যেভাবে চুলে ব্যবহার করবন। মাঝারি আকারের একটি পেয়াজ থেকে রস বেরকরে নিন এবং সেই রস হালকা করে মাথায় ম্যাসেজ করুন। এটি ব্যবহারের পর ২৫/৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে পরিস্কার করে নিন। এই পদ্ধতিটি আপনি প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে হাতে নাতে ফলাফল পেয়ে যাবেন।
ঘৃত কুমারীর জেল- ঘৃত কুমারীর জেল চুল পড়া রোধ করতে অনেকটাই কার্যকরী বলে ধারনা করা হয়ে থাকে এবং এটি পুষ্টি যোগায় মাথার ত্বকে। আপনি খাটি ঘৃত কুমারীর জেল সরাসরি মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন। ঘৃত কুমারীর জেল/ প্রোটিন যেভাবে আপনার মাথায় ব্যবহার করবেন।
একটি ঘৃত কুমারীর পাতার মাঝখানে কেটে এর মধ্যে থাকা রসালো প্রোটিনগুলো সুন্দর করে প্রয়োগ করুন মাথার ত্বকে। ঘৃত কুমারীর জেল চুলের শুষ্কতা রোধ করে এবং চুলকানির কারণে চুল ঝরা বন্ধ করবে। এটি মাথার ত্বকে ব্যবহার করার সময় ভালো করে ম্যাসেজ করুন। এক ঘণ্টা বা দেড় ঘন্টা মাথায় লাগিয়ে রাখার পর হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা পরিস্কার করে ফেলুন। এটি আপনি প্রতি সপ্তাহে ২/৩ বার মাথায় ব্যবহার করতে পারবেন।
আমলকি- চুলপড়া বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে চুলের বৃদ্ধিতে আমলকির জুড়ি মেলাভার, একথা প্রয় সকলের কাছেই প্রমানিত। কারণ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন "সি" যা চুল বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য করে উন্নতি ঘটায় স্কাল্পের স্বাস্থ্যের। ফলশ্রুতিতে কমে যায় চুল পাড়ার প্রবণতাও।
এটা প্রমানিত যে আমাদের শরীরে ভিটামিন "সি" অভাব দেখাদিলে বেড়ে যায় চুলপড়া। তাই চুল পড়া রোধ করতে প্রয়োজন ভিটামিন "সি" এর ঘাটতি পূরণ করা। আমলকি যেভাবে ব্যবহার করবেন। প্রথমে আমলকির রস ১ টেবিল চামচের সঙ্গে লেবুর রস ১ টেবিল চামচ ভালো করে মিশিয়ে মাথায় ম্যাসেজ করুন এবং এটি সারারাত রেখে দিয়ে সকালে পানি দিয়ে পরিস্কার করুন।
মেথি গাছ- মেথি গাছ চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া এতে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান চুল বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই অনেক যুগ থেকে চুলপড়া বন্ধ এবং চুলের বৃদ্ধিতে মেথি গাছ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই চুল পড়া বেড়ে গেলে যেভাবে ব্যবহার করবেন মেথি গাছ।
প্রথমে পরিমাণ মতো মেথি গাছের বীজ একগ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখেদিন। পরের দিন সকালে পানিতে ভিজিয়ে রাখা বীজগুলো ভালোকরে বেটে পেস্ট তৈরি করুন। এবার পেস্টগুলো মাথায় ম্যাসেজ করে ৪০/৪৫ মিনিট রেখে পানিদিয়ে পরিস্কার করে ফেলুন। এই মিশ্রণটি নিয়মিত ২মাস ব্যবহার করলে চুলপড়া বন্ধের পাশাপাশি স্বপ্ন পূরণ হবে মাথা ভর্তি চুলের।
নারিকেলের দুধ- নারিকেলের দুধে রয়েছে উচ্চমানের পুষ্টি, যা চুলের টিস্যুতে পুস্টির যোগান দেয়। চুল ঝরেপড়া কমাতে এটি খুবই কার্যকরী। এটি ব্যবহার করতে, প্রথমে তাজা নারিকেলের শাঁস পিষেনিন ব্লেন্ডারে। এবার এগুলো ভালোকরে ছেকে বানিয়ে নিন নারকেলের দুধের নির্যাস। এবার আপনার বানানো নির্যাস আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে ম্যসেজ করে ১৫/২০ মিনিট রেখে দিন। এইভাবে নারিকেলের দুধের নির্যাস প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
লাইম বীজ- গোল মরিচের গুড়োর সঙ্গে লাইম বীজের মিশ্রণ আপনার মাথার ত্বকের ছোট ছোট ক্ষত সারতে কার্যকর। উপাদান দুটি গুড়ো করে এর সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে তৈরি করুন পেস্ট। এবার আপনার মাথার যেখান থেকে চুলপড়ে সেখানে সুন্দর করে ম্যাসেজ করুন সপ্তাহে একবার। আক্রান্ত স্থানে নতুন চুল গজাতে এই পদ্ধতিটি অনেক কার্যকর।
তেল ম্যাসেজ- চুলপড়া রোধ করতে প্রতিদিন মাথার ত্বকে তেল ম্যসেজ করা জরুরি। মাথার ত্বকে তেল দিলে ত্বকের রক্ত প্রবাহ অনেক বেড়ে যায় এবং শক্ত ও মজবুত হয় চুলের গোড়া। আর চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হলে স্বাভাবিক ভাবেই চুলপড়া বন্ধ হয়। তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমলার তেল, নারিকেলের তেল, বাদামের তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
জলপাইয়ের তেল ও মধু- দুই টেবিল চামচ করে জলপাইয়ের তেল এবং মধু একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন। এরসঙ্গে, এক টেবিল চামচ দারু চিনির গুড়ো মিশিয়ে তৈরি করে নিন একটি সুন্দর পেস্ট। এবার মিশ্রণটি মাথার ত্বকে এবং চুলে ম্যাসেজ করে ২০/২৫ মিনিট রাখার পর পানি দিয়ে পরিস্কার করুন। নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর।
দধি ও ডিমের সাদা অংশের মিশ্রণ- দুটি ডিমের সাদা অংশ একটি পাত্রে আলাদা করে নন এবং এতে তাজা ঘোল বা দধি ২ টেবিল চামচ ভালো করে মিশে নিন এর সঙ্গে যোগ করুন নিম পাউডার বা শিকাকি ১ টেবিল চামচ। এবার মিশ্রণটি ভালোকরে মাথায় ম্যাসেজ করে ৩০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে পরিস্কার করুন। চুলপড়া রোধ করতে এই পদ্ধতিটি প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
ঘৃত কুমারীর রস ও নিমের পেস্ট- নিমের পাতার চূর্ণের সঙ্গে ঘৃত কুমারীর রস ভালো করে মিশে নিন। এরসঙ্গে ভেষজ আমলার তেল কয়েক ফোটা যোগকরে পেস্ট তৈরি করুন। এবার পেস্টটি মাথার ত্বকে এবং চুলের গোড়ায় সুন্দর করে ম্যাসেজ করুন এবং ২৫/৩০ মিনিট রেখে দিয়ে পানিদিয়ে পরিস্কার করে ফেলুন। এই পদ্ধিতিটি প্রতি সপ্তাহে এক বা দুইবার ব্যবহার করুন।
সানা বীজ ও ক্যাস্টর অয়েল- সানা বীজ ও ক্যাস্টর অয়েল বা নারিকেলের তেল হালকা গরম করে তৈরি করুন পেস্ট। এবার পেস্টটি হালকাভাবে মাথায় ম্যাসেজ করে ২৫/৩০ মিনিটের মতো রেখে হালকাভাবে শ্যাম্পু করে পরিস্কার করে ফেলুন। এর ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার ব্যবহার করলে খুব সুন্দর ফলাফল পাবেন।
নিম পাতার রস- তাজা নিম পাতার রস ভালোকরে পানিতে ফুটিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এরপর এগুলো ঠাণ্ডা হয়ে গেলে, আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে ব্যবহার করুন। চুলপড়া বন্ধ করতে এবং মাথায় নতুন চুল গজাতে এই কার্যকরী প্রক্রিয়াটি প্রতি সপ্তাহে একবার বা দুইবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
চা পাতার নির্যাস- ত্বকের যত্নে চা পাতার উপকারিতার কথা সকলেরই যানা। তবে এর পাশাপাশি চা পাতার নির্যাস চুলের জন্য অনেক কার্যকরী। এর জন্য চা পাতার নির্যাসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুল পানিদিয়ে পরিস্কার করলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। কারণ এতে করে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো করার পাশাপাশি প্রতিরোধ করে চুল ঝরেপড়া।
তামাকের রস- নিয়মিতভাবে শ্যাম্পুর সঙ্গে কয়েক ফোটা তামাক পাতার রস মিশিয়ে চুল পরিস্কার করলে চুল পড়া অনেক প্রতিরোধ করা সম্ভাব। তাই চুলপড়া রোধ করতে এই কার্যকরী উপদানটি ব্যবহার করুন
চুল পড়া রোধ করতে শেষকথা
আশাকরি আপনারা যদি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় "চুল পড়া রোধে ঘরোয়া ১৫ টি উপায়" এবং চুল বৃদ্ধি সম্পর্কে অনেক তথ্য বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন। কারণ আমরা ইতিপূরবেই এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদের ছয় ঘরোয়া প্যাক
আমরা আশাকরি এটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। বিশেষ করে যারা ঘরোয়াভাবে চুলের যত্ন নিতে ঘরোয়া উপাদান খুজছেন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে এবং উপকারি মনে হয়, তবে এটি অন্যের সঙ্গে সেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুব এবং পরবর্তী আর্টিকেল পড়ুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url