ট্রেডিং একাউন্ট কি এর কাজ ও সুবিধাসমুহ

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ২০২৪ 

বিনিয়োগের খেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো অর্থের সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ। বিনিয়োগের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে তাঁর মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ। আর বর্তমানে প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগে এসেছে অনেক স্বচ্ছতা এবং হয়ে উঠেছে আরো লাভজনক।

আর তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বিভিন্ন স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের খেত্রে আর প্রয়োজন পড়েনা স্টক ব্রোকারের। এখন শুধু প্রয়োজন অনলাইন একটি ট্রেডিং একাউন্ট। যার মাধ্যমে আপনি আপনার বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে করতে পারবেন আরো সহজ এবং সুবিধাজনক। তাই আপনি অনলাইনে ট্রেডিং শুরু করার আগে অনলাইনে একটি ট্রেডিং একাউন্ট করুন।

বর্তমানে অনেকেই ট্রেডিং করে আয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন, আপনিও শুরু করেন। তবে শুরু করার আগে আপনাকে জানতে হবে ''ট্রেডিং একাউন্ট কি এর কাজ ও সুবিধা সমুহ'' সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো একাউন্ট, কাজ এবং সুবিধা সম্পর্কে সকল তথ্য। চলুন তাহলে আমরা দেখে নেই-

আজকের পাঠ্যক্রম- ট্রেডিং একাউন্ট কি এর কাজ ও সুবিধা সমুহ

  • ট্রেডিং একাউন্ট কাকে বলে
  • ট্রেডিং একাউন্ট এর কাজ
  • অনলাইনে কিভাবে ট্রেডিং একাউন্ট করবেন
  • কিভাবে অনলাইন ট্রেডিং এ কাজ করে
  • অনলাইনে ট্রেডিং করার সুবিধা সমুহ
  • অনলাইন ট্রেডিং করার ক্ষেত্রে সাবধানতা
  • অনলাইন ট্রেডিং, এর শেষকথা

ট্রেডিং একাউন্ট কাকে বলে

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সংখ্যা এবং মোবাইলে আপনি সামান্য একটি ক্লিক করার মাধ্যমেই করতে পারবেন বিনিয়োগ। অনলাইনে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করার জন্য প্রয়োজন হয় অনলাইনে ট্রেডিং একাউন্ট। আর এই একাউন্টে অন্য সকল একাউন্টের মত নিদিষ্ট নম্বার থাকে। যা আপনাকে সাহায্য করে ট্রেডিং একাউন্ট ট্রাক করতে।

ট্রেডিং একাউন্ট এর কাজ

নিম্নে ট্রেডিং একাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে যে সকল স্থানে বিনিয়োগ করা যায় তা বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হলো-

*** শেয়ার- শেয়ার হলো কোম্পানীর মালিকাধীন রয়েছে এমন একটি নথি যা আপনাকে সমর্থন করে। আপনি যখন কোন কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করবেন তখন আপনি উক্ত কোম্পানির কিছু অংশের মালিক ও এর মাধ্যমে আপনি কোম্পানীর লাভ এবং ক্ষতি উভয়ের ভাগীদার। আর এখানে অনলাইন ট্রেডিং একাউন্টের মাধ্যমে আপনি শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারবেন। 

*** কারেন্সি- কারেন্সিতে বিনিয়োগ করা বলতে বুঝায় ফোরেক্সে বিনিয়োগ করা। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারিরা কর্পোরেশন ও ইটিএফসহ অন্যান্য বিনিয়োগের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে হয় কারেন্সিতে। অন্য যে কোন বিনিয়োগের মত এখানেও আর্থিক ঝুকি জড়িত পণ্য বিনিয়োগের খেত্রে। বিশেষ করে যে সময় আর্থিক সময় অস্থির হয়। 

*** বন্ড- বিভিন্ন প্রকারের আর্থিক বন্ড রয়েছে, যেমন বাণিজিক বন্ড, ট্রেজারি বন্ড, সঞ্চয় বন্ড, মিউনিসিপ্যাল বন্ড ইত্যাদি। এই সকল স্থানে বিনিয়োগকারিকে বন্ড প্রদানকারীরা অর্থ ধারদেন নিদিষ্ট একটি বন্ডের বিনিময়ে। আর বন্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিনিয়োগকারিরা তাঁদের বিনিয়োগের চেয়ে বেশি পরিমাণে অর্থ ফেরত পেয়ে থাকেন।

*** কমোডিটি- কমোডেটিতে বিনিয়োগের করার খেত্রে আপনার দক্ষতা প্রয়োজন স্টক মার্কেট সম্পর্কে। এখানে শুধুমাত্র দক্ষ এবং বাস্তবধরমী বিনিয়োগকারীরাই লাভ করতে পারবেন কমোডিটির মাধ্যমে কারণ এটি খুবই ভোলাটাইল বিষয়। আপনি চাইলে এখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমেও।

আরো পড়ুনঃ ২০২৪ সালে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন শর্ত 

*** ফিউচার- ফিউচারে আপনার বিনিয়োগের ফলে বৈচিত্রময় হবে আপনার পোর্টফলি। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে এটি খুবই ভোলেটাইল। ফিউচার হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীকে সম্পদ ক্রয় বা বিক্রয়ের ক্ষমতা প্রদান করা হয়ে থাকে, পূর্বের নির্ধারিত অন্তনিহিত মুল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে।

অনলাইনে কিভাবে ট্রেডিং একাউন্ট করবেন

বর্তমানে অনলাইনে ট্রেডিং একাউন্ট খোলা খুবই সহজ এবং একেবারেই ঝামেলা মুক্ত। নিম্নের আলোচনায় অনলাইনে কিভাবে ট্রেডিং একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো-

  • আপনি ভালোকরে বিভিন্ন ব্রোকারের চার্জ এবং পরিসেবা সম্পর্কে তুলনা করে দেখুন।
  • এটি নিয়ে একটু ভালোকরে ভাবুন এবং নির্বাচন করুন একটি ব্রোকার বা ফার্ম।
  • অনলাইনে সাবমিট করুন সকল প্রকার  প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সমুহ।
  • এবার আপনি ভেরিভিকেশন পদ্ধতির অনুসরন করতে থাকুন।
  • পেয়ে যাবেন অনলাইন ট্রেডিং একাউন্ট এর সকল বিবরণ।
  • অনলাইন ট্রেডিং একাউন্টে আপনার লেনদেনের ব্যবহার শুরু করুন।

কিভাবে অনলাইন ট্রেডিং এ কাজ করে

আপনি আপনার অনলাইন ট্রেডিং একাউন্টের মাধ্যমে করতে পারবেন অনলাইন ট্রেডিং। অনলাইন একাউন্টটি একটি ডিম্যাট একাউন্ট এবং বিনিয়োগকারীর একাউন্টের সঙ্গে কাজ করবে লিংক হিসাবে। শেয়ার কেনা বা যে কোন বিনিয়োগের সময় বিনিয়োগকারী তাঁর অনলাইন ট্রেডিং একাউন্টের মাধ্যমে দিতে পারবেন অর্ডার।

স্টক এক্সচেঞ্জে আপনার অর্ডার প্রক্রিয়া করার জন্য যায়। প্রক্রিয়ার সকল কাজ শেষ হলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য ডিম্যাট জমা করে কেটে নেওয়া হয় শেয়ার কেনার প্রয়োজনীয় পরিমাণের চার্জ। আর এভাবেই শেয়ার বিক্রয় করেন একজন বিনিয়োগকারী। এভাবেই বিনিয়োগকারি তাঁর ট্রেডিং একাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রয় করেন।

অনলাইনে ট্রেডিং করার সুবিধা সমুহ

অনলাইনে ট্রেডিং এর অনেক সুবিধা রয়েছে। তাঁর মধ্যে নিম্নে কয়েকটি সুবিধার কথা আলোচনা করা হলো-
ফি কম- স্টক মার্কেটে পুরনো কায়দায় আপনি যেভাবে বিনিয়োগ করেন তাঁর তুলুনায় অনলাইন ট্রেডিং এ খরচ অনেক কম। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি যদি এই প্লাট ফ্রমে নতুন হন, তবে প্রথমে পুরনো পদ্ধতি অনুসরন করা ভ্লো। যখন দেখবেন আপনি এটি সম্পর্কে অনেক দক্ষ এবং আপনার পোর্টফলিও সবসময় ২০ শতাংশের উপর থাকবে, তখন শুরু করুন অনলাইন ট্রেডিং।

মনিটরিং সহজ- অনলাইল ট্রেডিং এমন একটি স্থান যেখানে আপনি নিজের সুবিধামত একজায়গায় সমস্ত শেয়ার ক্রয়- বিক্রয়ের নিরীক্ষণ করতে পারবেন। একটি দুর্দান্ত ইন্টারসেফের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের স্টকগুলো সর্বক্ষণ কিভাবে পারফর্ম করছে তা সাহায্য করে দেখতে। তাছাড়া আপনি আপনার ডিভাইজে অ্যাপ ডাউনলোড করে পরিচালনা করতে পারবেন ট্রেডিং একাউন্ট।

দ্রুত লেন্দেন- অনলাইন ট্রেডিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটির কাজ খুব দ্রত। নিমিষের মধ্যেই কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমেই তহবিল স্থানান্তর করা যা এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে। প্রক্রিয়াটি আরো সহজ হয় যদি উভয় একাউন্ট এক ব্যাংকের হয়। বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঝামেলামুক্ত করতে এবং অর্থ উপার্জন করতে দ্রুত সাহায্য করে। 

ভালো নিয়ন্ত্রণ- অনলাইন ট্রেডিং এর খেত্রে ইচ্ছামত ট্রেড করার নমনীয়তা দেয় ট্রেডারদের। তবে ট্র্যাডিশোনাল পদ্ধতির খেত্রে বিনিয়োগকারী আটকা থাকতে পারে ব্রোকারের সঙ্গে যতক্ষণ না যোগাযোগে সক্ষম হয়। আর অনলাইনের খেত্রে দ্রুত ট্রেডিং এবং লেনদেন নিশ্চিত করে। ব্রোকারের উপর নির্ভর না করেই পর্যালোচনা করা যায় সমস্ত বিকল্পগুলি।

অনলাইন টুল অ্যাক্সেস- বিনিয়োগকারীরা টপ রিসার্চ অ্যাক্সেস করতে পারবেন রেকমেন্ডশন, রিপোর্টসহ দেখতে পাবেন সকল ধরণের প্রাইচ পয়েন্ট চার্ট। আবার একজন বিশেষজ্ঞর সাহায্য নিতে পারবেন এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। যাতে করে আপনি খুব দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যেতে পারেন আপনার আর্থিক লক্ষে।

অনলাইন ট্রেডিং করার ক্ষেত্রে সাবধানতা

অনলাইন ট্রেডিং করার ক্ষেত্রে যেকয়টি বিষয়ের প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
  • আপনি যখন আপনার ডিভাইজ লগ ইন করবেন, সেই সময় আসতে পারে "আমাকে মনে রাখবেন" এই ধরণের কোন ডাইলগ বক্স যদি আসে তবে কখনই সেখানে ক্লিক করবেন না বা সংরক্ষণ করা যাবে না পাসওয়ার্ড।
  • কখনই অনলাইন ট্রেড শেয়ার করা কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা করবেন না সাইবার ক্যাফে থেকে।
  • অনলাইলনে ট্রেড করার আগে অবশ্যই আপনার ডিভাইজে ইন্সটল করুন অ্যান্টি ভাইরাস।
  • বিভিন্ন সাইবার জালিয়াতি রোধে ট্রেড করার পর আপন নিশ্চিত করুন লগ আউট।

অনলাইন ট্রেডিং, এর শেষকথা

অনলাইন ট্রেডিং এর অনেক সুবিধা রয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি আরো বৃদ্ধি পেতে থাকবে। একজন বিনিয়োগকারির সকল চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম অনলাইন ট্রেডিং একাউন্ট। তাই আপনিও বিনামুল্যে একটি একটি ট্রেডিং একাউন্ট খুলে শুরু করতে পারেন বিনিয়োগ। আশাকরি যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পুরোটাই পড়েন, তাহলে জেনে গেছেন অনলাইন ট্রেডিং এর সমল বিষয়।
যা আমরা ইতিপূরবেই আলোচনা করেছি। আরো আশাকরি এটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ও উপকারী মনে হলে এটি অবশ্যই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। সকলকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭