ইতালিতে ভিসা খরচ ২০২৪

আরো পড়ুনঃ সুইজারল্যান্ড ভিসা ও ভিসা খরচ ২০২৪

ইতালি, ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিক থেকে অষ্টম সমৃদ্ধশালী দেশ। তাই বিশ্বের মধ্যে প্রবাসীদের অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় গন্তব্য স্থান হলো ইতালি। আর সেটা হতে পারে কাজের জন্য অথবা পড়াশোনার জন্য কিংবা ভ্রমনের জন্য হতে পারে। 

কারণ এই দেশে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের শিল্প কারখানা। সেই কারণে এখানে প্রবাসীদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। তাছাড়াও প্রাচীন এই দেশ বসবাসের জন্যেও অনেক উপযোগী। কারণ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সুন্দর পরিবেশ এই দেশে বিরাজমান। 

সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং বিভিন্ন প্রকারের ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে প্রাচীনতম দেশ ইতিলিতে। ইতিলিতে আপনি পাবেন উচ্চ বিলাসী জীবন যাপনের নানাবিধ সুযোগ- সুবিধা। তাই এই দেশে বসবাস করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ।

ইতিলিতে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে গিয়ে থাকেন। আর সেখানে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়ে ভিসার। ইতিলিসহ বিশ্বের সকল দেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের ভিসা পাওয়া যায়। আর আপনার ভ্রমনের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সংগ্রহ করতে হয় ভিসা। 

আর আপনাকে জানতে হবে ইতালিতে কোন ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো ইতিলিতে ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজের ভিসা সম্পর্কে সকল প্রকার তথ্য। 

আশাকরি আপনারা আমাদের সঙ্গে থেকে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগের সঙ্গে পড়বেন এবং যেনে নিবেন ইতালির ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ইতালির ভিসা সম্পর্কে-

ইতালিতে ভিসা খরচ ২০২৪

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আপনি চাইলেই ইতালির ভিসা তৈরি করতে পারবেন না। তবে আশার ব্যপার হলো ২০২৪ সালে ইতালি বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক নিতে আগ্রহী। 

প্রাচীন এই দেশটি সাধারণত দুই প্রকারের ভিসা প্রদান করে থাকে। যেমন নন সিজিনাল বা শর্ট টার্ম ভিসা এবং সিজিনাল বা লং টার্ম ভিসা। যদিও ইতালি দুই ধরণের ভিসা প্রদান করে, তবে লং টার্ম বা সিজিনাল ভিসা পাওয়ার চেস্টা করে ভিসা প্রার্থীর বেশীরভাগ মানুষ। 

তবে আপনাকে ভিসার আবেদনের আগে নিশ্চিত হতে হবে যে, আপনি কোন উদ্দেশ্যে ইতালিতে যাবেন। আর ইতালিতে ভিসা পাওয়ার খরচ নির্ভর করে আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপর। নিম্নে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা খরচ আলোচনা করা হলো- 

ইতালির স্পন্সার ভিসা খরচ 

ইতালি সরকার প্রতি বছর হাজার হাজার স্পন্সার বিষয়ে ভিসা প্রদান করে। এই ভিসা হলো ইতালিতে এক ধরণের কাজের অনুমোদনের ভিসা। আর বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও স্পন্সার ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন। 

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা ও ভিসা খরচ ২০২৪ 

বাংলাদেশ থেকে এই ভিসা পাওয়ার জন্য খরচ হয় প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ১২ লক্ষ টাকার মতো। তবে অনেক সময় এই টাকার পরিমাণ কম বা বেশী হতে পারে।  এই ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের স্পন্সার দরকার। এটিকে ইতালির কাজের ভিসা হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। 

আর এই ভিসা সরকারি বা বেসরকারি দুই ভাবেই সংগ্রহ করে ইতালিতে যেতে পারবেন। তাছাড়া ইতালিতে ভিসা আবেদনের পূর্বে আপনাকে ভালো করে যেনে নেওয়া উচিৎ আপনার কাজ এবং আপনাকে কত টাকা বেতন দিবে সে সম্পর্কে সকল তথ্য।

ইতিলিতে কৃষি কাজের ভিসা খরচ

প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক লোক ইতিলিতে কৃষি কাজের ভিসা সংগ্রহ করে থাকেন। আর বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে কৃষি কাজের ভিসার জন্য সরকারিভাবে খরচ হয় ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ১০ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। তবে আপনাকে জানতে হবে ইতালিতে কৃষি কাজের বেতনসহ সকল তথ্য।

ইতালিতে ভ্রমন বা টুরিস্ট ভিসা খরচ

ইতালি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন দেশ হওয়ায় এখানে পর্যটকদের ভ্রমনের জন্য অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক স্থাপত্য শিল্পে ভরপুর ইতালি টুরিস্টদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য স্থান। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে ভ্রমন ভিসার জন্য ৪ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তবে এখানে সকল খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইতিলিতে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ

ভালো মানের উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমানে ইতালির সুনাম সারাবিশ্বে সবার উপরে রয়েছে। কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চাইলে ইতালির বিকল্প মেলাভার। তাছাড়া এই দেশে পড়াশোনার পাশাপাশি আবেদনকারি তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য ইতালির স্টুডেন্ট ভিসা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত রয়েছে।

আর বাংলাদশ থেকে ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য খরচ হয় ৬ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। তবে আপনি যদি ফুল স্কলারশিপ নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার সুযোগ পান, তাহলে অনেক সময় এই খরচ আরো অনেক কমে ভিসা পাওয়া যায়। আর স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ সাধারনত ৫ বছর হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ তথা বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে ইতালি বা অন্য দেশে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে পাসপোর্ট। এরপর আপনি যে কারণে ইতালিতে যেতে চান সে অনুযায়ী আবেদন করতে হবে ভিসার জন্য এবং অনুমোদন নিতে হবে। 

আপনি আপনার আবেদন অনুযায়ী ভিসা হাতে পেয়ে গেলে ইতালিতে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কিনে পাড়ি জমাতে পারেন ইতালিতে। ইতালিতে যাওয়ার জন্য অনেকেই অবৈধভাবে যাত্রা শুরু করেন, তবে এই ঝুকি নেওয়া থেকে বিরত থাকাই উচিৎ। 

কারণ এই পথে যাত্রা করে অনেকেই রাস্তায় ধরা বা মারা পড়েন। আপনি বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে সরকারি ও বেসরকারি দুই ভাবেই বৈধ উপায়ে স্বপ্নের দেশ ইতালিতে পাড়ি জমাতে পারেন। তবে আপনি যাওয়ার আগে কাজের জন্য গেলে বেতনসহ কতটাকা খরচ লাগে তা যেনে নিন।

তাছাড়া আপনাকে ইতালিতে প্রবাসে যাওয়ার আগে সেই দেশের প্রধান ভাসা ইতালি ভাসা শিখা জরুরি। যদিও ইতালি ভাষা অনেক কঠিন। ইতালিয় ভাষা জানা থাকলে সেই দেশে কাজ খুজে পাওয়া সহজ। তাই আপনাকে সেই দেশের ভাষা শিখা অবশ্যই জরুরি। 

ইতালির জীবন যাত্রার ব্যয় অনেক বেশি। তাছাড়া অনেক শহর আছে যেখানে অপারাধের প্রবনতা অনেকটাই বেশি।

ইতালিতে ভিসা খরচ। শেষকথা

আশাকরি আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে অবশ্যই ইতালি ভিসা খরচ ২০২৪ সহ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য যেনে গেছেন। তবে যাই হোক ইতালি বা যেকোন দেশে যাওয়ার জন্য বৈধ উপায়ে এবং ভালো এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুনঃ দুবাইয়ে ভিসা এবং ভিসা খরচ ২০২৪

আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে এবং উপকারি বলে আপনার কাছে মনে হয়, তাহলে এটি আপনার পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url