চুলে যত্নে মেহেদী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
আরো পড়ুনঃ চোখের নিচের কালোদাগ দূর করার উপায়
মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সকলের চুল পাকা বা সাদা হওয়া শুরু হয়। আর সাদা বা পাকা চুল ঢাকার জন্য অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন মেহেদী। মেহেদী যে কেবল পাকা বা সাদা চুলকে ঢাকার জন্য ব্যবহার করা তা কিন্তু নয়। এর রয়েছে অনেক উপকারিতা, যা আমাদের অনেকের কাছেই বিষয়টি এখনো অজানা।
আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো "চুলে মেহেদী পাতা ব্যবহারের নিয়ম উপকারিতা ও উপকারিতা'' সম্পর্কে সকল তথ্য। আশাকরি আপনারা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে চলুন তাহলে যেনে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- চুলে যত্নে মেহেদী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- চুলে মেহেদী পাতা ব্যবহারের নিয়ম
- চুলে মেহেদী ব্যবহারের উপকারিতা
- ত্বকে মেহেদী পাতার উপকারিতা
- মেহেদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা
- শেষকথা
চুলে মেহেদী পাতা ব্যবহারের নিয়ম
মেহেদী পাতা পানিতে ভিজিয়ে ভালোকরে থেতো করে বানিয়ে নিন পেস্ট। আপনার বানানো পেস্ট চুলের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ব্রাসের মাধ্যমে সুন্দর করে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। যতক্ষণ না আপনার লাগানো মেহেদী না শুকায়। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে পরিস্কার করে নিন। আবার আপনি যদি চুল কালার করতে চান তবে পরিমাণ মতো কফির সঙ্গে পানি ফুটিয়ে নিন।
কফির পানি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি পাত্রে কফির পানির সঙ্গে মেহেদীর গুড়ো মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার বানানো পেস্ট ব্যবহার করুন সমস্ত চুলে। চুলের খুসকি দূর করার জন্য বেহেদী গুড়োর সঙ্গে দই এবং লেবুর রস মিশিয়ে বানিয়ে নিন পেস্ট। এরপর আপনার সমস্ত চুলে ব্যবহার করে অপেক্ষা করুন ত্রিশ মিনিটের মতো। এবার শ্যম্পু দিয়ে মাথা পরিস্কার করুন।
বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত মেহেদী ব্যবহার করার ফলে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। তাই আমরা চেষ্টা করবো গাছের অর্গানিক মেহেদী ব্যবহারের। মেহেদী আপনি যত বেশি সময় ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন, মেহেদীর রং ততবেশি ভালো হবে। তবে মেহেদীর রং ভালো পাওয়ার জন্য তিন থেকে চার ঘণ্টার মতো লাগিয়ে রাখা ভালো। এতে মেহেদীর রং বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠে।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে লেবুর রস ব্যবহারের সহজ উপায়
আমাদের অনেকেই মেহেদী ব্যবহার করার পর সাবান দিয়ে পরিস্কার করে থাকেন। এটা মোটেও ঠিক নয়, কারণ সাবানে থাকা ক্ষারীয় উপাদান নষ্ট করে ফেলে মেহেদীর রং। আপনি চাইলে আপনার ত্বকে চিনি বা লেবুর রস ব্যবহার করে রং আরো গাড়ো করতে পারেন। তবে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে শুকানোর চেষ্টা করুন।
চুলে মেহেদী ব্যবহারের উপকারিতা
নিয়মিত চুলে মেহেদী ব্যবহারের ফলে নিম্নের উপকারিতা পাওয়া যায়-
- চুলের গোড়া হয় মজবুত এবং চুলপড়া বন্ধ হয়।
- চুল আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করে থাকে।
- মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- তৈলাক্ত ভাব দূর করে চুলের।
- চুলের উজ্জলতা বাড়ায়।
- চুলের রুক্ষতা দূর করে।
- চুল হয় খুশকি মুক্ত।
- চুল করে কণ্ডিশন।
ত্বকে মেহেদী পাতার উপকারিতা
মেহেদীর পাতা ভালো করে থেতো করে পরিমান মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট পানিয়ে ফেলুন। নিম্নে মেহেদী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
*** ঘামাচি দূর করতে- মেহেদী শরীর জালাপোড়া এবং ঘামাচি ও চুলকানি দূর করতে বেশ কার্যকরী। মেহেদী পাতায় বানানো পেস্ট ঘামাচি বা চুলকানি আক্রান্ত স্থানে ত্রিশ মিনিটের মতো লাগিয়ে রেখে পারিস্কার করে ফেলুন।
*** ক্ষত সারতে মেহেদী- শরীরের বিভিন্ন ক্ষত সারতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে মেহেদী। এর জন্য ক্ষত স্থানে বানানো পেস্ট এর প্রলেপ দিয়ে রাখুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে পেস্ট যেন ঘন না হয়।
মেহেদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা
সকল জিনিসের উপকারিতা পেতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মেহেদীর ক্ষেত্রেও একই। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিম্নে সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে-
- অনেকের ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মেহেদী এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ মেহেদীর শীতলতা এই সমস্য আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
- মাথার তালুতে বা কপালে মেহেদীর দাগ এড়াতে ব্যবহার করুন চুলের লাইনে পেট্রোলিয়াম জেলির কোট।
- মেহেদীর পেস্ট চুলে পুরোপুরি শুকাতে দিবেন না। এতে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে চুলে।
- অ্যালার্জি কিংবা চর্মরোগ থাকলে ্মেহেদী ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url