স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রাম ঘুরে আসুন

আরো পড়ুনঃ একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের মনোমুগ্ধকর আটস্থান

গোলাপ গ্রাম, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য। বাংলাদেশের ঢাকার অদুরেই গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক ভাবে গোলাপের চাষ। গোলাপ গ্রামটি এখন বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত হয়ে উঠেছে। এখন গোলাপ গ্রামটি দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ পরিবার, সঙ্গি কিংবা বন্ধু- বান্ধব নিয়ে  ভিড় জমাচ্ছেন। 

আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো ঢাকার অদুরে সাভারের বিরুলিয়ার অন্তরগত সাদুল্লাপুর গ্রাম যা বর্তমানে সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে গোলাপ গ্রাম হিসাবে সেই সম্পর্কে। আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়েন, তবে জানতে পারবেন এই গ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। চলুন দেখে নেওয়া যাক তাহলে-

আজকের পাঠ্যক্রম- স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রাম ঘুরে আসুন

  • স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রাম কোথায় অবস্থিত
  • স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রাম ঘুরে আসুন
  • স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রামের ইতিহাস
  • স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রামে গোলাপের হাট
  • কিভাবে যাবেন স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রামে
  • শেষকথা

স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রাম কোথায় অবস্থিত

রাজধানী ঢাকার নিকটে সাভারের বিরুলিয়ায় অবস্থিত সাদুল্লাপুর বা স্বপ্নের গোলাপ গ্রামটি। মিরপুর বেড়ি বাঁধের পশ্চিম দিকে অবস্থিত সাদুল্লাপুর, মোস্তাপাড়া, শ্যামপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে এখন বাণিজ্যিকভাবে গোলাপের চাষ হচ্ছে। আর এই গ্রামগুলি এখন স্বপ্নের গোলাপ গ্রাম নামে পরিচিত। 

স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রাম ঘুরে আসুন

সাদুল্লাপুর, মোস্তাপাড়া, শ্যামপুর, কমলাপুর, বাগ্মীবাড়ি ইত্যাদি গ্রামজুড়ে গোলাপের রাজ্য। এই সকল গ্রাম বেয়ে চলার সময় রাস্তার দুই পাশে যতদুর আপনার চোখ যায় দেখতে পাবেন গোলাপসহ দেশি- বিদেশি হরেক রকম বাহারী এবং সুগন্ধি ফুল। যা দেখে যে কোন পর্যটকদের মন খুব সহজেই ভরে উঠে।

তাই এখন তুরাগ নদীর তীরে গড়ে উঠা গ্রামগুলি ভ্রমনকারী কিংবা পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণের স্থান হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই গ্রামগুলিতে শত শত ভ্রমকারি বা পর্যটকদের পদাচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। তাই আপনিও একটু সময় করে পরিবার- পরিজন, সঙ্গী কিংবা বন্ধু- বান্ধব নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রামের ইতিহাস

এক সময় ভাওয়ালের রাজার অধীনে থাকা সাদুল্লাপুর গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে গোলাপের চাষ শুরু হয় ১৯৯০ সালে। গোলাপের চাষ করে লাভবান হওয়ার ফলে, এর সঙ্গে ক্রমেই যুক্ত হতে থাকেন এলাকার অনেকেই। পরবর্তীতে গোলাপের পাশাপাশি দেশি- বিদেশি নানান প্রজাতির ফুল চাষ হতে থাকে। বর্তমানে এখানে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে মিরিন্ডা গোলাপ, ইরানি গোলাপ, চায়না গোলাপ, রজনীগন্ধা। জারবেরা, চন্দ্র মল্লিকা গ্লাডিওলাস ইত্যাদি।

বর্তমানে এই এলাকায় গোলাপসহ বিভিন্ন ফুলের চাষ করে দেশের অর্থনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখন এই সকল গ্রামের পথের ধারে রয়েছে অসংখ্য লাল গোলাপের বাগান। তবে লাল গোলাপের পরিমাণ বেশি হলেও মাঝে মধ্যেই আপনার চোখে পড়বে সাদাসহ বিভিন্ন গোলাপ, জারবেরা গ্লাডিওলাসসহ আরো অনেক রকম ফুলের বাগান।

আরো পড়ুনঃ দেশের সবচেয়ে বড় নবরত্ন মন্দির সিরাজগঞ্জ

এই এলাকায় দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে গোলাপের ক্রয়- বিক্রয়। এখানে লাল, নীল, গোলাপী বেগুনী, হলুদসহ বিভিন্ন রঙ ও আকৃতির গোলাপ পাওয়া যায়। আর এটি ঢাকা শহরের খুব নিকটে হওয়ার কারণে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্যই প্রতিদিনই প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে "স্বপ্নের গোলাপ গ্রামে''।

স্বপ্নের সেই গোলাপ গ্রামে গোলাপের হাট

প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় শ্যামপুরে বসে গোলাপের হাট। ঢাকাসহ দেশের বভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য পাইকাড়ের আগমন ঘটে এই হাটে। পাইকাড়ি বেচা- কেনা চলে গভির রাত পর্যন্ত। এছাড়াও সাবু মার্কেট মোস্তফা পাড়ায়ও গোলাপের বেচা- কেনা হয়। সারা বছর গোলাপের চাহিদা থাকায় চাষিরাও ব্যস্ত থাকেন সারা বছর। তবে বিশেষ বিশেষ উৎসবের সময় এর চাহিদা অনেকগুণ বেড়ে যায়।

কিভাবে যাবেন স্বপ্নের গোলাপ সেই গ্রামে

সাভারের তুরাগ নদীর তীরে সাদুল্লাপুর গ্রাম ঢাকার খুব নিকটে।  ঢাকার যেকোন স্থান থেকেই গাবতলীতে যেতে হবে প্রথমে। এখান থেকে বাসযোগে সাভারের বাসস্টন্ডে নামার পর, সেখান থেক সিএনজি, রিক্সা বা অটোরিক্সায় করে ২০/৩০ টাকা ভাড়ায় খুব সহজেই পৌঁছে যাবেন আপনার কাঙ্খিত "স্বপ্নের গোলাপ গ্রামে''।

এছাড়াও মিরপুরের শাহ্‌ আলীর মাজারের সামনে থাকা কোণাবাড়ি বাসস্টান্ড হতে বাসে যেতে হবে আকরান তসবের, এতে আপনার বাস ভাড়া লাগবে জনপ্রতি ২০/২৫ টাকা। সেখান থেক সিএনজি, রিক্সা বা অটোরিক্সায় করে ১০/২০ টাকা ভাড়ায় খুব সহজেই পৌঁছে যাবেন আপনার কাঙ্খিত "স্বপ্নের গোলাপ গ্রামে''।

আবার আপনি যদি সাভার থেকে যেতে চান, তাহলে আপনাকে যেতে হবে সাভারের চৌরাংগী মার্কেটের সামনে থাকা মিনিবাস কিংবা লেগুনায় করে আকরান বাজার। সেখান থেক সিএনজি, রিক্সা বা অটোরিক্সায় করে ১০/২০ টাকা ভাড়ায় খুব সহজেই পৌঁছে যাবেন আপনার কাঙ্খিত "স্বপ্নের গোলাপ গ্রামে''।

শেষকথা

আশাকরি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সঙ্গে "স্বপ্নের গোলাপ গ্রাম'' সম্পর্কে অনেক তথ্য বিস্তারিতভাবে শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আসাবাদি। বিশেষ করে যারা ''গোলাপ গ্রাম'' যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি অনেক উপকারে আসবে।

আরো পড়ুনঃ ঐতিহাসিক ভবানীপুর জমিদারবাড়ি ধবংসের পথে

আর্টিকেলটি যদি ভালোলাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তবে এটি অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভূলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি দেখুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭