দৃষ্টি নন্দন বিনোদন পার্ক শখের পল্লী

আরো পড়ুনঃ পর্যটনের শিল্পের বিপুল সম্ভাবনাময় রক্তদহ নদী

যান্ত্রিক, কোলাহল এবং কর্মময় ব্যস্ত জীবন থেকে অন্তত এক দিনের জন্য হলেও পরিবার, বন্ধু- বান্ধব কিংবা সঙ্গীদের নিয়ে আনন্দঘন জীবন কাটাতে কার না মন চায়। কিন্তু কোথায় যাবেন, কিভাবে যাবেন কেমন খরচ হবে এই সকল চিন্তা মাথায় ঘুর পাক খায়। আবার গুগলে সার্চ করে থাকেন ভালো একটা স্থানের সম্পর্কে জানার জন্য।

আর আপনি যদি এমন একটি স্থানের খোঁজ করে থাকেন, তবে আপনি সঠিক স্থানেই এসছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো বগুড়া জেলার সীমান্ত এলাকা নওগাঁ জেলের কোলঘেসা ঐতিহাসিক সান্তাহারে অবস্থিত এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ''দৃষ্টি নন্দন বিনোদন পার্ক শখের পল্লী'' সম্পর্কে। চলুন দেখা যাক-

আজকের পাঠ্যক্রম- দৃষ্টি নন্দন বিনোদন পার্ক শখের পল্লী

  • শখের পল্লী কোথায় অবস্থিত
  • শখের পল্লীর প্রতিষ্ঠাতা ও নাম করণ
  • শখের পল্লীতে কি দেখা যাবে
  • শখের পল্লীর প্রবেশ মুল্য ও খোলার সময়
  • কিভাবে যাবেন শখের পল্লী
  • কোথায় খাবেন ও থাকবেন শখের পল্লী
  • শেষকথা

শখের পল্লী কোথায় অবস্থিত

এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন পার্ক শখের পল্লী বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্র বশিপুর মৌজায় অবস্থিত। এই পার্কটি বশিপুর বাইপাস সড়কের পার্শ্বে ৪৫ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পার্কটি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে জন সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

শখের পল্লীর প্রতিষ্ঠাতা ও নাম করণ

সান্তাহারের স্থানীয় ব্যক্তি বিশিষ্ট প্রকৌশলী জনাব নজরুল ইসলাম (বীর মুক্তিজোদ্ধা) তিনি তাঁর শখের বশে স্থানীয় তথা উত্তর বঙ্গের মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য ৪৫ বিঘা জমির উপর পার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিনোদন পার্কটি জনাব নজরুল ইসলাম শখের বশে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দৃষ্টি নন্দন পার্কটি। আর তাই এর নাম করণ করা হয়েছে "শখের পল্লী''। 

শখের পল্লীতে কি দেখা যাবে

এই বিনোদন পার্কটিতে দর্শনার্থীদের চিত্ত বিনোদনের লক্ষে মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে একটি মিনি চিড়িয়াখানা। শখের পল্লী মিনি চিড়িয়া খানায় রয়েছে বানোর, খড়্গোশ, কাকাতুয়া, লাভ বারড, অস্ট্রেলিয়ান কবুতর, বাজুরিকাসহ হরেক রকমের পাখি। রয়েছে সুইমিং পুল, ক্যাবল কার, পিকনিক কর্নার এবং কমিউনিটি সেন্টার।

আরো পড়ুনঃ ধবংস প্রাপ্ত দয়াময়ী দেবী মন্দির পটুয়াখালী

বাচ্চাদের খেলার জন্য রয়েছে সুপার চেয়ার, দোলনা মই, পিচ্ছিলসহ অনেক রাইডস। এখানে আরো রয়েছে একটি পুকুর এবং পুকুরে রয়েছে স্প্রিড বোড, প্যাডেল বোড।  জলপরির ভাস্কার্য রয়েছে পুকুরে এবং পুকুরপাড়ে বাচ্চাদের জনপ্রিয় মিনি ট্রেন লাইন এবং ষাটবাড়ী নামক একটি রেল ষ্টেশন রয়েছে। যেখানে ট্রেনে উঠা নামা করা হয়।

জনপ্রিয় এই পার্কে রয়েছে বিশালাকারের ভাস্কার্য,। যেমন জলপরি, মৎস্যকন্যা, বাঘ, হরিণ, হাতি, ক্যাঙ্গারু, জিরাফ, ঘোড়া, ঈগল, পেঙ্গুইন ইত্যাদি। এই বিনোদন পার্কের দেয়ালে অঙ্কন করা হয়েছে মনোমগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি। উত্তর বঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় দৃষ্টি নন্দন বিনোদন পার্ক শখের পল্লীর প্রধান আকর্ষণ হলো সুইমিং পুল।

এখানে রয়েছে দূর- দূরান্ত থেকে আসা পর্যটক বা ভ্রমনকারীদের রাত্রি যাপনের জন্য শুকতারা এবং ধ্রবতারা নামে দুটি গেস্ট হাউস। পার্শ্বেই রয়েছে নামাজের জন্য ওয়াক্তিয়া মসজিদ, এখানে আগত পর্যটক বা ভ্রমনকারীসহ পার্কের কর্মকর্তা করমচারীরা নামাজ পড়েন। পার্কের ভেততে রয়েছে খাবারের জন্য কনফেকশনারী এবং রেস্টুরেন্ট।

প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটক বা ভ্রমনকারী সব বয়সীরা মেতে উঠেন জলকেলিতে। এখানে প্রতিদিন শত শত পর্যটক বা ভ্রমনকারীর পদাচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। বিশেষ করে শুক্রবারসহ সরকারি ছুটির দিন এবং ঈদের ছুটির সময় বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহীসহ আশপাশের জেলের হাজার হাজার মানুষ এই পার্কে ভিড় জমান।

শখের পল্লীর প্রবেশ মুল্য ও খোলার সময়

জনপ্রিয় এই বিনোদন পার্কটিতে প্রবেশ করার জন্য জনপ্রতি ২০ টাকা পারবেশ মুল্য পরিশোধ করতে হয়। তাছাড়াও এই পার্কের বিভিন্ন রাইডস এ আলাদা মুল্য প্রদান করতে হয়। যেমন ১০ টাকা থেক সুইমিং পুল ৫০ টাকা। দৃষ্টি নন্দন বিনোদন পার্ক শখের পল্লী প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সকাল ৯ টা থেকে বৈকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

কিভাবে যাবেন শখের পল্লী

ঢাকাসহ দেশের যে কোন স্থান থেকে শখের পল্লীর যাওয়ার জন্য বাস এবং রেলযোগে খুব সহজে যাওয়া যায়। এই জন্য আপনাকে প্রথমে সান্তাহার যেতে হবে। এখান থেকে রিক্সা কংবা অটো চার্জরে করে ১৫ বা ২০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া যায়। আবার আদমদীঘি উপজেলা সদর থেকেও  রিক্সা কংবা অটো চার্জরে করে ১৫ বা ২০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া যায়।

কোথায় খাবেন ও থাকবেন শখের পল্লী

থাকা খাওয়ার জন্য আপনি চাইলে শখের পল্লীতে থাকা রেস্ট হাওজে থাকতে এবং সেখানে থাকা রেস্টুরেন্টে খেতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে পার্শ্বে থাকা সান্তাহার কিংবা নওগাঁ জেলা সদরে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। সেখানে বিভিন্ন মানের আবাসিক ও খাবারের হোটেল রয়েছে। আপনি আপনার সাধ্যমত ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।

শেষকথা

আশাকরি আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের ''দৃষ্টি নন্দন বিনোদন পার্ক শখের পল্লী'' সম্পর্কে অনেক তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আসাবাদি। বিশেষ করে যারা এই পার্কে ভ্রমন করতে ইচ্ছুক, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি অনেক উপকারে আসবে। 

আরো পড়ুনঃ সৌন্দর্যভরা নরসুন্দা লেকসিটি কিশোরগঞ্জ

আর্টিকেলটি ভালোলাগলে এবং উপকারি বলে মনে হলে এটি অবশ্যই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭