একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের মনোমুগ্ধকর আটস্থান
আরো পড়ুনঃ দেশের সবচেয়ে বড় নবরত্ন মন্দির সিরাজগঞ্জ
আপনি কি নারায়নগঞ্জ বা ঢাকা কিংবা ঢাকার আশেপাশে কোথাও থাকেন? আপনি কি প্রতিদিনের কর্ম ব্যস্ততায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? একঘেয়েমি জীবন আর ভালো লাগছেনা? পরিবার কিংবা বন্ধু বান্ধব নিয়ে একটু আনন্দ ঘন সময় কাটাতে চাচ্ছেনন? অথবা চিন্তা করছেন কোথায় গিয়ে একটি সুন্দর দিন কাটানো যায়!
তাহলে আপনি চোখ বন্ধ করে ঘুরে আসতে পারেন নিম্নে বর্ণিত নারায়ণগঞ্জের মনোমুগ্ধকর এই সকল স্থানগুলো থেকে। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো নারায়ণ গঞ্জের মনোমুগ্ধকর আট স্থান সম্পর্কে সকল তথ্য। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এই স্থানগুলো সম্পর্কে-
আজকের পাঠ্যক্রম- একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের মনোমুগ্ধকর আটস্থান
- একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন নারায়ণ গঞ্জের মনোমুগ্ধকর আটস্থান
- বাংলার তাজমহল একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
- জিন্দা পার্ক একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
- পানাম নগর একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
- মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
- সোনাকান্দা দুর্গ একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
- সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
- মায়াদ্বীপ একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
- পিরামিড একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
- শেষকথা
একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের মনোমুগ্ধকর আটস্থান
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন শহর নারায়ণগঞ্জ জেলা। এই জেলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি গোটা নারায়ণগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়াও এই জেলায় রয়েছে ঐতিহাসিক, দর্শনীয় অনেক স্থান। তাই আপনার যদি হাতে সময় ও সুযোগ কম থাকে তাহলে একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের মনোমুগ্ধকর স্থানগুলো থেকে। নিম্নে স্থানগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
বাংলার তাজমহল একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
আমাদের প্রায় সকলরই দিল্লির তাজমহল দেখার সাধ রয়েছে কিন্তু সময় কিংবা সাধ্যের কারণে তা দেখা সম্ভব হয়না। তাইতো দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর জন্য নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে (পেরাব গ্রামে) নির্মাণ করা হয়েছে আগ্রার তাজ মহলের অনুকরণে বাংলার তাজমহল। আগ্রার তাজমহলের অনুকরণে নির্মিত এটিকে বলা হয় দ্বিতীয় তাজমহল।
বাংলার তাজমহলটির প্রধান ফটক নির্মাণ করা হয়েছে দামি ও স্বচ্ছ পাথর দ্বারা। বাংলার তাজমহলের ভেতরে সংরক্ষণ করা হয়েছে আহসান উল্লাহ মনি এবং তাঁর স্ত্রী রাজিয়ার কবর। আগ্রার তাজমহলের আদলে এই তাজমহলের সামনে রয়েছে দর্শনার্থীদের বসার স্থান, ফুলের বাগান, পানির ফুয়ারা এবং মূল ভবনের সামনে নির্মাণ হরা হয়েছে ৪ কোণ বিশিষ্ট ৪টি বড় মিনার।
জিন্দা পার্ক একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
কর্ম ব্যস্ততা এবং সময়ের অভাবে দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে না পারার কারণে অল্প সময়ের জন্য ঘুরে আসার অন্যতম স্থান হলো জিন্দা পার্ক। আর এই জিন্দা পার্কটি প্রায় ১৫০ একর ভূমির উপর রূপগঞ্জের দাউদপুরে গড়ে উঠেছে। এখানে রয়েছে ৫টি জলধারা এবং প্রায় ২৫০ প্রজাতির দেশী- বিদেশি ১০ হাজারের অধিক গাছ।
এছাড়াও পার্কের ভেতরে রয়েছে মার্কেট, ক্যান্টিন, সুন্দর স্থাপত্যশৈলীর লাইব্রেরী এবং মিনি চিড়িয়াখানা সেখনে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীতে পূর্ণ রয়েছে। তাই অল্প সময়ে জন্য বন্ধু- বান্ধব কিংবা পরিবার নিয়ে পিকনিক বা ঘুরতে চাইলে আপনার পছন্দের প্রথম তালিকায় রাখুন জিন্দা পার্কটি।
এই পার্কে যাওয়ার জন্য কুড়িল বিশ্বরোড পূর্বাচল হাইওয়ে থেক বিআরটিসি বাসে করে খুব সহজে জিন্দা পার্ক যাওয়া যায়। প্রতিদিন এই পার্কটি সকাল ৯টা থকে নিয়মিত খোলা থাকে। এই পার্কে প্রবেশের জন্য ১৫০টাকা এবং শিশুদের জন্য ৫০টাকা প্রবেশ ফি দিতে হবে। তবে পার্কের ভিতরে বাইরের খাবার নিয়ে যেতে চাইলে টাকার পরিমাণ কিছু বেশি লাগে।
পানাম নগর একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
পানাম নগরে প্রবেশ করা মাত্রই আপনি হারিয়ে যাবেন সুদুর অতীতে। যে সময়ে দেশে ছিল রাজা- জমিদার ও রাণি- বেগম এবং বিশাল সম্রাজ্য। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও একসময় ছিল বাংলার রাজধানী এবং প্রাচীন শহর। প্রয় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই প্রাচীন নগরটি বিস্তৃত ছিলো। পানাম নগরীর দুই পাশে এখনো মাথা উঁচু করে ৫২টি স্থাপনা ঔপনিবেশিক আমলের কথা জানান দিচ্ছে।
বর্তমানে ভবনগুলোর কোনটির জানালা ভাঙ্গা, ইট খসে পড়েছে, আবার কোনটি ধবংস প্রাপ্ত তবে এখানো ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে যাইহোক এই ভবনগুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায় রুচি এবং আভিজাত্যের ছাপ। এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন প্রায় ৪০০ বছরের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নীল্কুঠি আর পুরনো টাকশাল বাড়ী।
এই পানামা নগর সপ্তাহে সোমবার আধাবেলা এবং রবিবার সারাদিন বন্ধ থাকে এবং সরকারি ছুটি ছাড়া বাকি দিনগুলো নিয়মিত খোলা থাকে। এখানে প্রবেশ করতে জনপ্রতি ২০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে প্রবেশ করা যায়। প্রিভেট গাড়ি নিয়ে সরাসরি এখানে যাওয়া যায় এবং বাসযোগে যেতে গুলিস্তান থেকে ঢাকা- চট্টগ্রাম রাস্তার মোগপাড়া সোনারগাঁ চৌরাস্তায় নামতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ঐতিহাসিক ভবানীপুর জমিদারবাড়ি ধবংসের পথে
গুলিস্তান থেকে জনপ্রতি এসি এবং ননএসি গাড়ীর ভাড়া ৬০/৭০টাকা এবং ৪০/৫০টাক ভাড়া লাগবে। মোগড়াপাড়া মোড় হতে অটো রিক্সাযোগে পানাম নগর যেতে জন প্রতি ভাড়া লাগবে ১০/২০টাকা।
মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
মুড়াপাড়া জমিদার বাড়িটি নরসিংদী রোডে অবস্থিত এবং ঢাকা শহর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত রূপগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত জমিদার বাড়িটি ১৮৮৯ সালে প্রায় ৪০ হেক্টর জমির উপর নির্মাণ করেন জমিদার রামরতন ব্যানার্জী। এই জমিদার বাড়িতে ১০০টির এর উপর কক্ষ রয়েছে।
আর প্রতিটি কক্ষই নিখুঁত নির্মাণশৈলী এবং ভরপুর কারুকার্যের ছোঁয়া পাবেন এখানে। এই জমিদার বাড়িটি বিভিন্ন অংশে ভাগ করা রয়েছে যেমন- কাচারি ঘর, অতিথিশালা, বৈঠকখানা, পূজামন্ডপ, নাচঘর এবং ভাঁড়ার ঘর। ১৯৯৫ সালে পাসেই নির্মাণ করা হয় একটি প্রশাসনিক ভবন। বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটির মূল ভবন মুড়াপাড়া ডিগ্রী কলেজ ভবন হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সোনাকান্দা দুর্গ একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
মুঘল শাসন আমলে নির্মিত সোনাকান্দা দুর্গটি অবস্থিত নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার অন্তর্গত শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। এই জলদুর্গটি সম্ভাবত ১৬৫০ সালে দিকে নির্মাণ করেন সেই সময়ের বাংলার সুবাদার মীর জুমলা। তৎকালীন সময়ে ঢাকা শহরকে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য সপ্তদশ শতকের দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল ৩টি জলদুর্গ।
আর এই দুর্গটি তাঁর মধ্যে অন্যতম। চতুর্ভুজ আকৃতির এই দুর্গটির চারিদিকে উঁচু ও মজবুদ দেয়ালে ঘেরা। এর প্রবেশদ্বার আয়তকার তোরণ কাঠামোর মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য দুটি অংশ হলো আয়তনে বিশাল সুরক্ষা প্রাচীর এবং পশ্চিম দিকে জলদস্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য উঁচু একটি মঞ্চ। শত্রুর উপর গোলা নিক্ষেপ করার জন্য প্রাচীরে রয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র।
সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
আবাহমান বাংলার লোকশিল্প এবং সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ পানাম নগরীর একটি বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ লোক এবং কারুশিল্প। সোনারগাঁও রাজধানী ঢাকা হতে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরে। সোনারগাঁও জাদুঘরটি বাংলাদেশ লোক এবং কারুশিল্প ফাউন্ডেশন হিসাবে পরিচিত।
এখানে রয়েছে সরদার বাড়ী, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ঐতিহাসিক সংগ্রাম ভাস্কর্য, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাসনের আবক্ষ ভাস্কর্য, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন জাদুঘর, কারুশিল্প গ্রাম, লোকজ মঞ্চ। তাছাড়াও এখানে রয়েছে গ্যালারিতে কাঠের বিভিন্ন কারুশিল, মুখোশ, পাটচিত্র, লোকজ বাদ্যযন্ত্র, আদিম জীবন ভিত্তিক নিদর্শন, লোকজ অলংকার, পোড়ামাটির ফলকসহ প্রাচীন নিদর্শন।
সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরটি সপ্তাহে শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে। এই জাদুঘরে প্রবেশ করার জন্য জনপ্রতি ৫০টাকা প্রবেশ ফি দিতে হয়। তবে মূল ভবনে প্রবেশের জন্য প্রবেশ ফি লাগে ১০০ টাকা। পানাম নগর থেকে এই জাদুঘরের খুব বেশি না হওয়ায় এখান থেকে ১০/২০ টাকা জনপ্রতি অটোরিক্সা ভাড়ায় সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর যাওয়া যায়।
মায়াদ্বীপ একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা এক টুকরো চরে গড়ে উঠেছে মায়াদ্বীপ। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় ত্রিভুজাকৃতির এই মায়াদ্বীপটি অবস্থিত। আকারে অনেকটা ছোট হলেও এই দ্বীপে গেলে নদীর ঢেউ এবং হিম শিতল বাতাস অল্প সময়ের মধ্যেই যে কোন ভ্রমন কারীদের মনকে খুব সহজেই ভরিয়ে দিতে সক্ষম।
আর এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার মোড়ে। এখান থেকে অটো রিক্সায় করে বারদী বৈদ্যের বাজারে এবং সেখান থেকে মেঘনা নদীর ঘাট। এখানে ঘন্টা হিসাবে ২০০/৩০০ টাকা আর সারাদিনের জন্য ১৫০০/২০০০ টাকায় নৌকা ভাড়া করে ঘুরতে পাবেন মায়া দ্বীপ। গাড়িতে করে মায়া দ্বীপ যেতে সময় লাগে ২০/২৫ মিনিট।
পিরামিড একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন
মিশরের পিরামিট আমরা নেটের মাধ্যমে দেখে থাকি। কিন্তু অনেকেরই সৌভাগ্য হয়ে উঠেনা বাস্তবে পিরামিড দেখার। আর এই আশাকে পূরণ করতেই নারায়ণগঞ্জের বাংলার তাজমহলের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে মিশরের পিরামিডের প্রতিচ্ছবি। সেখানে গেলে দর্শনার্থীরা একসঙ্গে দেখতে পাবেন পৃথিবীর দুটি বিখ্যাত জিনিস। বাংলার তাজমহল এবং পিরামিডের প্রতিচ্ছবি।
তবে এই পিরামিডে গেলে আপনি দেখতে পাবেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কার্য, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ভাস্কার্য, এবং ইন্দিরা গান্ধী্র ভাস্কার্য, সেমিনার কক্ষসহ ২৫০ আসনের সিনেমা হল। আর আসল পিরামিডের স্বাদ নিতে ভিতরে রয়েছে মমির প্রতিরূপ, আসবাব পত্রের প্রতিরূপ, রাজা- রাণীদের ববহার করা পোশাক ও অলংকার। এটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে খলা থাকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
এর ভেতরে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে জনপ্রতি ১৫০ টাকা প্রবেশ ফি দিতে হবে। পিরামিড ও বাংলার তাজমহল দুটির একসঙ্গে ফি দিতে হয়। কারণ এখানে আলাদাভাবে কোন ব্যবস্থা নেই। এখানে যেতে আপনাকে ঢাকা চট্টগ্রাম সড়কে সোনারগাওগামী বাসে চড়ে মদনপুর নামতে হবে। এখান থেকে পিরামিড বা বাংলার তাজমহল অটো রিক্সা বা সিএনজিতে করে খুব সহজে যেতে পারবেন।
শেষকথা
আশাকরি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের "একদিনের ছুটিতে নারায়ণ গঞ্জের মনোমুগ্ধকর আটস্থান'' সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আসাবাদি।
আরো পড়নঃ নৌকা ভ্রমণের জন্য দেশের জনপ্রিয় ৫স্থান
বিশেষ করে যারা একদিনের ছুটিতে এই সকল স্থান ভ্রমন করতে ইচ্ছুক, তাঁদের ক্ষেত্রে। আর্টিকেলটি যদি ভালোলাগে ও উপকারি মনে হয়, এটি অবশ্যই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url