স্বাস্থ্য রূপ এবং চুলের উপকারে কালো জিরার তেল
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাজনা পাতার জাদুকরি উপকারিতা
কালোজিরা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের নিকট একটি পরিচিত নাম। আর এর উপকারীতার কথা আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত সকলের কাছেই জানা একটি বিষয়। কারণ কালো জিরা ব্যবহার করে আসছে প্রাচীন কাল মিশরীয় সভ্যতায়, গ্রীক সভ্যতা এবং বর্তমান আধুনিক সভ্যতায়ও কালোজিরা এবং এর তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
তাই কালোজিরা এবং এর তেল বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা থেকে শুরু করে রূপ চর্চায় প্রচুর উপকারি একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো "স্বাস্থ্য, রূপ এবং চুলের উপকারে কালো জিরার তেল'' এর বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। চলুন তাহলে দেখা নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- স্বাস্থ্য, রূপ এবং চুলের উপকারে কালো জিরার তেল
- কালো জিরার তেলের ব্যবহার
- ইসলাম ধর্মমতে কালো জিরার ব্যবহার
- স্বাস্থ্য, রূপ এবং চুলের উপকারে কালো জিরার তেল
- কালো জিরার তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- রূপ চর্চায় কালো জিরার তেলের উপকারিতা
- চুলের যত্নে কালো জিরার তেল
- শেষকথা
কালো জিরার তেলের ব্যবহার
কালো জিরার তেলের ব্যবহার শুরু হয় সৃষ্টির শুরু থেকে। কালো জিরা আদি কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য এবং ব্যবহৃত হতো বিভিন্ন ওষুধ হিসাবে। প্রাচীন ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, এক সময় প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় এবং গ্রীক সভ্যতায় এটি ব্যবহার করতেন বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসাবে।
অর্থাৎ কালো জিরার তেল আদিকাল থকে বর্তমান আধুনিক কাল পর্যন্ত কবিরাজি আয়ুর্বেদিক এবং ইউনানি চিকিৎসা ব্যবহার ব্যাপকহারে দেখা যায়। খ্রিস্ট পূর্ব পঞ্চম শতকের দিকে এটি ব্যবহার করাতেন সাপের বিষ নামাতে, পোকামাকড়ের কামড়ের খত নিরাময়ে, এলার্জি, টিউমার, চুল ও ত্বকের যে কোন সংক্রমনসহ সকল কাজে।
ইসলাম ধর্মমতে কালো জিরার ব্যবহার
বিশ্বনবী (সঃ) বলেছেন কালো জিরা তোমরা ব্যবহার করবে, একমাত্র মৃত্যু ছাড়া এটি সকল রোগের মহৌষধ। বিখ্যাত মুসলিম পন্ডিত আল- বুরিনি তাঁর লিখিত চিকিৎসা শাস্ত্রতে তিনি এক্মাত প্রতিষেধক হিসাবে কালো জিরার তেলকে ব্যখ্যা করেছেন। কালো জিরার তেলকে ১০ম থেকে ১১তম শতকে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির যোগানদাতা হিসাবে ব্যবহার করা হতো।
স্বাস্থ্য, রূপ এবং চুলের উপকারে কালো জিরার তেল
কালো জিরা এবং এর তেল আমরা ব্যবহার করে থাকি রূপচর্চায়, চুল এবং স্বাস্থ্য উপকারিতায়। প্রাচীন কালে অতি সাধারণভাবে ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হলেও এর গুণাগুণ কথা বিবেচনা করে বর্তমান সময়ের আধুনিক বিজ্ঞানের আশীর্বাদে কালো জিরার তেলের ব্যবহারকে আরো সহজ এবং অধিক কার্যকরী করে তোলা হয়েছে।
কালো জিরার তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কালো জিরার তেলে রয়েছে অ্যান্টি ইনফালাম্যাটরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যার কারণে এটি বাধা প্রদান আমাদের শরীরের অনেক রোগের বংশ বৃদ্ধিতে। তাই স্বাস্থ্য উপকারিতায় কালো জিরার তেলের রয়েছে অনেক গুণাগুণ। নিম্নের আলোচনার মাধ্যমে আমরা কালোজিরার তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো-
*** ক্যানসার প্রতিরোধে- কালো জিরার তেলে রয়েছে থাইকিউমিন উপাদান যা মূলত কাজ করে ক্যানসার প্রতিরোধে। কালো জিরার উপর একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এর তেল নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে বাধা দেয় ব্রেস্ট এবং ব্রেইন ক্যানসার সেল জন্মাতে।
*** ডায়াবেটিস প্রতিরোধে- কালো জিরার তেলে রয়েছে অ্যান্টি ডায়াবেটিক নামক এক ধরণের উপাদান যা রক্তের সুগার লেবেল কমাতে অনেকাংশে সাহায্য করে।
*** হাঁপানি দূর করে- আদি কাল থেকে কালো জিরার তেল হাঁপানি দূর করতে ব্যবহার হয়ে আসছে। এখনো কালো জিরার তেল নিয়মিতভাবে খেলে এবং মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
*** কিডনি ও লিভার ঠিক রাখতে- একটি গবেষণার মাধ্যমে দেখা যায় লিভার এবং কিডনি কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য কালো জিরার তেল অনেক সাহায্য করে। তবে এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
*** পুরাতন টিউমার সারতে- কালো জিরার তেলে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ধ্বংস করতে সক্ষম পুরাতন টিউমারের কোষের সেল। আর টিউমার প্রতিরোধে প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে কালো জিরার তেল।
আরো পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
*** বাতের ব্যাথা নিরাময়ে- কালো জিরার তেল বাতের ব্যথায় প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই তেল নিয়মিত মালিশের ফলে বাতের ব্যাথায় খুবই উপকারি। এতে রয়েছে ইনফালাম্যাটরি যা ত্বকের সেলের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে এবং আরাম দেয় বাতের ব্যাথায়।
*** সুস্থ্য রাখে হার্ট- অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে কালো জিরার তেলে, যা সাহায্য করে হার্টে রক্ত চলাচলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে। ফলে চাপ কম পড়ে হার্টের উপর এবং সুস্থ্য থাকে হার্ট
*** স্মরণ শক্তি বাড়ায়- কালো জিরার তেল বৃদ্ধি করে মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চালন। তাই বৃদ্ধি করে মস্তিস্কের কার্যক্রমতা। এইজন্য প্রতিদিন কালো জিরার তেল এক টেবিল চামচ করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
*** মাথা ব্যাথা নিরাময়ে- কালো জিরার তেল মাথা ব্যাথা নিরাময়ে খুবই উপকারি। মাথা ব্যথার সময় কপালের দুই সাইটে ম্যাসেজ করলে খুব দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
*** ফোঁড়া জন্য উপকারি- ফোঁড়া যন্ত্রণার কথা প্রায় সকলের কাছেই জানা বিষয়। আর এই ক্ষেত্রে কলো জিরার তেলের জুড়ি মেলাভার। তাই ফোঁড়া সারতে কালো জিরার তেল। এই জন্য ফোড়া পাকার সময় এর উপর তেল দিয়ে রাখলে ব্যাথা কমে এবং খুব দ্রুত ফোঁড়া সেরে যায়।
*** নিয়ন্ত্রন করে উচ্চ রক্ত চাপ- উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা এখন প্রায় সকলের নিত্য সঙ্গি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই সমস্যা সমধানের জন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কালো জিরার তেল। কালো জিরার তেল উচ্চ রক্তচাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
*** ওজন কমাতে সক্ষম- শরীরের অধিক ওজন কমাতে সাহায্য করে কালো জিরার তেল। এক প্রতিদিনের মাধ্যমে জানা যায় কালো জিরার তেল সাহায্য করে মানুষের বডি ম্যাস ইনডেক্স ভালো রাখতে। তাই এটি ব্যবহার করার ফলে কমায় শরীরের বাড়তি মেদ।
*** ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিরাময়ে- অনেক সময় ঠাণ্ডা জনিত কারণে আমারা জ্বর, সর্দি- কাশিতে ভোগার সময় গরম চায়ের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ কালো জিরার তেন মিশিয়ে কয়েকবার পান করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
*** গ্যাসট্রিক নিরাময়ে- বর্তমান সময়ে গ্যাসট্রিক একটি কমন রোগে পরিনিত হয়েছে। আর প্রতিদিন গরম দুধের সঙ্গে কালো জিরার মিশিয়ে পান করলে খুব দ্রুত গ্যাসের সমস্যার সমধাণ হয়।
*** পুরুষত্ব হীনতা দূর করে- প্রায় মানুষের এই সমস্যাটি এখন দেখা দিয়েছে। আর পুরুষের সুক্রানুসহ বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে নিয়মিত সেবন করুন কালো জিরার তেল। তাছাড়া নারী পুরুষের যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কালো জিরার তেল।
*** দাতের সুরক্ষায়- দাঁতের বিভিন্ন সমস্যায় কালো জিরার তেল এবং নারিকেলের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কুলকুচি করলে শক্ত হয় দাঁতের গোড়া এবং প্রতিরোধ করে মুখের জীবানু। তাছাড়া দাঁতের হলুদ ভাব দূর করতে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কালো জিরার তেল খুব উপকারি।
রূপ চর্চায় কালো জিরার তেলের উপকারিতা
বর্তমান সময়ে কালো জিরার তেল স্বাস্থ্য উপকারিতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রূপ চর্চায় বেশ কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিম্নের আলোচনায় রূপ চর্চায় কালো জিরার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো-
*** ব্রনের সমস্যা নিরসনে- আমাদের ব্যস্ত জীবনে দিন দিন বেড়েই চলছে ব্রনের সমস্য। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে কালো জিরার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফালাম্যাটরি এবং মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা ধবংস করতে সক্ষম ত্বকে থাকা ব্রনের জীবানু।
*** দূর করে ময়েশ্চারাইজার- কালো জিরার তেলে রয়েছে অ্যামানা এসিড এবং ফ্যাটি এসিড যা ত্বকে থাকা লিপিড লেয়ারকে ময়েশ্চারাজার করে। তাই কালো জিরার তেলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উজ্জ্বল করে ত্বকের সেল গুলোকে।
*** ত্বকের বলিরেখা দূর করে- বয়সের কারণে কিংবা অন্য যে কোন কারণে দেখা দিতে পারে ত্বকে বলিরেখা। কালো জিরার তেলে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা সাহায্য করে ত্বকের বলিরেখা দূর করতে। এছাড়াও কালো জিরায় রয়েছে অ্যান্টি ফালাম্যাটরি যা দূর করে ত্বকের স্ট্রেসগুলো।
*** একজিমা দূর করে- একজিমা এমন একটি সমস্যা যাতে বিশ্রী দেখায় ত্বক। অ্যান্টি বায়টেরিয়াল উপাদান রয়েছে কালো জিরার তেলে। যা ত্বকের একজিমার কোষগুলোকে ধবংস করে এবং সাহায্য করে একজিমা রোগ দূর।
*** শ্বেত রোগ নিয়ন্ত্রণ করে- ছুলি বা শ্বেত রোগ সারতে প্রচুর উপকারই কালো জিরার তেল। এর জন্য আপনাকে প্রথমে ছুলি যেখানে হয়েছে সেখানে একটুকরো আপেল হালকা করে ঘসে নিন। এবার লাগিয়ে দিন কালো জিরার তেল। দেখবেন ম্যাজিকের মতো কাজ হয়েছে।
*** চোখের পাপড়ি ঘন কালো করে- ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে চোখের পাপড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে কালো জিরার তেল সাহায্য করবে আপনাকে। আর এই জন্য আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে চোখের পাপড়িতে হালকা করে কালো জিরার তেল ব্যবহার করুন এবং সকালে পরিস্কার করে ফেলুন। তবে চোখে যেন তেল না যায়।
*** সোরিয়াসিস নিরমূল- ত্বকের অন্যতম একটি সমস্যা সোরিয়াসিস। যেখানে ত্বকের চুলকানি এবং দাগ পড়ে যায়। আর এই রোগ নিরমূল করার জন্য ব্যবহার করুন কালো জিরার তেল।
চুলের যত্নে কালো জিরার তেল
চুলের যত্নে সৌন্দর্য পিপাসু নারীরা বিভিন্ন ধরণের নামি দামি তেল থেকে অনেক ধরণের প্রসাধানী ব্যবহার করে থাকেন। তাঁর অন্যতম হলো কালো জিরার তেল। নিম্নে চুলের যত্নে কালো জিরার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
*** চুল পড়া দূর করতে- চুল পড়া একটি অন্যতম জটিল সমস্যা। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য এক টেবিল চামচ কালো জিরার তেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোডায় ম্যাসেজ করুন। এইভাবে এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
*** চুলের স্বাস্থ্যউজ্জলতা বাড়াতে- চুল সাধারণত রুক্ষ এবং পাতলা হয়ে যায় চুলের ফলিক এসিড কমে গেলে। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিদিন ঘুমানোর আগে হাফ টেবিল চামচ কালো জিরার তেল মাথার তালুতে বা চুলের গোড়ায় ভালো করে ম্যাসেজ করুন। দেখবেন অল্প দিনের মধ্যেই ফিরে পাবেন স্বাস্থ্যউজ্জ্বল চুল।
*** চু্লের অকাল পাকা রোধ- আমাদের বিভিন্ন দুশ্চিন্তা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য অকালে চুল পেকে যায়। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কালো জিরার তেল কুসুম গরম করে চুলের গোড়ায় নিয়মিত ম্যাসেজ করুন। এতে বৃদ্ধি পায়, চুলের গোড়ার বাড়ে রক্ত চলাচল, ফলে প্রতিরোধ করা সম্ভাব হয় চুলের অকাল পক্কতা।
*** চুল লম্বা করতে- কালো জিরার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামেনো এসিড। যা আপনার চুলের কার্বন ফিরে পেতে এবং সাহায্য করে চুলকে লম্বা, ঘন এবং কালো করে তুলতে।
শেষকথা
আশাকরি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পেরেছি "স্বাস্থ্য, রূপ এবং চুলের উপকারে কালো জিরার তেল" সম্পর্কে অনেক তথ্য। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আসাবাদি। বিশেষ করে যারা কালো জিরার তেলের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে চান তাঁদের ক্ষেত্রে এটি অনেক উপকারী।
আরো পড়ুনঃ মৌসুমি ফল জাম্বুরার বারো উপকারিতা
আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে এবং উপকারী বলে মনে হয়, তবে এটি অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url