সৌন্দর্যভরা নরসুন্দা লেকসিটি কিশোরগঞ্জ

আরো পড়ুনঃ ধ্বংস প্রাপ্ত ঐতিহাসিক লকমা জমিদার বাড়ি

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মনে হবে প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে এই জেলাকে। এই জেলায় রয়েছে অসংখ নদ- নদী, খাল- বিল এবং দৃষ্টি নন্দন সেই হাওড়। আর এই সকল স্থাপনাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দর্শনীয় ও পিকনিক স্পট।

আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো কিশোরগঞ্জ জেলা তথা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় স্থান ''নরসুন্দা লেকসিটি'' সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। আশাকরি আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবে এবং যেনে নিবেন এসময়ের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পিকনিক স্পট সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক-

আজকের পাঠ্যক্রম- সৌন্দর্যভরা নরসুন্দা লেকসিটি কিশোরগঞ্জ

  • সৌন্দর্যভরা নরসুন্দা লেকসিটি কিশোরগঞ্জ
  • নরসুন্দা লেকসিটির দৃষ্টি নন্দন সেতু
  • নরসুন্দা লেকসিটির ওয়াকওয়ে
  • নরসুন্দা লেকসিটির ফুট ওভারব্রিজ
  • নরসুন্দা লেকসিটির পাশে গুরুদয়েল কলেজ 
  • নরসুন্দা লেকসিটির পাশে গুরুদয়াল সেতু
  • নরসুন্দা লেকসিটির পাশে মুক্তমঞ্চ ও ওয়াচ টাওয়ার
  • কিভাবে যাবেন নরসুন্দা লেকসিটি
  • শেষকথা

সৌন্দর্যভরা নরসুন্দা লেকসিটি কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরকে দুইভাগে বিভিক্ত করেছে নরসুন্দা নদী। আর রি নদীকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয়েছে জনপ্রিয় নরসুন্দ লেকসিটি। এই নদীর দুই তীরে নাগরিকদের জীবিনমান বৃদ্ধি এবং সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা। নিম্নে কিশোরগঞ্জের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাগুলোর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

নরসুন্দা লেকসিটির দৃষ্টি নন্দন সেতু

নরসুন্দা লেকসিটির প্রধান আকর্ষণ হলো বিভিন্ন দৃষ্টি নন্দন সেতু। এখানে নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দৃষ্টি নন্দন সেতু, যেই সেতুর মাধ্যমে দুটির নদীর পাড়ের যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া এই সেতুর অপর দাড়িয়ে আপনি খুব সহজে উপভোগ ও পর্যবেক্ষণ করতে পাবেন নদীর অপরূপ সৌন্দর্যকে। যা দেখে আপনি খুব সহজে আনন্দদিত হয়ে উঠবেন।

নরসুন্দা লেকসিটির ওয়াকওয়ে

নরসুন্দর লেকসিটির ওয়কওয়েকে ভবিষ্যতের জন্য এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আদর্শ স্বাস্থ্য এবং সুস্থ্য থাকার জন্য এটি আরো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ওয়াকওয়ে প্রশস্ত জীবন মানের সূচনা করে সুস্থ্য রাখার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে হাটা চলা বিশেষ করে রমজান মাসে হাটাচলা করার সুযোগ রয়েছে।

নরসুন্দা লেকসিটির ফুট ওভারব্রিজ

নরসুন্দা লেকসিটিতে নির্মাণ করা হয়েছে ফুট ওভারব্রিজ, এটি মুলত নদীর উপরে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এটি বিশেষ সৌন্দর্য দেখানোর জন্য অন্যতম একটি আকর্ষণ। নরসুন্দা লেকসিটির ফুট ওভারব্রিজ এর উপর দিয়ে খুব সহজে মানুষ নদীর এপার থেকে ওপার যেতে পারে এবং লেকসিটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে।

আরো পড়ুনঃ নান্দনিক হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদ

নরসুন্দা লেকসিটির পাশে গুরুদয়েল কলেজ 

গুরুদয়াল কলেজে রয়েছে চমৎকার পুকুর আর এই পুকুরে নৌকা ভ্রমন করা এক অন্যরকম অনুভূতি। তাছাড়া চিত্ত বিনোদনের জন্য এই কলেজ মাঠে রয়েছে ঘোড়াগাড়ী। গুরুদয়েল কলেজ প্রাঙ্গণে রয়েছে চমৎকার একটি মুক্তমঞ্চ। এই কলেজ প্রাঙ্গনে হাটা চলা করতে করতে উপভোগ করা যায় চারিদিকের অপূর্ব সকল দৃশ্য। এটি স্থানীয়দের কাছে অত্যান্ত গৌরবের স্থান।

নরসুন্দা লেকসিটির পাশে গুরুদয়াল সেতু

গুরুদয়াল সরকারী কলেজের একটু পশ্চিম দিকে নির্মাণ করা হয়েছে গৌরগঞ্জ সেতু। আরো নতুন বিনোদন মাত্রা যোগ করার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে একটি পার্ক। এই পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক মানের। যেখানে আপনি আপনাদের বাচ্চা এবং পরিবারের সকলে মিলে অনায়াসে সময় কাটাতে পারবেন যে কোন সময়।

নরসুন্দা লেকসিটির পাশে মুক্তমঞ্চ ও ওয়াচ টাওয়ার

নরসুন্দা লেকসিটির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ওয়াচ টাওয়ার এবং মুক্তমঞ্চ। যা সুস্থ্য জীবন যাপনের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিটি বৃষ্টির আগে এখানকার পূর্বাভাসী এই সকল স্থানগুলি স্থানীয়দের কাছে অন্যতম একটি অদৃশ্য অস্তিত্ব। 

কিভাবে যাবেন নরসুন্দা লেকসিটি

রাজধানী ঢাকা থেকে বাসযোগে ছাড়াও রেলযোগেও যেতে পারবেন নরসুন্দা লেকসিটি। আপনি কোন পথে যাবেন তা নির্বাচন করুন।

বাসযোগে-  ঢাকা মহাখালী ও গোলাপবাগ থেকে কিশোরগঞ্জ গামী বাস নিয়মিত চলাচল করে। মহাখালি থেকে তিন ঘন্টা এবং গোলাপবাগ থেকে চার ঘন্টা সময় লাগে কিশোরগঞ্জ যেতে এবং ভাড়া লাগবে দুইশত টাকা থেকে দুইশত পঞ্চাশ টাকা। কিশোরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি বা রিক্সা বা অটোরিক্সায় করে বিশ/ত্রিশ টাকা ভাড়ায় মুক্তমঞ্চ যেতে পারবেন। এখান থেকে জনপ্রতি দশ টাকা ভাড়ায় চলে যাবেন নরসুন্দা লেকসিটি।

রেলযোগে- ঢাকা মকলাপুর স্টেশন থেকে সকাল ৭.৪০ ও ১০.২০ এবং সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটে আন্তনগর ট্রেন কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনার সময় লাগবে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা এবং ভাড়া লাগবে মানভেদে একশত বিশ টাকা থেকে দুইশত টাকা। কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে সিএনজি বা রিক্সা বা অটোরিক্সায় করে বিশ/ত্রিশ টাকা ভাড়ায় মুক্তমঞ্চ যেতে পারবেন। এখান থেকে জনপ্রতি দশ টাকা ভাড়ায় চলে যাবেন নরসুন্দা লেকসিটি।

শেষকথা

আশাকরি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সঙ্গে "সৌন্দর্যভরা নরসুন্দা লেকসিটি কিশোরগঞ্জ'' সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা অনেক আসাবাদি। বিশেষ করে যারা নরসুন্দা লেকসিটি ভ্রমন করতে ইচ্ছুক, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি খুবই উপকারি।
আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে এটি অবশ্যই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭