পদ্মার তীরে গড়ে উঠা রাজশাহীর মনোমুগদ্ধকর টি-বাধ
আরো পড়ুনঃ কিশোরগঞ্জের নয়নাভিরাম ও আকর্ষণীয় হাওর
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগীয় শহর রাজশাহী। পদ্মার তীরঘেসে গড়ে উঠা এই সুন্দর শহরের জনজীবন অনেকটাই পদ্মা নদীকে ঘিরে। সারা বছরই এখানকার মানুষের আনাগোনা লক্ষ করা যায় পদ্মা নদীর পাড়ে। গ্রীষ্মকালে নদী শুকিয়ে বালু হয়ে উঠে তপ্ত আর বর্ষাকালে পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। নদীর এই রূপ দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে ভ্রমন পিপাসু মানুষেরা ছুটে আসেন। নদীর নির্মল বায়ুর টানে শিশু হতে বৃদ্ধ সবাই ছুটে আসেন পদ্মার পাড়ে।
পদ্মার পাড়ে রয়েছে মনোমুগ্ধকর মুক্তমঞ্চ, আই বাঁধ, টি বাঁধেরমত অনেক স্থান, যেখানে সূর্যের তপ্তরোদে কিংবা পড়ন্ত বিকালে আনন্দঘন পরিবেশে সময় কাটানো যায়। হ্যাঁ বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো "পদ্মার তীরে গড়ে উঠা রাজশাহীর মনোমুগদ্ধকর টি-বাধ" সম্পর্কে। তাহলে আর দেরী নাকরে চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- পদ্মার তীরে গড়ে উঠা রাজশাহীর মনোমুগদ্ধকর টি-বাধ
- পদ্মার তীরে গড়ে উঠা রাজশাহীর মনোমুগদ্ধকর টি-বাধ
- রাজশাহীর টি- বাধে যা যা দেখতে পাবেন
- কিভাবে যাবেন রাজশাহীর টি- বাঁধ
- কোথায় থাকবেন রাজশাহীর টি- বাঁধ
- শেষকথা
পদ্মার তীরে গড়ে উঠা রাজশাহীর মনোমুগদ্ধকর টি-বাধ
রাজশাহী শহররের নিকট পদ্মা নদীর পাড়ে বেশ কয়েকটি বাঁধ গড়ে উঠেছে। আর "টি- বাঁধ" হচ্ছে মনোমুগদ্ধকর অন্যতম একটি বাঁধ। রাজশাহী বিভাগীয় শহরের সবচেয়ে সুন্দরতম বিনোদন কেন্দ্র ইংরেজী T- (বর্ণর) এরমত করে তৈরী করা যার নাম "টি-বাধ''। এখানে সকালে পাখির মনমাতানো কল- কাকলী আর দখিনা হিম শিতল হাওয়া চাঙ্গা করে তুলবে খুব সহজেই আপনাদের মনকে। রক্তিম সূর্য গোধুলো লগ্নে নতুন রূপ দেয় পদ্মা নদীর জলকে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে ছুটে আসা ভ্রমন পিপাসু কিংবা স্থানীয়দের কাছে এই "টি- বাঁধ'' বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় স্থান। গড়ে উঠার পর হতেই এই বাঁধ এর প্রকৃতি আর সৌন্দর্য যেন জাদু করেছে সবাইকে।
রাজশাহীর টি- বাধে যা যা দেখতে পাবেন
রাজশাহীর "টি- বাঁধের'' (পদ্মা নদীর) শান্ত- শীতল ও স্নিগ্ধ বাতাস পর্যটকদের মনকে নিমিষেই উপহার দেয় এক অন্যরকম মনোমুগ্ধকর অনুভূতি। নদীর মাঝখানে জেগে উঠেছে কয়েকটি চর আর নদীর অন্যপার বহুদুরে ছোট্ট একটি গ্রাম দেখা যায়। যেখানে প্রতিদিন অনেকেই ঘুরতে জান নৌকায় করে। ভ্রমনকারীদের ছায়া দেওয়ার জন্য বাঁধে রয়েছে বট, শিমুলসহ নানান প্রজাতির গাছ। গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই শুনতে পাবেন মাঝিদের হাক- ডাক, তাদের পর্যটকদের নিজের নৌকায় ভ্রমনের জন্য।
আরো পড়ুনঃ মুর্শিদ জামাই পাগলের মাজার
মাঝিদের প্রতিযোগিতা দেখে দ্বিধা- দন্দে পড়ে জান ভ্রমনকারিরা। সারি- সারি গাছ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলোর ডাল-পালা ও পাতা বিলিয়ে দিচ্ছে ছায়া ও শীতল বাতাস। ফলে ভ্রমনকারীদের মন কাড়ে এখানকার পরিবেশ আর প্রকৃতি। যার সৌন্দর্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে মন ও নয়নকে ভরিয়ে দেয়। এই বাঁধটিতে মুখরিত হয় প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীর পদচারনায়। এখানে অনেকে ঘুরতে আসেন পরিবার, বন্ধু কিংবা সঙ্গী নিয়ে। উপভোগ করেন ভয়াল কিংবা মমতাময়ী শান্ত, স্নিগ্ধ পদ্মার রূপ।
কিভাবে যাবেন রাজশাহীর টি- বাঁধ
বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে দেশের যেকোনো জেলা শহর হতে বাসযোগে, রেলযোগে কিংবা বিমান যোগে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
বাসযোগে- রাজধানী ঢাকার গাবতলী হতে প্রতি ৩০ মিনিট পর পর বিভিন্ন কোম্পানির বাস চলা চল করে রাজশাহীতে। এসকল বাসের মানভেদে ভাড়া এসি ৮০০ টাকা হতে উপরে এবং নন এসি ৬০০ টাকা হতে উপরে। রাজশাহী নামার পর ৩০/৪০টাকা ভাড়ায় রিক্সায় করে খুব সহজে টি- বাঁধে যাওয়া যায়।
রেলযোগে- রাজধানী ঢাকার কমলাপুর হতে পদ্মা, ধুমকেতু, সিল্কসিটি ও বনলতা এক্সপ্রেস নিয়মিত রাজশাহী চলা- চল করে। মানভেদে আপনাদের ভাড়া লাগবে ৩৭৫টাকা হতে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। রাজশাহী আধুনিক রেলস্টেশন নামার পর ৩০/৪০টাকা ভাড়ায় রিক্সায় করে খুব সহজে টি- বাঁধে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন রাজশাহীর টি- বাঁধ
রাত্রী যাপনের জন্য রাজশাহীতে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। এই সকলে আবাসিকে মানভেদে জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ৩০০ টাকা হতে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত। কয়েকটি আবাসিক, সাহেব বাজার- নিউ টাউন ইন্টারন্যাশনাল, পর্যটন মোটেল, হামিদিইয়া গ্রান্ড হোটেল, মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল। লক্ষ্মীপুর মোড়- হোটেল গ্যালাক্সি। মালোপাড়া- হোটেল সুককর্ণা ইন্টারন্যাশনাল। গনকপাড়া- হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল। রেল গেইট- হোটেল ডালাস ইন্টারন্যাশনাল। শিরইল- হকস ইন।
আরো পড়ুনঃ জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী
শেষকথা
আশাকরি আমরা আজকের আর্টিকেলে আপনাদের "পদ্মার তীরে গড়ে উঠা রাজশাহীর মনোমুগদ্ধকর টি-বাধ" সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আসারাখি। বিশেষ করে যারা রাজশাহীতে ভ্রমনে আসবেন। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে ও উপকারী বলে মনে হয়, তবে অবশ্যই আপনাদের পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url