ড্রিম হলিডে পার্কে ভ্রমন

আরো পড়ুনঃ এক দিনের ছুটিতে ঢাকার পাশেই ঘুরে আসুন 

শহরের যান্ত্রিক আর কোলাহোলে আমাদের সকলেরই জীবন হয়ে উঠেছে দূরবীদহ। তাই আমরা সকলেই চাই একদিনের জন্য হলেও কোলাহলমুক্ত দিন কাটাতে। আর এই জন্য অনেকেই সিদ্ধান্থীনতায় ভোগেন, কোথায় যাবেন ঘুরতে, কোথায় গেলে ভালো হয় এই সকল চিন্তায় এবং অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে খোঁজ করেন ঘুরার জন্য ভালো একটি স্থান সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য।

আর আপনি যদি এমন কিছু খোঁজ করেন, তাহলে সঠিক যায়গাতেই আপনি এসেছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় পিকনিক স্পট "ড্রিম হলিডে পার্ক নরসিংদী'' সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক- 

আজকের পাঠ্যক্রম- ড্রিম হলিডে পার্কে ভ্রমন

  • ড্রিম হলিডে পার্ক কোথায় অবস্থিত
  • ড্রিম হলিডে পার্কে কি রয়েছে
  • ড্রিম হলিডে পার্কের সময়সূচী ও প্রবেশ মুল্য
  • ড্রিম হলিডে পার্কে পিকনকের জন্য প্যাকেজ সমুহ
  • কিভাবে যাবেন ড্রিম হলিডে পার্কে
  • কোথায় থাকবেন ড্রিম হলিডে পার্কে
  • শেষকথা

ড্রিম হলিডে পার্ক কোথায় অবস্থিত

ঢাকা টু সিলেট মহাসড়কের পার্শ্বেই ঢাকা বিভাগের নরসিংদী জেলার চৈতাব নামক স্থানে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই পার্কটি অবস্থিত। প্রায় ৬০ একর জমির উপর এই পার্কটি নির্মাণ করা হয়।

ড্রিম হলিডে পার্কে কি রয়েছে

প্রায় ৬০ একরের বিশাল এই পার্কটিতে রয়েছে অনেক প্রকারের ওয়াটার বাম্পার কার, স্প্রিডবোট, সোয়ানবোট, বাইসাইকেল, এয়ার বাইসাইকেল, রাইডার ট্রেন, জেড ফাইটার, রকিং বর্স ও নাগেট ক্যাসেল। আরো রয়েছে অস্ট্রোলিয়ান বিখ্যাত ইমুপাখি, কৃত্রিম অভয়্যারণ্য, কৃত্রিম পর্বত, মায়াবি স্পট এবং ডুপ্লেক্স কটেজ।

এছাড়াও এখানে স্থাপন করা হয়েছে ওয়াটার পুল, সমুদ্রের গর্জন শুনতে পারবেন একটু কান পাতলেই। ড্রিম হলিডে পার্কে ঘুরতে আসা ভ্রমনকারী বা দর্শনাথীদের খাবারের সুবিধার জন্য এখানে রয়েছে রেস্টুরেন্ট। আপনি চাইলে এখানে খেতে পারবেন ফুসকা, চটপটি, আইসক্রিম এবং বাংলা ও চাইনিজ খাবার।

আবার আপনি চাইলে এই পার্কে কিনতে পারবেন বেড শীট,  থ্রি পিস, নজরকাড়া জামদানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন পার্কে থাকা নজর কাড়া খুপড়ি ঘরে। বিনোদনের জন্য এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীতের উপকরণ। পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরে আসতে পারেন ড্রিম হলিডে পার্ক।

ড্রিম হলিডে পার্কের সময়সূচী ও প্রবেশ মুল্য

ড্রিম হলিডে পার্ক নিয়মিতভাবে প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল দশটা হতে সন্ধ্য সাতটা পর্যন্ত। এই পার্কে প্রবেশ করতে জনপ্রতি প্রাপ্ত বয়স্কদের তিনশত টাকা এবং শিশুদের জন্য লাগবে দুইশত টাকা। বিভিন্ন রাইডসে আলাদা টাকা লাগবে। যেমন ওয়াটার ওয়াল্ডে তিনশত টাকাসহ অন্যসব রাইডসে জন প্রতি পঞ্চাশ টাকা হতে চারশত টাকা করে লাগবে।

আরো পড়ুনঃ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পাগলা রাজার রাজবাড়ী

তাই আপনি চাইলেই বেছে নিতে পারেন পিকনিক স্পট হিসাবে এই পার্কটি। ড্রিম হলিডে পার্কে মায়াবী এবং মধুরিমা নামে দুই ধরণের পিকনিক স্পট রয়েছে। এছাড়াও পিকনিকের জন্য এসি রুমের বাংলো রয়েছে। আপনি চাইলে এই পার্কে রাত্রী যাপনের জন্য এখানকার বিলাশ বহুল কটেজ পছন্দ করে নিরাপদে থাকতে পারবেন।

ড্রিম হলিডে পার্কে পিকনকের জন্য প্যাকেজ সমুহ

ড্রিম হলিডে পার্কে দুটি প্যাকেজ রয়েছে। এই সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-

*** কাপল ও ফ্যাকিল প্যাকেজ- এই প্যাকেজে রয়েছে প্রায় বিশ (ওয়াটার ও সাফারি পার্কসহ) রকমের রাইডস। এই প্যাকেজে (কাপল) ভ্যাটসহ প্যাকেজ মূল্য দুই হাজার পাচশত টাকা এবং ফ্যামিলি প্যাকেজ চার জনের জন্য মূল্য চার হাজার পাচশত টাকা।

*** পিকনিক প্যাকেজ- এই পার্কে একশত জন থেকে এক হাজার জনের জন্য ভাড়া নেওয়া যাবে। এই প্যাকেজটির ভাড়া নির্ভর করে কত জন পিকনিক স্পটে আসবে তাঁর উপর। তবে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে তিন লাখ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া লাগবে এই প্যাকেজে।

কিভাবে যাবেন ড্রিম হলিডে পার্কে 

ড্রিম হলিডে পার্কে আপনি বাস ও রেল উভয় ভাবেই যেতে পারবেন। যাওয়ার উপায় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-

বাসে করে- বাসে করে যাওয়ার জন্য আপনি রাজধানী ঢাকার কমলাপুর, সায়েদাবাদ, গুলিস্থান কিংবা মহাখালি হতে খুব সহজে নরসিংদী যেতে পারবেন। পিপিএল সুপার বনানি থেকে এবং মেঘালয় লাক্সারি গুলিস্তান থেকে এই দুটি বাসে করে একশত টাকা বা একশত ত্রিশ টাকা ভাড়ায় ড্রিম হলিডে পার্কের মূল গেটের সামনে নামতে পারবেন।

রেল যোগে- ঢাকার বিমান বন্দর কিংবা কমলাপুর থেকে আন্ত নগর ট্রেনে করে অথবা সিলেট গামী লোকাল ট্রেনে করে নরসিংদী যেতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে রেলস্ট্রেশন হতে বাস, সিএনজি কিংবা অটো রিক্সায় করে যেতে পারবেন ড্রিম হলিডে পার্কে।

কোথায় থাকবেন ড্রিম হলিডে পার্কে

আপনি চাইলে এই পার্কের বিলাস বহুল কটেজে রাত্রী যাপনের করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ভাড়া দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা হতে দশ হাজার টাকা। এছাড়াও নরসিংদী জেলা শহরে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে সেখানে কম খরচে থাকতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ মিনি কক্সবাজার এখন হালতি বিল

শেষকথা

আশাকরি আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের "ড্রিম হলিডে পার্ক" সম্পর্কে অনেক তথ্য বিস্তারিতভাবে শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আসাবাদি। বিশেষ করে যারা ড্রিম হলিডে পার্কে ভ্রমন করতে যারা ইচ্ছুক, তাদের ক্ষেত্রে। 

আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে ও উপকারি মনে হয়, তবে এটি আপনার পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭