ইউটিউব চ্যানেল তৈরীর সহজ পদ্ধতি জানুন

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজে টাকা আয় করার সেরা ৬ উপায়

আগের যুগে মানুষ পরিচিত ছিল দেশ- বিদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সঙ্গে। সেই টিভি চ্যানেল এখনো রয়েছে এবং তাঁরা বিভিন্ন চ্যানেল বিভিন্ন বিষয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কিন্তু আধুনিক ও উন্নত বিশ্বে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে সৃষ্টি হয়েছে নতুন আরেকটি প্লাটফরম ইউটিউব চ্যানেল। আর এই ইউটিউব চ্যানেল আমরা নিজেরাই তৈরি করার মাধ্যমে বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করতে পারি। যা মুহূর্তে পৌঁছে যায় বিশ্বের সকল প্রান্তে। 

তাছাড়া ইউটিউও চ্যানেলে বর্তমানে আয় করা যায় সৃজনশীল বিভিন্ন ধররণে ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের শেয়ার করবো "ইউটিউব চ্যানেল তয়রীর সহজ পদ্ধতি'' সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ইউটিউব চ্যানেল তৈরীসহ নানান তথ্য সম্পর্ক-

আজকের পাঠ্যক্রম- ইউটিউব চ্যানেল তৈরীর সহজ পদ্ধতি বিস্তারিত

  • জনপ্রিয়তার শীর্ষে এখন ইউটিউব চ্যানেল
  • ইউটিউবার কাকে বলে
  • ইউটিউব চ্যানেল তৈরীর সহজ পদ্ধতি জানুন
  • মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল তৈরীর সহজ পদ্ধতি
  • শেষকথা

জনপ্রিয়তার শীর্ষে এখন ইউটিউব চ্যানেল

ভিডিও প্রচারনায় ইউটিউব চ্যানেল আজকের নেট দুনিয়ায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানে ইউটিউব এর ভিডিও ছোট- বড় প্রায় সকল বয়সী মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারির বেশিরভাগ মানুষ ভিডিও দেখে থাকেন ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে। কোন বিষয়ে আর্টিকেল পড়ার চেয়ে অনেক শীর্ষে রয়েছে ভিডিওর মাধ্যমে তথ্য গ্রহন করা। বর্তমানে যতগুলো সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে তার মধ্যে ইউটিব রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে।

ইউটিউব চ্যনেলে শিক্ষা মূলক হতে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি, বিনোদন, খেলাসহ প্রচারিত হচ্ছে সকল ধরণের ভিডিও। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগতভাবে তৈরি হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল। আপনি চাইলে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাণিজ্যিক কিংবা ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল তৈরি এবং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে হতে পারেন সবাবলম্বি। তাছাড়া এটিকে নিজের স্বাধীন পেশা হিসাবে গ্রহণ করে শুরু করে গড়তে পারেন আপনার ক্যারিয়ার।

ইউটিউবার কাকে বলে

ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও দেখা ও শেয়ার করার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। যেখানে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত হতে যেকোনো ভাসায় সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপলোড করা হয় ভিডিও। আর যারা ইউটিউবে আপলোড করে ভিডিও, তাদেরকে বলা হয় ইউটিউবার। বর্তমানে এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনকে নেওয়া হচ্ছে পেশা হিসাবে। আর যে মাধ্যমের সাহায্যে ইউটিউবে আপলোড করা হয় ভিডিও, সেটিই হলো ইউটিউব চ্যানেল। চ্যানেল ছাড়া ইউটিউবে কোন প্রকার ভিডিও আপলোড করা যায়না।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরীর সহজ পদ্ধতি জানুন

আপনি চাইলে খুব সহজে খুলতে পারেন একটি ইউটিউব চ্যেনেল। যেহেতু ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে, তাই সঠিকভাবে এই চ্যানেলটি নিয়ম অবলম্বন করে একটি ভালো মানের ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারলে আপনি এর মাধ্যমে অর্থ আয় করতে পারবেন। নতুন একটি ভালো মানের ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। তাহলে এটি ফলপ্রসু হবে ভবিষ্যতে আপনার কাছে।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব হতে টাকা ইনকামের সহজ কিছু উপায় 

ইউটিউব যেহেতু গুগলের একটি প্রতিষ্ঠান। সেহেতু এই চ্যানেল তৈরীর জন্য আপনার একটি অ্যাকাউন্ট জি-মেইলে থাকতে হবে। যদি আপনার অ্যাকাউন্ট না থাকে তবে জি-মেইলে অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনি শুরু করবেন ইউটিউব চ্যানেল খোলার কাজ। ইউটিউব চ্যানেল দুইভাবে খোলা যায়। যেমন- ব্রান্ড ও ব্যক্তিগত চ্যানেল। ব্যক্তিগত বানানোর জন্য সাধারণত জিমেইল এর পাসওয়ার্ড দিয়ে এই সাইটে লগইন করার মাধ্যমে তৈরী করা হয় ইউটিউব চ্যানেল। 

সাধারণত আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের নাম অনুসারে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম হয়। এখন যেহেতু অর্থ উপার্জন করা যায় ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে, তাই একটি ভালো এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্রান্ডের ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করা দরকার। ইউটিউব চ্যানেল খোলার সহজ পদ্ধতিগুলো দেখে নেই-

*** প্রথমে যেতে হবে ইউটিউব ওয়েবসাইটে। এরপর যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলা থাকে তবে তাহলে আপনি সরাসরি লগইন করতে পারবেন ইউটিউবে। আর যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলা না থাকে তাহলে আপনি সাইন ইন অপশনে গিয়ে ইউটিউব ওয়েবসাইটে সাইন আপ করতে হবে। এরপর আপনার আইডির পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইব করবেন ইউটিউব।  

*** ইউটিউব লগইন করা হলে আপনার সামনে আসবে ইউটিউবের ড্যাসবোর্ড। এখন আপনি ডান পাশে প্রোফাইলে থাকা আইকোনে ক্লিক করবেন। এখন আপনার সামনে আসবে কতগুলো অপশান। তখন আপনি ক্লিক করবেন Setting অপশানে। তাহলে শুরু হলো আপনার চ্যানেলটি খোলার কাজ। এখন আপনি পাবেন Your Channel নামে একটি নতুন পেজ, যার নিচে তিনটি অপশন লিখা থাকবে। যেমন- Channel Status and Features, Create a New Channel ও View Advanced Setting. 

*** এবার আপনি ক্লিক করুন Create a New channel অপশন্‌, এবার আসবে Create Your Channel name অপশান। সেখানে আপনি আপনার পছন্দমত একটি নাম দিয়ে অকে ক্লিক করলেই তৈরী হয়ে যাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল। আপনি আপনার নিজের নামে অথবা যেকোনো নামে ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিতে পারেন। তবে ব্রান্ডের নামে হলেই এটি ভালো হয়। এখন আপনি নিজের মত করে সাজাতে পারবেন আপনার চ্যানেলকে। এটাকে বলা হয় চ্যানেল কাস্টমাইজ। 

*** এখন আপনি ক্লিক করুন আপনার প্রোফাইল আইকনে এরপর ক্লিক করুন Your Channel অপশনে, দেখেতে পাবেন (উপরে ডানদিকে) Customize Channel নামক একটি অপশান। এবার এখানে ক্লিক করলে বর্তমানে ইউটিউবের থিম অনুযায়ী আসবে Layout, Branding ও Basic Information। চ্যানেল সম্পর্কে জানতে Basic Information ক্লিকের মাধ্যমে মেইল, লিঙ্ক ও ভাষা করতে পারবেন শেয়ার। আবার Branding অপশনে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন ব্যানার ইমেজ, পিকচার ও ভিডিও ওয়াটার মার্ক। যেখানে আপনি কাজ করতে পাবেন নিজের মত করে।

*** এখন আপনি আপনার চ্যানেলটি খোলার পর আপলোড করতে পারবেন ভিডিও। আপনি আবার মান সম্পূর্ণ এবং সৃজনশীল উপায়ে তৈরী করবেন ভিডিও। ভিউয়ারদের চাহিদা মত আপনার ভিডিও হতে হবে ইউনিক। যাতে কোন ধরণের কপি রাইট না থাকে। কারণ নকল ভিডিও আপলোড করলে ইউটিউব আপনার চ্যনেল বাতিল করে দিবে।

মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল তৈরীর সহজ পদ্ধতি

বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল মোবাইলে খোলা যায়। তবে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ইউটিউব চ্যানেল খোলার চেয়ে মোবাইলে খোলা একটু কঠিন। নিম্নে দেখে নেওয়া যাক মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল তৈরীর সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে-  

মোবাইলে এই চ্যানেল খোলার জন্য ক্রোম ব্রাউজার-এ অন করতে হবে Desktop Mode। এরপর ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ইউটিউব চ্যানেল খোলার সকল ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এছাড়াও মোবাইলে চ্যানেল খোলা যায় ইউটিউব অ্যাপ এর সাহায্যে। যদিও বৃহত পরিসরে করা যায় না কারণ এটি তৈরি এবং ম্যানেজ করা খুব কঠিন। 

ইউটিউব অ্যাপে আপনাকে লগইন করতে হবে জিমেইল এর আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে। এরপর প্রফাইল আইকোণে Your Channel অপশনে ক্লিক করলে আপনার চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। এখন Setting অপশনে গিয়ে আপনার মতো করে সাজিয়ে নিতে কারেন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে ইনকানের সেরা ১০ উপয়ায়

শেষকথা

আমরা আশাকরি আপনাদের "ইউটিউব চ্যানেল তৈরীর সহজ পদ্ধতি" সম্পর্কে মোটা- মুটিভাবে অনেক ধারণাই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা অনেক আসাবাদি। বিশেষ করে নতুন যারা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার কথা ভাবছেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি অনেক কাজে আসবে। আর্টিকেলটি যদি ভালোলাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তবে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন তথ্যের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭