আখেরি চাহার সোম্বা ২০২৪ কত তারিখে
আরো পড়ুনঃ ঈদে মইলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখে পালিত হবে
আখেরি চাহার সোম্বা এখানে দুইটি শব্দ। যার প্রথম শব্দটি আরবী দ্বিতীয় শব্দটি ফারসি এবং এই শব্দ দুইটির বাংলা অর্থ ''শেষ চতুর্থ বুধবার''। ইসলাম ধর্মের অনুসারিদের কাছে আখেরি চাহার সোম্বা বা শেষ চতুর্থ বুধবার অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি দিবস।
হ্যাঁ আমাদের পাঠক- পাঠিকাগণ আপনারা অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ দিবস ২০২৪ সালের কত তারিখ, দিবসটি পালন বা এই দিবসের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে ভিজিট করে থাকেন।
আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে যাচ্ছি ''আখেরি চাহার সোম্বা বা শেষ চতুর্থ বুধবার সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য।
তাই আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাটি আপনারা শুরু হতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়বেন, তাহলে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত ও মর্যাদাপূর্ণ দিবস সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক-
আখেরি চাহার সোম্বা বা শেষ চতুর্থ বুধবার
হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) ১১তম হিজরির প্রথম দিকে কঠিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই অবনতি হতে থাকে তাঁর শারীরিক অবস্থার। তিনি এতই অসুস্থ হন যে, করতে পারেননি নামাজের এমামতি পর্যন্ত। তবে তিনি পুনরাই সুস্থ হয়ে উঠেন ২৮ সফর রোজ বুধবার।
কিছুটা সুস্থতা বোধ করলে এইদিন তিনি গোসল করেন এবং নামাজের ইমামতি করেন শেষ বারের মত। এই খবরে মদিনাবাসী অত্যন্ত খুশি হয়ে যান এবং প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন।
নবী করিম (সঃ) এর রোগমুক্তির খবরে তাঁরা অনুসারিরা এতোই খুশি হন যে, ধন্যবাদান্তে তাদের সাধ্যমত নামাজ আদায় এবং দোওয়া করলেন, কেউ মুক্ত করে দিলেন তাদের দাসদাসী, কেউবা দান করলেন অর্থ কিংবা উট।
যেমন- হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) দান করেছিলেন ৫ (পাঁচ) হাজার দিরহাম, হজরত উমর ফারুক (রাঃ) দান করেছিলেন ৭ (সাত) হাজার দিরহাম, হজরত ওসমান গনি (রাঃ) দান করেছিলেন ১০ (দশ) হাজার দিরহাম, হজরত আলি (রাঃ) দান করেছিলেন ০৩ (তিন) হাজার দিরহাম, আব্দুর রহমান ইবনে ইউসুফ দান করেছিলেন ১ (এক) শত উট।
এখানে উল্লেখ্য যে, তিনি আবারো ২৯ সফর অসুস্থ পড়েন এবং তার মাত্র ১৩ (তের) দিন পর ১২ রবিউল আউয়াল মাসের রোজ সমবার দয়ার নবী হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) ইহকাল ত্যাগ করেন।
আরো পড়ুনঃ আমরা স্বাধীন ৫ আগস্ট ২০২৪ স্বাধীন আমারা
আখেরি চাহার সোম্বা ২০২৪ কত তারিখে
আমরা সকলেই জানি যে, ইসলাম ধর্মের সকল কিছু ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আরবী মাস গনণা করা হয় চাঁদ রেখার উপর নির্ভর করে। আর চলতি বছর বা ২০২৪ সালে ১৮ আগস্ট শুরু হচ্ছে আরবী সফর মাস।
সে অনুসারে ইংরেজী ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, বাংলা ১৪৩০ সালের ২৯ ভাদ্র রোজ বুধবার পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা পালিত হবে ইনশাল্লাহ। আশাকরি আপনারা যেনে গেছেন কত তারিখে পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা পালিত হবে।
আখেরি চাহার সোম্বা পালন
"আখেরি চাহার সোম্বা'' নির্দিষ্ট কিছু নিয়মের আলোকে পালন করা হয়। যদিও ইসলাম ধর্ম গবেষকদের মধ্যে রয়েছে দিবিসটি পালন করা নিয়ে অনেক মতভেদ।
দিবসটি মুলত শুকরিয়া দিবস হিসাবে এই দিনটি পালিত হয়। যাতে গোসল করে সাধারণত শোকরানা নফল নামাজ, রোগ মুক্তির জন্য দোয়া এবং করা হয় দান- খয়রাত।
দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা ও দরবারে ইসলামিক আলোচনা, মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত করা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই দিন বন্ধ রাখা হয় পাশা- পাশি বিবেচনা করা হয় অফিস- আদালতে ঐচ্ছিক ছুটির দিন হিসাবে।
আখেরি চাহার সোম্বা পালিত হয় কেন
আখের চাহার সোম্বা বিশ্ব নবী হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর জীবনে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মহানবী হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) ইহকাল ত্যাগের পূর্ববর্তী সময়ে কিছুটা সুস্থতা অনুভব করেছিলেন এই দিনে। ফারসিতে এই দিনটিকে অভিহিত করা হয় আখেরি চাহার সোম্বা নামে।
পূর্বে আলোচনা হয়েছে আখেরি চাহার সোম্বা ফারসি শব্দের বাংলা অর্থ শেষ চতুর্থ বুধবার। রসূলে পাক (সঃ) শেষবারের মত তাঁর পার্থিব জীবনে রোগহতে মুক্তিলাভ করে কিছুটা সুস্থতা অনুভব করেন এই দিনে।
সেই কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা শুকরিয়া দিবস হিসাবে প্রতিবিছর পালন করেন এই দিনটি এবং এই দিনটির গুরুত্ব ও মহিমা উম্মতে মুহাম্মাদিদের কাছে অপরিসীম।
শেষকথা
আশাকরি আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে "আখেরি চাহার সোম্বা বা শেষ চতুর্থ বুধবার" অনেক তথ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরেছি।
হে মহান আল্লাহ তা'য়ালা আপনি আমাদের প্রত্যেক মুসলিম উম্মাহকে তাঁর ইবাদত এবং প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) জিবনী অনুসারে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন। আর্টিকেলটি যদি ভালোলাগে তবে অন্যের কাছে এটি শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url