মাসরুমের পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপায়

আরো পড়ুনঃ পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

''মাসরুম'' যা গ্রাম বাংলায় সর্বাধিক পরিচিত ব্যাঙ্গের ছাতা নামে। আর এই কারণেই অনেকেই এটি খেতে চায় না। তবে যারা মাসরুমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন, তাঁরা এটি খাওয়ার জন্য খুবই আগ্রহী হয়ে থাকেন। ক্লোরোফিল বিহীন এক প্রকার ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ মাসরুম। মাসরুম সম্পূর্ণ হালাল একটি নতুন সবজি।

যা উচ্চ খাদ্যশক্তি সম্পূর্ণ সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ভেষজগুণে ভরপুর। মাসরুমে প্রোটিন রয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ, নির্ভেজাল এবং অত্যান্ত উন্নত। এই সবজিতে আরো রয়েছে উপকারি শর্করা এবং চর্বি। এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই আছেন যারা জানেন, কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষ এখনো জানেনা এর উপকারিতা ও এটি খাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে।

তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা "মাসরুমের পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপায়সহ" এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আশাকরি আপনারা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং যেনে নিবেন এর পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপায় সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক-

আজকের পাঠ্যক্রম- মাসরুমের পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপায়

  • কোন মাসরুম খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত
  • মাসরুমে থাকা ওষুধি পুষ্টি গুণাগুণ
  • মাসরুম খাওয়ার উপকারিতা
  • মাশরুম খাওয়ার বিভিন্ন উপায় 
  • মাসরুমের পুষ্টিমূল্য বা খাদ্য উপাদান
  • মাসরুম খাওয়ার সতর্কতা বা অপকারিতা
  • মাসরুমের পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপায় শেষকথা

কোন মাসরুম খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত

ছত্রাক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন গুণে ভরপুর একটি সবজির নাম হচ্ছে মাশরুম। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত মাসরুম পাওয়া গেছে প্রায় ১৪ (চৌদ্দ) হাজার প্রজাতির। কিন্তু সব ধরণের মাসরুম খাওয়া সঠিক নয়। বিশেষ করে বনে- জঙ্গলে যে সকল মাসরুম পাওয়া যায়, সে গুলো বেশীর ভাগই বিষাক্ত হয়ে থাকে।

এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্যভাবে খাওয়া যেতে পারে নিজেদের চাষ করা মাসরুম। পোর্টেরবেলো, বাটান এবং ওয়েস্টার ধরণের মাশরুম খুব জনপ্রিয় হিসাবে রয়েছে। তাই নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত হলো অর্গানিক মাসরুম খাওয়া, যেখানে সেখানে পাওয়া গুলো কোনভাবেই নয়।

মাসরুকে থাকা ওষুধি পুষ্টি গুণাগুণ

মাসরুমে রয়েছে বিভিন্ন ওষুধি গুণাগুণসহ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। নিম্নে মাসরুমে থাকা বিভিন্ন ওষুধি গুণাগুণ ও প্রোটিনের নামের তালিকা দেখানো হলো-

  • ভিটামিন বি ও ডি।
  • অ্যান্টি বায়োটিক।
  • অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
  • ক্যালসিয়াম।
  • ম্যাগনেসিয়াম।
  • সেলেনীয়াম।
  • মিনারেল,
  • ও জিঙ্ক।

মাসরুম খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের অনেকেই বেশি ওজনের জন্য অশান্তিতে রয়েছি ও ওজন কমাতে চাই। আর এই ওজন কমানোর জন্য প্রতিনের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় আমরা রাখতে পারি মাসরুম। কারণ মাসরুমে রয়েছে লো ক্যালোরি। যারা পেশি বাড়াতে আগ্রহী তাদের প্রয়োজন পড়ে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। তারা প্রোটিন খাওয়ার উৎস হিসাবে খেতে পারেন মাসরুম। 
মাসরুমে রয়েছে পেনিসিলন যা কাজ করে অ্যান্টি বায়োটিক হিসাবে যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারি। এ ছাড়াও মাসরুম খাওয়ার ফলে যে সকল কার্যকরী উপকার পাওয়া যায়, তা হলো- 
  • ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ।
  • ডায়াবেটিস কমানো।
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো।
  • হৃদযন্ত্র ভালো রাখা।
  • টিউমার প্রতিরোধ।
  • ক্যানসার প্রতিরোধ।
  • ও শিশুদের দাঁত ও হাড় ভালো থাকে।

মাশরুম খাওয়ার বিভিন্ন উপায় 

মাসরুম খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সালাদ হিসাবে। এছাড়াও মাসরুম সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো ক্রিম মাসরুম স্যুপ এবং শুধু মাসরুম স্যুপ। আবার অনেকে মাসরুম ও সহজি একসঙ্গে মিশিয়ে বিভিন্ন রকমের রেসিপি তৈরী করেন। ফ্রাই করে কিংবা নুডুলসের সঙ্গে খাওয়া যায়। আপনি চাইলে স্যুপ ছাড়াও এটি পাউডার বানিয়ে চা বা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন

মাসরুমের পুষ্টিমূল্য বা খাদ্য উপাদান

প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনো মাসরুমে যে পরিমাণের পুষ্টিমূল্য বা খাদ্য উপাদান থাকে তা নিম্নে দেখানো হলো-
পুষ্টিমূল্যের নাম                   পরিমাণ
আমিষ                                 ২৫-৩৫ শতাংশ।
শর্করা                                  ৫-৬ শতাংশ।    
চর্বি                                      ৪- ৬ শতাংশ।
ভিটামিন ও মিনারেল          ৫৭- ৬০ শতাংশ।

মাসরুম খাওয়ার সতর্কতা বা অপকারিতা

মাসরুম ভুল করেও কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ করে খাওয়া যাবে না। আপনাকে সবসময় খেয়াল করতে হবে মাসরুম পরিপূর্ণ ভাবে রান্না হলেই তখন খাওয়া যাবে। কারণ কম সেদ্ধ অবস্থায় মাসরুম খাওয়ার ফলে আপনার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে অ্যালার্জিক ও হজমের ক্ষেত্রে। খাবারের আগে আপনি ভালোকরে নিশ্চিত হয়ে নিন মাসরুমটি বিষাক্ত কিনা।
মাসরুম একটি ছত্রাকজনিত প্রোটিন। তাই যদি কারো অ্যালার্জির সমস্যা থাকে বা মাসরুম খাওয়ার ফলে দেখা দেয় অ্যালার্জির সমস্যা তাদের বিরত থাকাই ভালো মাসরুম খাওয়া থেকে। আবার যাদের কিডনীর সমস্যা রয়েছে তাঁরা মসরুম খাওয়া থেকে বিরিত থাকুন। এছাড়াও পেটের বা হজমের সমস্যা থাকলেও মাসরুম না খাওয়াই ভালো।

মাসরুমের পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপায় শেষকথা

আশাকরি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা "মাসরুমের পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপায়সহ'' এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অনেক তথ্যই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী। যদি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালোলাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তবে এটি অবশ্যই অন্যার সঙ্গে শেয়ার করতে ভূলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭