বাবুডাইং পিকনিক স্পট চাঁপাই নবাবগঞ্জ
আরো পড়ুনঃ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পাগলা রাজার রাজবাড়ী
ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রত্নতাত্ত্বিক সমৃদ্ধে ভরপুর একটি জেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জ। এই জেলায় রয়েছে হিন্দু শাসন আমলের খননকৃত দীঘিসহ ঐতিহাসিক নিদর্শন ও স্থাপনা আর সুলতানি আমলের স্মৃতি স্মারক বহন করে চলেছে তাদের নির্মিত মসজিদ, মাদ্রাসাসহ অনেক ধর্মীয় নিদর্শন।
সেই সঙ্গে বর্তমান আধুনিক যুগের তাল মিলিয়ে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু আধুনিক মানের 'পিকনিক স্পট। যা চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলাসহ আশপাশের জেলার মানুষের চিত্ত বিনোদনের জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আজকের আর্টিকেলে আমরা এই জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পিকনক স্পট বাবুডাইং সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। তবে চলুন দেখি-
আজকের পাঠ্যক্রম- বাবুডাইং পিকনিক স্পট চাপাই নবাবগঞ্জ
- বাবুডাইং পিকনিক স্পট কোথায় অবস্থিত
- বাবুডাইং পিকনিক স্পট চাঁপাই নবাবগঞ্জ
- কি দেখা যাবে বাবুডাইং পিকনিক স্পটে
- চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সূমহ
- কিভাবে যাবেন বাবুডাইং পিকনিক স্পট
- কোথায় খাবেন ও থাকবেন বাবুডাইং পিকনিক স্পট গিয়ে
- শেষকথা
বাবুডাইং পিকনিক স্পট কোথায় অবস্থিত
বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমের জেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নে এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় পিকনিক স্পট বাবুডাইং অবস্থিত। এটি জেলা সদর হতে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বাবুডাইং পিকনিক স্পট চাপাই নবাবগঞ্জ
চাপাই নবাবঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থিত বাবুডাইং পিকনিক স্পটটি প্রকৃতির মাধ্যমে সাজানো সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি। এই পিকনিক স্পটটি বাংলাদেশের সবচেয়ে পশ্চিমের এবং বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চাপাই নবাবগঞ্জ জেলা সদর হতে মাত্র দশ কলোমিটার দূরে হওয়ার কারণে এই জেলায় বসবাসকারী প্রায় ১৫ লাখ বাসিন্দার চিত্তবিনোদনের স্থান এটি।
এখানে এখনো তেমন কিছু ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। তবে শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে প্রাকৃতিক ও খোলা মেলা কিছুটা সময় কাটানোর চিন্তা মাথায় আসলেই এই জেলাসহ আশেপাশের জেলার মানুষের সবার আগে মনে পড়ে বাবুডাং এর নাম। বাবুডাইং পিকনিক স্পটটি গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ সরকারের কয়েকশত একর জমির উপর।
কি দেখা যাবে বাবুডাইং পিকনিক স্পটে
এখানে রয়েছে একাধিক উঁচু- নিচু প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা টিলা এবং রয়েছে প্রাকৃতিক ঝর্ণা। যা দেখার জন্য প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে শত শত পর্যটক বা ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসেন এখানে। এখানে রয়েছে বিভন্ন প্রজাতির দেশীয় ছোট- বড় নানান ধরণের বৃক্ষের সমাহার। যা দেখে খুব সহজেই প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যান প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটক বা ভ্রমন পিপাসুরা।
আরো পড়ুনঃ মিনি কক্সবাজার এখন হালতি বিল
বাবুডাইং এ থাকা টিলাগুলোতে বংশ পরিক্রমায় বসবাস করে আসছে বেশ কিছু আদিবাসি জনগোস্টি। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার পরিকল্পনা করেছেন বাবুডাইং এলাকায় একটি সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্ট তৈরির। তবে যদি সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেন সেক্ষেত্রে বাবুডাইং হয়ে উঠতে পারে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সূমহ
এক সময় চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রাচীন বাংলার গৌড়ের রাজধানী থাকার কারণে অনেক দর্শনীয় স্থাপনা বিশেষ করে সেন রাজাদের রাজত্বকালে খনন করা দীঘি এবং সুলতানি শাসন আমলে সুলতানদের নির্মিত মসজিদ, মাদ্রাসাসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে এই উপজেলায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক এখানকার দর্শনীয় স্থান সমূহের নাম-
- ছোট সোনা মসজিদ, শিবগঞ্জ।
- খঞ্জনদীঘির মসজিদ, শিবগঞ্জ।
- তোয়াখানা মসজিদ, শিবগঞ্জ।
- ধনাইচকের মসজিদ, শিবগঞ্জ।
- দারাসবাড়ি মাদ্রাসা ও মসজিদ, শিবগঞ্জ।
- চাঁপাই জামে মসজিদ, সদর উপজেলা।
- মহারাজপুর প্রাচীন মসজিদ, সদর উপজেলা।
- মাঝপাড়া প্রাচীন মসজিদ, সদর উপজেলা।
- ছোট জামবাড়িয়া দারসত সালাম জামে মসজিদ, ভোলোহাট।
- বড়্গাছি দক্ষিণ টোলা বাজার জামে মসজিদ, ভোলোহাট।
- আলী শাহ্পুর মসজিদ, নাচোল।
- কেন্দুয়া ঘাসুড়া মসজিদ, নাচোল।
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এর মাজার, শিবগঞ্জ।
- শাহ্ সুজার কাছারি বাড়ি শিবগঞ্জ।
- দাখিল দরয়াজা, শিবগঞ্জ।
- শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ (রহঃ) এর মাজার, শিবগঞ্জ।
- কানসাট রাজবাড়ি, শিবগঞ্জ।
- রামচন্দ্রপুর হাটের নীলকুঠি, সদর উপজেলা।
- বারঘরিয়া কাছারি বাড়ি, সদর উপজেলা।
- বারঘরিয়া ও মহারাজপুর মঞ্চ, সদর উপজেলা।
- জোড়া মঠ, সদর উপজেলা।
- এক গম্বুজ বিশিষ্ট পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, গোমস্তাপুর।
- নওদা বুরুজ, গোমস্তাপুর।
- শাহাপুর গড়, গোমস্তাপুর।
- জাগলবাড়ি ঢিপি, ভোলোহাট।
- রেশম কুটির ও চিমনি ভোলাহাট।
- কলিহার জমিদারবাড়ি, নাচোল।
- রাজবাড়ি, নাচোল।
- মল্লিকপুর জমিদারবাড়ি, নাচোল।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url