অনলাইন ব্যাংক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আরো পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার নিয়ম

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন ধরণের সুবিধা এখন আমাদের হাতের কাছে ধরা দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বাদ যায়নি ব্যাংকিং সুবিধাও। কারণ এখন মানুষ আর আগের মত লাইন ধরে ব্যাংকিং সুবিধা নিতে আগ্রহী নন। তাই ব্যংকিং সুবিধাকে আরো সহজ করতে ইন্টারনেট বা অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা চালু হয়েছে। 

আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো অনলাইন ব ইন্টারনেট ব্যাংকিং কি, অনলাইন ব্যাংকিং এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ব্যাংক হিসাব খোলার নিয়ম সম্পর্কে। আশাকরি আপনারা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি পুরোটাই পড়বেন। আর যেনে নিবেন অনলাইন ব্যাংকিং এর বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক-

আজকের পাঠ্যক্রম- অনলাইন ব্যাংক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

  • অনলাইন ব্যাংক কাকে বলে 
  • অনলাইন ব্যাংকিং এর সুবিধা সমূহ
  • অনলাইন ব্যাংকিং এর উপকারিতা সমূহ
  • ব্যাংক হিসাব খোলার নিয়ম
  • অনলাইন ব্যাংক এর অসুবিধা সমূহ
  • শেষকথা

অনলাইন ব্যাংক কাকে বলে

অনলাইন ব্যংকিং বলতে কোন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রহকদের প্রতিষ্ঠানে না এসেই অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদত্ত সুবিধাকে বুঝায়। আর এই অনলাইন ব্যাংকিং বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং বা  ই- ব্যাংকিং প্রভিতি। মুল বিষয় হলো ব্যাংক হতে প্রাপ্ত সুবিধা গ্রহনের জন্য ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে দেশ বা বিদেশের যে কোন স্থান হতে সকল সুবিধা পাওয়াকে অনলাইন ব্যাংকিং বলা হয়।

একটি ব্যাংকের সকল প্রকার হিসাবধারি ব্যবহার করতে পারবেনা ডিফল্টভাবে অনলাইন ব্যাংকিং। আর এই অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহন করার জন্য ব্যাংক হিসাব খোলার সময় অথবা হিসাব খোলার পরেও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে গ্রহন করতে পারবেন এই সুবিধাগুলো। এই অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধাভোগী হিসাবধারির আইডি নম্বার, পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে তাদের হিসাব লগইন করতে পারবেন। 

অনলাইন ব্যাংকিং এর সুবিধা সমূহ

নিম্নে যে সকল সুবিধা অনলাইন ব্যাংকিং হতে পাওয়া যায় তা আলোচনা করা হলো-

  • বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল ওয়াই ফাই বিল ইত্যাদি।
  • আপনার হিসাবের লেনদেন যাচাই করা।
  • ফান্ড ট্রান্সফার করা।
  • চেক বুক এর অর্ডার করা।
  • সাধারণ ইন্সুরেন্স কেনা।
  • মোবাইল রিচার্জ।
  • ফিক্স ডিপোসিট হিসাব খলা
  • মারচেন্ট পেমেন্ট করা ইয়ত্যাদি।

অনলাইন ব্যাংকিং এর উপকারিতা সমূহ

অনলাইন ব্যাংকিং এর ফলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-

সময় সাশ্রয়- অনলাইন ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সকল প্রকার লেনদেন করতে আমাদের সময় ব্যয় করতে হয় মাত্র কয়েক মিনিট। অন্য যে কোন হিসাব নম্বরে টাকা ট্রান্সফার কিংবা ফিক্সড ডিপোজিট খোলা যায়, দেশ বা বিদেশের যে কোন স্থান হতে খুব দ্রত সময়ে।

কাজ কম- ব্যাংকের কোন সেবা গ্রহন করার জন্য সকল প্রকার কাজকর্ম ফেলে রেখে ব্যাংকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সেবা গ্রহনের জন্য। আর অনলাইন ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে আপনি সকল প্রকার ব্যংকিং লেনদেন যে কোন স্থান হতে খুব কম সময়ে করতে পারবেন।

সহজ লভ্যতা- অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সারা বছর কোন সমস্যা ছাড়াই সহজভাবে গ্রহন করা যায় এবং যে কোন সময় কোন বাধা ছাড়াই টাকা ট্রান্সফার, ব্যালেন্স যাচাই ব্যাংক বন্ধ থাকলেও করা সম্ভব হয়। যা অনলাইন ব্যংকিং ছাড়া এই কাজগুলো করা সম্ভব নয়।

অপরেট সহজ- অনলাইন ব্যাংকিং কাজ অন্য ব্যাংকিং কাজের চেয়ে বেশ সহজ এবং সাধারণভাবে ব্যবহার করা যায়। কারণ ব্যাংকে গিয়ে লেনদেন করার চেয়ে বেশ সহজ মনে হয় লেনদেন।

এক্টিভিটি ব্যাংকিং- সাধারণ ব্যাংকের ক্ষেত্রে লেনদেন করার পর গ্রহকদের পাশ বই এ টাকা জমা দেওয়ার প্রমান স্বরূপ জমা রিসিভ দেওয়া হয়। যা হারিয়ে গেলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। আর অনলাইন ব্যাংক ব্যবস্থায় সকল লেনদেনের প্রমান ব্যাংকিং পোর্টালে সংরক্ষিত থাকার কারণে এটি হারিয়ে হাওয়ার কোন সুযোগ নাই। প্রপাকের নাম, হিসাব নম্বার, টাকার পরিমাণ, তারিখ এবং সময় রেকর্ড থাকে অনলাইন ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে।

ব্যাংক হিসাব খোলার নিয়ম

আপনি কোন ব্যাংকে হিসাব খুলবেন সেটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তবে ব্যাংক হিসাব খোলার সময় বেশ কিছু বিষয় চিন্তা করে দেখা খুবই জরুরী। যেমন আপনার বাসা হতে ব্যাংকের শাখার দূরত্ব, অনলাইন অসুবিধা আছে কিনা, কার্ড সুবিধা, দেশে কতগুলো শাখা রয়েছে, সপ্তাহে কয়দিন বন্ধ থাকার দিন। আরো বিবেচনা করতে হবে বার্ষিক ব্যাংক চার্জ, সার্ভিস ব্যবস্থা ও মুনাফা ইত্যাদি খেয়াল করতে হবে।

আবার যদি আপনি সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চান, সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে ইসলামি ব্যাংক রয়েছে সেখানে হিসাব খোলা যায়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের যে শাখা আপনার সবচেয়ে নিকটতম সেখানে গিয়ে তাদের সকল প্রকার নিয়ম নীতিগুলো ভালোকরে যেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। দেশে সরকারি বেসরকারি মেলে প্রায় ৪৭ টির মত ব্যাংক রয়েছে বাংলাদেশ ব্যংকের অধিনে।

অনলাইন ব্যাংক এর অসুবিধা সমূহ

ইন্টারনেট নিরভরশীল- অনলাইন ব্যাংকিং সেবা গ্রহনের জন্য আপনাদের প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংজোগ। কারণ প্রদত্ত অনলাইন সুবিধা পেতে ইন্টারনেট ছাড়া সম্ভব নয়। আবার ব্যাংকের কোন টেকনিক্যাল সমস্যা হলে লেনদেন সমস্যা হতে পারে।

নতুনদের জন্য সমস্যা- আমাদের দেশি অনলাইনের প্রসার ঘটলেও অনেক ব্যবহারকারি পরিচিত নন অনেক ওয়েবসাইট এর সঙ্গে। ফলে অনলাইন ব্যাংকিং কিভাবে পরিচালনা করে তা সাধারণ মানুসদের কাছে প্রিক্রিয়াটি অনেকটা জটিল হতে পারে। 

শেষকথা

আশাকরি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের "অনলাইন ব্যাংক এর উপকারিতা ও অপকারিতা" সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক কাজে লাগবে বলে আমরা আসাবাদি। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে ও উপকারি মনে হয়, তবে এটি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭