ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ভাবে কমলার রসের উপকারিতা
আরো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে কলা ও কলার খোসার ব্যবহার
বাংলাদেশের অতি পরিচিত এবং অন্যতম জনপ্রিয় ফল কমলা। কমলা চেনেনা এমন মানুষ বাংলাদেশে আছে বলে মনে হয়না। কমলায় রয়েছে ভিটামিন "এ, বি, সি,'' সহ ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এরমত খনিজ পদার্থ।
তাই কমলার গুণাগুণ সম্পর্কে আমাদের সকলেরেই জানা রয়েছে। কিন্তু আমরা যেটা কনেকেই জানিনা যে, কমলার খোসা ত্বকের যত্নে কতটা উপকারি। আবার অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে।
আজকের পাঠ্যক্রম- ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ভাবে কমলার রসের উপকারিতা
- যে কারণে কমলা বেশী করে খাবেন
- ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ভাবে কমলার রসের উপকারিতা
- কমলার রস ত্বক তৈলাক্ততা ও ব্রণ দূর করে
- ত্বকের বলিরেখা ও ত্বক ঝুলে যাওয়া রোধ করে কমলার রস
- কমলার রস ত্বক সুন্দর ও বয়সের ছাপ দূর করে
- কমলার রস ত্বক উজ্জল ও দাগ দূর করে
- কমলার রস ব্যবহারে সতর্কতা
- প্রতি ১০০ গ্রাম কমলায় রয়েছে পুষ্টিগুণ
- শেষকথা
যে কারণে কমলা বেশী করে খাবেন
কমলা যদিও কমলা বারো মাসেই পাওয়া যায়, তবুও শীত মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে কমলা বাজারে পাওয়া যায়। ভিটামিন "সি" তে ভরপুর ও সুস্বাদু ফল কমলা। কিন্তু অনেকেই আমরা এ ফলের গুরুত্ব না বোঝার কারণে এই ফল খাই না। কমলার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম ফলরই রয়েছে। তাই এই ফল আমাদের বেশী করে খাওয়া উচিৎ। চলুন নিম্নে দেখে নেওয়া যাক "যে কারণে কমলা বেশী করে খাবেন''-
- কমলা বাড়ায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। নিয়মিত এই ফল খাওয়ার ফলে ছোট- খাটো এমনকি অনেক বড় বড় রোগও ধারেকাছে ঘেঁষবে না সহজে।
- অনেকে ভোগেন চোখের সমস্যায়। ভিটামিন 'এ' কমলায় থাকার করণে ভালোরাখে শিশু হতে শুরু করে সবার দৃষ্টিশক্তি।
- কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, খুদা মেটানোর পাশা- পাশী ভালোরাখে বাওয়েল মুভমেন্ট। আর ওজন কমাতে বা ঠিক রাখতে হজম ভালো রাখা খুব জরুরী।
- কমলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা উজ্জলতা বাড়ায় ত্বকের। দূর করে ত্বকের বলিরেখা এবং বহু বছর ধরে রাখে তারুণ্য।
- মানুষের শরীরে অনেক সময় দেখা দেয় ভিটামিন "সি" এর ঘাটতি। ফলে নির্জীব হয়ে পড়ে শরীর। আর কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনি "সি"। তাই প্রতিদিন কমলা খেলে শরীরের সক্তি, ত্বক সজীব ও কাজ করার ইচ্ছা ধরে রাখে।
- কমলায় পানি থাকে প্রায় ৮৭ শতাংশ। আর শীতকালে যখন আমারা পানি কম খাই, তখন কমলা পানির ঘাটতি মেটায় আমাদের শরীরের।
- কমলা বিভিন্ন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, যেমন- ব্রেস্ট ক্যান্সার, স্কিন ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সার।
- আঁশ জাতীয় উপাদান কমলায় রয়েছে যা ওজন নিয়ন্ত্রণ এ রাখে।
ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ভাবে কমলার রসের উপকারিতা
আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো ''ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ভাবে কমলার রসের উপকারিতা'' সম্পর্কে। আশাকরি আপনারা আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে আপনারা জনতে পারবেন এর উপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক-
কমলার রস ত্বক তৈলাক্ততা ও ব্রণ দূর করে
কমলায় রয়েছে ভিটামিন "এ, বি, সি,'' সহ ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এরমত খনিজ পদার্থ। এইগুলো দূর করে ব্রণ এবং কমিয়ে আনে ত্বকের তৈলাক্ততা ভাব। এছাড়াও কমলায় ভিটামিন "সি" থাকার কারণে সাহায্য করে ক্ষত সারতে।
ত্বকের বলিরেখা ও ত্বক ঝুলে যাওয়া রোধ করে কমলার রস
কমলার রসে থাকে অন্যতম প্রধান ভিটামিন "সি" এর মত মুল্যবান উপাদান। যার ফলে সহায়তা করে নতুন নতুন রক্তনালি গঠনে এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ত্বকের বলিরেখা ও ত্বক ঝুলে যাওয়ার মত সমস্যা হতে।
কমলার রস ত্বক সুন্দর ও বয়সের ছাপ দূর করে
কমলার রস নিয়ম করে ব্যবহার করার ফলে ক্ষতি হতে রক্ষা করে ত্বকের কোষগুলোর এবং ত্বক করে তোলে সুন্দর ও মোলায়েম। সেই সঙ্গে ত্বকে পড়তে দেয়না বয়সের ছাপ। ত্বক হাইড্রেট রাখে কমলার রস, ফলে স্বাস্থ্যকর দেখায় ত্বক।
কমলার রস ত্বক উজ্জল ও দাগ দূর করে
কমলার রসে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ ত্বক উজ্জল করতে এবং ত্বকের দাগ দূর করতে দারুণভাবে পালন করে কার্যকরী ভূমিবক। কমলা মেলানিনের উতপাদনে বাধা প্রদান করে এবং যত্ন নেয় রোদে পোড়া ত্বকের।
কমলার রস ব্যবহারে সতর্কতা
যদিও কমলার রস ভীষণভাবে উপকারি ত্বকের জন্য, তবুও সতর্ক থাকতে হবে আমাদের অনেক কিছু বিষয় নিয়ে। যেমন-
- কমলার রস অতিরিক্ত পরিমাণে পান বা ব্যবহার করার ফলে, স্বাস্থ্যের উপর ফেলতে পারে নেতিবাচক প্রভাব।
- যেহেতু কমলার রসে থাকে এসিড, সেহেতু এটি সেবনে থাকতে হবে সতর্ক, কারণ অতিরিক্ত পান করলে জালাপোড়া করতে পারে আপনার শরীর।
- যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাঁরা সাবধানতা অবলম্বন করুন। সাইট্রিক এসিড এর কারণে সমস্যা হতে পারে অ্যালার্জির। তাই তাদের ত্বকে কমলার রস না ব্যবহার করাই ভালো।
প্রতি ১০০ গ্রাম কমলায় রয়েছে পুষ্টিগুণ
- ভিটামিন সি ৯৩ শতাংশ।
- ভিটামিনি বি১ ০৯ শতাংশ।
- ফাইবার ১১ শতাংশ।
- ফোলেট ১০ শতাংশ।
- ক্যালসিয়াম ০৫ শতাংশ।
- পটাসিয়াম ০৫ শতাংশ।
- কপার ০৭ শতাংশ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url