ঈদে মইলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখে পালিত হবে

আরো পড়ুনঃ আমরা স্বাধীন ৫ আগস্ট ২০২৪ স্বাধীন আমারা

ঈদে মিলাদুন্নবী আরবী শব্দ যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় শেষ নবী হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর জন্ম দিন উপলক্ষে মুসলমানদের পালিত একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন ও উৎসব। এই দিনটি বিশেষ উৎসবের সঙ্গে মুসলমানদের দেখা যায় পালন করতে। তবে উৎসব নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে ইসলামী গবেষকদের মাঝে। এই উৎসব অনুষ্ঠিত আরবী মাসের ১২ (বারো) রবিউল আউয়াল তারিখে। এই দিনকে বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা অভিহিত করেন ঈদে মিলাদুন্নবী হিসাবে। 

আর পশ্চিমবঙ্গের ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কাছে এই দিনটি পরিচিত নবী দিবস হিসাবে। যে যেই নামই বলুননা কেন এই দিনটি ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো "ঈদে মইলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখে পালিত হবে" সহ দিনটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক- 

আজকের পাঠ্যক্রম- ঈদে মইলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখে পালিত হবে 

  • ঈদে মিলাদুন্নবী দিনটির উৎপত্তি 
  • ঈদে মইলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখে পালিত হবে 
  • ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের ইতিহাস
  • বিভিন্ন দেশে ঈদে মইলাদুন্নবী উৎযাপন
  • ঈদে মিলাদুন্নবী বা নবী দিবসের গুরুত্ব
  • শেষকথা 

ঈদে মিলাদুন্নবী দিনটির উৎপত্তি

আরবী মূল শব্দ মাওলিদ হতে উতপত্তি যার বাংলা অর্থ হয়, সন্তান ধারণ করা, জন্ম দেওয়া ও বংশধর ইত্যাদি। এখানে হজরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর জন্ম দিবস উৎযাপনের উল্লেখ করার পাশা- পাশি মাওলিদ শব্দটি  হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর জন্ম দিবস পালনের জন্য বিশেষভাবে রচিত ও আবৃতি করা ব গাওয়া একটি পাঠ্যকে বুঝায়। 

ঈদে মইলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখে পালিত হবে

ইসলাম ধর্মের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ঈদে মিলাদুন্নবী বা নবী দিবস। এই দিনটি পালন করা হয় বিশ্ব নবী হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) কে উৎসর্গ করার জন্য। যেটি পালন করা হয় মিলাদুন্নবী বা নবী দিবস হিসাবে। দিবসটি বিশেষ মর্যাদায় এই বছর পালন করা হবে- 

  • ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  • রোজ মঙ্গলবার।

পবিত্র এই দিনে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা নফল নামাজ পড়া, পবিত্র কোরয়ান শরীফ তেলওয়াত এবং আয়োজন করা হয়ে থাকে মিলাদ ও দোওয়ার। আবার কোথাও কোথাও মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা ও আয়োজন করা হয় শোভাযাত্রার।

আরো পড়ুনঃ কলাপাড়ায় রাত্রিযাপনের জন্য আবাসিক হোটেলের মোবাইল নম্বারসহ ঠিকানা 

ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের ইতিহাস

হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর জন্মদিনকে ইসলাম ধর্মের প্রথম দিকে সাধারণত ব্যক্তিগতভাবে একটি পবিত্র দিন হিসাবে পালন করা হতো। পরবর্তী সময়ে এই দিবস পালন উপলক্ষে সারাদিন বিশেষভাবে মওলিদ বাড়ী উম্মুক্ত থাকায় বৃদ্ধিপায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা। প্রথমদিকে দিনটি পালনের জন্য আয়োজন করা হতো পশু জবাই, মশাল মিছিলসহ ভোজ এবং ধর্মীয় সভার। বর্তমানে দিনটি পালন করা হয় নফল নামাজ, পবিত্র কোরয়ান দেলওয়াত এবং বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা করা হয় আহলে বায়াতকে নিয়ে।

বিভিন্ন দেশে ঈদে মইলাদুন্নবী উৎযাপন

বিশ্বের প্রায় সকল ইসলামী দেশেই ঈদে মিলাদুন্নবী বা নবী দিবস পালিত হয়। বিশেষ করে যেই দেশগুলোতে মুসলিম জনসংখ্যা বেশী আছে, যেমন- রাশিয়া, ইরাক, ইরান, ভারত, যুক্তরাজ্য, নাইজেরিয়া, তুরস্কো, জর্ডান, ইথিওপিয়া, লিবিয়া, মরক্ক, কোট ডিল্ভোয়ার কানাডা ও মালদ্বীপে পালিত হয়। কেবলমাত্র ব্যাতিক্রম সৌদি আরব এবং কাতার সেখানে সরকারী ছুটির দিন নয় এটি। তবে সালাফিদের উত্থানের ফলে বিংশ শতকের শেষ দশকে প্রবণতা দেখাদিয়েছে ঈদে মিলাদুন্নবী বা নবী দিবসকে নাজায়েজ ও নিষিদ্ধ করার। 

ঈদে মিলাদুন্নবী বা নবী দিবসের গুরুত্ব

এই দিনটি ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কাছে কতখানি গুরুত্ব বহন করে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এই দিনটি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর জন্মদিন। দিনটি উপলক্ষে সুন্দর করে সাজানো হয় বাড়ীঘর এমনকি রাস্তাঘাট। সেই সঙ্গে আয়োজন করা হয় অনেকের বাড়ীতে মিলাদের। গরিবদের মাঝে বিতরন করা হয় খাদ্য, বস্ত্র ও টাকা পয়সা। অনেকে দোওয়া করে থাকেন পরিবারের মৃত্যু সদস্যের জন্য।

প্রিয় নবীকে স্মমান জানানোর জন্য এবং তাঁকে স্মরন করে রাখার জন্য পালন করা হয় সুন্দরভাবে। আয়োজন করা হয় বাড়ীতে বাড়ীতে বিভিন্ন খাবারের। সবার সঙ্গে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ঘুরতে যাওয়া হয় আত্মীয়- স্বজনদের বাড়ীতে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে। মসজিদে বা বাড়ীতে নফল নামাজ পড়া, নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, দেশ তথা সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য দোওয়ার ব্যবস্থা করা হয় এই দিনটি উপলক্ষে।

এককথায় ঈদে মিলাদুন্নবী বা নবী দিবস পালন করা হয় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। একজন মোসলমানের কাছে এইদিনটি কতখানি গুরুত্ববহ তা একমাত্র ইসলাম প্রিয় মানুষেই জানেন। তাই এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছ ১২ রবিউল আউয়াল সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ পালন করে থাকেন। 

আরো পড়ুনঃ কিশোরগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় আবাসিক হোটেলের ঠিকানা মোবাইল নম্বারসহ

শেষ কথা

পরিশেষে পরম করুণাময় সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রথনা করি আমরা যেন ঈদে মিলাদুন্নবী বা নবী দিবস পালন করতে পারি, সেই সঙ্গে প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর হাদিস ও সুন্নহমতে সকল মুসলিম উম্মাহ জীবন জাপন করতে পারি, আল্লাহ আপনি আমাদের সেই শক্তি দিন। আমিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭