জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী
আরো পড়ুনঃ প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরীর অবস্থান
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরয়ানের প্রথম বাংলায় অনুবাদক ''জমিদার গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ী'' ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থিত একটি জমিদার বাড়ী। হ্যাঁ আমাদের প্রাণ- প্রিয় পাঠক- পাঠিকাগণ আপনারা অনেকেই আছেন যারা এই বাড়ী সম্পর্কে জানার জন্য গুগোলে খোঁজ করে থাকেন। আর আপনিও যদি এই বাড়ী সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন।
কারণ আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো গোপালগঞ্জের তৎকালের দৃষ্টিনন্দন জমিদার বাড়ী সম্পর্কে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগের সঙ্গে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই পড়ে ফেলতে হবে। তাহলে আপনারা জানতে পারবেন "জমিদার গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ী" সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য। চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী
- জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী কোথায় অবস্থিত
- পবিত্র কোরয়ানের বাংলায় অনুবাদক গিরিশচন্দ্র সেন
- জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী
- কিভাবে যাবেন জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী
- জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ীতে থাকা ও খাওয়া
- শেষকথা
জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী কোথায় অবস্থিত
ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতি নদীর তীর সংলগ্ন ভাটিয়া পাড়া গ্রামে ঐতিহাসিক ''জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের জমিদার বাড়ীটি'' অবস্থিত।
পবিত্র কোরয়ানের বাংলায় অনুবাদক গিরিশচন্দ্র সেন
জমিদার গিরিশচন্দ্র সেন বা ভাই গিরিশচন্দ্র সেন আপনারা যে যেনামেই ডাকুন না কেন তিনি সবচেয়ে বাশি ভাই গিরিশচন্দ্র সেন নামে জনপ্রিয় ছিলেন। তবে যাই হোক তিনি পবিত্র ইসলাম ধর্মের মহা পবিত্র ধর্মগ্রন্থ "আল কোরয়ানের" সর্ব প্রথম বাংলায় অনুবাদক। শুধু "আল কোরয়ান" এর বাংলায় অনুবাদক নন, তিনি আরো অনেক ইসলাম ধর্ম বিষয়ক গ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ করেছেন এবং গবেষণাও করেছেন পবিত্র ইসলাম ধর্ম নিয়ে।
জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী
রাস্তাটি পূর্ব- পশ্চিমমুখী নদীর পাড় হতে সামান্য একটু পূর্ব এগিয়ে গেলেই ডানদিকে আপনাদের চোখে পড়বে বিশাল একটি পুকুর আর পুকুরের অপর দিকে "জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী''। দক্ষিণ দিকে মুখ করা ইংরেজী "U" বর্ণের বাড়িটি সেসময় নজর কেড়ে নিত সকলের। নজরকাড়া বাড়িটির মাঝখানে দু'ইতালা ও তার দু'ই পাশে দু'টি একতালা ভবন ছিল। সুরক্ষিত ছিল বলা যায় সাদা সঙ্গের জমিদারি এই ভবনটি। বাড়ির পাশে একটি একতালা বিশিষ্ট মন্দির ভবন ছিল।
আরো পড়ুনঃ ঐতিহাসিক নীলসাগর দীঘি নীলফামারী
অপর দিকে ছনের ছিউনি কাচারী ঘর ছিল। পিছনের দিকে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ ছিল প্রাচির দ্বারা বেষ্টিত এই বাড়ীটির। দৃস্টি নন্দন বলতে যা বোঝায় তার কোন অংশে কম ছিল না এই বাড়ীর। শান বাধানো বিশাল একটি পুকুর ছিল, যা এই জমিদারবাড়ী ও এলাকার জনগণের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হতো। এখন নেই কোন বাংলার সেই মেঠোপথ বা মাটির রাস্তা, পাল্টে গেছে আগের সেই জমিদার বাড়ী।
এখন শুধু পরিচয় এটুকুই কাশিয়ানী এম এ খালেক ডিগ্রী কলেজের (অবঃ) অধ্যক্ষের বাড়ী হলো তখনকার "জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী ভিটা"। ভাটিয়াপাড়া হতে নদীর পাড় দিয়ে ১ কি"মিঃ মাটির রাস্তা পূর্ব দিকে চলে গেছে যা পুরোনো রেল স্টেশনে গিয়ে শেষ হয়েছে। লোকমুখে জানা যায়, জমিদার গিরিশচন্দ্রে সেনের পদ ধুলিতে ধন্য হতো এই কাচা রাস্তা।
কিভাবে যাবেন জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী
রাজধানী ঢাকা হতে বাসযোগে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার ঘোনাপাড়া বা পুলিশ লাইন (গোপালগঞ্জ) নামতে হবে। এরপর এখান হতে বাস, সিএনিজি, অটোরিক্সা বা নসিমনে করে ভাটিয়াপাড়ায় এসে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে "জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী"।
জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ীতে থাকা ও খাওয়া
থাকার জন্য আপনাদের গোপালগঞ্জ জেলা শহরে যেতে হবে। সেখানে বিভিন্ন ধরণের আবাসিক ও খাবারের হোটেল রয়েছে। আপনারা আপনাদের সাধ্যমত নিরাপদে রাত্রি যাপন ও ভালো মানের খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া যারা ঢাকা হতে এখানে আসবেন তাঁরা সকালে এসে আবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফেরত যেতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ প্রাচীন গোলকধাম মন্দির পঞ্চগড়
শেষকথা
আশাকরি আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে "জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী" সম্পর্কে আপনাদের অনেক ধারণা দিতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আশাকরি। বিশেষ করে "জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী" ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে অবশ্যই অন্যেদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url