প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরীর অবস্থান
আরো পড়ুনঃ ঐতিহাসিক নীলসাগর দীঘি নীলফামারী
বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অন্তরগত রহনপুরে অবস্থিত নওদা বুরুজ। প্রত্নসম্পদ ও লুকায়িত ইতিহাস সমৃদ্ধ সর্ব প্রাচীন স্থান এটি। স্থানীয়ভাবে পরিচিত ষাঁড়বুরুজ নামে। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কালের গর্বে বিলীন হওয়া প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ এক অট্টালিকা সম্পর্কে।
আপনারা যারা এই অট্টালিকা সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আজকের এই তথ্য বহুল ও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই পড়ে ফেলবেন। তাহলে জানতে পারবেন অনেক অজানা তথ্য। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরীর অবস্থান
- নওদা বুরুজ কোথায় অবস্থিত
- রাজা লক্ষণ সেনের প্রাসাদ নওদা বুরুজ
- প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরীর অবস্থান
- কিভাবে যাবেন নওদা বুরুজ
- কোথায় থাকবেন ও খাবেন নওদা বুরুজ
- শেষকথা
নওদা বুরুজ কোথায় অবস্থিত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হতে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার ও গোমস্তাপুর উপজেলা হতে ৭ কিলোমিটার দূরে বিখ্যাত বানিজ্যিক কেন্দ্র রহনপুর রেল স্টেশনের ১ কিলোমিটার উত্তরদিকে নওদা নামক স্থানে এই বুরুজ অবস্থিত।
রাজা লক্ষণ সেনের প্রাসাদ নওদা বুরুজ
রহনপুর বাণিজ্যিক নগরী হিসাবে রাজা লক্ষণ সেনের আমলে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এবং তিনি রহনপুরে বিভিন্ন অট্টালিকা গড়ে তোলেন এই বাণিজ্যিক নগরিতে। ষাঁড় বুরুজ নামে বহুল পরিচিত বিলীন অট্টালিকার প্রকৃত নাম হলো শাহ বুরুজ। শাহ শব্দের বাংলা অর্থ বাদশা আর অপর শব্দ বুরুজ এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায় অট্টালিকা বা বালাখানা। পরবর্তীতে এর শব্দ বিকৃতি ঘটিয়ে লোকমুখে পরিচিতি লাভ করে ষাঁড় বুরুজ বা নওদা বুরুজ নামে।
আরো পড়ুনঃ প্রাচীন গোলকধাম মন্দির পঞ্চগড়
প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরীর অবস্থান
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজি বাংলা বিজয়ের পর এই পথেই আগমন করেন বাংলায় এবং বেশ কিছু সময় অবস্থান করেন শাহ বুরুজ বা ষাঁড় বুরুজ বা নওদা বুরুজে। এই স্থাপনা গুলির পাশেই অবস্থিত ইতিহাসে বহুল পরিচিত নদীয়া অঞ্চলটি। এই অঞ্চলের রাজা লক্ষণ সেন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন বিন বখতিয়ার খলজির আগমনের সংবাদ পেয়ে এবং নদী পথে এই স্থান হতে পালায়ন করেন। সেই হতে এই স্থানটি পরিচিতি লাভ করে নওদা বুরুজ নামে।
শুধু নওদা বুরুজের চারিদিকে নয়, নগর সুলভ চিহ্ন ও প্রাচীনত্ব বিরাজমান গোটা রহনপুর এলাকা জুড়ে। কোন কোন ইতিহাস অনুসন্ধানকারী অনেকেই রহনপুরে '' প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরীর অবস্থান'' ছিল বলে উল্লেখ করেছেন। সময়ের আবর্তনে বিলীন অট্টালিকা্টি খালি চোখে দেখলে শুধু একটি ঢিপি বলে মনে হয়। কিন্তু যদি অনুসন্ধানী চোখ দিয়ে দেখেন তাহলে দেখবেন এটি একটি ইতিহাসের কালো মেঘে ঢাকা তমাশাচ্ছন্ন স্থান।
কিভাবে যাবেন নওদা বুরুজ
নওদা বুরুজ যাওয়ার জন্য রাজধানী ঢাকা বা বিভাগীয় শহর রাজশাহী হতে সরাসরি রহনপুর বাস যোগে যাওয়া যায়। ঢাকা গাবতলী ও কল্যাণপুর হতে সকাল ৭টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বাস চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও রহনপুরে নিয়মিতভাবে চলা চল করে। মানভেদে এসকল এসি ও নন এসি বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা হতে ১৫০০ টাকা। এছাড়াও রেলপথে কমলাপুর রেল স্টেশান হতে চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও রহনপুরে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন ও খাবেন নওদা বুরুজ
থাকা ও খাওয়ার জন্য রহনপুরে বেশ কয়েকটি মধ্যম মানের আবাসিক ও ভালো মানের খাবারের হোটেল রয়েছে। আপনারা এখানে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন কিংবা আরো ভালোমানের থাকা ও খাওয়ার জন্য রাজশাহী যেতে পারেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনের আবাসিক ও খাবারের হোটেল রয়েছে। আপনাদের সাধ্যমত থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ তিস্তা ব্যারেজ পর্যটন কেন্দ্র লালমনির হাট
শেষকথা
আশাকরি আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে ''প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরীর অবস্থান'' সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আশাকরি। বিশেষ করে প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরী ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url