ভীমের পান্টি প্রাচীন বাংলার অস্তিত্ব ঘোষণা করছে

আরো পড়ুনঃ ঠিকানা রিসোর্ট এ বনভোজন 
রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলা আদিকাল হতেই বৈচিত্রে ভরপুর একটি অঞ্চল। হ্যাঁ আমাদের প্রাণ প্রিয় পাঠক- পাঠিকাগণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো নওগাঁ জেলার ভারত সিমান্ত ঘেঁষা
 ধামইরহাট উপজেলা অবস্থিত ভীমের পান্টি সম্পর্কে। 

আপনারা যদি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগের সঙ্গে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে জানতে পারবেন প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো প্রাচীন বাংলার স্মৃতি স্তম্ভ বা ভীমের পান্টি সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরী না করে দেখে নেওয়া যাক-

আজকের পাঠ্যক্রম- ভীমের পান্টি প্রাচীন বাংলার অস্তিত্ব ঘোষণা করছে

  • ভীমের পান্টি কোথায় অবস্থিত
  • ভীমের পান্টি প্রাচীন বাংলার অস্তিত্ব ঘোষণা করছে
  • কিভাবে যাবেন
  • কোথায় থাকবেন 
  • কোথায় খাবেন
  • শেষকথা 

ভীমের পান্টি কোথায় অবস্থিত 

নওগাঁ জেলার সর্ব উত্তরের উপজেলা ধামইরহাট এর মঙ্গলবাড়ীতে অবস্থিত। নওগাঁ জেলা সদর হতে এর দূরত্ব প্রায় ৬৭ (সাতষট্টি) কিলোমিটার এবং ধামইরহাট উপজেলা হতে মাত্র ১২ (বারো) কিলোমিটার দূরে।

ভীমের পান্টি প্রাচীন বাংলার অস্তিত্ব ঘোষণা করছে

শুনতে অবিশ্বাস্য বলেও মনে হলেও সত্য যে, প্রাচীন বাংলার অন্যতম আরেক রাজধানীর অস্তিত্ব ঘোষণা করছে মঙ্গলবাড়ীর ভীমের পান্টি। লোকোমুখে কথিত ভীমের পান্টি মূলত কনো এক স্মৃতি স্তম্ভ। এই ভীমের পান্টি বা স্তম্ভের প্রতিষ্ঠাতা ভট্টগুরব মিশ্র সত্মম্ভলিপিতে ইয়ল্লেখ রয়েছে যে, স্তম্ভটি মন্ত্রীভবনের একাংশ ছিল। বিষ্ণুর উদ্যোগে এই স্তম্ভটি ১৮৩৬ খ্রিঃ হতে ৯২০ খ্রিঃ নির্মাণ করেন পাল রাজা নারায়ন পালের সময়। 

আরো পড়ুনঃ ডানা পার্ক পিকনিক স্পট

পৌরাণিক কাহিণী অবলম্বনে সাধারণ মানুষের মনে ধারণা জন্মে যে, দেহদূত ভীম দায়িত্ব পেয়েছিলেন মর্ত্যলোকের ভূমি কর্ষণের। গভীর রজনীতে এসে তিনি চাষ কার্য শেষ করে মঙ্গলবাড়ীতে এসে ভোর হয়। এসময় তিনি লোক চক্ষুর অন্তরালে দ্রত স্বর্গে গমনের জন্য তাঁর হাতে থাকা পান্টিটি মাটিতে পুঁতে স্বর্গে গমন করেন।  

কিভাবে যাবেন

নওগাঁ জেলা শহর হতে সড়ক পথে সিএনজি রিজার্ভ করে বাস যোগে সরাসরি মঙ্গলবাড়ী যাওয়া যায়। এছাড়াও জয়পুরহাট জেলা সদর হতে মঙ্গলবাড়ীর দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার হওয়ার কারণে জয়পুর হাট জেলা শহর হতে মঙ্গলবাড়ী যাওয়া আরো সহজ হবে।

কোথায় থাকবেন 

থাকার জন্য আপনাদের নওগাঁ কিংবা জয়পুরহাট জেলা শহরে থাকতে পারবেন। ওখানে সবধরনের আবাসিক হোটেল আছে, আপনারা আপনাদের সাধ্যমত থাকার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। থাকার জন্য আপনাদের জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ৩০০টাকা হতে মানভেদে আরো বেশী লাগতে পারে।

কোথায় খাবেন

মঙ্গলবড়ীতে বেশ কয়েকটা মধ্যম মানের খাবারের হোটেল আছে এখানে খেতে পারেন। আবার আপনারে চাইলে আরো ভালো মানের খাবার খেতে নওগাঁ বা জয়পুরহাট জেলা শহরে আপনাদের সাধ্যমত খাওয়া সেরে নিতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ কুসুম্বা মসজিদ প্রাক মুসলিম শাহী আমলের একটি নিদর্শন

শেষকথা

আশাকরি আমরা আপনাদের মাঝে "ভীমের পান্টি প্রাচীন বাংলার ঘোষণা করছে" সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক কাজে লাগবে, বিশেষ করে মঙ্গলবাড়ী ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভাললাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাদের পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল দেখুন। সবাই ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭