বাংলার প্রথম যুগের হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক
আরো পড়ুনঃ মুঘল আমলের স্মৃতি স্মারক মুঘল তাহাখানা
বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত চপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেসে বাংলার প্রথম যুগের হারিয়ে যাওয়া দারাসবাড়ী মাদ্রাসা ও মসজিদ। হ্যাঁ বন্ধ্যুগণ আপনারা অনেকেই আছেন যারা এই ঐতিহাসিক স্থানের সম্পর্কে জানার জন্য গুগোলে খোঁজ করেন।
আপনারাও যদি সেই স্থানের খোঁজ করেন বা সেই স্থান সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই পড়ে ফেলতে হবে। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধমে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো আপনাদের কাঙ্খিত সেই স্থান সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া ঐতিহাসিক স্থানের তথ্য-
আজকের পাঠ্যক্রম- বাংলার প্রথম যুগের হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক
- কোথায় অবস্থিত হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক
- দারাসবাড়ি মাদ্রাসা ও মসজিদ আবিস্কার
- বাংলার প্রথম যুগের হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক
- কিভাবে যাবেন হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক-এ
- কোথায় থাকবেন হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক-এ
- কোথায় খাবেন হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক- এ
- শেষকথা
কোথায় অবস্থিত হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কোতায়ালী দরজা ও ঐতিহাসিক ছোট সোনা মসজিদের ঠিক মাঝ বরাবর বিএসএফ এর তল্লাশি ঘাটির নিকটে অবস্থিত দখল দরওয়াজা। এখান হতে ১ (এক) কিলোমিটার আমবাগানের মধ্যেদিয়ে পায়ে হেটে গেলেই চোখে পড়বে একটি বড় দীঘি। দীঘি পার হলেই ঘোসপুর মৌজার দক্ষিণ- পশ্চিমে ঐতিহাসিক দারাসবাড়ি মাদ্রাসা ও মসজিদ।
দারাসবাড়ি মাদ্রাসা ও মসজিদ আবিস্কার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার স্থানীয় এক কৃষক ৭০ এর দশকে তাঁর কৃষি জমিতে লাঙ্গল দিয়ে চাষ করার সময় বেশকিছু ইটের সন্ধ্যান পান। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসন খবর পেয়ে মাটি খনন করে খুজে পান এই মাদ্রাসা এবং মসজিদ এর সন্ধ্যান। দীর্ঘদিন মাটি চাপা পড়েছিল এই স্থাপনাগুলো। খুঁজে পাওয়া মসজিদের আকার ছোট সোনা মসজিদের তুলোনায় কিছুটা বড়। সেখানে রয়েছে একটি দীঘি, এই দীঘির এক দিকে মাদ্রাসা ও অপর দিকে মসজিদ।
বাংলার প্রথম যুগের হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক
আরবী শব্দ দারস বা দরস এর বাংলা অর্থ পাঠ কিন্তু এর উচ্চারণ বিকৃতি ঘটিয়ে শব্দটি এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে দারাসবাড়ি কিংবা দারাসবাড়ি মাদ্ররাসা ও মসজিদ। সুলতান আলাউদ্দীন শাহ স্বাধীন বাংলার সুলতান থাকাকালে ১লা রমজান ১৫০২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর আদেশক্রমে অখন্ড বাংলার রাজধানী গৌড় এর ফিরোজপুর এলাকার দারসবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি সু-বিশাল আবাসিক মাদ্রাসা ও মসজিদ।
বাংলাদেশের প্রাপ্ত অনুসন্ধান মতে ধারণা করা হয় এই দারাসবাড়ী মাদ্রাসাটি স্বাধীন বাংলার সর্ব প্রাচীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। অখন্ড স্বাধীন ''বাংলার প্রথম যুগের হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক'' এই মাদ্রাসা ও মসজিদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় এখনো জানান দিচ্ছে সুলতানি যুগের কথা।
কিভাবে যাবেন হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক-এ
কোথায় থাকবেন হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক-এ
কোথায় খাবেন হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক- এ
আশাকরি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের "বাংলার প্রথম যুগের হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক'' সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক কাজে লাগবে, বিশেষ করে বাংলার প্রথম যুগের হারিয়ে যাওয়া মুসলিম স্মৃতি স্মারক ও ছোট সোনা মসজিদ ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে উপকারি মনে হলে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url