বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান
আরো পড়ুনঃ সিলেটের জনপ্রিয় ড্রিমল্যান্ড ওয়াটার পার্ক
বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত বাউল সম্রাট লালান এর কবরস্থান বা মাজার। হ্যাঁ আমাদের প্রাণ- প্রিয় পাঠক- পাঠিকাগণ আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বাউল সম্রাট লালান এর সম্পর্কে জানার জন্য গুগোলে খোজ করে থাকেন। আপনারাও যদি তাদের দলে হয়ে থাকেন, তাহলে আপনারা সঠিক যায়গাতেই এসেছেন।
কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করতে যাচ্ছি বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান সম্পর্কে। আশাকরি আপনারা আজকের তথ্যবহুল গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই পড়ে ফেলবেন। আর জেনে নিবেন বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান
- লালন শাহ এর মাজার কোথায় অবস্থিত
- বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান
- বাউল সম্রাট লালন শাহ এর জিবনী
- বাউল সম্রাট লালন মেলা কখন হয়
- শেষকথা
লালন শাহ এর মাজার কোথায় অবস্থিত
লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলা শহর হতে মাত্র ৪ (চার) কিলোমিটার দূরে কুমার খালি উপজেলার ছেউড়িয়া নামক স্থানে অবস্থিত। কুষ্টিয়া শহর হতে রিক্সা, সিএনজি বা অটোরিক্সায় ৩০/৪০ টাকা ভাড়ায় জাওয়া যায়।
বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান
আধ্যাতিক সাধক বাউল সম্রাট লালানের আখড়া বা লালন শাহের মাজার হচ্ছে মুলতঃ লালনের কবরস্থান এবং তার এই কবরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মাজার। বাউল সম্রাট বা বাউল গুরু লালনের মাজার নির্মাণ হয়নি একদিনে। মাজারটির উৎপত্তি শুরু হয় ১৮৯০ সালে এই আধ্যাতিক সাধকের মৃত্যুর পর যখন তাঁর ভক্ত অনুরাগি ও দর্শনার্থীদের আগমনে সরগরম হয়ে উঠে।
তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্নর জনাব মোনায়েম খান দেশ- বিদেশের দর্শনার্থী ও ভক্ত অনুরাগীদের আগমনের দিক বিবেচনা করে ১৯৬৩ সালে বর্তমান এই মাজারটি নির্মাণ ও উদ্বোধন করেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী অগ্রপুরী বিহার
বাউল সম্রাট লালন শাহ এর জিবনী
আধ্যাত্মিক এই সাধক এর জন্ম সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া জায়না, তবে তার বাসস্থান ছিলো কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়া গ্রামে। তিনি ১৭ অক্টোম্বর ১৮৯০ সালে শুক্রবার তিনি মারা যান। এই বাউল সম্রাট ছেউড়িয়া গ্রামেই তাঁর ভক্তনুরাগী ও স্থানীয়দের বিভিন্ন বিষয়ে দীক্ষা দিতেন। তিনি শীতের সময় প্রতি বছর আয়োজন করতেন মহোৎসবের। হাজার হাজার ভক্তের আগমন ঘটে উৎসবের সময়। এখানে তারা আলোচনা করতেন বাউল গান আর দেহতত্ত বিষয় নিয়ে।
১৮৯০ সালে এই বাউল সম্রাটের মৃত্যুর পরও তার ভক্ত অনুরাগীরা প্রতি বছর ভিড় জমাতে শুরু করেন আলোচনার জন্য। আর এভাবেই এখানে তৈরী হয় আখড়ার। আবার অনেক প্রিয় ভক্তদের কবর দেওয়া হয়েছে এখানে। আর জনোপ্রিয়তা দি্ন দিন এভাবেই বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তার বর্তমান মাজারটি ১৯৬৩ সালে এখানে করা হলেও ২০০৪ সালে আধুনিক মানের একাডেমিক ভবন এবং অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়।
বাউল সম্রাট লালন মেলা কখন হয়
প্রতিবছর ২ (দুই) বার এখানে লালন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। একবার দোল পূর্ণিমার দিন এবং বাংলা মাসের ১ কাত্তিক। এই ২ (দুই) টি মেলা আয়োজিত হয় লালন আখড়ায়। মেলা উপলক্ষে লালন শিস্য হতে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে এমন কি বিদেশ হতেও অনেক দর্শনার্থীর আগমনে সরগরম হয়ে উঠে লালন আখড়া। মেলার সময় মাজারকে সাজানো হয় রঙ্গিন করে এবং গানের উৎসব চলে রাতভর। আলোচনায় আছে সাধক ও ভক্তরা নাকি মেলায় এসে সিদ্ধি সেবনের আসর বসান এখানে।
আরো পড়ুনঃ শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির
শেষকথা
আশাকরি আমরা আজকের এই তথ্যবহুল আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের ''বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান'' অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে ''বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান'' ভ্রমনের ক্ষেত্রে। যদি আজকের আর্টিকেলটি ভালোলাগে এবং উপকারি মনে হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাদের পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url