টাঙ্গুয়ার হাওড়ে নৌকা ভ্রমন
আরো পড়ুনঃ ঠিকানা রিসোর্ট এ বনভোজন
অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর টাঙ্গুয়ার হাওড়। আপনাদের মধ্যেই অনেকেই আছেন যারা এই বর্ষায় নৌকা ভ্রমনের জন্য টাঙ্গুয়ার হাওয়ার এর বিসয়ে জানার জন্য গুগোলে খোজ করেন। আপনারাও কি তাদের দলের একজন, তাহলে আপনারা সঠিক যায়গাতেই এসেছেন। হ্যাঁ বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের টাঙ্গুয়ার হাওয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করবো।
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ন তাহলে জানতে পারবেন টাঙ্গুয়ার হাওড়ে এই বর্ষায় নৌকা ভ্রমন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক, টাঙ্গুয়ার হাওড় সম্পর্কে-
আজকের পাঠ্যক্রম- টাঙ্গুয়ার হাওড়ে নৌকা ভ্রমন
- টাঙ্গুয়ার হাওড় এর অবস্থান
- টাঙ্গুয়ার হাওড়ে নৌকা ভ্রমন
- কিভাবে যাবেন
- কোথায় থাকবেন
- শেষকথা
টাঙ্গুয়ার হাওড় এর অবস্থান
প্রকৃতিকন্যা সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা এবং তাহিরপুর উপজেলায় দক্ষিণ এশিয়ার সুন্দর জায়গাগুলোর মধ্যে একটি টাঙ্গুয়ার হাওড় অবস্থিত।
টাঙ্গুয়ার হাওড়ে নৌকা ভ্রমন
বর্ষা মৌসুম এলেই টাঙ্গুয়ার হাওয়র ধারণ করে ভিন্ন এক রূপ। এর বিশাল জলাভূমি সীমাহীন সাগরের মত হয়ে যায়। তখন নৌকা ভিড়ানোর মত একটু যায়গা মিলেনা সহজে আর এখানকার গ্রামগলো নির্জন দ্বিপের মত হয়ে যায়। বর্ষাকাল আসলে পানিতে ভরপুর হয়ে উঠে হাওড়ের চারিদিক আর মেঘেরা যেন খেলা করে নীল আকাশে এবং মনে হয় উড়ে চলে যায় হিমালয়ের দিকে।
টাঙ্গুয়ার হাওড়ের সৌন্দর্য বর্ষা মৌসুমে কয়েকগুণ বেড়ে যায়। মেঘে ঢাকা আকাশ দেখলে আপনার মনে হবে আকাশকে যেন ছুঁয়ে দেখা যাবে। তবে মৌসুম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয় টাঙ্গুয়ার হাওড়ের রূপ। বর্ষাকালে যখন আশেপাশের ১৭৩ (একশত) টি হাওড় মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, তখন এর ঢেউ দেখলে মনে হবে এ যেন আরেকটি সাগর।
আরো পড়ুনঃ ডানা পার্ক পিকনিক স্পট
টাঙ্গুয়ার হাওড় সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের দৃশ্য উপভোগ করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার সেরা যায়গার অন্যতম এটি। মাছেদের বিশাল মেলা শুরু হয় যখন শীতকালে এই হাওড়ের পানি কমে যায়। ইউনেস্কো ঘোষিত রামসার সাইট এখানে সকল প্রকার মাছ ধরা ও পাখি শিকার নিষেধ। তাই টাঙ্গুয়ার হাওড় অন্যসব জায়গার জীববৈচিত্র হতে আলাজায়। এই হাওড়ে অনেক মানুষ বিভিন্ন গবেসণা, পাখির কল- কাকলি ও পাখির গননা করার জন্য আসেন।
টাঙ্গুয়ার হাওড়ে শীতের সময় প্রায় ২৫- ৩০ প্রজাতির অতিথী/ পরিযায়ী বন্য হাঁস অবস্থান করে। যেকেউ চাইলেই পাশের গ্রাম হতে ছোট্ট একটি নৌকা ভাড়া করে পাখিদের কোন প্রকার বিরক্ত না করে হাঁসগুলোর কাছে যেতে পারবে। প্রতি শীত মৌসুমে পাখিগুলো এখানে ফিরে আসে ও আশ্রায় নান আগের বানানো সেই নীড়ে। এখানকার আকাসে উড়ন্ত ঈগল বাংলাদেশের সবচেয়ে জাদুকরি ঈগল।
কিভাবে যাবেন
টাঙ্গুয়ার হাওড়ে সড়ক পথে যেতে হলে প্রথমে সুনামগঞ্জ জেতে হবে। আর সুনামগঞ্জ যাওয়ার জন্য-
ঢাকা হতে- ঢাকার মহাখলী ও সায়েদাবাদ হতে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি বাস নিয়মিত সুনামগঞ্জের উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। এসকল বাসের মানভেদে ভাড়া ৭৫০ টাকা হতে ৮৫০ টাকা আর সময় লাগে ৬/৭ ঘন্টা।
সিলেট হতে- সিলেট শহরের কুমারগাও বাস স্ট্যান্ড হতে সুনামগঞ্জ যাওয়ার জন্য সিটিং ও লোকাল বাস চলাচল করে। আর যেতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা এবং ভাড়া ১০০ টাকা। অথবা শাহজালালের মাজার হতে লাইট গাড়িতে করে যাওয়া যায় এক্ষেত্রে আপনাদের ভাড়া লাগবে ২০০ টাকা।
সুনামগঞ্জ হতে- বাইক, সিএনজি, লেগুনা বা অটোরিক্সায় করে খুব সহজেই তাহেরপুর ঘাটে পৌঁছে যাবেন। তাহেরপুর ঘাট হতে আপনাদের সমথ্য অনুযায়ী নৌকা ভাড়া করে ঘুরে আসুন কাঙ্খিত সেই-- টাঙ্গুয়ার হাওড়।
তবে শীত মৌসুমে হাওড়ের পানি কমে গেলে আপনাদের বাইক, সিএনজি, লেগুনা বা অটোরিক্সায় করে সোলেমানপুর হতে নৌকা নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে।
কোথায় থাকবেন
টাঙ্গুয়ার হাওড়ে থাকার ব্যবস্থা তেমন ভালো নেই। তবে নৌকায় যদি রাত কাটাতে চান সে ক্ষেত্রে পাহাড়ের কাছা- কাছি থাকার চেষ্টা করবেন নিরাপরতার জন্য। চাইলে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন টেকেরঘাট এলাকায় হাওড় বিশাল নামে পরিচিত কাঠের বাড়ীতে খুব কম টাকায় ভাড়া পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ ভীমের পান্টি প্রাচীন বাংলার অস্তিত্ব ঘোষণা করছে
শেষকথা
আশাকরি আমরা আপনাদের সঙ্গে "টাঙ্গুয়ার হাওড়ে নৌকা ভ্রমন" প্রসঙ্গে অনেক কিছু তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যেটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে "টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ভ্রমন" ক্ষেত্রে। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালোলাগে ও উপকারী বলে মনে হয়, তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন ও পরবর্তী আর্টিকেল পড়ুন। সবাই ভালো থাকুন, ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url