তিস্তা ব্যারেজ পর্যটন কেন্দ্র লালমনির হাট

আরো পড়ুনঃ মধুপুর জাতীয় উদ্যানের জীব বৈচিত্র

বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের লালমনিরহাট জেলা্র তথা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এখন তিস্তা ব্যারেজ বা তিস্তা সেচ প্রকল্প। আপনারা অনেকেই এই ব্যারেজে ভ্রমনের জন্য এর সম্পর্কে জানতে গুগোলে খোঁজ করে থাকেন।আর আপনারাও যদি এটির খোজ করে থাকেন, তাহলে সঠিক যায়গাতেই এসেছেন।

কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশের সর্ববৃহত সেচ প্রকল্প বা তাস্তা ব্যারেজ সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। তাই আপনারা যদি এটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে অবশ্যই মনোযোগের সঙ্গে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই পড়ে ফেলতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক তিস্তা ব্যারেজ সম্পর্কে-

আজকের পাঠ্যক্রম- তিস্তা ব্যারেজ পর্যটন কেন্দ্র লালমনির হাট

  • তিস্তা ব্যারেজ কোথায় অবস্থিত 
  • তিস্তা ব্যারেজ সেচ ব্যবস্থা
  • তিস্তা ব্যারেজ পর্যটন কেন্দ্র লালমনির হাট
  • তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণের কারণ
  • তিস্তা ব্যারেজ কিভাবে যাবেন
  • তিস্তা ব্যারেজ কোথায় থাকবেন
  • তিস্তা ব্যারেজ কোথায় খাবেন
  • শেষকথা

তিস্তা ব্যারেজ কোথায় অবস্থিত

তিস্তা ব্যারেজ বা তিস্তা সেচ প্রকল্পটি নীলফামারী জেলার ডিমলা এবং লালমনিরহাট জেলার দোয়ানিতে অবস্থিত। এটি উত্তর বঙ্গের বিভাগীয় শহর রংপুর হতে মাত্র ৬১ কিলোমিটার আর জেলা শহর লালমনিরহাট হতে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে।

তিস্তা ব্যারেজ সেচ ব্যবস্থা

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত তিস্তা সেচ প্রকল্পটি হলো দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে সেচ সুবিধা প্রদান করে রংপুর, দিনাজপুর এবং নীলফামারী জেলার প্রায় ৫,৪০,০০০ (পাঁচ লক্ষ চল্লিশ হাজার) হেক্টর আবাদি জমিতে। এই প্রকল্পটির কাজ ১৯৯০ সালে শেষ হলেও এর কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৭৯ সাল হতে। বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পানি উন্নয়ন বোর্ড এই সেচ প্রকল্পটির রক্ষ্যনা- বেক্ষ্যন ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।  

তিস্তা ব্যারেজ পর্যটন কেন্দ্র লালমনির হাট

তিস্তা ব্যারেজ বা তিস্তা সেচ প্রকল্পটি লালমনিরহাট জেলা তথা উত্তর বঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। তিস্তা সেচ প্রকল্প ও তিস্তা ব্যারেজকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে অপরূপ সুন্দর এক বিনোদন স্পট। প্রাকৃতির সব ভরপুর সৌন্দর্যের সঙ্গে এখানে আরো জোগ হয়েছে, বাঁধদিয়ে ঘেরা উজানের কৃত্রিম জলরাশি, সেচের জন্য নির্মিত বাইপাস খাল, বনায়ন এবং পাথর দিয়ে বাঁধানো নদীর পাড় এসব কিছু মিলিয়ে যেন মনোরম এক পরিবেশ। শীতকালে এখানে প্রতিবছর অনেক অতিথি পাখির আগমন ঘটে।

আরো পড়ুনঃ শাপলার রাজ্য সাতলার সাজ অপরূপ

তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণের কারণ

অতি খরাপিড়িত এলাকা উত্তরাঞ্চল হওয়ার কারণে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৭ সালে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণের। তবে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান আমলে গ্রহণ করা হয় এর মূল পরিকল্পনা। ১৯৫৭ সালে এই প্রকল্পটি চালু করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। পরবর্তীতে দেশভাগ তথা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে। 

সৌদি উন্নয়ন তহবিল, আবুধাবি উন্নয়ন তহবিল এবং ইসলামি ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের প্রায় ২৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা ব্যায়ে এই ব্যারেজসহ কৃষিজমি সেচযোগ্য ও নির্মাণ শুরু হয় জলকাঠামো।এই প্রকল্পটির কাজ ১৯৯০ সালে শেষ হলে এর কার্যক্রম চালু হয় একই বছরের ৫ আগস্ট। ১৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) শত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই প্রকল্পের মাধমে সেচ সুবিধা পায় প্রায় ৫,৪০,০০০ (পাঁচ লক্ষ চল্লিশ হাজার) হেক্টর আবাদি জমি। ২৬৬ হেক্টর জমি ২০১৬ সালে অধিগ্রহন করা হয়।

তিস্তা ব্যারেজ কিভাবে যাবেন

তিস্তা ব্যারেজ যাওয়ার জন্য ঢাকা বা যেকোনো জেলা শহর হতে প্রথমে আপনাদের লালমনিরহাট কিংবা নীলফামারী জেলা শহরে যেতে হবে। লালমনিরহাট জাওয়ার জন্য বাস বা ট্রেনে যেতে পারবেন। এরপর আপনাদের সিএনজি, অটোরিক্সা বা ভাড়া মোটর সাইকেলে যেতে হবে। 

তিস্তা ব্যারেজ কোথায় থাকবেন

তিস্তা ব্যারেজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজ রয়েছে আপনারা কর্তপক্ষ এর অনুমতি ক্রমে এখানে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা লালমনিরহাট অথবা নীলফামারী জেলা শহরে থাকতে পারবেন। এখানে আপনারা অনেক ভালোমানের আবাসিক হোটেল পাবেন। আপনারা আপনাদের সাধ্যমত রুম নিয়ে নিরাপদে রাত্রি যাপন করতে পারবেন।

তিস্তা ব্যারেজ কোথায় খাবেন

তিস্তা ব্যারেজের আশে- পাশেই অনেক খাবারের হোটেল রয়েছে, আপনারা এখানে খেতে পারেন। আবার আপনারা চাইলে আরোভালো মানের খাবারের জন্য লালমনিরহাট অথবা নীলফামারী জেলা শহরে যেতে পারেন। এখানে আপনারা অনেক ভালোমানের খাবারের হোটেল পাবেন। আপনারা আপনাদের সাধ্যমত খেয়ে নিতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান

শেষকথা

আশাকরি আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যমে আপনাদের "তিস্তা ব্যারেজে বা তিস্তা সেচ প্রকল্প" সম্পর্কে অনেক ধারণা দিতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা মনেকরি, বিশেষ করে "তিস্তা ব্যারেজে বা তিস্তা সেচ প্রকল্প" ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আর্টিকেলটি ভালো ও উপকারি মনে হলে অন্যদের শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭