কুসুম্বা মসজিদ প্রাক মুসলিম শাহী আমলের একটি নিদর্শন
আরো পড়ুনঃ ঘুঘুডাঙ্গার তালতলি ঘুরে আসুন তালের মৌসুমে
বাংলাদেশের পাঁচ টাকার কাগজের নোটের উপর সুন্দর একটি মসজিদের ছবি এদেশের প্রায় সকলেই দেখেছেন। কিন্তু এই সুন্দর মসজিদটির নাম কি, কোথায় অবস্থিত এ সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এই মসজিদ সম্পর্কে জানতে চান। আপনারাও কি এই মসজিদ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে সঠিক জায়গাতেই এসেছেন।
কারণ আমরা আজকে্র আর্টিকেলে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো পাঁচ টাকার কাগজের নোটের সুন্দর ঐতিহাসিক মসজিদ সম্পর্কে। আপনারা যদি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই মনোযোগের সঙ্গে পড়েন, তাহলে আশাকরি এই সুন্দর ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অনেক তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি নাকরে চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- কুসুম্বা মসজিদ প্রাক মুসলিম শাহী আমলের একটি নিদর্শন
- ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদের অবস্থান
- কুসুম্বা মসজিদ কে নিরমাণ করেন
- কুসুম্বা মসজিদ এর বিবরণ
- কুসুম্বা মসজিদ প্রাক মুসলিম শাহী আমলের একটি নিদর্শন
- দর্শনার্থীদের সুযোগ- সুবিধা
- কিভাবে যাবেন
- কোথায় থাকবেন
- কোথায় খাবেন
- শেষকথা
ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদের অবস্থান
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় প্রায় ৪৫০ (চারশত পঞ্চাশ) বছরের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিকে বুকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে থাকা কুসুম্বা শাহী মসজিদটি রাজশাহী- নওগাঁ পাকা রাস্তার পাশে কুসুম্বা বাজার হতে ৩০০ গজ পশ্চিমে (মান্দা ফেরিঘাট হতে মাত্র ডেড় কিলোমিটার) অবস্থিত।
কুসুম্বা মসজিদ কে নিরমাণ করেন
মান্দা উপজেলার ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদটি সুলতানি আমলের নিদর্শনকে বুকে আগলিয়ে এখনো মাথা উঁচু দাঁড়িয়ে আছে। বাংলার সুলতান আলাউদীন হোসেন শাহ্ এর নাম এই মসজিদের মেহরাবের উপর লিপিবদ্ধ করা রয়েছে। তাঁর শাসনামলে এই মসজিদটি নিরমাণ করা হয়েছে বলে ধরাণা করা হয়। মসজিদটি নির্মাণ করতে প্রায় ৫৬ (ছাপান্ন) বছর সময় লেগেছিল বলে লোকমুখে শুনা যায়।
কুসুম্বা মসজিদ এর বিবরণ
সম্পূর্ণ গ্রানাইড পাথর দ্বারা নির্মিত মসজিদটি ৫৮ ফুট লম্বা এবং এর চওড়া ৪২ ফুট। চারকোণা বিশিষ্ট মসজিদটি ধূসর ও কালো রঙের পোড়ামাটির ইট ও পাথর দিয়ে গড়া। মসজিদের দেওয়ালের পোড়া মাটিতে জ্যামিতিক নকশার সুদৃশ্য কারুকাজ এবং মেহরাবে লতাপা্তা, ফুল ও ঝুলন্ত শিকল এর মনোরমসব শিল্পকর্ম। বাইরের অংশ কালো পাথরে ঢাকা মসজিদের ৩টি দরজা, চার কোণায় মসজিদের দেওয়াল পর্যন্ত উঁচু চারটি মিনার এবং দুই সারিতে ছাদের উপর ছয়টি গম্বুজ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ শহীদ জিয়া শিশু পার্কে ঘুরা ফিরা
কুসুম্বা মসজিদ প্রাক মুসলিম শাহী আমলের একটি নিদর্শন
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রন্ত হতে শত শত ইতিহাস ও ঐতিহ্যপ্রেমী কিংবা ভ্রমন পিপাসু মানুষ বাস, মাইক্রো বা বিভিন্ন যানবাহনে করে নিপুন কারুকার্যময় এই মসজিদটি দেখতে ছুটে আসেন। প্রাক মুসলিম শাহী আমলের প্রাচীন কীর্তির মাঝে হারিয়ে যান দর্শনার্থীরা কিছু সময়ের জন্য।
দর্শনার্থীদের সুযোগ- সুবিধা
কুসুম্বা শাহী মসজিদে ভ্রমণকারী দর্শনার্থী ও নামাজিদের জন্য গোসল ও অজুর সুন্দর ব্যবস্থা ও পিকনিকে আসা ভ্রমণকারীদের রান্না ও বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের পশ্চিম ধারে পিকনিক স্পট- এ দূরের দর্শনার্থী ও ভ্রমণকারীদের রাত্রী যাপনের জন্য পাশেই রয়েছে রেস্ট হউস।
কিভাবে যাবেন কুসুম্বা শাহী মসজিদ
জেলা শহর নওগাঁ কিংবা বিভাগীয় শহর রাজশাহী হতে বাসযোগে সরাসরি কুসুম্বা বাজারে নেমে মাত্র ৩০০ গজ পশ্চিমে এগুলেই পেয়ে যাবেন সুলতান শাহী আমলের ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদটি।
কোথায় থাকবেন কুসুম্বা শাহী মসজিদ
থাকার জন্য আপনি ফেরিঘাট আবাসিক হোটেল কিংবা জেলা শহর নওগাঁ অথবা বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে থাকতে পারবেন। কুসুম্বা বাজার হতে তার ১১টা পর্যন্ত বাস বা সিএনজি পাবেন ওখানে গিয়ে আপনারা আপনাদের সাধ্যমত থাকার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
কোথায় খাবেন কুসুম্বা শাহী মসজিদ
কুসুম্বা বা ফেরিঘাট-এ মধ্যমমানের খাবারের হোটেলে খেতে পারেন কিংবা জেলা শহর নওগাঁ অথবা বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে গিয়ে আপনারা আপনাদের সাধ্যমত খয়ায়ার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ গ্রিন ভ্যালি পার্ক লালপুর নাটোর
শেষকথা
আশাকরি আমরা আপনাদের মাঝে "সুলতান শাহী আমলের ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদ" সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক কাজে লাগবে, বিশেষ করে "এই মসজিদ" ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভাললাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল দেখুন। সবাই ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url