প্রাচীন গোলকধাম মন্দির পঞ্চগড়
আরো পড়ুনঃ তিস্তা ব্যারেজ পর্যটন কেন্দ্র লালমনির হাট
আপনি যদি হেমন্তকাল ও শীতকাল ভালোভাবে উপভোগ করতে তাহলে ঘুরে আসুন বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। রংপুর বিভাগের এই জেলার জনপদ অতি প্রাচীন। এই জেলায় রয়েছে চা বাগান ও দেশের একমাত্র রকস মিউজিয়ামসহ পর্যটকদের আকৃস্ট করার মত অনেক দর্শনীয় স্থান।
আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধমে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভূক্ত ''প্রাচীন গোলকধাম মন্দির'' এর সঙ্গে। আপনারা যদি আজকের আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই পড়েন তাহলে জানতে পাবেন ''প্রাচীন গোককধাম মন্দির'' সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- প্রাচীন গোলকধাম মন্দির পঞ্চগড়
- গোলকধাম মন্দির কোথায় অবস্থিত
- গোলকধাম মন্দির নাম করণের কারণ
- গোলকধাম মন্দিরের বৈশিষ্ট্য
- গোলকধাম মন্দির নির্মাণ শৈলী
- গোলকধাম মন্দিরে গেল যা দেখবেন
- কিভাবে যাবেন গোলকধাম মন্দির
- কোথায় থাকবেন ও খাবেন গোলকধাম মন্দির
- শেষকথা
গোলকধাম মন্দির কোথায় অবস্থিত
রংপুর বিভাগে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় জেলায় অবস্থিত গোলকধাম মন্দির হলো একটি প্রাচীন স্থাপনা। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নথিভূক্ত এই প্রাচীন স্থাপনাটি দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত।
গোলকধাম মন্দির নাম করণের কারণ
গোলকৃষ্ণ গোস্বামীর স্মৃতি রক্ষার জন্য ছয়কোণ বিশিষ্ট সুদৃশ্য এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আর এই কারণেই প্রাচীন এই মন্দিরটির নাম করণ করা হয়েছিল "গোককধাম মন্দির"।
গোলকধাম মন্দিরের বৈশিষ্ট্য
ছয়কোণাকার এই ''প্রাচীন গোলকধাম মন্দিরটি'' সমতল মাটি হতে উঁচু একটি প্লাটফর্মের উপর নির্মাণ করা হয়েছিল। শুধুমাত্র একটি মাত্র কক্ষ রয়েছে এই মন্দিরটিতে। বিভিন্ন প্রকারের গাছ- পালা দিয়ে ঘেরা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নথিভূক্ত এই প্রাচীন মন্দিরটি।
গোলকধাম মন্দির নির্মাণ শৈলী
দেবীগঞ্জ উপজেলা সদর হতে উত্তর- পশ্চিম দিকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিতি এই প্রাচীন মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৮৪৬ সালে। অষ্টদশ শতকে নির্মিত প্রাচীন এই মন্দিরের চমৎকার একটি নিদর্শন রয়েছে এর স্থাপত্য শিল্পে। এই প্রাচীন মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে গ্রীক স্থাপত্য শৈলীর অনুকরণে।
আরো পড়ুনঃ মধুপুর জাতীয় উদ্যানের জীব বৈচিত্র
গোলকধাম মন্দিরে গেল যা দেখবেন
প্রাচীন জনপদ এই পঞ্চগড়ে গেলে আপনারা ভালোভাবে অনুভব করতে পারবেন হেমন্তকাল ও শীতকালের পার্থক্য। পঞ্চগড়ে পর্যটকদের সবচেয়ে বেশী আকৃস্ট করে কাঞ্চনজঙ্ঘার হতে তেতুলিয়া পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারের মনোরম দৃশ্য। যা দেখলে আপনাদেরও মন আনন্দে ভরে উঠবে খুব সহজেই। দেশের একমাত্র রকস মিউজিয়াম রয়েছে এখানে। বাড়তি পাওনা হিসাবে আপনারা উপভোগ করতে পারবেন "চা বাগানের মনোরম সব দৃশ্য।
প্রাচীন এই পঞ্চগড় জেলায় রয়েছে অনেক দর্শনিয় স্থান। এর মধ্যে একটি হচ্ছে গ্রীক স্থাপত্য শৈলীর অনুকরণে নির্মিত "প্রাচীন গোককধাম মন্দির"। শীত ও হেমন্ত কালকে ভালোভাবে অনুভব করতে চাইলে আপনারা একটু সময় করে পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে বছরের যে কোন সময় ঘুরে আসতে পারেন "প্রাচীন গোককধাম মন্দির" হতে।
কিভাবে যাবেন গোলকধাম মন্দির
বাসযোগে- রাজধানী ঢাকা হতে প্রথমে যেতে হবে পঞ্চগড় জেলা সদরে। এখান হতে দেবীগঞ্জ উপজেলায়। এরপর সিএনজি বা অটোরিক্সা নিয়ে খুব সহজে শালডাঙ্গা গ্রাকের সেই "গোলকধাম মন্দিররে''।
ট্রেনযোগে- রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন হতে আন্তঃনগর ট্রেনযোগে দিনাজপুর ও পঞ্চগড় যেতে পারবেন। এখান হতে দেবীগঞ্জ উপজেলায়। এরপর সিএনজি বা অটোরিক্সা নিয়ে খুব সহজে শালডাঙ্গা গ্রাকের সেই "গোলকধাম মন্দিররে''।
বিমানযোগে- রাজধানী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে সৈয়দপুর যেতে পারবেন। এখান হতে পঞ্চগড়, এরপর এখান হতে দেবীগঞ্জ উপজেলায়। এরপর সিএনজি বা অটোরিক্সা নিয়ে খুব সহজে শালডাঙ্গা গ্রাকের সেই "গোলকধাম মন্দিররে''।
কোথায় থাকবেন ও খাবেন গোলকধাম মন্দির
পঞ্চগড়ে থাকার জন্য রয়েছে ্সার্কিট হউস, ডাকবাংলো, ডিসি কটেজ, পিকনিক কর্নার বা আপনারা চাইলে এই জেলা শহরে অনেক ধরণের আবাসিক হোটেল ও খাবারের হোটেল রয়েছে, আপনারা আপনাদের সাধ্যমত খরচ করে নিরাপদে থাকা ও খওয়ার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ শাপলার রাজ্য সাতলার সাজ অপরূপ
শেষকথা
আশাকরি আজকের এই আর্টিকেলের মাধমে আপনাদের মাঝে "প্রাচীন গোলকধাম মন্দির পঞ্চগড়'' এর সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমরা আশাকরি। বিশেষ করে ''প্রাচীন গোলকধাম মন্দির ও পঞ্চগড়ের'' বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আজকের আর্টিকেলটি উপকারি মনে হলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভূলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। সবাইকে ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url