বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী অগ্রপুরী বিহার
আরো পড়ুনঃ শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির
বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক প্রাচীন স্থাপনা আগ্রাদিগুন ঢিবি বা অগ্রপুরি বিহার। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো বাংলাদেশ- ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা নওগাঁ জেলার ধামইর হাট উপজেলায় অবস্থিত আগ্রাদিগুন ঢিবি বা অগ্রপুরি বিহার এর সঙ্গে।
হ্যাঁ আমাদের প্রাণ- প্রিয় পাঠক- পাঠিকাগণ আশাকরি আপনারা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগের সঙ্গে পড়বেন এবং যেনে নিবেন বাংলাদেশের অন্যতম তালিকাভূক্ত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী অগ্রপুরী বিহার সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী অগ্রপুরী বিহার
- বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী অগ্রপুরী বিহার
- অগ্রপুরী বিহার কোথায় অবস্থিত
- অগ্রপুরী বিহার এর ইতিহাস
- অগ্রপুরী বিহার এর বিবরণ
- কিভাবে যাবেন
- কোথায় থাকবেন
- কোথায় খাবেন
- শেষকথা
বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী অগ্রপুরী বিহার
অগ্রপুরী বিহার কোথায় অবস্থিত
নওগাঁ জেলা সদর হতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে ধামইরহাট উওপজেলা হতে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে আগ্রাদিগুন বাজার সংলগ্ন এই প্রাচীন বিহারটি অবস্থিত। এই স্থানটি পূর্বে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার আওতাভুক্ত ছিল।
অগ্রপুরী বিহার এর ইতিহাস
প্রাচীন এই বিহার সম্পর্কে সঠিক কোন ইতিহাস এখন পর্যন্ত জানা যায় নাই। ধারণা করা হয় যে, এই বিহারটি বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারি পাল বংশের রাজাদের শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল। আর তিব্বতীয় সাহিত্য অনুসারে বলা যায় এটি অগ্রপুরী বিহার। একসময় প্রাচীন এই বিহারটি বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষার বৃহৎ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। যেহেতু উপসানালয় ও বিদ্যালয় এই দু'টির মিলিত স্থাপনাকে বলা হয় বিহার, সেহেতু এটি একটি বিহার ছিল। তবে যাইহোক স্থাপনাটি বর্তমানে একেবারেই ধ্বংসের পথে।
আরো পড়ুনঃ প্রত্নতাত্তিক স্থান বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর
অগ্রপুরী বিহার এর বিবরণ
প্রায় চার বর্গমাইল অঞ্চলজুড়ে প্রাচীন এই বিহারটি অবস্থিত। অনেক প্রাচীন জলাশয়ের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায় এই বিহার এলাকায়। উঁচু ঢিবি আকৃতির দেখতে অনেকটা পাহাড়ের মতো এই বিহারের উপরের অংশ একেবারে সমতল বলে মনে হয়। প্রাচীন এই অগ্রাদিগুন গ্রামে ১৫ হতে ২০ একর আয়তনের অনেক দিঘী রয়েছে। আর এই সকল দিঘী বা জলাশয়ের চারপাশে এখনো পড়ে রয়েছে অনেক পুরনো পাথর ও শিলা।
কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী অগ্রপুরী বিহার এ যাওয়ার জন্য আপনাদের প্রথমে বিভাগীয় শহর রাজশাহী অথবা জেলা শহর নওগাঁ যেতে হবে। এখান হতে সরাসরি বাস যোগে অগ্রপুরী বিহার বা আগ্রাদিগুন বাজারে এ যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
থাকার জন্য আগ্রাদিগুনে থাকার কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে আপনাদের বিভাগীয় শহর রাজশাহী অথবা জেলা শহর নওগাঁ যেতে হবে। রাজশাহী বা নওগাঁ শহরে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল আছে নিজের সাধ্যমত খরচ করে থাকতে পারবেন। মানভেদে জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ৩০০ টাকা হতে উপরে।
কোথায় খাবেন
খাওয়ার জন্য আপনারা আগ্রাদিগুন বাজারে দুপুরের ভাত খেতে পারেন, এখানে মধ্যম মানের খাবারের হোটেল আছে। আবার আপনারা চাইলে বিভাগীয় শহর রাজশাহী অথবা জেলা শহর নওগাঁ খেতে পারেন। রাজশাহী বা নওগাঁ শহরে বিভিন্ন মানের খাবারের হোটেল আছে নিজের সাধ্যমত খরচ করে খেতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ আলপনা গ্রাম ঘুরে আসুন একবার
শেষকথা
আশাকরি আমরা এই আর্টিকেলের মাধমে আপনাদের "বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী অগ্রপুরী বিহার" এর প্রসঙ্গে অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে "বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী অগ্রপুরী বিহার" ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আপনাদের যদি আজকের আর্টিকেলটি ভালোলাগে তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url