মধুপুর জাতীয় উদ্যানের জীব বৈচিত্র
আরো পড়ুনঃ শাপলার রাজ্য সাতলার সাজ অপরূপ
বাংলাদেশের অন্যতম জীববৈচিত্র্যময় উম্মুক্ত একটি উদ্যান হলো ্মধুপুর জাতীয় উদ্যান। হ্যাঁ আমাদের প্রাণ-প্রিয় পাঠক- পাঠিকাগণ আপনাদের মধ্যে যারা গুগোলে টাঙ্গাইলের এই জাতীয় উদ্যান সম্পর্কে খোজ করছেন তাঁরা সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি টাঙ্গাইল জেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান মধুপুর জাতীয় উদ্যান সম্পর্কে।
আর আপনারা যদি এই উদ্যান সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই এই গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্য বহুল আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেলতে হবে। তাহলে আর দেরী নাকরে চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- মধুপুর জাতীয় উদ্যানের জীব বৈচিত্র
- মধুপুর জাতীয় উদ্যান কোথায় অবস্থিত
- মধুপুর জাতীয় উদ্যান এর বিবরণ
- মধুপুর জাতীয় উদ্যানের জীব বৈচিত্র
- মধুপুর জাতীয় উদ্যানের উদ্ভিদ বৈচিত্র
- মধুপুর জাতীয় উদ্যানে কিভাবে যাবেন
- মধুপুর জাতীয় উদ্যানে কোথায় থাকবেন
- শেষকথা
মধুপুর জাতীয় উদ্যান কোথায় অবস্থিত
মধুপুর জাতীয় উদ্যানটি রাজধানী ঢাকা শহর হতে মাত্র ১২৫ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইল জেলা শহর হতে মাত্র ৪৭ কিলোমিটার দূরে মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত।
মধুপুর জাতীয় উদ্যান এর বিবরণ
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরে অবস্থিত উদ্ভিদ ও জীব বৈচিত্র ভরপুর এই বনভূমিকে ১৯৬২ সালে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষণা করা হয়। প্রকৃতি প্রেমী মানুষদের কাছে বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম পছন্দনীয় পর্যটন স্থান মধুপুরের এই জাতীয় উদ্যানটি। টাঙ্গাইল- ময়মনসিংহ মহা সড়কের সঙ্গেই রসুল্পুর নামক মাজারে গিয়ে হাতের বাম দিকে দেখা মিলবে এই উদ্যানের প্রধান ফটক। প্রধান ফটকের পাশেই রয়েছে মধুপুর জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন সংরক্ষক এবং রেঞ্জ অফিসারের অফিস।
আরো পড়ুনঃ বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার বা কবরস্থান
বনের ভিতরে প্রবেশের জন্য অনুমতি নিতে হবে এই অফিস হতে। আর এই ফটকের পায়ে চলা (যা ইট দ্বারা বাঁধানো) পথধরে সামনে এগিয়ে গেলেই পাওয়া যাবে হরিণের প্রজনন কেন্দ্রের। ১৯৮২ সালের হিসাব মতে এই উদ্যানটি ৮৪৩৬ হেক্টর জায়গার উপর অবস্থিত। অনেকের মতে এই উদ্যানটির আয়তন পূর্বের তুলুনায় প্রায় অর্ধেক হয়ে এসেছে। এই উদ্যানটি মুলতঃ শালবনের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত।
মধুপুর জাতীয় উদ্যানের জীব বৈচিত্র
পূর্বে যখন মধুপুর জাতীয় উদ্যানটির আয়তন বিশাল ছিল সেই সময় চিতা বাঘের প্রিয় আবাস্থল ছিল এটি। বর্তমানে মেছোবাঘ, বন বিড়াল, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, বুনো শূকর, বানর, মুখপোড়া হনুমান, বনরুই ও শিয়ালসহ ৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, প্রায় ৩৮ প্রকারের দেশীয় প্রজাতির পাখি, ৪ প্রকারের উভয়চর প্রজাতির প্রাণী এবং বেশ কয়েক প্রকারের সরীসূপ প্রজাতির প্রাণী এই উদ্যানে দেখতে পাওয়া যায়। এই উদ্যানের মাঝ বরাবর রেঞ্জ অফিসের কাছেই হরিণের প্রজনন কেন্দ্রটি অবস্থিত।
মধুপুর জাতীয় উদ্যানের উদ্ভিদ বৈচিত্র
মধুপুর জাতীয় উদ্যানে শাল, বট সর্পগন্ধ্যা, বহেড়া, শতমূলী, আজুকি বা হারগাজা, আমলকী, হলুদ, ভাদি, অশ্বথ, জয়না, আমড়া, জিগা, বিধা ও বেহুলাসহ নানান প্রজাতির গাছ- গাছালি দ্বারা শোভিত মধুপুরের এই জাতীয় উদ্যানটি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরিনের পাহাড়ি আলুসহ নাম নাজানা লতায় ভরা এই জাতীয় উদ্যানটি।
মধুপুর জাতীয় উদ্যানে কিভাবে যাবেন
মধুপুর জাতীয় উদ্যানে কেবল মাত্র সড়ক পথে যেতে পারবেন। ঢাকা মহাখালী অথবা গাবতলি হতে ময়মনসিংহ গামী বাসে করে সরাসরি যেতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে টাঙ্গাইল জেলা শহর হতে অথবা এলেঙ্গা বাজার হতে বাস, সিএনজি বা অটো রিক্সায় চেপে মধুপুর জাতীয় উদ্যানে জেতে পারবেন।
মধুপুর জাতীয় উদ্যানে কোথায় থাকবেন
ঢাকা হতে সাধারণতঃ মধুপুর জাতীয় উদ্যানে দিনে গিয়ে রাতেই ঢাকা ফিরে আসা যায়। এছাড়াও আপনারা যদি চান তাহলে মধুপুর জাতীয় উদ্যান এ বেশ কয়েকটি রেস্ট হাউস ও কটেজ রয়েছে। সেখানে রাত্রি যাপনের সকল ধরণের সুবিধা পাবেন এগুলোতে থাকতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ সিলেটের জনপ্রিয় ড্রিমল্যান্ড ওয়াটার পার্ক
শেষকথা
আশাকরি আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের "মধুপুর জাতীয় উদ্যান" সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে "মধুপুর জাতীয় উদ্যান" ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে ও উপকারি বলে মনে হয় তাহলে এটি শেয়ার করেতে ভূলবেন না কিন্তু। আমাদের সঙ্গে থাকুন আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url