শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির
আরো পড়ুনঃ প্রত্নতাত্তিক স্থান বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির। আমাদের প্রাণ-প্রিয় পাঠক- পাঠিকাগণ আপনারা অনেকেই ঐতিহাসিক এবং দর্শনীয় এই মন্দির সম্পর্কে জানার জন্য গুগোলে খোজ করে থাকেন। আর আপনারাও যদি এটির খোজ করে থাকেন, তাহলে সঠিক জায়গাতেই এসেছেন।
কারণ আমরা আজকের আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করবো। আপনারা যদি আজকের এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত মনোজোগের সঙ্গে পড়েন, তাহলে আমরা আশাকরি এই মন্দির সম্পর্কে সঠিক তথ্য আপনারা জানতে পারবেন। দেরী নাকরে চলুন দেখে নাওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির
- শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির
- ঠাকুর মান্দা মন্দির এর অবস্থান
- ঠাকুর মান্দা মন্দির এর নাম করণ
- ঠাকুর মান্দা মন্দির এর ইতিহাস
- কিভাবে জাবেন
- কোথায় থাকবেন
- কোথায় খাবেন
- শেষকথা
শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির
ঠাকুর মান্দা মন্দির এর অবস্থান
রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ঠাকুর মান্দা গ্রামে প্রায় ৫০০ (পাঁচশত) বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরটি এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
ঠাকুর মান্দা মন্দির এর নাম করণ
"মানদাদেবী'' এই মন্দিরটির একান্ত সেবাইত ছিলেন। আর তার নামনুসারে উক্ত এলাকার নাম করণ করা হয়েছে মান্দা। এছাড়াও আরো এক পুজারির কথা জানা যায়, জার নাম ছিল রঘুনাথ। উক্ত মন্দিরটি খুব জাগ্রত হওয়ার কারণে এর নাম হয়েছে শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে ভারত সরকারের অর্থে নির্মাণ করা একটি বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ আলপনা গ্রাম ঘুরে আসুন একবার
ঠাকুর মান্দা মন্দির এর ইতিহাস
এই সময় এই মন্দিরের চারিদিকে শুধু বিল ছিল। রামভক্ত এক দরিদ্র অন্ধ ব্রাহ্মণ একদিন ঠাকুর মান্দার এই বিলে গোসল বা স্নান করতে যান। স্নান করার সময় উক্ত ব্রাহ্মণ রাম, লক্ষ্মণ আর সীতা এই তিনটি বিগ্রহ পান। তিনি প্রাপ্ত তিন বিগ্রহ অতি যত্ন সহকারে তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে যান। পরে তিনি একটি মন্দির নির্মাণ করেন এবং শুরু করেন পূজা অর্চনা। আর এর ফলে উক্ত ব্রাহ্মণ হঠাত করে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান এবং দারিদ্রতাও দূর হয়ে যায় তার।
লোকমুখে ব্রাহ্মণ এর কথাগুলো ছড়িয়ে পড়লে এক সময় নাটোরের রাণী ভবানীও জানতে পারেন এবং তিনি ১৭৮০ সালে বড়ো পরিসরে বর্তমানের এই মন্দিরটি নির্মাণ করে দেন।
ঠাকুর মান্দা মন্দির এর পূজা ও উৎসব
শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির খুবই জাগ্রত। শোনাজায় অনেকের মনের ইচ্ছা নাকি পূরণ হয় উক্ত মন্দিরে মানতের ফলে। বিশেষকরে দৃষ্টিশক্তি ফেরত পেয়েছে অনেকে। আরো শোনাজায় সন্তানলাভ ও মৃত শিশুর প্রাণ ফিরে পাওয়া যায় এখানে মানতের ফলে। অনেক মুসলিমও মানত করেন উক্ত মন্দিরে। মন্দিরে বাসন্তী পূজার মহানবমীতে রামচন্দ্রের পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয় নবমী উৎসবের।
নবমী উৎসব চলে ১৫ দিন ধরে এবং ৯ দিনের মেলা বসে রাম নবমী উৎসব উপলক্ষে। এই সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা এমনকি ভারতের বিভিন্ন জায়গা হতে লক্ষ লক্ষ ভক্ত এসে জমা হন এই মন্দিরে।
কিভাবে যাবেন
জেলা শহর নওগাঁ কিংবা বিভাগীয় শহর রাজশাহী হতে বাসযোগে সরাসরি কুসুম্বা বাজারে নেমে এখান হতে সি,এন,জি, বা অটো রিক্সায় করে ঠাকুর মান্দা মন্দির যাওয়া জায়। কুসুম্বা বাজার হতে দূরুতব মাত্র ৭/৮ কিলোমিটার।
কোথায় থাকবেন
থাকার জন্য আপনি ফেরিঘাট আবাসিক হোটেল কিংবা জেলা শহর নওগাঁ অথবা বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে থাকতে পারবেন। কুসুম্বা বাজার হতে তার ১১টা পর্যন্ত বাস বা সিএনজি পাবেন ওখানে গিয়ে আপনারা আপনাদের সাধ্যমত থাকার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
কোথায় খাবেন
ঠাকুর মান্দা বাজারে মধ্যমমানের খাবারের হোটেলে খেতে পারেন কিংবা জেলা শহর নওগাঁ অথবা বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে গিয়ে আপনারা আপনাদের সাধ্যমত খয়ায়ার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কক্সবাজারে ৫০০ টাকায় হোটেল ও বিভিন্ন হোটেলের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার
শেষকথা
আশাকরি আমরা আপনাদের মাঝে "শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির" সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে "শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির বা ঠাকুর মান্দা মন্দির" ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। দেখা হবে অন্যকনো আরতিকেলে। সবাই ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url