প্রত্নতাত্তিক স্থান বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর
আরো পড়ুনঃ আলপনা গ্রাম ঘুরে আসুন একবার
আমাদের প্রাণপ্রিয় পাঠক- প্রঠিকাগণ আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্তিক স্থান বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর সম্পর্কে জানার জন্য গুগোলে খোজ করে থাকেন। আপনিও কি খোজ করছেন! তাহলে আপনি সঠিক যায়গাতেই এসেছেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর সম্পর্কে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
আশাকরি আপনারা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং জেনে নেবেন বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর সম্পর্কে অনেক জানা অজানা তথ্য। তাহলে আর দেরী কেন চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- প্রত্নতাত্তিক স্থান বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর
- বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘরের অবস্থান
- প্রত্নতাত্তিক স্থান বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর
- বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘরের বর্ণনা
- কিভাবে যাবেন
- কোথায় থাকবেন
- কোথায় খাবেন
- কোথায় খাবেন
বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘরের অবস্থান
বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘরটি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলা তথা উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত বগুড়া জেলার বগুড়া সদর উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় বাস স্টান্ড হতে দক্ষিণ- পশ্চিম দিকে মাত্র ২ (দুই) কিলোমিটার দূরে গোকুল, পলাশবাড়ি ও রামশহর তিন গ্রামের সংযোগ স্থলে যা গোকুল মৌজায় অবস্থিত। বগুড়া জেলা শহর হতে মাত্র ১১ (এগারো) কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
প্রত্নতাত্তিক স্থান বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্তিক এর ধারণা মতে আনুমানিক খৃস্টাব্দ ৭ম (সপ্তম) শতাব্দী হতে ১২০০ (বারোশত) শতাব্দী এর মধ্যে এটি নির্মিত হয়। এটিকে বলা হয়ে থাকে, এখানে বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর হয়েছিল। যা সেন যুগেরও অনেক দিন আগের ঘটনা। তবে গবেষকদের গবেষণা মতে এই স্তম্ভটি দেবপাল ৮০৯ (আটশত নয়) হতে ৮৪৭ (আটশত সাতচল্লিশ) খৃস্টাব্দ পর্যন্ত নির্মিত একটি বৌদ্ধমঠ। এই স্তম্ভে অনেক গর্তযুক্ত একটি ছোট পাথরের সঙ্গে একটি স্বর্ণ এর পাত্র পাওয়া যায় যেটি ষাঁড়ের প্রতিকৃ্তির।
আরো পড়ুনঃ কক্সবাজারে ৫০০ টাকায় হোটেল ও বিভিন্ন হোটেলের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার
আর এটা হতেই ধরণা করা হয়ে থাকে যে, বর্গাকৃ্তির শিব মন্দির ছিল এটি একটি। যানা যায় বিখ্যাত পর্যটক হিউয়েন সাং এবং ইবনে বতুতা তাদের ভ্রমন কাহিনীতে এই স্তম্ভটিকে বৌদ্ধ মঠ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। আবার অনেক ঐতিহাসিক গ্রন্থে এই স্তম্ভকে উল্লেখ করেছেন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে। যা বাইরের শত্রুর হাত হতে পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানীকে রক্ষ্যা করার জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
তবে যাই হোক স্থানীয়ভাবে বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর নামে এটি সর্বাধিক পরিচিত। আসলে এটি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ ছিল, বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর নয়। আবার স্থানীয় অনেকে এই স্থানকে লক্ষ্মীদরের মেধও বলে থাকে। বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব এর অন্তরভূক্ত অন্যতম স্থান এটি।
বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘরের বর্ণনা
ইষ্টক নির্মিত স্তম্ভটি পূর্ব- পশ্চিমের দিকে অপেক্ষাকৃত একটু দীর্ঘ। ত্রিকোণ আকারের ১৭২ (একশত বাহাত্তর) টি কক্ষ রয়েছে এই স্তম্ভে। এই কক্ষগুলো কিছুটা অস্বাভাবিক ও এলোমেলো নির্মাণ এর ধরণ আরো করে তোলে দুর্বোধ্য। বাসর ঘরের প্রাসাদ স্মৃতিচিহ্ন আছে এই স্তম্ভের পশ্চিম দিকে। ২৪ (চব্বিশ) কোণ বিশিষ্ট চৌবাচারমত একটি স্নানাগার রয়েছে পূর্ব দিকে। ৮ (আট) ফুট গভীর একটি কুপ রয়েছে স্নানাগারে। কথিত আছে এই স্নানাগারে বেহুলা লক্ষ্মীদর মধুনিশি যাপনের পর স্নান করে শুদ্ধ হতেন।
কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশের যেকোনো জেলা শহর হতে বাস, ট্রেন বা আকাশ পথে খুব সহজে বগুড়া জেলা শহরে আসা যায়। এরপর বগুড়া শহর হতে বাস বা সিএনজি যোগে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় বাস স্টান্ড যেতে হবে। এখান হতে সিএনজি, রিক্সা, চারজার অথবা পায়ে হেটেও জেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
থাকার জন্য আপদের জেলা শহর বগুড়াতে আসতে হবে। বগুড়াতে বিভিন্ন ধরনের আবাসিক হোটেল আছে। আপনারা আপনাদের সমথ্য অনুযায়ী থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাদের জন প্রতি ভাড়া লাগবে মানভেদে ৩০০ (তিনশত) টাকা হতে উপরে।
কোথায় খাবেন
আপনারা চাইলে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় এ খেতে পারবেন। আবার বগুড়া শহরেও খেতে পারেন।বগুড়া শহরে বিভিন্ন ধরনের খাবারের হোটেল আছে। আপনারা আপনাদের সমথ্য অনুযায়ী খাওয়ার কাজ সেরে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গুয়ার হাওড়ে নৌকা ভ্রমন
শেষকথা
আশাকরি আমরা আপনাদের মাঝে "প্রত্নতাত্তিক স্থান বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর" সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে "প্রত্নতাত্তিক স্থান বেহুলা লক্ষ্মীদরের বাসর ঘর" ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। দেখা হবে অন্যকনো আরতিকেলে। সবাই ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url