আলপনা গ্রাম ঘুরে আসুন একবার
আরো পড়ুনঃ কক্সবাজারে ৫০০ টাকায় হোটেল ও বিভিন্ন হোটেলের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার
প্রিয় পাঠক পাঠিকাগন আপনাদের অনেকেই আছেন যারা গুগলে আলপনা গ্রামের সম্পর্কে জানতে বা খোজ করে থাকেন। আপনারাও কি খোঁজ করছেন, তাহলে সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আপনারা যদি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্য বহুল আর্টিকেলটি মনোযোগের সঙ্গে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই পড়ে ফেলেন তাহলে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত সেই গ্রামটি খোঁজে পাবেন।
কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায় অবস্থিত আলপানা গ্রাম সম্পর্কে। তাহলে আর দেরী নাকরে চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- আলপনা গ্রাম ঘুরে আসুন একবার
- আলপনা গ্রামের অবস্থান
- গ্রামের নাম করণ
- আলপনা গ্রাম ঘুরে আসুন একবার
- কিভাবে যাবেন
- কোথায় থাকবেন
- কোথায় খাবেন
- শেষকথা
আলপনা গ্রামের অবস্থান
রাজশাহী বিভাগীয় শহর হতে মাত্র ৫৮ কিলোমিটার দূরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায় অবস্থিত হিন্দু অধ্যাসিত ঐতিহ্যবাহী ছোট্ট একটি গ্রাম আলপনা বা টিকইল।
গ্রামের নাম করণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার ছোট্ট একটি গ্রামের নাম টিকইল। আর এই গ্রামের প্রতিটি দেওয়াল এমনিভাবে অঙ্কিত দেখে মনে হবে যেন একেকটি উম্মুক্ত ক্যানভাস। আর সেই ক্যানভাসে এই গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো নান্দনিকসব আলপনা ্দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন প্রতিটি দেওয়াল। তাই টিকইল গ্রামটি এখন বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে আলপনা গ্রাম হিসাবে।
আলপনা গ্রাম ঘুরে আসুন একবার
গ্রামের মেয়ে ও গৃহিনীরা মূলত আল্পনাগুলো অঙ্কন করে থাকেন। তারা বংশ পরস্পরায় বছরের পর বছর ধরে তাদের বাড়ীর দেওয়ালে আলপনা অঙ্কন করে ঐতিহ্যকে লালন করে চলেছেন। মাটির তৈরী প্রতিটি দেওয়াল তুলির আঁচড়ে রঙ্গিন হয়ে উঠে এমনকি রান্নাঘর বাদ যায়না আল্পনার ছোঁয়া হতে। তাদের নিজেদের তৈরী রঙ দিয়ে আলপনাগুলো আঁকা হয় মাটির ঘরে এমনকি আলপনা আঁকার যে কাঁচামাল প্রয়োজন হয় তাও আসে মাটি হতেই।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গুয়ার হাওড়ে নৌকা ভ্রমন
এই আলপনা আঁকার জন্য এক সময় তারপিন তেল, গিরিমাটি, রং, খড়িমাটি বা চক ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সেইসবের স্থায়িত্ব বেশী না হওয়ার কারণে বর্তমানে ব্যবহার করা হয় শুকনো বরই চূর্ণ আঠা, গিরিমাটি, আমের পুরাতন আঁটির শাঁস চূর্ণ, কলা গাছের কস, বিভিন্ন রং, চকগুড়া, মাঞ্চুরা ইত্যাদি মিশিয়ে চার বা পাঁচ দিন ভিজিয়ে রেখে এই আটা বানিয়ে আকা হয় আলপনা। এইভাবে প্রস্তুত করা রং দিয়ে আলপনা করলে আটি টিকে থাকে প্রায় এক বা দুই বছর।
টিকইল বা আলপনা গ্রামের আদিবাসি সম্পদায়ের অধিবাসিদের বিশ্বাস আলপনায় পরিবারের সদস্যদের মন প্রফুল্ল হয় এবং সেইসাথে ঘরবাড়ীতে পবিত্রতা আসে। আলপনা গ্রামের সাধারণ বয়স্ক মানুষদের জানা নেই কবে হতে শুরু হয়েছে এই প্রথার সে সম্পর্কে তেমন কোন সুনিদ্দিস্ট কোন ধারণা নেই। তবুও আনন্দময় এই আলপনা বিভিন্ন উৎসব ও পার্বণে পূর্বপুরুষের ঐতহ্য রক্ষা করে চলেছে এই গ্রামের অধিবাসীরা।
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা হতে অনেক বাস চলাচল করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরে অথবা সরাসরি নাচোল উপজেলা সদরে বাস অথবা ট্রেনযোগে খুব সহজে যাওয়া যায়। অথবা রাজশাহী শহর হতে খুব সহজে যাওয়া যায় নাচোল উপজেলায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে নাচোল মাত্র ২৪ কিলোমিটার এবং রাজশাহী হতে ৬৮ কিলোমিটার। নাচোল হতে মাত্র ২৫ টাকা ভাড়ায় আলপনা গ্রামে।
কোথায় থাকবেন
নাচোল উপজেলা সদরে তেমন থাকার ব্যবস্থা নেই বলে আপনাদের থাকার জন্য জেলা সদর চাঁপাই নবাবগঞ্জ বা রাজশাহীতে যেতে হবে। ওখানে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। আপনারা আপনাদের সাধ্যমতো থাকার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে হোটেলের মানভেদে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৩০০ টাকা হতে উপরে।
কোথায় খাবেন
খাবারের জন্য নাচোলে অনেক ধরণের খাবারের হোটেল আছে এখানে খেতে পারেন অথবা আপনারা চাইলে জেলা সদর চাঁপাই নবাবগঞ্জ বা রাজশাহীতে খেতে পারেন। ওখানে বিভিন্ন মানের খাবারের হোটেল রয়েছে। আপনারা আপনাদের সাধ্যমতো খাওয়া সেরে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ভীমের পান্টি প্রাচীন বাংলার অস্তিত্ব ঘোষণা করছে
শেষকথা
আশাকরি আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে "আলপনা গ্রাম'' সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য তুলে ধরতে পেরেছি। যাকিনা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে ''আলপনা গ্রাম'' ভ্রেমনের ক্ষেত্রে। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করুন এবং সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url