শহীদ জিয়া শিশু পার্কে ঘুরা ফিরা
আরো পড়ুনঃ গ্রিন ভ্যালি পার্ক লালপুর নাটোর
বাংলাদেশ তথা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম পরিচ্ছন্ন এবং আধুনিক নগরী বিভাগীয় শহর রাজশাহী। হ্যাঁ আমাদের পাঠক পাঠিকাগণ আপনারা কি রাজশাহী শহরে ভ্রমন, পিকনিক বা একান্তে কিছু সময় কাটানোর কথা ভাবছেন বা খুজছেন! তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন।
আমরা আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো রাজশাহী শহরের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদনের স্থান শহীদ জিয়া শিশু পার্ক। আশাকরি আপনারা আজকের আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং জেনে নিবেন এই পার্কের সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই পার্ক সম্পর্কে-
আজকের পাঠ্যক্রম- শহীদ জিয়া শিশু পার্কে ঘুরা ফিরা
- পার্কটির অবস্থান
- রাজশাহী শহরে ঘুরার সেরা ১০ স্থান
- শহীদ জিয়া শিশু পার্কে ঘুরা ফিরা
- পার্কটির ইতিহাস
- পার্কটির প্রধান ও মুল আকর্ষণ
- সম্যসূচী ও প্রবেশ মুল্য
- শেষকথা
পার্কটির অবস্থান
বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় শহর হতে মাত্র ৩ (তিন) কিলোমিটার দূরে নওদাপাড়ার বনগ্রামে ২০০৫ সালে শহীদ জিয়া পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
রাজশাহী শহরে ঘুরার সেরা ১০ স্থান
বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে যে সকল স্থানে পরিবার নিয়ে সময় কাটানো যায় সেগুলো হলো-
- পদ্মা গার্ডেন।
- ওয়াটার পার্ক।
- লালন শাহ মুক্তমঞ্চ।
- রাজশাহী চিড়িয়াখানা।
- আই বাঁধ এবং টি- বাঁধ।
- সবুজ সি এন্ড বি রাস্তা।
- শহীদ জিয়া শিশু পার্ক।
- মনোমুগ্ধকর রাজশাহী কলেজ।
- প্যারিস রোড, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
- আলোকসজ্জিত কয়েকটি রাতের রাস্তা।
পার্কটির ইতিহাস
রাজশাহী শহরে ভ্রমন প্রেমীদের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র "শহীদ জিয়া শিশু পার্ক"। রাজশাহী সিটিকরপোরেশন ১৯৯৫ সালে "শহীদ জিয়া শিশু পার্ক" নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহন করে। যদিও এর ভিত্তিপ্রস্তর ২০০৫ সালে স্থাপন করা হলেও ২০০৪ সাল হতে এই পার্কটির কার্যক্রম শুরু হয়।
সর্বসাধারণের জন্য "শহীদ জিয়া শিশু পার্কটি" খুলে দেওয়া হয় নির্মাণ কাজ ২০০৬ সালে শেষ হওয়ার পর। ততকালীন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মুরহুম আঃ মান্নান ভূঁইয়া ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পার্কটির প্রধান ও মুল আকর্ষণ
প্রায় ৩৭ বিঘা ভুমির উপর পার্কটি অবস্থিত। এখানে মোট ২০ (বিশ) আইটেমের গেমস প্লে রয়েছে ৭২টি। পার্কটির প্রধান ও মুল আকর্ষণ হলো এর মাঝখানে অবস্থিত লেক। লেকের ঠিক মাঝ বরাবর ১ (এক) টি কৃত্রিম পাহাড় নির্মাণ করা হয়েছে। আর লেকে অবস্থিত পাহাড়ের ভেতর দিয়ে দুইপাশে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে রেল যাওয়ার জন্য।
বিভিন্ন ধরণের জীবজন্তু ও কারুকাজ দ্বারা অঙ্কিত নজর কাড়ার মতো এর সীমানা প্রাচীর। অক্টোপাস এর নক্সা করা পার্ক হতে বের হওয়ার মুল গেইট যা দেখে সকলের মন ভরে যায়। এখানে আরো রয়েছে ৫০ (পঞ্চাশ) আসম বিশিষ্ট থ্রি মুভি থিয়েটার, হর্স রাইড, সুপার সিং, বিদ্যুৎ চালিত কার, প্যাডেল বোটসহ অনেক কিছু।
সময় সূচী ও প্রবেশ মুল্য
পার্কটি প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ১০ (দশ) টা হতে সন্ধ্যা ৬ (ছয়) টা পর্যন্ত। এই পার্কে প্রবেশ মুল্য জন প্রতি মাত্র ২৫ (পচিশ) টাকা।
আরো পড়ুনঃ হালতির বিল সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে
শেষকথা
আশাকরি আমরা আপনাদের মাঝে "শহীদ জিয়া শিশু পার্ক" সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য শেয়ার করতে পেরেছি। যা আপনাদের অনেক কাজে লাগবে, বিশেষ করে "শহীদ জিয়া শিশু পার্ক" ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভাললাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাদের পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল দেখুন। সবাই ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url