হালতির বিল সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে
আরো পড়ুনঃ নৌকা ভ্রমনের জন্য গাজানার বিল
এই বর্ষায় অনেকেই ভ্রমনের জন্য নতুন নতুন জায়গা খোঁজ করে থাকেন। আপনারাও যদি সেই দলের একজন হয়ে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার হালতির বিল সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে। হ্যাঁ বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো নাটোর জেলা সদর হতে মাত্র ১০ (দশ) কিলোমিটার দূরে নলডাঙ্গা উপজেলায় অবস্থিত হালতি বিল বা হালতির বিল সম্পর্কে।
আপনারা যদি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আমরা আশাকরি হালতির বিল বা হালতি বিল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি নাকরে চলুন দেখে নেওয়া যাক এই বিল সম্পর্কে-
আজকের পাঠ্যক্রম- হালতির বিল সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে
- হালতির বিল বা হালতি বিল এর অবস্থান
- হালতির বিল সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে
- হালতির বিল বা হালতি বিলের বিনোদন কেন্দ্র
- হালতি বিল প্রাকৃতিক মাছের প্রজননস্থল হিসেবে বিখ্যাত
- পাটুল মিনি কক্সবাজার
- শেষকথা
হালতির বিল বা হালতি বিল অবস্থান
হালতির বিল বা হালতি বিল বা এই অঞ্চলের অন্যতম সুন্দর বিনোদন কেন্দ্র রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে কাছের জেলা নাটোর জেলা হতে মাত্র ১০ (দশ) কিলোমিটার দূরে নলডাঙ্গা উপজেলায় অবস্থিত।
হালতির বিল সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে নেই কোনো সমুদ্র সমুদ্র সৈকত দেখা যেন একস্বপ্ন উত্তরাঞ্চলে মানুষের কাছে।এই এলাকার সাগর পিয়াসী মানুষদের নাটোরের এই হালতি বিল যেন এখন সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে। কারণ বর্ষার মৌসুমে হালতি বিলের প্রবাল ঢেউ এবং উত্তাল জলরাশি নিমিশেই যেকোনো বয়সের নারী- পুরুষের মনকে ভালো করে দেয়।
হালতির বিল বা হালতি বিলে বর্ষার মৌসুমে অথৈ পানি ও শীত মৌসুমে সবুজে ঘেরা ফসলি জমির এই বিলে মাঝ বরাবর পাটুল থেকে খাজুরা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়।এই পাকা রাস্তার ২ (দুই) ধারে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার নারী- পুরুষ ভ্রমণকারীরা উপভোগ করেন অপরূপ সৌন্দর্য মন্ডিত এই বিল। যা দেখে অনেকটাই পূরণ হয় সমুদ্র দেখার অভাব।
আরো পড়ুনঃ ছাতড়াবিল নওগাঁ জেলার অন্যতম ভ্রমন স্পট
হালতির বিল বা হালতি বিলের বিনোদন কেন্দ্র
এখানে বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় হলো পাটুল হতে খাজুরা পর্যন্ত যে রাস্তা আছে সেটাই। বর্ষার মৌসউসুম পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় বিল আর তখন সৌন্দর্য বাড়তে থাকে এই রাস্তার। পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় তখন আরো বাড়তে থাকে। হালতি বিলের অংশ নাটোর সদর উপজেলার মাধনগর, খাজুরা, পিপরুল ও ব্রক্ষপুর ইউনিয়নের বিস্তৃত এলাকা ।
বিলের ভিতরের ছোট ছোট গ্রামগুলি দ্বীপের মত হয়ে আছে, সেগুলো বিলকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে। বর্ষা মৌসুম হতে কার্তিক মাস পর্যন্ত এই বিলে ৫ (পাঁচ) ফুট হতে ৮ (আট) ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। হালতি বিল সরাসরি আত্রাই নদীর সাথে সংযুক্ত হওয়ার কারণে বর্ষার সময় প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আত্রাই নদী দিয়ে এখানে খুব সহজেই এখানে নৌকা ভ্রমনে আসেন।
হালতি বিল প্রাকৃতিক মাছের প্রজননস্থল হিসেবে বিখ্যাত
শীত মৌসুমে হালতি বিলের যেই অংশে পানি থাকে সেই অংশকে সরকারিভাবে তা মৎস অভয়ারন্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে অভয়ারন্যে শীত মৌসুমে যে মাছগুলো সংরক্ষণ করা হয়, সেই মাছ বর্ষা মৌসুমে হালতি বিলের সব যায়গায় ছড়িয়ে জায়গা এবং প্রজনন মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রচুর পরিমান মাছ উৎপাদন করে। এ এলাকায় উৎপাদিত ছোট-বড় দেশী মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু। বর্ষা মৌসুমে হালতি বিলে নৌ-ভ্রমনের জন্য পাটুল- হাপানিয়া এলাকায় প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে।
পাটুল মিনি কক্সবাজার
পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানকার বিভিন্ন জায়গা্তেই গড়ে উঠেছে উন্নতমানের খাবারের দকান, ভাতের হোটেলসহ অনেক ধরণের দোকানপাট। এই বিলে হাজারো মানুষ প্রতিদিন আসছেন সমুদ্রের স্বাদ নিতে। বিলের সামনে পাটুল- খাজুরা রাস্তা ধরে যেতেই আপনার চোখে পড়বে বড় অক্ষরে লেখা সাইনবোর্ড 'পাটুল মিনি কক্সবাজার'। এরপর পথ ধরে একটু গেলেই আপনাদের চোখে পড়বে উত্তাল সেই জলরাশি।
আরো পড়ুনঃ চলনবিলে নৌকা ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
শেষকথা
আমাদের পাঠক-পাঠিকাগণ আশাকরি আমরা আপনাদের হালতির বিল বা হালতি বিল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে সক্ষম হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে ও উপকারি বলে মনে হয়, তাহলে অবশ্যই নিজের পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল দেখুন। সবাই ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url