নাজিমগড় রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট সিলেট

আরও পড়ুনঃ হ্যাপি আইল্যান্ড ভ্রমণ পিপাসুদের প্রধান আকর্ষণ

নাজিমগড় রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সিলেট জেলা শহর থেকে সামান্য দূরে খাদিমনগরের জনমানবহীন এক নির্জন দ্বীপে গড়ে তুলেছে এই রিসোর্ট। আরও তৈরি হয়েছে পিকনিক স্পট যার অবস্থান মেঘালয় সীমান্তের লালাখালে।

প্রিয় পাঠক পাঠাকাগণ আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমাদের থাকছে নাজিমগড় রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যদি আপনারা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলেটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনারা নাজিমগড় রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট বিস্তারিত  জানতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখাজাক কি আছে আজকের আর্টিকেলে-

আজকের পাঠ্যক্রম- নাজিমগড় রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট সিলেট

  • নাজিমগড় রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট সিলেট
  • সিলেটের সেরা দর্শনীয় স্থানের নাম
  • কি দেখবেন এখানে
  • কিভাবে যাবেন
  • কোথায় থাকবেন ও খাবেন
  • শেষকথা

নাজিমগড় রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট সিলেট

রিসোর্ট- সিলেট জেলা শহর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। এই রিসোর্টটি সিলেট-জাফলং মহাসড়কের কাছেই প্রায় ৬ একর নির্জন দ্বীপের উপর গড়ে উঠেছে । যেখানে আপনারা পাবেন প্রায় ২ শতাধিক লোকের খাওয়া দাওয়াসহ সুন্দরভাবে রাত্রিযাপনের সুবিধা।

পিকনিক স্পট- বাংলাদেশ- মেঘালয় সীমান্তের লালাখালে তৈরি হয়েছে সুন্দর ও মনরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে এই পিকনিক স্পট। ব্রিটিশদের শাসন আমলে প্রতিষ্ঠিত এই চা-বাগানটি ভারত বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষা এলাকায় অবস্থিত। এখানে আপনারা দেখতে পাবেন ছোট বড় অনেক উচু-নিচু টিলাসহ চা-বাগান। সারী নদী বয়ে গেছে  চা-বাগানের পাশ দিয়ে।

সিলেটের সেরা দর্শনীয় স্থানের নাম

সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী। এখানে আপনি দেখার মত বেশ কিছু পর্যটন স্পট পেয়ে যাবেন। প্রতিনিয়ত দেশে নানা স্থান থেকে এসে ভ্রমণ পিপাসুরা সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভিড় করে থাকে। আপনারা তো সিলেট জেলার পৌরসভার তালিকা জেনে নিয়েছেন। এবার সিলেট জেলার কিছু দর্শনীয় স্থানসমূহের নাম জেনে নিন। 
  • বিছানাকান্দি 
  • রাতারগুল 
  • জাফলং 
  • শ্রীমঙ্গল 
  • শাহী ঈদগাহ
  • হযরত শাহজালালের মাজার 
  • ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর 
  • মালনিছড়া চা বাগান 
  • কীন ব্রিজ 
  • হযরত শাহ পরানের মাজার 
  • তামাবিল 
  • লালাখাল 
  • ভোলাগঞ্জ 
  • নাজিমগড় রিসোর্ট 
এ সকল দর্শনীয় স্থান ছাড়াও আপনি সমগ্র সিলেট জেলায় আরো অনেক চিত্তাকর্ষক জায়গা খুঁজে পাবেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির এক অপরুপ নিদর্শন এই সিলেট জেলা। 

কি দেখবেন এখানে নাজিমগড় রিসোর্ট

এটি পাহাড়ের ঢেউ দেখার মত একটি দারুণ জায়গা। এখানে আছে ১৫টি আধুনিক ও সুন্দর কটেজ এবং রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন পদের খাবার ব্যবস্থা। রিসোর্টে আছে সুন্দর এক বাগান যাকিনা আপনাদের মনকে ভালো করে দিবে। রয়েছে সুইমিং পুল, পিকনিক ও ক্যাম্পিং স্পট। নিজস্ব স্প্রিডবোট আছে, যা নদীতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। স্প্রিডবোটে চড়ে আপনারা সারি নদী হয়ে লালাখাল ভ্রমণ করতে পারবেন। 

আরও রয়েছে পাহাড়ের উপরে ওয়াচ টাওয়ার যা সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও মেঘালয় পাহাড় দেখার জন্য। আর এর পাশেই রয়েছে খাসিয়া পল্লী, পানের বরজ। আর প্রতিটি স্থাপনাই গাছপালা ও জঙ্গলে ছাওয়া টিলার ধারে। বাংলোর বারান্দায় বসে একটু হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় বিভিন্ন গাছগাছালির ছোঁয়া। আপনি নদী পথে লালখাল ভ্রমন করার সময় দেখতে পাবেন সারী নদীর নীল জল ও নদীর দু-পাশে গোধুলী লগ্নে গ্রাম্য মেয়েরা কলসী দিয়ে পানি নেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ার মত। 

আরও দেখতে পাবেন দিনের বেলায় শতশত নৌকা শ্রমিকদের বালু উত্তোলন এর দৃশ্য আর নদীর আকাঁ বাকাঁ পথ আশাকরি যে কোন বয়সের পর্যটকদের মন কাড়বে। বাগানে সাওতাল নারী- পুরুষ চা শ্রমিকরা আপন মনে চাপাতা তোলার অপরূর দৃশ্য যা আগত পর্যটকদের আর্কষণ অনেকটা  বাড়িয়ে দেয়।

কিভাবে যাবেন নাজিমগড় রিসোর্ট

দেশের যে কোন স্থান হতে আপনি বাস, ট্রেন অথবা প্লেনে করে সিলেট শহরে আস্তে হবে। এরপর সিলেট শহরের সোবহনীঘাট পয়েন্ট দিয়ে বা আপনি ওসমানী শিশু পার্ক ও দক্ষিণ সুরমা কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনাল। এরপর সিলেটের তামাবিল জাফলংয়ের বাস করে এবং লেগুনা গাড়িতে এসে সারীঘাট নামতে হবে। গাড়ি ভাড়া বাবদ আপনার খরচ ৪০ টাকা লাগবে।  

লালাখাল চা-বাগান যাওয়ার জন্য আপনি দুটি রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন। সিলেট তামাবিল সড়ক হয়ে সারী নদীর ঘাটে নেমে সারী নদী দিয়ে নৌকা যোগে আবার ফেরীঘাট হয়ে সড়ক পথে আপনি যেতে পারবেন। তবে পর্যটকরা বেশীর ভাগ সারী নদী দিয়ে নাজিমগড় রির্সোট-এর স্পীডবোট ব্যবহার করে থাকেন। অনেকই নৌকা দিয়ে আবার লালাখাল ভ্রমনে যান। নৌকায় ভাড়া লাগবে ৫শ থেকে ৬শত টাকা এবং স্পীডবোট দিয়ে খরচ ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া লাগে। 

সারীঘাট উত্তর পারের রাস্তা দিয়ে ছোট ছোট অনেক ব্যাটারী চালিত গাড়ি চলাচল করে। সারীঘাট থেকে লালাখাল এর দূরত্ব ৫ কিলোমিটার ভাড়া ১৫ টাকা। 

কোথায় থাকবেন ও খাবেন নাজিমগড় রিসোর্ট

আপনি চাইলে রিসোর্ট এ থাকতে পারবেন। এখানে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে। আবার সিলেট শহর কাছে হওয়ার করণে আপনি সিলেট শহরে থাকতে পারেন। এখানে থাকার জন্য আবাসিক ও খাবারের জন্য বিভিন্ন মানের অনেক হোটেল পাবেন। আপনি আপনার সাধ্য ও সমথ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা করতে পাবেন।

আরও পড়ুনঃ সাজেক ভ্যালি চলুন আনন্দ ভ্রমনে 

শেষকথা

আমার প্রাণপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি আপনারা যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই নাজিমগড় রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনেছেন। এই আর্টিকেলটিতে লিখিত তথ্যসমূহ যদি আপনি মনোযোগের সাথে পড়েন এবং মনে রাখেন, তাহলে তা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

বিশেষ করে নাজিমগড় রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এর অনেক ধরনের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। যাইহোক গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে যদি উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭