শ্রীমঙ্গল ভ্রমনের সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান

আরও পড়ুনঃ নাজিমগড় রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট সিলেট

চায়ের রাজধানী হিসাবে সুপরিচিত বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা এটি সারাদেশে। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের শ্রীমঙ্গল উপজেলা সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫টি  দর্শনীয় স্থানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিব। তাই আওনারা আজকের এই গুরুত্ববহ আর্টিকেলেটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ূন এবং জানুন শ্রীমঙ্গল উপজেলা সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫টি  দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।

এখানে পাহাড়ের ঢালে রয়েছে চা বাগানের অপূর্ব দৃশ্য। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল এর আশেপাশে আরও রয়েছে  গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট  এন্ড গলফ, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ আরো বেশকিছু দর্শনীয় স্থান। এস্থানটি ঢাকা বা অন্যকোন স্থান থেকে একদিনে সহজে ভ্রমণ করা যায় বলে এখন শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ অনেকের কাছেই একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। চলুন জেনে নেয়া যাক দেরীকেন শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে যাওয়ার মতো পাঁচটি স্থান-

আজকের পাঠ্যক্রম- শ্রীমঙ্গল ভ্রমনের সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান

  • শ্রীমঙ্গল ভ্রমনের সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান
  • লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
  • চা বাগান
  • মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত
  • মাধবপুর লেক
  • বাইক্কা বিল
  • পরিশেষে

শ্রীমঙ্গল ভ্রমনের সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান

যতোদূর চোখ যায় আপনার দেখতে পাবেন মসৃণ সবুজে ছাওয়া উচুঁ-নিচু টিলা, আর উপরে তাকালে বিশাল নীল আকাশ। এদিক ওদিক তাকালেই দেখবেন সবুজ আর বর্ণিল সব পাখি। খনিজ গ্যাসকূপ আর আনারস, উঁচু নিচু পাহাড়, চা বাগান,  ঘন জঙ্গল, লেক, লেবু, হাওর, পান, আগর ও রাবার বাগান দিয়ে সাজিয়ে রাখা সুন্দর এই স্থানটির নাম হল শ্রীমঙ্গল।

শুধু কি তাই বাংলাশের সবচেয়ে শীত প্রধান এলাকা, আবার সবচেয়ে বৃষ্টি প্রধান হিসেবেও শ্রীমঙ্গল। বৃষ্টিতে ভিজার কিংবা অতি শীত অনুভব করতে দুটি মৌসুমেই শ্রীমঙ্গল আপনি বেড়াতে আসতে পারেন। যদি আগে এই নাম শুনেছেন বা অনেকে এসে ছিলেন। আর যারা এখনো অসেননি তবে তারা  ধারণা রাখেন  শ্রীমঙ্গল সম্পর্কে এটি অসাধারণ একটি জায়াগা। শ্রীমঙ্গল হবে আপনার মনের মতোই সুন্দর। শ্রীমঙ্গল ভ্রমনের সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে-

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান

যুগের পর জুগ, বছরের পর বছর যায় কেটে যায়, তবু এ স্থানের জনপ্রিয়তা বাড়ে কিন্তু কমে না। প্রায় সারা বছরই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এখানে কিছু বিরল প্রজাতির পাখি,  হরিণ বাঁদর প্রভৃতি প্রাণীদের নিরাপদ বাসস্থান এই উদ্যান। আর এদেরকে দেখার পাশাপাশি হাইকিং ও ট্রেকিংয়ের জন্যও এ বন সবচেয়ে বেশ উপযোগী। শীতকালে এখানে শিশিরের অন্য এক জাদুর পরশ ছড়িয়ে পড়ে এই রেইনফরেস্টে। 

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান মৌলভীবাজার শহর হতে মাত্র ৩০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত এবং বাস বা ট্রেনের এখানে যাওয়া সম্ভব। নাগরিক ও যান্ত্রিক কোলাহল এড়িয়ে কিছুক্ষণের জন্য এই নির্জনতা আপনার সঙ্গী হবে হয়তো কাছেই ডেকে ওঠা অচিনা একটা পাখির ডাক। হালকা কাদামাখা পথ দিয়ে আপনার হেঁটে যেতেও মন ছুঁয়ে যাবে অন্যএক প্রশান্তিতে। প্রকৃতি ধরা দেবে আপনার চোখের সীমানায়। 

চা বাগান

বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নত মানের চা কিন্তু শ্রীমঙ্গলেই উৎপন্ন হয়ে। শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রবেশ পথে ‘চা-কন্যা’ ভাস্কর্য প্রথমেই আপনার দৃষ্টি কেড়ে নেবে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি এ ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে মুলতঃ সাতগাঁও চা-বাগানের সহায়তায়। আর ‘চা-কন্যা’ ভাস্কর্যের সামনে থেকেই বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দেখতে পাবেন সাতগাঁও চা-বাগান। 

ইংরেজদের শাসন আমলের স্মৃতি বহনকারী সিলেটের চা বাগানগুলোতে আজ সেই সময়ের মতো করেই কাঠের তৈরি সাদা রঙের ভবনে বাস করেন ম্যানেজারেরা। তাইতো ইংরেজ আমলের অনেক ছাপ লক্ষ করা যায় চা বাগানের জীবন যাত্রাতে। মে মাস হতে চাপাতা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে চলে সাধারণত অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময়ে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠে চা বাগান গুল। 

আপনি যদি চা-শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা দেখতে চান তাহলে মে থেকে অক্টোবরে যেতে হবে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগানে। এছাড়া যে কোনো সময় আপনি ঘুরতে যেতে পারেন চায়ের বাগানগুলোতে।

মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা নামক অন্য একটি উপজেলায় রয়েছে এক মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। এই স্থানে আপনি বাস, ট্রেন বা ব্যক্তিগত পরিবহনের মাধ্যমে যেতে পারবেন। এখানে বড় বড় পাথর, হালকা জলস্রোত এবং প্রশান্তিদায়ক সবুজে ঘেরা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত বছরই সব সময় থাকে পর্যটকদের আনাগোনা।

আপনাকে জলধারা উপভোগের পাশাপাশি  কিন্তু এর পিচ্ছিল ঢালগুলোতে সাবধানে থাকতে হবে। প্রায় ২০০ ফুট উপর থেকে আছড়ে পড়া পানির স্রোত যে কাউকে আহত করতে পারে।

মাধবপুর লেক

এটি অবস্থিত কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগানের মাঝে মাধবপুর লেক। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও জলদ্মে পরিপূর্ণ এই স্থানটিতে অনেক প্রজাতির পাখিদেরও আনাগোনা রয়েছে। মাধবপুর লেকের যেন একেক ঋতুতে একেক রূপ। শীতকালে মাধবপুর লেকের আসল মোহনীয় চেহারা ধরা দেয় পর্যটকদের কাছে। এ সময়ে সাদা পেটের প্রচুর বগলা পাখিও দেখা যায়। মাধবপুর লেক শ্রীমঙ্গল থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দেখা মিলবে এই হ্রদের।

বাইক্কা বিল

পাখি, মাছ ও গাছগাছালি মূলত হাইল হাওরের অন্তর্ভুক্ত একটি অংশ। আপনি অগভীর এই হ্রদটিতে দেখতে পাবেন বিভিন্ন গাছপালার মেলে। আরও রয়েছে স্থানীয় জলাভূমিও। বাইক্কা বিল এর অবস্থান শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারের মাঝপথে। বিলের ঘেরাটোপে প্রবেশ করা মাত্রই পাখিদের মন মাতানো কলকাকলিতে আপনার মন ভরে উঠবে। 

প্রতিবছর শীতকালে এই বিলে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে। প্রকৃতিপ্রেমীদের পছন্দের অন্যতম জায়গা এই বিল। পাখি দেখতে আসেন অনেকে, আবার বিজ্ঞানীদেরও বসে পড়তে দেখা যায় দুরবিন নিয়ে। ঢাকা থেকেব্যক্তিগত গাড়িতে করে ভ্রমনে গেলে বাইক্কা বিল পৌঁছাতে ৩ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগবে। তবে বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময় এখানে নৌভ্রমণের অনুমতি দেওয়া থাকে।

পরিশেষে

আমার প্রাণপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি আপনারা যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই শ্রীমঙ্গল ভ্রমনের সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনেছেন। এই আর্টিকেলটিতে লিখিত তথ্যসমূহ যদি আপনি মনোযোগের সাথে পড়েন এবং মনে রাখেন, তাহলে তা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল ভ্রমনের সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান এর অনেক ধরনের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। যাইহোক গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে যদি উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭