আশুরা ২০২৪ কত তারিখে হবে
আরও পড়ুনঃ ১০ মহররম এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য
আজকের এই আর্টিকেলটি আমরা আশুরা সম্পর্কে আলোচনা করতে চাচ্ছি। আশুর ইসলাম ধর্মের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আজকে আমরা জানব আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য, আশুরা কবে, ঘটনা প্রবাহ সহ বিস্তারিত তথ্য আজকের এই আর্টিকেল হতে সংগ্রহ করতে পারবেন। আর আশুরা বিষয়ে ভালভাবে জানতে চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাকে ভালোভাবে পড়তে হবে।
ইসলাম ধর্মে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন আশুরা। এটি আরবি বছরের প্রথম মাস মহরম মাসের ১০ তারিখে পবিত্র আশুরা পালন করা হয়ে হয়ে থাকে। সুন্নি মুসলিমদের মতে নবী মুসার বিজয়ের স্মরণে আশুরার রোজা পালন করা হয়। কিন্তু শিয়া মুসলিমদের মতে আশুরার দিন কারবালার বিষাদময় ঘটনাকে স্মরণ করা হয়ে থাকে।
আজকের পাঠ্যক্রম- আশুরা ২০২৪ কত তারিখে হবে
- এই দিনটি উদযাপন
- আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- আশুরা ২০২৪ কত তারিখে হবে
- আশুরা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা দরকার
- কিভাবে আশুরা পালিত হয়
- শেষকথা
এই দিনটি উদযাপন
এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপিত হয় শিয়া মুসলমানদের দ্বারা। দিনটি উপলক্ষে শিয়া মুসলিমগণ বিভিন্ন মিছিলের এবং মাতম ও শোক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। এই দিনটি শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় চোখে পড়ার মতো উদযাপন বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়।
আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর হাদিসের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ইসলামের সুন্নি সম্প্রদায় এর মানুষ আশুরার দিনে অর্থাৎ মোহররমের মাসের ১০ তারিখ যেদিন লোহিত সাগরে পথ তৈরি করে নবী মুসা (আঃ) ও তার অনুসারীরা ফেরাউনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করে ছিলেন, সেই দিনটিকে স্মরণ করার জন্য রোজা রাখার সুপারিশ করা হয়।
পাশাপাশি মুসলিম ঐতিহ্য অনুসারে মদিনার ইহুদিরাও নিস্তার পর্ব পালনে মহরম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখতো। এবং সহীহ আল বুখারী হাদিস এর বর্ণনা অনুসারে মুসলমানদের এই দিনে রোজা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আবার এটাও নির্ধারিত হয় যে, এই পালন জেন ইহুদিদের দ্বারা উদযাপন করা নিস্তার পর্বের উৎসব থেকে অবশ্যই আলাদা হওয়া উচিত এবং আর এই তিনি বলেছিলেন যে, মুসলমানেরা যেন একদিনের পরিবর্তে দুই দিন রোজা রাখে। আর এই তারিখ হবে মহরম মাসের ৯ ও ১০ তারিখ অথবা মহরম মাসের ১০ ও ১১ তারিখ। মুসলমানদের এই দুই দিন রোজা রাখা যেতে পারে অর্থাৎ আশুরার আগের দিন থেকে আশুরার দিন পর্যন্ত বা আশুরার দিন থেকে আশুরার পরের দিন পর্যন্ত।
আশুরা ২০২৪ কত তারিখে হবে
আশুরা হলো এমন একটি ইসলামিক গুরুত্বপূর্ণ দিবস যা চন্দ্র বর্ষের প্রথম মাস মহররমের মাসের ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। কারবালার যুদ্ধে হজরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) ও তার পরিবারের সদস্যদের স্মরণ ও শাহাদাতকে চিহ্নিত করে পালিত হয়ে থাকে। এখন জেনে নেওয়া যাক এই বছর ২০২৪ আশুরা কবে-
শিয়া মুসলমানরা এই দিনের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) প্রিয় নাতি ইমাম হোসাইন (রাঃ) এবং তার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে থাকে। আর আশুরা সেই তারিখের সাথে মিলেযায়, যে তারিখে কারবালার মর্মান্তিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
আশুরা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা দরকার
- আনুষ্ঠানিক নাম- আশুরা।
- অন্যান্য নাম- ইমাম হোসাইন (রাঃ) তাবুইক, মোহররমের শোক, প্রায়শ্চিত্তের দিন ইত্যাদি।
- পালনকারী- বিশ্বের সমস্ত ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ।
- সংগঠন- প্রত্যেক ইসলামী বছরে একদিন।
- পালন- উপবাস থাকা বা রোজা রাখা, শোক পালন করা ও মহান আল্লাহর কাচে দোয়া করা।
- তাৎপর্য- কারবালার যুদ্ধ স্মরণ করা, যেখানে মোহাম্মদের নাতিইমাম হোসাইন (রাঃ) ইবনে আলীকে হত্যা করা হয়।
- ধরন- কিছু দেশে, যেমন:- আফগানিস্তান, আজারবাইজান, ইরান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও ইরাক ইত্যাদি দেশে ইসলামিক ও জাতীয় পালন করা হয়।
- তারিখ- মহরম মাসের ১০ তারিখ।
কিভাবে আশুরা পালিত হয়
মহা পবিত্র এই দিনটি উদযাপন করার জন্যবেশ কিছু নিয়ম নীতি পালন করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। এই দিনে অনেক মানুষ কালো কাপড় পরতো। আবার কিছু মানুষ এই দিনটিকে শোকের দিন হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। আসলেই এটি একটি শোকের দিন, এবং আবার অনেকে ছুরি, ধারালো শিকল বা তলোয়ার দিয়ে নিজেদেকে আঘাত করার মধ্যমে হজরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করে থাকেন।
মহরম শব্দের অর্থ হলো অনুমতি নেই বা নিষিদ্ধ। তাই এই পবিত্র দিনে মুসলমানদের যুদ্ধের মত ক্রিয়া-কলাপে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ। এই দিনে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা এবং আত্ম দর্শনের দিন হিসেবেও পালিত হয়। হজরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর স্মরণ করতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই দিন শোক প্রকাশ করেন।
তবে এটি করে থাকেন শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা। আর সুন্নি মুসলমানরা দিনটি পালন করে থাকেন রোজা রাখে বা উপবাস রেখে, খুবই দুঃখের সাথে মহান আল্লার কাছে দোয়া করে।
শেষকথা
হে আল্লাহ আপনি আমাদের প্রত্যেক মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ ভাবে ১০ মহররম এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ভালোভাবে জানার, বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন। এবং এই আমলের মাধ্যমে আমাদের দুনিয়া ও পরকালের শান্তি ও রহমত লাভের তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করতে তাওহিদের কালেমার সাক্ষ্য দেয়ারও তাওফিক দান করুন। আমিন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url