মহিসন্তোষে ১৪ হাত মানুষর কবর
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ ভারত সিমান্তের জবই বিল
সমগ্র মানব জাতির আদি পিতা হজরত আদম (আঃ) এর ৯০ফিট বা ৬০ হাত লম্বা। এরপর পর্যায়ক্রমে মানুষ আকা্রে ছোট হতে হতে এখন দাড়িয়েছে ৩.৫ হাতে। তবে ১৪ মানুষের কবরের সন্ধ্যান মিলেছে, ঐতিহাসিক মাহি সন্তোষে।
আর আজকের আর্টিকেলে আমরা জানাবো ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ এর ১৪ হাত মানুষের কবর সম্পর্কে। আপনারা যদি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে আপনারা জানতে পারবেন এই কবরের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। চলুন দেরীকেন দেখে নেওয়া যাক আজকের আর্টিকেল-
আজকের পাঠ্যক্রম- মহিসন্তোষে ১৪ হাত মানুষর কবর
- আদম (আঃ) ৬০ হাত লম্বা ছিলেন মর্মে হাদীছ
- মহিসন্তোষে ১৪ হাত মানুষর কবর
- ধবংসপ্রপ্ত ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ মসজিদ
- কিভাবে যাবেন ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ
- কোথায় থাকবেন ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ
- কথায় খাবেন ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ
- শেষকথা
আদম (আঃ) ৬০ হাত লম্বা ছিলেন মর্মে হাদীছ
হজরত আবূ হূরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, মহান আল্লাহ আদম (আঃ) কে সৃষ্টিকালে তার উচ্চতা ছিল ৬০ কিউবিট এবং মানুষ বেহেশতে প্রবেশকালে আদমের আকার লাভ করবে। ছহীহ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬২৮)।
একটা মানুষ যদি একহাজার বছর বাঁচা সম্ভব হয় তা হলে, তার উচ্চতা ৬০ হাত, বা ৬০ কিউবিট হতে সমস্য কোথায়।
মহিসন্তোষে ১৪ হাত মানুষর কবর
বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বরেদ্র ভূমিখ্যাত ধামইরহাট উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১৩ কি.মি উত্তর-পশ্চিম একেবারে ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে আত্রাই নদীর পূর্ব তীরে হিন্দু বৌদ্ধ শাসনামলে গড়ে উঠেছিল ঐতিহাসিক মাহীসন্তোষ নগরীত মসজিদটির ধ্বংসাবশেষ ১৪ হাত কবরের অবস্থান। এই মাহীসন্তোষ মসজিদটি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটি বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নথিভূক্ত অন্যতম একটি স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের সাথে কথা বললে ও কবরের শিলালিপি থেকে জানাজায় এই ১৪ হাত মানুষের কবরটি পার্শ্বের মাজারে শয়িত হজরত তকি উদ্দীন (রহঃ) এর খাদেম বীর নওশের আলী (রহঃ) এর কবর বা মাজার শরিফ।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহী বিভাগের ভ্রমণস্পট এর তালিকা
ধবংসপ্রপ্ত ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ মসজিদ
ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ মসজিদে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, মসজিদটি সুলতান রুকনুদ্দীন বারবক শাহের আমলে ৮৬৭ হিজরিতে নির্মিত এবং সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহের আমলে এটি ৯১২ হিজরিতে পুনঃনির্মিত হয়েছিল। ১৯১৬ সালে বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটি এই মসজিদটির ধ্বংসাবশেষ যুক্ত ঢিবিটিতে খনন করে মসজিদটি আবিষ্কার করে।
কিভাবে যাবেন ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ
নওগাঁ জেলা সদরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে বাসে চড়ে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ধামইরহাট আসতে হবে। ধামইরহাট থেকে ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ যাওয়ার রিকশা ও ভ্যান খুব সহজেই জেতে পাবেন।
কোথায় থাকবেন ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ
ধামইরহাটে তেমন ভালো কোন আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থা নেই। নিজের পছন্দমত বা ভালো মানের আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করতে চাইলে আপনাকে নওগাঁ জেলা সদরে থাকতে হবে। নওগাঁতে হোটেল প্লাবন, হোটেল যমুনা, হোটেল অবকাশ, মল্লিকা ইন, হোটেল ফারিয়াল ও হোটেল রাজ প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসকল হোটেল ভাড়া ৩০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত লাগবে।
কোথায় খাবেন ঐতিহাসিক মাহিসন্তোষ
ধামইরহাটে বেশ কিছু সাধারণ মানের খাবারের হোটেল পাবেন। যেখানে আপনি কম টাকায় সাধারণ মানের খেতে পারবেন। তাছাড়া বালুডাঙ্গা বাস ষ্টেশনে সাধারণ মানের খাবারের দোকান রয়েছে। এছারাও আপনি চাইলে ভালো মানের খাবারের জন্য নওগাঁর গোস্তহাটির মোড়ে ভালমানের কয়েকটি হোটেল ও রেস্তোরাঁ পাবেন।
আরো পড়ুনঃ সাফিনা পার্ক ঘুরে আসুন একদিন
শেষ কথা
ব্যাস আশা করছি মহিসন্তোষ ১৪ হাত মানুষর কবর সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। যা কিনা আপনার ভ্রমণে সাহায্য করবে। পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনাময় মহিসন্তোষ ১৪ হাত মানুষর কবর এর প্রতি প্রয়োজনীয় নজরদারির দিলে হয়তো একদিন আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হিসাবে এটি গড়ে উঠবে। তাই সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url